নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই আজ আর নেই কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই আজ আর নেই । নিখিলেশ প্যারিসে, মঈদুল ঢাকাতে নেই তারা আজ কোন খবরে গ্র্যাণ্ডের গীটারিস্ট গোয়ানীস ডিসুজা ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে কাকে যেন ভালোবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে পাগলা গারদে আছ

রফিকুলইসলাম

রবি

রফিকুলইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা মুসলিমদের জন্য জায়েজ!?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮









মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী অধ্যাপক সুয়াদ সালেহ একটি অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন অমুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা মুসলিমদের জন্য জায়েজ! বিষয়টি ব্যাপক
আলোচিত হচ্ছে অনলাইন সহ বিভিন্ন মাধ্যমে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ভাই বোনদের বলছি এমন অপপ্রচারে বিশ্বাস করবেন না। ইসলাম কখনই এমন অপকর্মে অনুমতি দেয়নি। ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এমন বিশ্রী মন্তব্য করা হয়েছে।

ইসলাম নারীদের সর্বাধিক মর্যাদা দিয়েছে হোক সে মুসলিম বা অমুসলিম।

নারীদের যেকোন ধরনের যৌন নিপীড়ন, জুলুম থেকে রক্ষা করতে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক বলেছেন:-

“আর তোমরা নারীদেরকে কষ্ট দেয়ার জন্যে আটকে রেখো না। আর যারা এ ধরণের জঘন্যতম অন্যায় করবে তারা নিজেদের উপরই জুলুম করবে।”
—সূরা বাকারা : আয়াত নং ২৩

নারীরা যাতে কোন হয়রানি, নিপীড়িত, ধর্ষিত না হতে পারে সে জন্য পুরুষের দৃষ্টি সংযত রাখতে বলা হয়েছে তবে এক্ষেত্রে নারীদেরও হিজাব করার বিশেষ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পবিত্র কোরআনে পুরুষদের বলা হয়েছে:-

“মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।”
—সূরা আন নুর : আয়াত নং ৩০

নারীদের বলা হয়েছে:-

“ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।”

আর অমুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসংগে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে:-

“তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম , আর আমার ধর্ম আমার কাছে।”
—সূরা কাফেরূন : আয়াত নং ০৬


***ইসলাম সর্বক্ষেত্রে নারীকে তার ন্যায্য অধিকার দিয়েছে তা নিয়ে আমি পরে আলোচনা করবো। ইসলামের শত্রুরা যতই অপপ্রচার চালাক তারা কখনই সফলকাম হবে না। আমি সবাইকে কোরআন পাঠ করার জন্য অনুরোধ করছি। একমাত্র কোরআন পাঠ করেই আপনি ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারনা পাবেন।

লিখা: আজহার শাহী
সিলেট বিভাগীয় প্রধান।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আহলান বলেছেন: ইহুদিদের চর ... এরই ইসলামকে বিকৃত করার চেষ্টায় লিপ্ত ...আর আমদের মধ্যে আধুনিত প্রগতিশীলেরা এই সবই খুজে বেড়ায় .... ইসলামকে বিতর্কিত করার উছিলা বানায়

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৬

নির্বাসিত কবি বলেছেন: অভিনন্দ ভাল পোস্ট।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শান্তির ধর্ম ইসলামে নারীর অধিকার
মিশরের কায়রো শহরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী অধ্যাপিকার বক্তব্য লইয়া ভার্চুয়াল জগতে খুব কোলাহল হইতেছে দেখিতে পাই । ওই অধ্যাপিকা মহিলা বলিয়াছেন, যেহেতু বিধর্মী নারীদের ধর্ষণ ইসলাম অনুমোদন করে, সেহেতু বিধর্মী ইসরাইলী নারীদের ধর্ষণ করা মুসলমানদের জন্য অন্যায় হইবে না ।
ইসলামের ব্যাখ্যা আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকার চাইতে আমরা বেশি জানিবো না, অতএব তিনি যাহা বলিয়াছেন, তাহাকেই ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা ধরিতে হইবে । যাহা তিনি বলিয়াছেন, আমরা সকলে তেমনই জানিতাম; কিন্তু তাহা কতটা সহি জানিতাম না । কিন্তু আজ যখন ইসলাম চর্চার এক বিরাট কেন্দ্রবিন্দু আল আজহার হইতে তা প্রকাশ পাইলো, তখন আমাদের সকল সহী অসহীর দ্বন্দ্ব কাটিয়া গেল ।
যাহারা দিবস রজনি বলিতে থাকেন ইসলাম দিয়াছে নারীর মর্যাদা, তাহারা এখন কোথায় কেমন করিয়া মুখ লুকাইবেন, তাহা বুঝিতে পারিনা ।
আমি চিরন্তন সত্যের পক্ষপাতি লোক নই, কিন্তু ইসলামের এই সমস্ত কান্ড কারখানা দেখিয়া আমার এখন চিরন্তন মিথ্যায় বিশ্বাস করিতে ইচ্ছা করে । সেই চিরন্তন মিথ্যার দুইটি উদাহরণ হইতেছে - ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং ইসলাম দিয়াছে নারীর মর্যাদা ।
আমি বারংবার আমার পোষ্ট গুলিতে লিখিয়া আসিতেছি যে, ইসলামী মানবতা বা ধর্মীয় মানবতা এবং আমাদিগকের সাধারণ মানবতাবোধ এক বস্তু নয়, ইহাদের মধ্যে আলোকবর্ষ মাপের ব্যবধান রহিয়াছে । কিন্তু ধার্মিক লোক সকল তাহা বুঝিবেন না ।
কিন্তু আমারও আশ্চর্য লাগিতেছে এই ভাবিয়া যে, একজন নারী হইয়া এমনতর কথা সেই মহিলা কেমনে বলিলো! ইহার হয়তো সোজা উত্তর এই যে, ইহারা মানুষ নারী পুরুষ হইবার আগে ধার্মিক, মানুষের চাইতে মানবতার চাইতে ধর্ম ইহাদের কাছে অনেক বড় বিষয় । অতএব, ধর্মগ্রন্থের পাতার মধ্যে যে বিবেক নেই, সেই বিবেক ধার্মিকের কাছে আশা করা ভুল ।

কৃতজ্ঞতাঃ অাবু জাহেদ

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭

আরজু পনি বলেছেন:
কোন নারীর কাছ থেকে বিশেষ করে যিনি বিজ্ঞ...তার কাছ থেকে এহেন অমর্যাদাকর বক্তব্য খুবই দুঃখজনক !

পরমকরুণাময় আগে আমাকে মানুষ, তারপর নারী, তারপর মুসলমান হওয়ার সৌভাগ্য দান করেছেন...আমি যেন মানবিক হই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.