![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পিস টিভি বাংলার নিয়মিত আয়োজন প্রশ্ন উত্তর পর্বে ডা.জাকির নায়েককে এক দর্শক প্রশ্ন করেন পূজার উৎসবে কোন মুসলমানের যাওয়া ও প্রসাদ খাওয়া হারাম কি না। উত্তরে ডা. জাকির নায়েক বলেন, মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুর’আনের মোট চার জায়গায় উল্লেখ করেছেন- * সূরা বাকারার ১৭৩ নং আয়াতে, * সূরা মায়িদাহ’র ৩ নং আয়াতে, * সূরা আন’আমের ১৪৫ নং আয়াতে, এছাড়াও * সূরা নাহলের ১১৫ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, “আল্লাহ্ তোমাদের জন্য হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস খাওয়া। আর যে পশু জবাই করার সময় আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নাম নেয়া হয়েছে” অর্থাৎ যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয় সেটা আমাদের জন্য আল্লাহ্ হারাম করে দিয়েছেন। আর এই কারনেই পূজার প্রস্বাদ খাওয়া হারাম। এখন আসি পূজার অনুষ্ঠানে মুসলিমদের যাওয়ার বিষয়ে- আমাদের দেশে যখন হিন্দুদের পূজার উৎসব চলতে থাকে তখন অনেক মুসলিম-ই তাদের ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে। ঐ অনুষ্ঠানে উপভোগ করে।অনেকে উৎসুক ভাবেই যায়। ঐ সমস্ত মুসলিমদের যদি বলি- ভাই হিন্দুদের পূজায় অংশগ্রহন করো না, উৎসুক ভাবেও যেও না, তাদের দেব-দেবীর নামে উৎসর্গকৃত প্রসাদও খেওনা। তখন তারা উত্তরে খুব বুক ফুলিয়েই বলে-গেসি তো কি হয়েছে? গেলেই কি আমি হিন্দু হয়ে যাব? আমার ঈমান ঠিক আছে।এখন একটু ভেবে দেখুন,মূর্তিপূজা হচ্ছে আল্লাহর সাথে শির্ক করা।আর শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়, সবচেয়ে বড় অপরাধ। মহান আল্লাহ বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্র সাথে শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়।(সুরা লুকমানঃ ১৩) আর শির্কের অপরাধ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। মহান আল্লাহ বলেন : “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে অংশী স্থাপন করলে তাকে ক্ষমা করবেন না,কিন্তু এর চেয়ে ছোট পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন,এবং যে কেউ আল্লাহর অংশী স্থির করে, সে মহাপাপে আবদ্ধ হয়েছে। (সূরা নিসাঃ ৪৮)। . এখন দেখুন,সবচেয়ে বড় অন্যায় আপনার সামনে হচ্ছে।আর রাসুল (সাঃ) বললেন-তোমাদের কেউ কোন গর্হিত/ অন্যায় কাজ হতে দেখলে সে যেন নিজের হাতে (শক্তি প্রয়োগে)তা সংশোধন করে দেয়,যদি তার সে ক্ষমতা না থাকে তবে যেন মুখ দ্বারা তা সংশোধন করে দেয়, আর যদি তাও না পারে তবে যেন সে ঐ কাজটিকে অন্তর থেকে ঘৃণা করবে। আর এটা হল ঈমানের নিম্নতম স্তর। [সহিহ মুসলিম,ঈমান অধ্যায়, হাদিস নং ৭৮] . অথচ আপনি ঐ অন্যায়কে বাঁধা তো দেনই না, মনথেকেও ঘৃণা করেন না বরং ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে মনে মনে উপভোগ করেন। অন্তত মন থেকে ঘৃণা করলেও দুর্বলতম ঈমানদার হিসেবে আপনার ঈমান থাকত কিন্তু ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে তাদের অনুষ্ঠান মনে মনে উপভোগ করার পরেও কি আপনি দাবী করবেন যে- আপনার ঈমান ঠিক আছে। এটা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৮
পারভেছ রহমান বলেছেন: Right
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২২
রোষানল বলেছেন: r8
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৯
ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: ঠিক।
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩১
ডাঃ মারজান বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরস্কার দান করুন।
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩
এম রাজু আহমেদ বলেছেন: সঠিক
৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯
থার্টিন বলেছেন: এখন আমরা বলি ধর্ম যার যার উৎসব সবার .।!!!
৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬
ফ্রিটক বলেছেন: যুক্তি ঠিক আছে কিন্তু নবি বলেছেন সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭
রফিকুলইসলাম বলেছেন: ইসলামধর্ম এবং ইসলামিক রাষ্ট্র স্ব স্ব ধর্ম পালনে স্বাধীনতা দেয়,। এদিক থেকে ইসলামধর্ম নিজেই একটা সেক্যুলার ধর্ম। তবে অন্যধর্মের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করা, তাদের সাথে উৎসব করা ইসলাম সমর্থন করে না ইহা মূলত ইসলামধর্মের বিপরীত, যা নাস্তিক এবং ইসলাম-বিদ্বেষীরা চালু করেছে। আর এই সেক্যুলারিজমের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে এবং সুশীল সাজতে গিয়ে আমরা নিজের ধর্ম থেকে বিচ্যুত হচ্ছি। বলা হচ্ছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই বক্তব্য ইসলামধর্ম থেকে মানুষকে বিচ্যুত করার একটা প্রয়াশ, সফল বা ব্যর্থ। ইসলামধর্মের "কন্সেপ্ট অব গড" এবং অন্যধর্মের "কন্সেপ্ট অব গড" এর মধ্যে বিস্তর ফারাক, একইভাবে ইবাদতের মধ্যেও। কেউ যদি বলে সবাই একই গড এর ইবাদত করছে, এটাও ভুল। কারণ, সব ধর্মের "কন্সেপ্ট অব গড" এক না। অন্যধর্মে যা পালন করা হয় তা ইসলামধর্ম অনুসারে শিরক এবং কুফরী। আর যারা শিরক করবে তারা জাহান্নামে যাবে।
ধর্ম যার যার উৎসব সবার উক্তির মধ্যে কিভাবে শিরক বা কুফরী করছেন তা বলি। যারা অন্যধর্ম পালন করছে তারা যে শিরক বা কুফরী করছে এটা তো মানেন। এখন, আপনি যদি তাদের ধর্মানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং একাত্বতা ঘোষণা করে উৎসব করেন তাহলে আপনিও শিরক বা কুফরী করছেন। কারণ, তাদের শিরক বা কুফরীকে আপনি সায় দিচ্ছেন। বরং উচিৎ ছিল, তাদের জন্য খারাপ অনুভব করা এই ভেবে যে, তারা শিরক বা কুফরী করছে এবং জাহান্নামে পতিত হবে। তাদেরকে ঐ রাস্তা থেকে কিভাবে ফেরানো সেটা ভাবাই বরং উচিৎ ছিল। তবে জোর করে ফেরাতে যাবেন না এবং তাদের ধর্ম পালনে কোনভাবেই বাধা সৃষ্টি করতে যাবেন না, ইসলাম ইহা সমর্থন করে না।
৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬
জনাব মাহাবুব বলেছেন: একমত
১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ধর্ম যার যার উৎসব সবার এর চেয়ে চরম ভন্ডামী কথা আর দ্বিতীয়টি নেই। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য এইসব মতবাদ প্রচার করছে রাজনৈতিক ব্যবসায়ীরা। তার পূজায় কত অতি উৎসাহী নিজের ধর্মের বেলায় নেই। ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন নিরন্তর।
১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখন আবার কেউ এসে আপনাকে গুহাতে চলে যেতে বলবে...
১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
এই আমি রবীন বলেছেন: আপনি ১০ লোকের সামনে আপনার দর্শন জানালেন, তারপর:
ভয় (দেখালেন): যারা যারা আমার দর্শন/দেখানোপথে যাবেনা, তাদের আগুনে পোড়াব, পানিতে চুবাব, অন্ধকারে রাখব, একটা একটা করে লোম তুলব, জংলী মশা দিয়ে কাটাব, লাল পিপড়ার খাবার বানাব জিন্দা ..............................
লোভ (দেখালেন): যারা যারা আমার দর্শন/দেখানোপথে যাবে তাদের গাড়ি হবে, বাড়ি হবে, চাকরি ছাড়া বেতন হবে, সুন্দর সুন্দর বউ হবে (সুন্দর জামাইর কথা বলা হয়নি, কারণ ঐসভায় কোন মহিলা উপস্থিত ছিলনা), টাকা দিব, যাখুশি তা খেতে দিব, আমার ফূলবনে খুশিমত ঘুরে বেড়াতে দেব, ফল পাড়ার জন্য গাছের কাছে যেতে হবেনা, হাত বাড়ালেই গাছ আপনা এসে হাতে ফল দিয়ে যায়গায় চলে যাবে, কোক চাইল কোক, জুস চাইলে জুস.................................
ফলাফল:
ভয়ে ২ জন আপনার পিছুনিল,
লোভে ২ জন আপনার পিছুনিল,
কিছু নাবুঝে ২ জন আপনার পিছুনিল,
কি করবে বুঝতে নাপেরে ২ জন দাড়িয়ে রইল,
সন্দেহ ঢুকল ২ জনের মনে,
প্রতিবাদ করল ১ জনে,
তার কল্লাটা নামিয়ে দিন।
আপনার পথচলা নির্বিঘ্ন!!
১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
বিজন শররমা বলেছেন: এই আমি রবীন বলেছেন: আপনি ১০ লোকের সামনে আপনার দর্শন জানালেন, তারপর:- আসল কথা বলেছেন । কিন্তু বোকারা এর অর্থ বুঝবে না ।
১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
এ আর ১৫ বলেছেন: কোরানে নির্দেশ আছে --- আল্লাহর নাম ব্যথিত অন্য কারো নামে জবাই করা পশু পাখীর মাংস হারাম । কোরান বা হাদিসের কোথাও তো বলা নাই মিষ্টি পড়টা রুটি এবং অন্য সকল মাংস বিহীন খাদ্য হারাম । সুতরাং পুজার প্রসাদ মাংস না হোলে খাওয়া যাবে । আপনারারা কোরান মানবেন না মিথ্যা ফতুয়া মানবেন ?? ধর্মের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা পাপের পর্যায় পড়ে তাহোলে কেন এই কাজ করছেন । যাদের ঈমান আপনাদের মত দুর্বল তাদের পুজা না দেখা উচিৎ । আমরাতো পুজা দেখি প্রসাদ খাই ( মাংস ছাড়া) কৈ আমরাতো কখনও তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করি নি । আপনার ঈমান যদি এতই দুর্বল হয় মাংস বিহিন প্রসাদ খেলে এবং পুজা দেখলে আপনি তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করে ফেলেন তাহোলে এই ধরনের নিম্নমানের ঈমান নিয়ে আপনার থেকে শক্তিশালী ঈমানদারদের ছবক দিতে আসছেন কোথা থেকে ???
