![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব দোষ রিক্রার কারন একটা বেটারী চালীত রিক্রা চার্জ করতে প্রতিদিন খরচ হয় ২০ টাকা. মাসে ৫২০ টাকা/বছরে ৬২৪০ টাকা/ ২০ বছর এর খরচ ১,২০,৮০০ টাকা.
অথচ এক মন্ত্রীর ১ মাসের তেল খরচ ১,১৫,৮০০ টাকা, সুত্র স্কীন শর্ট
বাংলাদেশে ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বনগুলোর অন্যতম একটি হলো রিক্সা চালিয়ে উপার্জন করা। রিক্সা চালানোয় কতটুকু মর্যাদা কিংবা কতটুকু কায়িক পরিশ্রম, তা শুধু রিক্সাচালকই বলতে পারবেন। ধরি, একজন রিক্সাচালক কায়িক পরিশ্রম কিছুটা কমানোর লক্ষ্যে রিক্সায় ১টি মটর লাগালেন, মটরটি চালানোর জন্য ৪টি শুকনো ব্যাটারীও কিনলেন। আর এই ব্যাটারীগুলো চার্জ দেয়ার জন্য প্রতিরাতে ৪ ঘন্ রিক্সা চালানোর চেয়েও বেশি অর্থকরী ও কম পরিশ্রমের কোন ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ভাগ্য উন্নয়নের সুযোগ কেউ এই রিক্সাচালককে দেয়নি। ফলে স্বনির্ভর রিক্সাচালক সস্তা কাজে বিদ্যুৎ
করে দেশ ও জাতির যে ক্ষতি সাধন করে চলেছেন তার জন্য তাকে বড় কোন দোষ দেয়া যায় না
প্যাডেল চালিত রিক্সা অমানবিক
রিক্সা একটি পরিবেশ বান্ধব বাহন। কোনরকম বায়ু দূষণ ঘটায় না রিক্সা। এছাড়াও বহু মানুষ রিক্সা চালিয়ে বা, তৈরি ও মেরামত করে তাদের জীবন, জীবিকা চালিয়ে থাকে। এ প্রাচীন বাহনটি বর্তমানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এর আবেদন কমার বদলে দিনকে দিন মানুষের মাঝে বেড়েই চলেছে। যানবাহনগুলোর মাঝে রিক্সাকে বেশ নিরাপদ হিসেবেই বিবেচনা করা যায়। সবাই সচেতন হলে হয়ত একদিন রিক্সা চিত্রশিল্পেরও সুদিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
২০১১ সালে বাংলাদেশে ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনের সময়ও বাংলাদেশের রিক্সার ঐতিহ্য বেশ ভালভাবে পৃথিবীবাসীর সামনে তুলে ধরা হয়। সেখানে প্রতিটি দলের অধিনায়করা রিক্সায় করে মাঠে উপস্থিত হন। বিষয়টি বেশ প্রশংসিত হয়।
আগেকার প্যাডেল চালিত রিক্সার প্রচলন এখন আর তেমন নেই বললেই চলে। রিক্সাতে মূলত দুইজনের জন্য বসার সিট থাকে। তবে মাঝে মাঝে ৩-৪ জনকেও কায়দা করে উঠতে দেখ যায়। এ প্রবণতা তরুণদের মাঝেই বেশি। বর্তমানের রিক্সাগুলো বেটারী চালিত। ফলে রিক্সাচালকদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়েছে। বর্তমানে বৈদ্যুতিক যন্ত্রচালিত রিক্সার প্রচলনও অতি দ্রুততার সাথে বাড়ছে। ২০০৫ সালের দিকে ভারতের পচিমবঙ্গ সরকার হাতে টানা রিক্সাকে অমানবিক বলে তা নিষিদ্ধের প্রস্তাব আনেন। বিলটি পাশ হলেও বিলটির বিরুদ্ধে পিটিশন হওয়াই তা এখনও কার্যকর হয়নি। বর্তমানে এই বিলটি সংশোধনের কাজ চলছে।
বাংলাদেশে রিক্সার জনপ্রিয়তার কারণে রাপা প্লাজার কাছে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কের শুরুতেই স্থাপিত হয়েছে সম্পূর্ণ শিকল দিয়ে তৈরি একটি রিক্সা, এর চালক এবং এর যাত্রীদের নিয়ে সুন্দর এক ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটি মৃণাল হকের তৈরি। ভাস্কর্যটির নাম ইস্পাতের কান্না।
©somewhere in net ltd.