![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবসভ্যতার ক্রম অগ্রগতির ধারায় মানুষের অর্জিত জ্ঞান, মহৎ অনুভব সঞ্চিত হয়ে থাকে পাঠাগারে। এর মাধ্যমে পূর্বপুরুষের জ্ঞান সঞ্চারিত হয় উত্তরপুরুষের কাছে। তাই জ্ঞানচর্চা, অন্বেষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। শিক্ষা ব্যতীত জাতীয় উন্নতি অসম্ভব। আর শিক্ষার জন্য প্রয়োজন পুস্তক পাঠ ও জ্ঞানার্জন। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জিত হয় না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও জ্ঞানার্জনের জন্য প্রচুর বই-পুস্তক পড়তে হয়। গ্রন্থপাঠে ব্যক্তি বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতা ও দক্ষতা অর্জন করে। মানসিক ও আত্মিক উন্নয়নে পাঠাগার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
পৃথিবীতে যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত। নিয়মিত অধ্যয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চা ও উন্নয়নের মাধ্যমেই এসেছে তাদের এ শ্রেষ্ঠত্ব। পৃথিবীতে যেসব মনীষী অমর হয়ে আছেন, তার মূলে রয়েছে তাঁদের জ্ঞানচর্চা তথা পুস্তক অধ্যয়ন। অধ্যয়নের মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করেই তাঁরা নিজের বিবেক, বুদ্ধি ও কল্পনাশক্তিকে করেছেন শাণিত। আর সেই জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন সারা বিশ্বকে। আর এই জ্ঞানার্জনের পথে পাথেয় হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার।
জ্ঞানার্জন তথা পাঠ্যাভ্যাস ব্যতীত কোনো জাতি উন্নত জীবনের অধিকারী হতে পারে না। তাই উন্নত জাতি গঠনে মানসিক ও আত্মিক সাধনা অপরিহার্য। সে ক্ষেত্রে পাঠাগারের ভূমিকা ও অবদান অসামান্য। পাঠাগার তাই জাতীয় বিকাশ ও উন্নতির মানদণ্ড। গ্রন্থাগার ব্যবহার ও বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা ছাড়া জাতীয় চেতনার জাগরণ হয় না।
©somewhere in net ltd.