আল্লাহ বলেছেন -- তার নাম ব্যথিত অন্য কারো নামে জবাই করা পশু পাখীর মাংস খওয়া হারাম ।
সুরা নিসার আয়াত ৪৮ কি আপনি বোঝেন ? এই বিশ্বাসটা কি হিন্দুদের ?? এইটা মুসলমানরা মানে কিন্তু হিন্দুরা কেন মানবে । আপনার ঐ হাদিস ও এখানে খাটে না ।আমি আরেক ধর্ম বিশ্বাসকে ভুল বলে তাদের উপদেশ দিতে যাব না । আমি তাদের ধর্ম বিশ্বাসকে কেন বাধা দিবো ?? তাদের বিশ্বাসকে সন্মান দেখাবো সেটাই কোরানের নির্দেশ । আ্ল্লাহতো অন্য বিশ্বাসকে ঘৃনা করতে বলেনি সুরা আনাম ১০৮--- তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত। ------- আমিতো পুজাদেখার পর তাদের বিশ্বাস গ্রহন করি নি । আর খাবারের ব্যাপারে কোরানের নির্দেশ কি তা আগেই দিয়েছি ।
আপনি হাদিসে যে অন্যায় কাজ বলেছে সেটা কি অন্য ধর্মের ধর্মীয় বিশ্বাস ?? অন্য ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম পালন করবে সেটা কখোন অন্যায় নয় । এটা যদি ঘুস চাদাবাজি খুন খারাপি মাস্তানি হ্য় অবিচার জাতিয় অন্যায় হয় তখন প্রজোয্য । কেউ যদি পুজা করে ইসলামের দৃষ্টিতে পাপ করে থাকে তবে তারকে আ্ল্লাহ আখেরাতে শাস্তি দিবে -- তার সাথে তাদের পুজাকে বাধা দেওয়ার কোন অধিকার আ্ল্লাহ আমাদের দএয় নি ।
কোরান হাদিস না ঠিক মত পড়ে এই ধরনের ধৃষ্টতামুলক সাম্প্রদায়িক লেখাকে ধিক্কার জানাই । কত বড় মিথ্যা ফতুয়া দিয়ে দিয়েছে প্রসাদের ব্যাপারে --যেখানে আ্ল্লাহ শুধু জবাই করা পশু পাখীর ব্যাপারে গাইড লাইন দিয়েছে অন্য কোন খাদ্যের ব্যাপারে নয়।I
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫
রফিকুলইসলাম বলেছেন: কফি ফেসট ফরম যাযবর চিল
পাশ্চ্যাতের পর প্রাচ্যেও এই শ্লোগানটি খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে।তরুন প্রজন্মের একটা অংশে এর জনপ্রিয়তা খুবই বেশি। সাধারন ভাবে দেখলে কথাটি খুব লজিকাল মনে হবে।সাধারন মানুষ ভাববে তাইতো।সবাই এক সাথে থাকবো, এক সাথে উৎসব এর আনন্দ করবো।খুবই সাধারন ও ভাল চিন্তা।কিন্তু একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবলেই বুঝতে পারবো কত ভয়ংকর ষরযন্ত লুকিয়ে আছে এর মধ্যে। প্রথমেই একটু বোঝার চেস্টা করি ধর্ম কি? সহজ ভাষায় ঈশ্বর প্রদও জীবন ব্যবস্থাই হল ধর্ম । ধর্ম নিয়ে মানুষের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে সব ধর্মই ভালো কথা বলে।মানুষকে ভাল কাজ করা এবং ভাল পথে চলার আদেশ দেয়।অনাচার,অত্যাচার বন্ধ করতে এবং বিবেক জাগ্রত করতে আমাদের অবশ্যই ধর্মের কাছে ফিরে যেতে হবে। হোক সেটা ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্ট ধর্ম, হিন্দু ধর্ম অথবা ইসলাম।আর উৎসব হল ধর্ম অনুসারে পাপ মোচনের চেস্টা অথবা পাপ মোচনের আনন্দ। এই সকল ধর্মের বিশ্বাসে কিছু মৌলিক সাদৃশ্য রয়েছে একই ভাবে বিপরীত বিষয়ও বয়েছে। যেমন খ্রিস্ট ধর্মে যীশু বা ঈসা আ. কে ঈশ্বরের পুএ মনে করা হয়, ইসলামে ঈসা আ. কে মনে করা হয় ঈশ্বরের একজন মহান নবী এবং ঈশ্বরের কোন পুএ নেই, পিতাও নেই। ইহুদি ধর্ম ঈসা আ. কে স্বীকারই করে না। হিন্দু ধর্মে গরুকে ঈশ্বর মনে করা হয় অন্যদিকে ইসলাম ধর্মের ২য় প্রাধান উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হল পশু (এর মধ্যে গরুই বেশি করা হয়) জবেহ করা। হিন্দুদের ধর্মের একটি প্রাধান উপকরন হল প্রতিমা যা ইসলাম ও ইহুদি ধর্ম কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।