নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সায়ন্তন রফিক

অপেক্ষায় আছি কেউ একজন আসবেই আলোয় ভরিয়ে দেবে সব।

সায়ন্তন রফিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প = ?

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬


আবারো প্রমাণিত হলো যুক্তরাষ্ট্র নারী নেতৃত্ব পছন্দ করে না। পৃথিবীর সব নামী দামী মিডিয়ার সব সমালোচনা, সব জরীপ, সব নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রবাসী তাদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখলো ট্রাম্পকে দেশের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট বানিয়ে। ২৪০ বছরের ইতিহাসে হিলারী ত্রয়োদশ নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন ভিক্টোরিয়া উডহল। তিনি ইকুয়্যাল রাইটস পার্টির প্রার্থী হিসেবে ১৮৭২ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি পারেন নি। তারপর আরও এগারোজন। কিন্তু ওরা এগারোজনের কেউই প্রেসিডেন্ট হতে পারেনি। সর্বশেষ নারী প্রার্থী হিলারী ক্লিনটন। যুক্তরাষ্ট্রের বড় দুই দলের মধ্যে প্রথম নারী প্রার্থী হলেও নারী প্রার্থী হিসেবে তিনি ছিলেন আনলাকি থার্টিন। তাই তিনি যে হারবেন, তা নিশ্চিতই ছিলো। কিন্তু মিডিয়াগুলো আনলাকি থার্টিনের কথা ভুলে গিয়ে প্রথম নারী প্রার্থী হিসেবে প্রচার করেছে এবং ভোটের আগেই তাকে ইতিহাস সৃষ্টিকারী প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট বানিয়ে ছেড়েছে। আনলাকি থার্টিন নিয়ে নানা তত্ত্ব থাকলেও খ্রিস্টানদের কাছে যীশুর শেষ ভোজের ঘটনাটাই প্রাধান্য পায় বলে ধারণা করা যায়। সেই ভোজে যীশু এবং তাঁর বারো জন শিষ্য ছিলো। মোট সংখ্যা ১৩। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে ঐ ১৩ জনের একজন জুডাস ইস্কারিঅট ছিলো বিশ্বাসঘাতক। বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রে নাস্তিক্যবাদের তথাকথিত(আমাদের নাস্তিকদের কথিত) জোয়ার চললেও অধিবাসীদের ৭০% খ্রিস্টান। এই দেশপ্রেমী, ধর্মপ্রেমী খ্রিস্টানরা ১৩ নম্বর নারী প্রার্থীকে কি বিশ্বাসঘাতক হতে পারে মনে করেছিলো? হতেও পারে। এ সম্ভাবনাটি মিডিয়াগুলো মাথায় রাখেনি।
আর একটি কথা তাদের মাথায় ছিলো না যে, নারী অধিকারের ব্যাপারে তারা যতই সোচ্চার থাকুক না কেন, নারীদের মর্যাদা সাধারণ আমেরিকানদের কাছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সাধারণ মানুষের মতোই। বাংলাদেশের মানুষের চেয়ে বেশি নয় মোটেই বরং কম। যুক্তরাষ্ট্রে ২৪০ বছরে ক্ষমতার শীর্ষে আরোহণ করতে পারেনি কোনো নারী। আমাদের দেশে মাত্র ৪৬ বছরের ২৪ বছরই ক্ষমতার শীর্ষে ছিলেন এবং আছেন নারী। সেখানে বছরে প্রায় ১৩ লাখ নারী ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। সেখানে প্রতিদিন অন্তত তিনজন নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে মারা যায়। আর কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্বের আসনে এখনো অনেক পিছিয়ে নারীরা। একটি জরীপে দেখা গেছে প্রথম সারির ১০০০ টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৭% কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর পদে আছেন নারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে প্রতি পাঁচজন পুরুষের বিপরীতে আছে একজন নারী। তাই সামগ্রিক বিচারে যুক্তরাষ্ট্রে নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় সম্প্রীতিও বাহ্যিক। এমনকি খ্রিস্টানদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যেও রয়েছে অন্তর্বিরোধ। তাই ২৪০ বছরে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের মধ্য থেকে মাত্র একজনই প্রেসিডেন্ট হতে পেরেছিলেন। কেনেডি। তাকেও মরতে হয়েছিলো আততায়ীর গুলিতে। বর্তমান বিশ্বে যে একটা ইসলাম বিরোধী আবহাওয়া বিরাজ করছে, তা সৃষ্টির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের মুখ্য ভূমিকার কথা সচেতন কারো অজানা নয়। ট্রাম্পের জন্যে একটি ট্রাম্পকার্ড ছিলো এই আবহাওয়া। নির্বাচনী খেলায় ট্রাম্প সেই ট্রাম্পকার্ডটি যথাযথভাবে খেলেছেন।
তাই বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা, হিলারীর আনলাকি থার্টিন, ট্রাম্পের ট্রাম্পকার্ড খেলবার কুশলতা = যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

অভিনন্দন ট্রাম্প! এবার বিশ্বরাজনীতিতে তোমার ট্রাম্পকার্ড খেলবার কুশলতা দেখবার আশায় রইলাম।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

নিউটন তালুকদার বলেছেন: ট্রামকে আবারও অভিন্দন

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

সায়ন্তন রফিক বলেছেন: জানিয়ে দিলাম।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

আব্দুল মোমেন বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

সায়ন্তন রফিক বলেছেন: কেন?

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

মনস্বিনী বলেছেন: " সেখানে বছরে প্রায় ১৩ লাখ নারী ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। সেখানে প্রতিদিন অন্তত তিনজন নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে মারা যায়।"- এমন ঘটে নাকি?

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

সায়ন্তন রফিক বলেছেন: হ্যাঁ । বিশ্বাস না হলে খোঁজ নিন।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

বার্ণিক বলেছেন: ট্রাম্পকে আমারও অভিনন্দন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

সায়ন্তন রফিক বলেছেন: জানিয়ে দিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.