নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সায়ন্তন রফিক

অপেক্ষায় আছি কেউ একজন আসবেই আলোয় ভরিয়ে দেবে সব।

সায়ন্তন রফিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ বকধার্মিক ও ধর্মবিদ্বেষীদের ভণ্ডামি

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

আমাদের দেশে কিছু বকধার্মিক , কিছু ধর্মবিদ্বেষী আছে যারা ধর্ম নিয়ে এমন সব উক্তি করে, যা ধর্মপ্রাণ মানুষদের আহত করে। আমার ওদের কীর্তিকলাপ দেখে হাসি পায় আবার করুণাও হয় এই ভেবে যে, কেউ পদ ধরে রাখতে, কেউ সস্তায় খ্যাতি পেতে কতো নিচেই না নামছে। হিন্দুদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা এলে ওদের সেই ভণ্ডামিটা বড়ো বেশি চোখে পড়ে। এবার দুর্গাপূজা শুরু হওয়ার পর মনে মনে ভেবেছিলাম কিছু লিখবো উপর্যুক্ত ভণ্ডদের ভাষায় এ পূজার অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে। পরে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে না লেখাই শ্রেয় মনে করলাম। কিন্তু টেলিভিশনে, ইন্টারনেটে বিভিন্ন ব্লগে, পেইজে, ফেসবুকে দুর্গাপূজা নিয়ে এবারও যা দেখলাম, তাতে ঠিক করলাম এ সব বিষয় নিয়ে লিখবো। তাই একটু দেরিতে হলেও লিখছি।
মহালয়ার দিনে এক নব্য ধার্মিক ও হাজি পূজামণ্ডপে উপস্থিত হয়ে দুর্গাকে সকল দুর্গতিনাশিনী বলে অভিহিত করলেন এবং একজনকে দুর্গাস্বরূপিনী বলে আখ্যায়িত করলেন। নিজেকে মুসলমান পরিচয় দেওয়া কেউ, এবং সে যদি হাজি হয়, তবে কি সে দুর্গাদেবীর গুনকীর্তন করতে পারেন এবং আরেকজন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া মুসলমানকে দুর্গাস্বরূপিনী বলে আখ্যায়িত করতে পারেন? তাতে কি একজন মুসলমানের ঈমান থাকে? এ কথা ঠিক যে, আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে যার যার ধর্ম যথাযথভাবে পালন করতে কোনো বাধা নেই।
আরেক টি ভি চ্যানেলে একজন পণ্ডিত ব্যক্তি বললেন – দুর্গাপূজা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক।এ বিষয়ে আমার জিজ্ঞাসা হলো কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উৎসব কি অসাম্প্রদায়িক হতে পারে। দুর্গাপূজা নয় শুধু, যে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান-উৎসবই সাম্প্রদায়িক। কেননা তা কোনো বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান। এক ধর্মের লোক অন্যধর্মের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত থাকতে পারে বা দেখতে যেতে পারে, কখনোই সেই ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের জন্য নয়। তা পালনীয় কেবল ঐ ধর্মের লোকদের জন্যেই। তা হলে কী করে একটি ধর্মীয় উৎসব অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক হয়? তাই যে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান একটি সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান।
কয়েকজন ধর্ম বিদ্বেষীর ফেসবুক ওয়ালে ঢুঁ মেরে দেখলাম নানা ছবি সম্বলিত বিজয়ার শুভেচ্ছা।তাদের ভাষায় ধর্ম যার যার উৎসব সবার। পূজামণ্ডপেও কাউকে কাউকে দেখেছি। পূজা শেষে আবার ঢুঁ মারলাম। দেখলাম সরে গেছে শুভেচ্ছা বাণী। ধর্মবিদ্বেষী হয়ে কোনো ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানোকে ভণ্ডামি ছাড়া আর কী বলা যায়?
আমি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। আমাদের দেশটাও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ই তাদের ধর্ম নির্ভয়ে পালন করছে। যুগ যুগ ধরে এ ধারা চলে আসছে। কিন্তু বকধার্মিক ও ধর্মবিদ্বেষীদের ভণ্ডামি অবশ্যই নিন্দার যোগ্য।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বকধার্মিক ও ধর্মবিদ্বেষীদের ভণ্ডামি অবশ্যই নিন্দার যোগ্য।

+++

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

সায়ন্তন রফিক বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: অবশ্যই নিন্দার যোগ্য ভাই।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৪

সায়ন্তন রফিক বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে ওগুলো সব রাজনৈতিক বক্তব্য। রাজনীতিতে প্রয়োজন হলে সবকিছুই করা/বলা যায়েজ আছে।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

সায়ন্তন রফিক বলেছেন: দুঃখিত ভাই। মুসলমান হিসেবে মানতে পারলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.