ইসলাম বলে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীন ভাবে তাদের ধর্ম পালন করবে।কাউকে জোর করা যাবে না। কিন্তু ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই শ্লোগান উৎসবের সঙ্গাই বদলে দিচ্ছে। পাপ মোচন এর চেস্টা থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে সবাই।এর প্রভাবে অনেক মুসলিম রমজান মাসে সিয়াম সাধনার চেয়ে কেনাকাটা, সাজগোজ ইত্যাদি বিষয়েই বেশি সময় ব্যায় করছে। আশংকা জনক ভাবে গিরজা, মন্দির গুলোতে মানুষের সংখা কমে যাচ্ছে। মুসলিমদের তদের বিশ্বাসে নিষিদ্ধ প্রতিমা পূজা, ঈশ্বরের পুএ এই বিষয়ের কাছে নি্যে যাচ্ছে অন্যদিকে হিন্দুদের গরুর মাংস খেতে বলছে। এটা অবচেতন মনে আমাদের মনে একটা ভায়াবহ মেসেজ দিয়ে দিচ্ছে তা হল আসলে কোন ধর্মই সঠিক নয়। ধর্মহীন, নাস্তিক প্রজন্ম তৈরি করা হচ্ছে যারা পশ্চিমাদের অন্ধের মত অনুকরন করছে । এটা ফ্রি ম্যাসনদের কুখ্যাত New World Order বাস্তবায়নের একটি ঘৃণ্য হাতিয়ার।
এখন দুর্গা পূজা চলছে তাই এর সাথে প্রাসঙ্গিক অংশ জুরে দিলাম। ।
কোন মুসলিম কোন ভাবেই পোওলিক বা অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুস্ঠানে অংশ নিতে পারেন না। কারন তাদের বিশ্বাস সরাসরি আমাদের বিশ্বাসের বিপরীত। তাদের অনুস্ঠানে অংশ নেওয়া অর্থ আমাদের বিশ্বাসকে অশ্রদ্ধা করা। এসব হল পথভ্রষ্টদের পথ যা থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রতিদিন নামাজে সূরা ফাতিহায় আল্লাহর কাছে বলি...
'আমাদের সঠিক পথ দেখাও।
সেই সব লোকেদের পথ যাদের কে তুমি অনুগ্রহ করেছো।
অভিশাপ্ত ও পথভ্রষ্টের পথ নয়।'
অনেকে বলেন আমিতো মূতিপূজা পছন্দ করি না শুধু বন্ধুদের সাথে একটু ঘুরতে যাই অথবা ফরমালিটি এ জাতীয় কথা। একটু আল কুরআনের এই আয়াত গুলি একটু লক্ষ্য করুন
"হে মুমিনগন নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূতি পূজার বেদি, ভাগ্য নির্নয়ক শর এগুলো সব শয়তানের কাজ। এগুলো থেকে দূরে থাকো যদি সফল হতে চাও "
সূরা মায়িদা (৯০)
"আমি যদি তোমাকে দৃরপদ না রাখলে তুমি তাদের দিকে কিছুটা ঝুঁকতে পরতে তখন আমি অব্যশই তোমাকে ইহ ও পরকালে দ্বিগুন শাস্তি আস্বাদন করাতাম, এ সময় তুমি আমার মোকাবেলায় কোন সাহায্যেকারী পেতে ন"
-সূরা বনি ইসরাইল (৭৪-৭৫)
এ আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে হযরত সাঈদ বিন যুবায়ের থেকে বর্ননা পাওয়া যায় একবার মহানবী সা. কাবা তাওয়াফ এর সময় হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করেছিলেন তখন কুরায়েশ গন তাকে বাঁধা দিয়ে বলে আমাদের দেবতার নিকটে না গেলে তোমাকে তা স্পর্শ করতে দেব না। তখন রাসূল সা. মনে মনে ভাবছিলেন হাজরে আসওয়াদ স্পর্শের বিনিময়ে মূতির কাছে গেলে কি পাপ হবে?আমি যে মূতি অপছন্দ করি আল্লাহ তা ভালো ভাবেই জানেন।
আল্লাহ রাসূল সা. এর এমন চিন্তা অপছন্দ করেন এবং তখন এই আয়াত নাযিল হয়। (তাফসীরে কুরতুবি)
এ আয়াতের তাফসির থেকে এটা পরিস্কার অন্তরে অপছন্দ নিয়েও মূতিপূজার কাছে যাওয়া যাবে না।
মহানবী সা. বলেন, "যে ব্যাক্তি যে জাতির সংস্কৃতি অনুসরন করবে সে তার অন্তভুক্ত বলে গন্য হবে"
"নিশ্চয়ই শিরক জঘন্য জুলুম"
-সূরা লুকমান (১৩)
যেখানে জঘন্য জুলুম সংগঠিত হয় সেখানে একজন মুসলিম কিভাবে যায়??
