নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেই ২০০৮ সাল থকে ব্লগিং করতেছি অতিরিক্ত ঘাড় তেড়ামির কারনে আগের আইডি ব্লক খাইছি।আমার এই আইডিতে ঘাড় তেড়ামি বাদ দিয়া ব্লগিং করতেছি।

রাঘব বোয়াল

নিক নাম দেইখা ডর খাইয়েন না।আমি আসলে খুব সাধারন মানুষ।আর জানতে ভালোবাসি জানাতে ভালোবাসি তাই নিজে যা জানব অন্যকেও তা জানাবো।

রাঘব বোয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আশুন প্রাচীন কালের কছু ভয়ানক শাস্তির সাথে পরিচিত হই

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৯





মধ্যযুগে অত্যাচারীদের সংখ্যাই ছিল বেশি। সে সময় যে ভয়ংকর এবং অভিনব শাস্তিগুলো অপরাধীদের দেয়া হতো, তার নৃশংসতা সম্পর্কে আমরা হয়তো ধারণাও করতে পারব না। শুধু তা-ই নয়, অনেকের হয়তো বিশ্বাস হবে না যে, এগুলো একসময় সত্যিই প্রয়োগ করা হতো বন্দিদের ওপর। তবে এসব শাস্তির কোনোটিরই এখন আর প্রচলন নেই। যুগের উৎকর্ষতায় পরিবর্তন হয়েছে, পরিমার্জন করা হয়েছে অনেক কিছু। এরই আবর্তনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেসব পিলে চমকানো শাস্তির বিধানও। নিচে তা আলোচনা করা হল ঃ





বেঈমানের দোলনা : এ বর্বর পদ্ধতির শাস্তিটি মধ্যযুগে স্প্যানিশদের আবিষ্কার করা। বন্দিকে নগ্ন করে দোলনার ওপর বসানো হতো। ব্যস, এরপর আর কিছুই করতে হতো না। শরীরের ভারেই ধীরে ধীরে একসময় দোলনা ছিঁড়ে মৃত্যু হতো।



চূর্ণকরণ চাকা : এটাও মধ্যযুগীয় ইউরোপের বর্বর কিছু শাস্তির মধ্যে অন্যতম। একটা চাকার ওপর বন্দিকে শোয়ানো হতো, তারপর প্রচণ্ড ভারী হাতুড়ি দিয়ে শক্তিশালী আঘাত করে খণ্ড খণ্ড করা হতো দেহের সব জয়েন্টে।



স্প্যানিশ গাধা : মধ্যযুগের বর্বরতার আরেকটি নিদর্শন এ শাস্তি। এ পদ্ধতিতে বন্দিকে একটা গাধার ওপর বসানো হতো। তবে গাধাটা একটু অন্যরকম। তেমন নরম-মোলায়েম নয়। এর উপর দিকটি ধারালো। এতে বসিয়ে বন্দিদের পায়ে ভারী লোহার বল বেঁধে দেয়া হতো। আর তাতে মারাত্মক আঘাত পেত বন্দিরা।



শূলে চড়ানো : শূলে চড়ানো বলতে আমরা অনেকেই জানি। শুধু তা-ই নয়, এ শাস্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে মোটামুটি সবাই অবগত। বন্দির হাত-পা বেঁধে সুচালো এ দণ্ডের ওপর বসিয়ে দেয়া হতো। শরীরের ভারে তা আস্তে আস্তে গভীরে যেতে থাকত। এ পদ্ধতিতে বন্দির মৃত্যু হতে এক থেকে দু’দিন সময় লাগত।



লোহার মহিষ : সিসিলিতে এ পদ্ধতিটি সর্বপ্রথম আবিষ্কার হয়। ‘পিরিলস’ নামের এক ইস্পাত কর্মী শাস্তি দেয়ার এ প্রক্রিয়াটি ডিজাইন করেন। বিশাল বড় ইস্পাতের তৈরি একটি মহিষ, যার পেটের দিক দিয়ে থাকত দরজা। এই দরজা দিয়ে বন্দিকে ভেতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়া হতো। তারপর নিচে আগুন জ্বালিয়ে ইস্পাতের তৈরি মহিষটি উত্তপ্ত করা হতো। ভেতরে যারা থাকত তারা জীবন্ত পুড়তে থাকত।



