![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হত্যা সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও জঘন্য অপরাধ। তাই কোনো হত্যাই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি রয়েছে, যেখানে হত্যার মত ঘটনা ঘটলেও মানুষ সে হত্যাকে সমর্থন করে। ব্লগাররা কি সে রকম ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে? অবশ্যই না। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যে কোনো বিষয়ে ( রাষ্ট্রীয় কিছু স্পর্শকাতর গোপন বিষয় ছাড়া) যে কোনো মানুষের নিজ মতামত তুলে ধরার অধিকার রয়েছে এবং তা অবশ্যই মার্জিতভাবে, শালীনতার সীমা লঙ্ঘন না করে। কোনো ব্লগার বা লেখক যদি সীমা লঙ্ঘন করে কারো বা কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে, তাহলে সেই ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে আইনের আশ্রয় নেয়ার অধিকার রাষ্ট্র দিয়েছে।
তবে কেন এ হত্যা? এ হত্যাকে ঘৃণা করি। সেই সাথে এ কথা বলতে চাই যে, রাষ্ট্র শুধু প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় মর্যাদা রক্ষার অধিকার দিলেই হবে না, কেউ যাতে লেখায়, বলায় অন্যের ধর্মানুভূতিতে আঘাত না করতে পারে সে ব্যাপারে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে সজাগ থাকতে হবে।
অল্প কিছুদিন হলো ব্লগিং জগতে এসেছি। এসে দেখছি বাংলাদেশের বহু লোক ব্লগিং-এর সাথে যুক্ত। কিছু কিছু মুক্তমনা(?) ব্লগার ধর্ম বা ধর্মপ্রবর্তকদের যে ভাষায় সমালোচনা করে, তা খুবই জঘন্য। এ ধরনের সমালোচনা
যে কোনো ধর্মপ্রাণ মানুষকে আহত করবেই। সেই ব্লগারদের উদ্দেশ্যে বলছি – আপনারা ধর্ম না মানুন, আল্লাহ্, ঈশ্বর, ভগবান না মানুন, কেউ আপনাকে জোর করে মানাতে যাচ্ছে না। আপনার এই না মানার কারণ যদি সবাইকে জানাতে চান, তবে সংযত ভাষায় যৌক্তিকভাবে জানান। কীভাবে কোনো কটূক্তি না করে, অন্যকে গালি না দিয়ে নিজের মতটাকে তুলে ধরতে হয়, সেই ভাষাটা শিখুন।
ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের বলছি – আপনাদের ধর্মীয় বিশ্বাস কি এতই ঠুনকো, যে কেউ কিছু বললেই আপনাদের ধর্মের অপমান হবে, ক্ষতি হবে। সে জন্যে হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করতে হবে। আপনারাও যৌক্তিকভাবে তুলে ধরুন যে আপনাদের ধর্ম, আপনাদের বিশ্বাস সঠিক এবং শ্রেষ্ঠ। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড মানুষের কাছে আপনাদের ধর্মকেই হেয় করবে।
এবার আমার বিশ্বাসের কথা বলি। ধর্ম যদি ভুয়া হয়, স্রষ্টা যদি না থাকে, পরকাল না থাকে, পাপের শাস্তি না থাকে, সমকামিতা ও অজাচার যদি স্বাভাবিক হয়, তবে নৈতিকতা ও মানবিকতার প্রয়োজন আছে কি ?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫
সায়ন্তন রফিক বলেছেন: যে কোনো হত্যাকে ঘৃণা করি।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯
মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে প্রকৃত মুক্তমনা হওয়া অত সহজ নয় বা অসম্ভব যে কোন এক দিকে আশ্রয় নিতে হবে তা না হলে সে ভন্ড।
যে যত বেশি মুক্তমনা সে তত বেশি পথভ্রষ্ট সে পথভ্রষ্ট হতেই থাকবে আর না সে কোন পথ খুঁজে পাবে।
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭
সায়ন্তন রফিক বলেছেন: বলা ভালো পথভ্রষ্টরাই মুক্তমনা পরিচয়ে নিজেদের আড়াল করে। আসলে তারা নাস্তিক্যবাদী।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
মিলন মেলা বলেছেন: জগতে শুধুই ভালো মানুষ কিংবা শুধুই খারাপ মানুষে পরিপূর্ন নয়। তাই বলে কি ভালো মানুষ গুলো খারাপ মানুষকে হত্যা করবে? অনেক ধর্মপ্রান মুসলিমকে জীবনে দেখেছি, যারা ধার্মিক বটে, কিন্তু অকাম কুকামের শিরোমনি। এমন হাজীও দেখেছি, যারা পতিতালয়েও গমন করে হজ্ব করে আসার পরেও। কোন ধার্মিক তো এর জন্য চাপাতি হাতে বের হয় না। অথচ কোন ব্লগার যদি গাল মন্দ করে, তাহলেই কয়ে গেল। গাল মন্দকে আমিও সমর্থন করিনা। কিন্তু সব মানুষ এক রকম হয় না। ধার্মিকদের মাঝে কি উগ্র মানুষ নেই, তাহলে ব্লগারদের মাঝে দু চার জন উগ্র থাকতেই পারে। তাই বলে হত্যা?