তারপর লক্ষ্য করুন আমাদের প্রিতার আমাদের জন্য দোয়া
"স্মরন কর, ইব্রাহিম বলেছিলেন,
হে আমার প্রতিপালক!
এই শহরকে নিরাপদ কর এবং আমার সন্তানদের প্রতিমা পূজা থেকে দূরে রেখো। হে আমার প্রতিপালক এই প্রতিমা বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করছে "
-সূরা ইব্রাহিম (৩৪-৩৫)
১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
বিজন শররমা বলেছেন: মানুষ যদি মুর্খ হয় তাহলে উপরে "এই আমি রবীন বলেছেন: আপনি ১০ লোকের সামনে আপনার দর্শন জানালেন, তারপর:" যে পদ্ধতি বলেছেন তা দিয়ে এখনও নতুন ধর্ম প্রচলন করা যায় । তবে এখন অনেক মানুষ বুদ্ধিমান হয়েছে, আর যারা বুদ্ধিমানেরা অন্য দেশে যাবার জন্য কান্নাকাটি করছে ।
১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
রফিকুলইসলাম বলেছেন: ইসলামধর্ম এবং ইসলামিক রাষ্ট্র স্ব স্ব ধর্ম পালনে স্বাধীনতা দেয়,। এদিক থেকে ইসলামধর্ম নিজেই একটা সেক্যুলার ধর্ম। তবে অন্যধর্মের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করা, তাদের সাথে উৎসব করা ইসলাম সমর্থন করে না ইহা মূলত ইসলামধর্মের বিপরীত, যা নাস্তিক এবং ইসলাম-বিদ্বেষীরা চালু করেছে। আর এই সেক্যুলারিজমের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে এবং সুশীল সাজতে গিয়ে আমরা নিজের ধর্ম থেকে বিচ্যুত হচ্ছি। বলা হচ্ছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই বক্তব্য ইসলামধর্ম থেকে মানুষকে বিচ্যুত করার একটা প্রয়াশ, সফল বা ব্যর্থ। ইসলামধর্মের "কন্সেপ্ট অব গড" এবং অন্যধর্মের "কন্সেপ্ট অব গড" এর মধ্যে বিস্তর ফারাক, একইভাবে ইবাদতের মধ্যেও। কেউ যদি বলে সবাই একই গড এর ইবাদত করছে, এটাও ভুল। কারণ, সব ধর্মের "কন্সেপ্ট অব গড" এক না। অন্যধর্মে যা পালন করা হয় তা ইসলামধর্ম অনুসারে শিরক এবং কুফরী। আর যারা শিরক করবে তারা জাহান্নামে যাবে।
ধর্ম যার যার উৎসব সবার উক্তির মধ্যে কিভাবে শিরক বা কুফরী করছেন তা বলি। যারা অন্যধর্ম পালন করছে তারা যে শিরক বা কুফরী করছে এটা তো মানেন। এখন, আপনি যদি তাদের ধর্মানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং একাত্বতা ঘোষণা করে উৎসব করেন তাহলে আপনিও শিরক বা কুফরী করছেন। কারণ, তাদের শিরক বা কুফরীকে আপনি সায় দিচ্ছেন। বরং উচিৎ ছিল, তাদের জন্য খারাপ অনুভব করা এই ভেবে যে, তারা শিরক বা কুফরী করছে এবং জাহান্নামে পতিত হবে। তাদেরকে ঐ রাস্তা থেকে কিভাবে ফেরানো সেটা ভাবাই বরং উচিৎ ছিল। তবে জোর করে ফেরাতে যাবেন না এবং তাদের ধর্ম পালনে কোনভাবেই বাধা সৃষ্টি করতে যাবেন না, ইসলাম ইহা সমর্থন করে না।
১৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তার সাথে কাউকে শরিক করে। তাছাড়া, যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরিক করে সে সুদুর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। তারা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শুধু নারীর আরাধনা করে এবং শুধু অবাধ্য শয়তানের পূজা করে। ( সূরা আননিসা - ১১৬-১১৭)
১৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৩
এ আর ১৫ বলেছেন: I will give answer for verse 90 of dura maida and other after .but now I am giving this
আমি তো বলেছি আমার ঈমান এত নিচু নয় যে পুজা দেখলে আমি তাদের বিশ্বাস গ্রহন করবো । আপনার বুঝি পুজা দেখলে বাই ডিফ্ল্ট তাদের বিশ্বাস গ্রহন করে ফেলেন । যদি তাই হয় তাহোলে এটা হয় আপনার ঈমানের দুর্বলতার জন্য । সবাইকে নিজের মত ভাবেন কেন ?? আপনি একজন মুসলমান বলে দাবি করেন যদি আপনার সামনে কেউ বা অনেক জন নামাজ পড়ে এবং আপনি শুধু দেখেন তাহোলে কি আপনার নামাজ হবে ?? নামাজিদের বিশ্বাস আর আপনার বিশ্বাস একই তাহোলে কি আপনার নামাজ হবে ?? তাহোলে বলুন আমি পুজারিদের বিশ্বাস গ্রহন না করে তাদের পুজা দেখলে কি করে আমি পুজা করলাম বা শরিকি করলাম । এটা যদি আমার পুজা করা হয় শুধু দেখার জন্য তাহোলে তো কারো নামাজ পড়ার দরকার নাই শুধু দেখলেই হবে ।
১৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩২
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: "হে মুমিনগন নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূতি পূজার বেদি, ভাগ্য নির্নয়ক শর এগুলো সব শয়তানের কাজ। এগুলো থেকে দূরে থাকো যদি সফল হতে চাও "
সূরা মায়িদা (৯০)
"নিশ্চয়ই শিরক জঘন্য জুলুম"
-সূরা লুকমান (১৩)
স্রষ্টার সাথে শির্কের উৎসব যেকোনো বিশ্বাসীর জন্যই ভীষন বেদনাদায়ক।এটাই ঈমানের গভীরতা।পূজাযজ্ঞ দেখতে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে।পুজা দেখলে ঈমান যায়না মনে হলে বুঝতে হবে ঈমান যাওয়ার পথে...........এভাবেই ইবলিশ ধোকা দিয়ে মানুষের মন মগজকে আচ্ছন্ন করে।
২০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬
এ আর ১৫ বলেছেন: "হে মুমিনগন নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূতি পূজার বেদি, ভাগ্য নির্নয়ক শর এগুলো সব শয়তানের কাজ। এগুলো থেকে দূরে থাকো যদি সফল হতে চাও "
সূরা মায়িদা (৯০)
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।
আরো আনেক অনুবাদ দেখলাম পুজার বেদি শব্দটি ব্যবহার করা হয় নি । এই আয়াতের শেষে বলা হয়েছে - এগুলো থেকে দূরে থাকো যদি সফল হতে চাও " ---- পুজার বেদির কাছে আসলে শরিকি করা হবে এমন কথা কি বলা হয়েছে ??
এ আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে হযরত সাঈদ বিন যুবায়ের থেকে বর্ননা পাওয়া যায় একবার মহানবী সা. কাবা তাওয়াফ এর সময় হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করেছিলেন তখন কুরায়েশ গন তাকে বাঁধা দিয়ে বলে আমাদের দেবতার নিকটে না গেলে তোমাকে তা স্পর্শ করতে দেব না। তখন রাসূল সা. মনে মনে ভাবছিলেন হাজরে আসওয়াদ স্পর্শের বিনিময়ে মূতির কাছে গেলে কি পাপ হবে?আমি যে মূতি অপছন্দ করি আল্লাহ তা ভালো ভাবেই জানেন।
আল্লাহ রাসূল সা. এর এমন চিন্তা অপছন্দ করেন এবং তখন এই আয়াত নাযিল হয়। (তাফসীরে কুরতুবি)
এ আয়াতের তাফসির থেকে এটা পরিস্কার অন্তরে অপছন্দ নিয়েও মূতিপূজার কাছে যাওয়া যাবে না। ------ তাই ঐ সময়ে কাবা ঘরের ভিতর ৩৬০ টা মুর্তি ছিল তা জেনেও রসুল (সা ) তাওয়াক করেছেন হজ্জ করেছেন । এই হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ মুর্তি দেখার বিনিময়ে -- এই আয়াত দিয়ে এই শর্তটা কে প্রত্যাখান করা হয়েছে । রসুল (সা) জীবনে অনেক মুর্তি দেখেছেন এবং কাবা ঘরে মুর্তি আছে জেনে ও তাওয়াফ করেছেন হজ্জ করেছেন । এই আয়াতে বলা হয়েছে _ এগুলো থেকে দূরে থাকো যদি সফল হতে চাও " ।
----এখন, আপনি যদি তাদের ধর্মানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং একাত্বতা ঘোষণা করে উৎসব করেন তাহলে আপনিও শিরক বা কুফরী করছেন। কারণ, তাদের শিরক বা কুফরীকে আপনি সায় দিচ্ছেন। ---------- আপনি বুঝি অংশ গ্রহন এবং একাত্বতা ঘোষনা কাকে বলে জানেন না বা বোঝেন না ? আমরা পুজা দেখতে বা অবলোকন করতে গেছি নাকি পুজা করতে( অংশ গ্রহন করতে) গেছি ?? কোনটা ?? আপনি গ্যালারিতে বোসে ফুটবল খেলা দেখছেন সেটা কি অবলোকন না খেলাতে অংশ গ্রহন ?? খেলাতে অংশ গ্রহন মানে হোল আপনি খেলছেন কিন্তু আপনি দর্শক তাহোলে এটাকি খেলাতে অংশ গ্রহন করা বলে?? আমরা তো পুজাতে অংশ গ্রহন করি না বা পুজা করি না যদি কোরতাম তাহোলে শরিকি হোত কিন্তু আমরাতো অংশ গ্রহন করিনি, আমরা অবলোকন করেছি মানে দর্শক মাত্র!!!!
আমরা কখন একাত্বতা ঘোষনা করলাম মানে হোল আমরা কখন তাদের বিশ্বাস গ্রহন করলাম ?? আমরাতো তাদের বিশ্বাস গ্রহন করিনি তাহোলে কি করে সেটা একাত্বতা ঘোষনা হোল ??
