নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেই ২০০৮ সাল থকে ব্লগিং করতেছি অতিরিক্ত ঘাড় তেড়ামির কারনে আগের আইডি ব্লক খাইছি।আমার এই আইডিতে ঘাড় তেড়ামি বাদ দিয়া ব্লগিং করতেছি।

রাঘব বোয়াল

নিক নাম দেইখা ডর খাইয়েন না।আমি আসলে খুব সাধারন মানুষ।আর জানতে ভালোবাসি জানাতে ভালোবাসি তাই নিজে যা জানব অন্যকেও তা জানাবো।

রাঘব বোয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিটলারও ইয়াবা সেবন করতেন

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৭



তৎকালীন জার্মান সেনানায়ক অ্যাডলফ হিটলার নিয়মিত ইয়াবা সেবন করতেন। কথাটা শুনে অনেকেরই মনে হতে পারে, ইয়াবা তো সেদিন আবিষ্কৃত হল, তাহলে হিটলার কিভাবে তা সেবন করতেন? কিন্তু এটাই বাস্তব। হিটলার ইয়াবা সেবন করতেন এবং তার জীবনের শেষের দিকে বাংকারে থাকাকালীন প্রায় দিনই ইয়াবা সেবন করতেন মানসিক চাপ কমানোর জন্য।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ৪৭ পৃষ্ঠার একটি নথি প্রকাশ করেছে। সেই নথিতে দেখা যায় হিটলার প্রায় ৭৪ রকমের মাদক সেবন করতেন। আর সেই মাদকদ্রব্যের মধ্যে অন্যতম ছিল ক্রিস্টাল মেথ। একেক দেশে এই মাদকের একেক নাম। যুক্তরাষ্ট্রে এই মাদকটিকে বলা হয় ‘ডেসোজিন’। দক্ষিণ এশিয়ায় ইয়াবা। তাৎক্ষণিক অবসাদগ্রস্ততা, যৌন অক্ষমতা কমাতে, মানসিক চাপ কমাতে এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এই মাদক ব্যবহৃত হয়। তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক। দীর্ঘদিন এই মাদক সেবনের ফলে মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এই ক্রিস্টাল মেথেরই আধুনিক সংস্করণ বর্তমানের ইয়াবা। ১৯৪৩ সালে ইতালির তৎকালীন সেনানায়ক মুসোলিনির সঙ্গে সভার আগে হিটলার ক্রিস্টাল মেথ সেবন করেছিলেন বলে জানা যায়। সেই সভায় হিটলার টানা দু’ঘণ্টা বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এছাড়াও একই দিনে হিটলার ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নয়টি ইনজেকশন নিয়েছিলেন শরীরে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ভিটামুলেটিন।
নথিতে আরও বলা হয়, শেষের দিকে জার্মানির ‘সোমে’ অঞ্চলের যুদ্ধে হিটলার তার পৌরুষত্ব হারিয়েছিলেন। তবে চ্যানেল ফোরের প্রকাশিত আরেক নথিতে দেখা যায় হিটলার জন্মগতভাবেই পুরুষাঙ্গের ত্র“টি নিয়ে জন্মেছিলেন। তাই তার দীর্ঘ জীবনের বেশিরভাগ সময়েই বিভিন্ন মাদকে আসক্ত ছিলেন তিনি।
১৯৪৫ সালের নভেম্বর মাসে হিটলারকে বাধ্য হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল। তার তৎকালীন চিকিৎসক ড. থিওডর মোরেল জানিয়েছিলেন, ‘এক কথায় সে ছিল একজন পারভার্ট।
তার পুরুষাঙ্গে কোনো সাড়াই ছিল না। তবে তার পাকস্থলীতেও সমস্যা ছিল। এজন্য তাকে মুতাফ্লোর নামে একটি ওষুধ দেয়া হয়েছিল। এছাড়াও তার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার জন্য তাকে ব্রোম-নারভ্যাকিট, মরফিন, সেমন জাতীয় ওষুধ দেয়া হয়ছিল। তবে তার অবসাদগ্রস্ততার জন্য তাকে দেয়া পারভিটিন পিলটিই তিনি বেশি সেবন করতেন।’
তিনি আরও জানান, ‘ওই ওষুধগুলোর মধ্যে কিছু ছিল বিষাক্ত। দীর্ঘদিন সেবন করলে তা ভালোর বদলে খারাপ প্রতিক্রিয়া বয়ে আনবে শরীরে।’ ডেইলি মেইল, টেলিগ্রাফ, গার্ডিয়ান।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: আগেই শুনেছি, তার সৈন্যরা যাতে দ্রুত ক্লান্ত, অবসাদগ্রস্থ আর হাতাশায় মুষড়ে না পড়ে সেজন্য ক্রিষ্টাল মেথ সেবনে নাকি বাধ্য করতেন। আপনার লেখায় আরো কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ শেয়ার করবার জন্য।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০০

রাঘব বোয়াল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫১

ঢাকাবাসী বলেছেন: জানলুম তথ্যটি। ধন্যবাদ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:২৪

রাঘব বোয়াল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.