হাতির সাহায্যে মৃত্যুদণ্ড : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এ পদ্ধতিটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ হতো। বিশাল বিশাল হাতি ব্যবহার করা হতো বন্দিদের হত্যা করার জন্য। বন্দিকে বেঁধে তার মাথা কোনো পাথরের ওপর রাখা হতো এবং হাতি তার বিশাল পা দিয়ে বন্দির মাথাটি পিষে ফেলত। এজন্য হাতিগুলোকে ট্রেনিংও দেয়া হতো।



রক্ত-ঈগল : প্রচণ্ড ভয়ানক ও নৃশংস একটি পদ্ধতি। নর্ডিক কিংবদন্তিতে এ প্রথা পাওয়া যায়। মূলত নরওয়ের জলদস্যুরা এ পদ্ধতিটি প্রয়োগ করত। এ পদ্ধতিতে বন্দির মেরুদণ্ড ভেঙে পাঁজরের হাড়গুলো পিঠ দিয়ে টেনে বের করা হতো। সেটা পাখির ডানার মতো হয়ে থাকত। ফুসফুস পেছন দিয়ে বের করে ফেলা হতো এবং ক্ষতস্থানগুলোতে লবণ ছিটিয়ে দেয়া হতো।



চূর্ণ বা পিষ্টকরণ : চূর্ণকরণ ব্যাপারটা ইউরোপ, আমেরিকায় বেশি প্রচলন ছিল। সাধারণত জোর করে কিছু আদায় করার ক্ষেত্রে তারা এ শাস্তিটির ব্যবহার করত। এ পদ্ধতিতে বন্দিকে মাটির সঙ্গে শুইয়ে তার ওপর কাঠের তক্তা রাখা হতো এবং কাঠের তক্তার ওপর ভারী ভারী পাথর রাখা হতো। ততক্ষণ পর্যন্ত এ শাস্তি চলতে থাকত, যতক্ষণ না বন্দি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এছাড়া আরেকভাবে এটা করা হতো। একটা মেশিন ছিল এ শাস্তির জন্য। সে মেশিনে বন্দির মাথা রেখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেটা চাপ দিয়ে মাথা পিষে ফেলা হতো।



ভাগ-ভাগ করা : মূলত ইংল্যান্ডে এ শাস্তিটির প্রচলন ছিল। ধারণা করা হয়, এ শাস্তিটি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস ও ভয়াবহ শাস্তি। তিনটি ধাপে এ শাস্তি দেয়া হতো। প্রথমে একটি কাঠের ফ্রেমের সঙ্গে আটকে বন্দিকে নিয়ে যাওয়া হতো ময়দানে। তারপর গলায় দড়ি বেঁধে তাকে ঝুলিয়ে রাখা হতো। এতেও যদি বন্দি দোষ স্বীকার না করে, তখন তার হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘোড়ার সঙ্গে জুড়ে দেয়া হতো। ঘোড়া যত সামনে এগোত, তত টান পড়ত। এরপরও দোষ স্বীকার না করলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বন্দির পেট কেটে জীবিত অবস্থাতেই তার নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলা হতো এবং এরপর গলা কেটে ফেলা হতো। তারপর তার শরীরটাকে চার ভাগে ভাগ করে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করা হতো।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

ইনকগনিটো বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। খুব ভালো লাগলো তথ্যগুলো।

ভালো থাকবেন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

রাঘব বোয়াল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

ইয়ার শরীফ বলেছেন: খাইছে

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

রাঘব বোয়াল বলেছেন: :-&

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: মধ্যযুগে মানুষ ছিল বর্বর। শাস্তি ছিল আরো বর্বর।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