তার মানে সহজ শব্দ অংশ গ্রহন কাকে বলে এবং একাত্বতা ঘোষনা কাকে বলে সেটা আপনার জানা নাই সে কারনে অবলোকন আর অংশ গ্রহন আপনার কাছে এক !!!
২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩
এ আর ১৫ বলেছেন: কি করি আজ ভেবে না পাই -- বলেছেন ---- ষ্টার সাথে শির্কের উৎসব যেকোনো বিশ্বাসীর জন্যই ভীষন বেদনাদায়ক।এটাই ঈমানের গভীরতা।পূজাযজ্ঞ দেখতে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে।পুজা দেখলে ঈমান যায়না মনে হলে বুঝতে হবে ঈমান যাওয়ার পথে...........এভাবেই ইবলিশ ধোকা দিয়ে মানুষের মন মগজকে আচ্ছন্ন করে।------------------------------ আপনার বুঝি পুজা দেখলে বাই ডিফ্ল্ট তাদের বিশ্বাস গ্রহন করে ফেলেন । যদি তাই হয় তাহোলে এটা হয় আপনার ঈমানের দুর্বলতার জন্য । সবাইকে নিজের মত ভাবেন কেন ?? আপনি একজন মুসলমান বলে দাবি করেন যদি আপনার সামনে কেউ বা অনেক জন নামাজ পড়ে এবং আপনি শুধু দেখেন তাহোলে কি আপনার নামাজ হবে ?? নামাজিদের বিশ্বাস আর আপনার বিশ্বাস একই তাহোলে কি আপনার নামাজ হবে ?? তাহোলে বলুন আমি পুজারিদের বিশ্বাস গ্রহন না করে তাদের পুজা দেখলে কি করে আমি পুজা করলাম বা শরিকি করলাম । এটা যদি আমার পুজা করা হয় শুধু দেখার জন্য তাহোলে তো কারো নামাজ পড়ার দরকার নাই শুধু দেখলেই হবে ।
২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
Jahirul Sarker বলেছেন: এ আর 15,
শুনুন আপনি যদি মজবুত ঈমানের অধিকারী হন তাহলে শিরকের মতো জঘন্য পাপ অবলোকন করার এতো ইচ্ছা কেন আপনার ।
শিরক হত্যার চেয়ে জঘন্য এটা তো মানেন, আর হত্যা যজ্ঞ আপনি অবশ্যই ঘৃণা করেন। তাহলে একটা ঘৃণ্য কাছ দেখার এত স্বাদ কেন আপনার মনে?
এতসব মন্তব্যের ফলে এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, কোরআন এর আয়াত বোঝার মতো মাথা আল্লাহ আপনাকে দেন নাই।
আর আপনি দাবী করছেন যে আপনি মজবুত ঈমানের অধিকারী। হা হা হা।
এসব ভুল ঝগড়া বাদ দিয়ে পারলে যুক্তিতে আসুন
মিস্টার ১৫।
২৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
এ আর ১৫ বলেছেন: Jahirul Sarker---- শুনুন আপনি যদি মজবুত ঈমানের অধিকারী হন তাহলে শিরকের মতো জঘন্য পাপ অবলোকন করার এতো ইচ্ছা কেন আপনার ।
শিরক হত্যার চেয়ে জঘন্য এটা তো মানেন, আর হত্যা যজ্ঞ আপনি অবশ্যই ঘৃণা করেন। তাহলে একটা ঘৃণ্য কাছ দেখার এত স্বাদ কেন আপনার মনে?----- কারন এ সমাজে আমরা বাস করি এবং কমোনিয়াল হারমনি বিশ্বাস করি এবং নিজের বিশ্বাস ধরে রেখে যতখানি সহনশীলতা প্রদর্শন করা যায় সেই কারনে এবগংপ্রমাণ করা অবোলকোন করলে ঈমাণ যায় না । অন্য ধর্মের মানুষকে ও আমরা আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত দি এবং এর জন্য তাদের ঈমান নষ্ঠ হয় না - আল্লাহ তালা সকল সম্প্রদায়ের ইবাদতের নিয়ম কানুন ঠিক করে দিয়েছেন ------- আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারিত করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে... তুমি ওদেরকে তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক... ওরা যদি তোমার সাথে তর্ক করে তবে বল, ‘তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ্ ভাল করেই জানেন। তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন...” –আল কোরআন (সুরা হজঃ৬৭-৬৯)-------- সুরা আযাবের আয়াত ১০৮-- তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত।--- এই আয়াতে ও বলা আছে ( এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি ) । -----
তাহোলে বোলুন অন্য ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম পালন করলে কেন সেটাকে ঘৃণা কোরবো যেখানে আল্লাহ বোলছেন -- আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারিত করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে.----
২৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
Jahirul Sarker বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন , তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস কর, আর কিছু অংশ করো না।
শুনুন এ আর ১৫ আপনি সম্পূর্ণ কোরআনের সকল অনুবাদ একটু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং বোঝার চেষ্টা করবেন।
আশা করি, আপনার বুঝতে সমস্যা হবে না।
২৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: @এ আর ১৫ঃ
