নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সায়ন্তন রফিক

অপেক্ষায় আছি কেউ একজন আসবেই আলোয় ভরিয়ে দেবে সব।

সায়ন্তন রফিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ নাস্তিকতা ও বিজ্ঞান

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

আমাদের দেশের কিছু নাস্তিক ব্লগার আছেন, যারা দেশে বসে বা প্রবাসে অবস্থান করে নাস্তিক্যবাদ প্রচারে ব্যস্ত । তারা গর্ব করে বলে বেড়ান, কেউ কেউ ব্লগেও লিখে থাকেন যে, নাস্তিক হতে হলে আধুনিক বিজ্ঞান জানা ও বোঝা প্রয়োজন । বিশেষ করে বিবর্তন তত্ত্ব, জিন তত্ত্ব, কৃষ্ণগহ্বর তত্ত্ব, মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব, কোয়ান্টাম তত্ত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের এমন বক্তব্য প্রমাণ করে যে, তারা নাস্তিক্যবাদের ইতিহাস সম্পর্কেও অজ্ঞ। আমাদের এই ব্লগাররা দেশে কিংবা বিদেশে কোথাও বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃত নন। পৃথিবীতে বহু বিজ্ঞানী রয়েছেন এবং ছিলেন, যারা বিজ্ঞানের নানা তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন, তারা নাস্তিক নন। সুতরাং বিজ্ঞান জানলে বা বুঝলেই মানুষ নাস্তিক হয়ে যাবে, এমন নয়। বরং উল্টোটাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। হয়তো প্রথাগত ধর্মীয় ঈশ্বরে বিশ্বাসী নয় কেউ কেউ। তা ছাড়া আধুনিক বিজ্ঞানের কোনো তত্ত্বই অকাট্য প্রমাণ দিতে পারে নি যে, এই মহা বিশ্বের কোনো ঈশ্বর বা স্রষ্টা নেই। অনেকের মতো আমিও মনে করি যে ঈশ্বর বা স্রষ্টাকে জানা পার্থিব বিজ্ঞানের সাধ্যের বাইরে। বিজ্ঞান নয়, নাস্তিকতার সাথে যে বিষয়টি জড়িত, তা হচ্ছে ব্যক্তিগত জীবনবোধ। সে কারণেই আধুনিক বিজ্ঞানের এই চরম বিকাশের ফলে আবিষ্কৃত নানা তত্ত্ব-তথ্যের কিছুই না জেনেও খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে এই ভারতীয় উপমহাদেশেই নাস্তিক্যবাদের জন্ম । সেই সময়ে উপর্যুক্ত বিজ্ঞানের কোনো তত্ত্বই আবিষ্কৃত হয় নি। তাই চার্বাকদের এ সব তত্ত্ব জানার কোনো প্রশ্নই উঠে না। পাশ্চাত্যেও নাস্তিক্য বাদের সূচনা হয়েছিলো খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে প্রাচীন গ্রিসে। Aristippus ও তার অনুসারীদের আধুনিক বিজ্ঞানের উপর্যুক্ত তত্ত্ব সম্পর্কে কোনো ধারণা যে ছিলো না, তা না বললেও চলে। সূর্য পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘুরে- এই জ্ঞান নিয়েই তারা নাস্তিক হয়ে উঠেছিলো। এই দুই নাস্তিক্যবাদীগোষ্ঠীর মধ্যে যা মিল ছিলো, তা হচ্ছে ভোগবাদ। Aristippus ও তার অনুসারীরা বিশেষভাবে দৈহিক সুখভোগকেই গুরুত্ব দিতো।
তাই আমার যা মনে হয়, তা হচ্ছে প্রবল ভোগস্পৃহা, ভোগের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা বা ভোগবঞ্চনা এবং সে কারণে ক্ষোভ বা হতাশা মানুষকে নাস্তিক করে তুলে। কেউ একমত নাও হতে পারেন এবং সেটাই স্বাভাবিক। বিষয়টি যার যার বোধের ব্যাপার, বিজ্ঞানের নয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

সৈয়দ জায়েদ আহমদ বলেছেন: ভালো লাগলো ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

সায়ন্তন রফিক বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

খোলা মনের কথা বলেছেন: যথা যুক্তিযুক্ত কথা, ভালো লাগলো

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

সায়ন্তন রফিক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:৩৬

বিদেশ পাগলা বলেছেন: সময়োপযোগী ও যুক্তিসংগত লেখাকে সাধুবাদ স্বাগতম জানাই । অনেক ধন্যবাদ ।সময়োপযোগী ও যুক্তিসংগত লেখাকে সাধুবাদ স্বাগতম জানাই । অনেক ধন্যবাদ ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

সায়ন্তন রফিক বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: আর নাস্তিকতা আসে এক ধরণের অহংকার, ক্ষোভ, আর হতাশা থেকে। নিঃশন্দেহ যে যত বড় জ্ঞানী সে তত বড় পথভ্রষ্ট।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

সায়ন্তন রফিক বলেছেন: সব জ্ঞানীই পথভ্রষ্ট নন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.