রাঘব বোয়াল বলেছেন: ছহি কতা

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

পেন্সিল চোর বলেছেন: এইরকম একটা পোস্ট আগেও দেখেছিলাম।
আরও ছবি ও বিবরন সহকারে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

রাঘব বোয়াল বলেছেন: আমিও দেখছিলাম তয় এতে আরও কিছু শাস্তির কথা বেশি বলা আছে।
অই পোস্ট থেইকা কিন্তু কপি পেস্ট মারিনাইক্কা :D

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

আদরসারািদন বলেছেন: মানুষ কবে যে মানুষ হইব

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

রাঘব বোয়াল বলেছেন: শুক্রিয়া করেন যে এখন অই যুগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

কবি সাহেব বলেছেন: ভাইয়া মাথা পুরা ঘুরাইতেছে পইরা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

রাঘব বোয়াল বলেছেন: আসলে কবিদের মন থাকে নরম।তাই ভবিষ্যতে এরকম পোস্ট পাইলেও না ঢোকার জন্য অনুরোধ রইলো 8-| 8-|

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

মুন্না-কিশোরগঞ্জ বলেছেন: এই রকম একটা পোষ্ট কই জানি পড়ছিলাম, তবে ভাল B-)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

রাঘব বোয়াল বলেছেন: আমিও দেখছিলাম তয় এতে আরও কিছু শাস্তির কথা বেশি বলা আছে।
অই পোস্ট থেইকা কিন্তু কপি পেস্ট মারিনাইক্কা :D

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট, আরো ছবি হলে আরো ভালো হতো মনে হয়। ধন্যবাদ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

রাঘব বোয়াল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।দুঃখিত আপনার আশা পুরন করতে পারিনাই

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

মুহাই বলেছেন: ইন্নালিল্লাহ

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

রাঘব বোয়াল বলেছেন: =p~ =p~ =p~

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

চিন্তায় আছি বলেছেন: মধ্যযুগে মানুষ ছিল বর্বর। শাস্তি ছিল আরো বর্বর।

আধুনিক যুগ আরো বেশী বর্বর

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

রাঘব বোয়াল বলেছেন: আধুনিক যুগে বর্বর হলেও এতটা বর্বর মনে হয় ছিলোনা

১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৩

চ।ন্দু বলেছেন: শূলে চড়ানোটা দিলেন না যে ভাই।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

রাঘব বোয়াল বলেছেন: ভাই চার নম্বর শাস্তিটা খেয়াল করেন

১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৯

মাক্স বলেছেন: ভয়ংকর :| :| :|
রক্ত-ঈগল টা বেশী বীভৎস।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

রাঘব বোয়াল বলেছেন: হুমমম

১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

এম আর ইকবাল বলেছেন: বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন গোষ্টি ধর্ম, বর্ণ, জাতি ইত্যাদি তত্বনিয়ে এখন হানাহানি করে, নিমর্ম ভাবে হত্যা করে নর নারী, শিশু ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

রাঘব বোয়াল বলেছেন: ঠিক কইছেন

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৩

শূন্য পথিক বলেছেন: B:-) B:-) B:-) B:-) ভয় পাইছি!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

রাঘব বোয়াল বলেছেন: 8-| 8-| 8-|

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯

ফারিয়া বলেছেন: শেষ পর্যন্ত পড়তে পারলাম না, ঘৃনা লাগছে! মানুষ এমন হতে পারত! :-/

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

রাঘব বোয়াল বলেছেন: হে হে মানুষ এতটাই বর্বর এতটাই নিষ্ঠুর

১৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

অহন_৮০ বলেছেন: ভালো হইছে.......... আমিও একটা পোষ্ঠ দিছিলাম এইসব নিয়া তবে আপনারটা ভালো হইছে

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

রাঘব বোয়াল বলেছেন: অনেক দিন পরে দেখলেও আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.