আপনার যুক্তির ধরণ দেখে সত্যিই কি করি ভেবে না পাই..............তর্ক করবোনা কারণ রাধানাথ বাবু আপনার সঙ্গে তর্ক করতে বারণ করেছেন।
২৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩
বিজন শররমা বলেছেন: Jahirul Sarker বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন , তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস কর, আর কিছু অংশ করো না।
শুনুন এ আর ১৫ আপনি সম্পূর্ণ কোরআনের সকল অনুবাদ একটু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং বোঝার চেষ্টা করবেন।-
পৃথিবীর সকল মানুষের উচিত অন্য ধর্মকে ভালো করে জানা এবং বোঝা । ভালো ভাবে জানার পরই বুঝতে পারা যায়, ঐ ধর্মকে শ্রদ্ধা করা যায়, না কি বর্জন করা উচিত । আগে একসময় অস্ত্র বা অন্য কিছুর জোরে মানুষ তাদের নিজের ধর্ম অন্যদের গ্রহণ করতে বাধ্য করলেও এখন উন্নত বিশ্বে আর সেটি সম্ভব নয় । আমি বঝতে পড়লাম ধর্মগ্রন্থের নীচের অধ্যায়টি ।এটি অনেক আগে লিখেছেন বা অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ মার্মাডুকে পিকথল । এর কোন প্রতিবাদ আসেই, যাতে মনে হয় এটি সঠিক । এটি পড়ে যা বোঝা যায়, কিছু মানুষকে বলা হয়েছে যদি অনুমতি না থাকে তাহলে তারা যেন একজন সন্মানিত ব্যক্তির ঘরে খাবার সময়ের আগেই ঢুকে না পড়ে । আবার খাবার পরপরই যেন চলে যায় । সেখানে বেশী কথা বললে সন্মানিতিও ব্যক্তি বিরক্ত হতে পারেন, যদিও লজ্জায় তিনি তা বলবেন না । ...... যদি তোমাদের কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে পর্দার আড়াল থেকেই প্রশ্ন কর । ......।তার স্ত্রীদের সাথে তোমাদের বিবাহ হবে না ।
33. Al-Ahzab: The Clans
33:53-54 O you who believe! Enter not the dwellings of the Prophet for a meal without waiting for the proper time, unless permission be granted to you. But if you are invited, enter, and, when, your meal is ended, then disperse. Linger not for conversation. Lo! That would cause annoyance to the Prophet, and he would be shy of (asking) you (to go); but God is not shy of the truth. And when you ask of them (the wives of the Prophet) anything, ask it of them from behind a curtain. That is purer for your hearts and for their hearts. And it is not for you to cause annoyance to the Messenger of God, nor that you should ever marry his wives after him. Lo! That in God's sight would be an enormity. Whether you divulge a thing or keep it hidden, lo! God is ever Knower of all things.
এখানে কথা কিন্তু একেবারে পরিষ্কার এবং কারো তা বুঝতে অসুবিধা হয় না । এখানে একজন সন্মানিত ব্যক্তি কিছু সাধারন মানুষকে (এদেরকে বিশ্বাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে) বলছেন যে তারা যেন একজন সন্মানিত ব্যাক্তির বাড়িতে খাবার সময় এমন কিছু না করে যাতে তিনি মনক্ষুন্ন হতে পারেন । বোঝা যায়, এই সাধারণ মানুষের আচরন তার পছন্দ হয় নি বলেই তিনি এমনটা বলেছেন।
প্রশ্ন হতে পারে - এই গ্রন্থ বহন করছে পরম পিতার কাছ থেকে দূতের বয়ে নিয়ে আসা বানী । তার মানে দূত বা পরম পিতা একথা বলেছেন এবং আশা করা যায় এর ফলে সন্মানিত ব্যাক্তির সমস্যার সমাধান হবে । সেক্ষেত্রে এই বানী থেকে বিশ্ব মানবতা কি ভাবে উপকৃত হবে তা বোঝা কিন্তু খুবই কঠিন । আমার খুবই অবাক লাগে যখন ভাবি, বিশ্বের শত শত কোটী মানুষ এই কথাটা বুঝতে পারে, কিন্তু আমি পারি না । তখনই মনে হয়, ধর্ম আসলে আমরা যা ভাবি তার চেয়ে অনেক কঠিন ।
২৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭
রফিকুলইসলাম বলেছেন: এখন দুর্গা পূজা চলছে তাই এর সাথে প্রাসঙ্গিক অংশ জুরে দিলাম। ।
কোন মুসলিম কোন ভাবেই পোওলিক বা অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুস্ঠানে অংশ নিতে পারেন না। কারন তাদের বিশ্বাস সরাসরি আমাদের বিশ্বাসের বিপরীত। তাদের অনুস্ঠানে অংশ নেওয়া অর্থ আমাদের বিশ্বাসকে অশ্রদ্ধা করা। এসব হল পথভ্রষ্টদের পথ যা থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রতিদিন নামাজে সূরা ফাতিহায় আল্লাহর কাছে বলি...
'আমাদের সঠিক পথ দেখাও।
সেই সব লোকেদের পথ যাদের কে তুমি অনুগ্রহ করেছো।
অভিশাপ্ত ও পথভ্রষ্টের পথ নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০২
রপিকুল ইসলাম বলেছেন: rite