![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিক নাম দেইখা ডর খাইয়েন না।আমি আসলে খুব সাধারন মানুষ।আর জানতে ভালোবাসি জানাতে ভালোবাসি তাই নিজে যা জানব অন্যকেও তা জানাবো।
প্রত্নতত্ত্বের শহর রোম, শান্তির শহর রোম। কলোসিয়ামের কারণে রোম নগরীকে রক্তের আর হত্যার শহর বলেও ডাকা হতো এক সময়। লাখো রাজবন্দি, যুদ্ধবন্দি, ক্রীতদাস আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অসহায়দের রক্তে সিক্ত কলোসিয়ামের মাটি, প্রতিটি ধূলিকণা।
অদ্ভূত কাঠামোর ইমারতটির প্রতিটি ইট-কাঠ-পাথরে মিশে আছে নিহতদের অন্তিম নিঃশ্বাস। বিশ্ব সপ্তমাশ্চর্যের একটি এটি।
৭০-৭২ খ্রিস্টাব্দে এটির নির্মাণ কাজে হাত দেন ফেরিয়াস বংশের সম্রাট ভেসপাজিয়ান। মূলত জনসভা ও নাট্য উৎসবের জন্য ইমারতটি তৈরি করিয়েছিলেন তিনি। নাম রেখেছিলেন এমফি-থিয়েটারিয়াম ফেভিয়াম।
সাত বছরে তিনতলা পর্যন্ত নির্মাণের সময় তার আকস্মিক মৃত্যু হয়। এরপর ক্ষমতায় বসেন তারই পুত্র টাইটাস। পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম সম্রাটদের একজন ছিলেন তিনি।
৮০ খ্রিস্টাব্দে এমফিথিয়েটারের বাকি কাজ সম্পন্ন হয় তারই হাত ধরে। পাশাপাশি ভবনটি নতুন করে নকশাও করেন তিনি। পরিবর্তিত নকশায় হাইপোজিয়াম নামে মাটির নিচে নির্মাণ করা হয় বেশ কিছু ট্যানেল। এখানে যুদ্ধের মাধ্যমে বলি দেওয়ার জন্য রাখা হতো হাজারো পশু, দাস ও দন্ডপ্রাপ্তদের। তবে বাবার দেওয়া নাম পাল্টে কলোসিয়াম রাখেন টাইটাস।
রক্ত-পিপাসু রোম সম্রাটদের বিকৃত আনন্দের খোরাক যোগাতে গিয়ে কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এই বধ্যভূমিতে, ইতিহাস তার সঠিক হিসাব রাখেনি। শুধু মানুষই নয়, কলোসিয়ামের মাটিতে অজস্র্র বন্য জীবজন্তুর রক্তও মিশে আছে।
সম্রাটদের নির্দেশে রাজকোষের অর্থে সেই সময় এক ‘বিশেষ খেলার জন্য উত্তর আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমদানি করা হতো হাজারে হাজারে হাতি, গন্ডার এবং সিংহ। ভল্লুকের সঙ্গে হাতি, হাতির সঙ্গে বুনো মহিষ বা গন্ডারের সঙ্গে হাতির লড়াই দেখত হাজারো বিশ্ব সম্ভ্রান্তরা।
পশুদের মৃত্যুবেদনার হুংকারের সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ত পুরো গ্যালারি। কলোসিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৯ হাজারেরও বেশি পশুর প্রাণ গিয়েছিল।
তবে দীর্ঘদিন পশুর লড়াই আর এগুলোর করুণ মৃত্যু দেখতে দেখতে একঘেয়েমি বোধ করেন সম্রাট টাইটাস। পশুর স্থলে মানুষে-মানুষে লড়াইয়ের ধারণা এলো তার মনে। আর পশুর খেলা বন্ধ করে, শুরু করা হলো মানুষের রক্তের হলি খেলা। শুরু হলো মানুষের মৃত্যুর করুণ ও বীভৎস কাহিনী।
প্রথমে যুদ্ধবন্দিদের মরণপণ লড়াই শুরু। যতক্ষণ না দুইজনের একজনের মৃত্যু হতো, ততক্ষণ পর্যন্ত চলত দ্বৈত-লড়াই। কিন্তু ‘মাত্র’ একশোটি খেলা দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল টাইটাসের। এরপর হঠাৎ করেই একদিন বদ্ধ উন্মাদ হয়ে যান তিনি। বন্ধ হয়ে যায় এই খেলা।
লম্বা বিরতির পর ৬৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রুটাস ভ্রাতৃদ্বয় ফের চালু করেন ‘ঐতিহ্যবাহী’ ওই খেলা। তারা ‘গ্ল্যাডিয়াস’ (খাটো তরবারির) লড়াই চালু করেন। লড়াইকারীদের বলা হতো গ্ল্যাডিয়েটর। লড়াই চলাকালে কোনো এক গ্ল্যাডিয়েটর আহত হয়ে পড়ে গেলে উল্লাসে ফেটে পড়ত পুরো কলোসিয়াম।
মৃত্যু ভয়ে ভীত, ক্ষত-বিক্ষত গ্ল্যাডিয়েটর রেওয়াজ অনুযায়ী বা হাত তুলে সম্রাটের করুণা প্রার্থনা করত, প্রাণভিক্ষা চাইত। মঞ্জুর করা না করা সম্পূর্ণ তার মন-মেজাজের ওপর নির্ভর করত। সম্রাটের বাম হাতের বুড়ো আঙুল আকাশ নির্দেশ করলে অপর গ্ল্যাডিয়েটর বুঝে নিত- তাকে ছেড়ে দাও। কিন্তু ভূমি নির্দেশ করার অর্থ, শেষ করে দাও।
রোমের দুর্ধর্ষ শাসক জুলিয়াস সিজার এখানে বসেই ৩০০ গ্ল্যাডিয়েটরের লড়াই উপভোগ করেন। আর সম্রাট ট্রাজান উপভোগ করেন পাঁচ হাজার দ্বৈত-যুদ্ধ। খিস্টানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হতো এ কলোসিয়ামে। সেখানে ভ্যাটিকানের সর্বোচ্চ খ্রিস্টান ধর্মগুরুরা উপস্থিত থাকেন। অংশ নিতেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যত রক্ত ঝরেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি রক্ত ঝরেছে রোমের কলোসিয়ামের এক চিলতে মাটিতে।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, রাইজিং বিডি .কম,পাঠশালা ফেসবুক ফেনপেজ।
২১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
রাঘব বোয়াল বলেছেন: কষ্ট করে পড়া এবং কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
কাজী রায়হান বলেছেন: হ্যা । এ সম্পর্কিত মুভি দেখে প্রচন্ড কস্টে পেয়েছিলাম
২১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৮
রাঘব বোয়াল বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
আছিফুর রহমান বলেছেন: কিছু ভুল আছে যা বিভ্রান্তি কর। যেমন লিখেছেন কলেসিয়াম তৈরি হয়েছে ৮০ খ্রিস্টাব্দে। কিন্তু আবার লিখেছেন সম্রাট ব্রুটাস বহুদিন পর আবার কলেসিয়ামে লড়াই শুরু করেন ৬৪ খ্রিস্টাব্দে।
আসা করি পোস্টটা এডিট করবেন
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
রাঘব বোয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ।আমি তথ্য সূত্র উল্লেখ করেছি।ভুল হলে ক্ষমা প্রার্থী।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
কলমের কালি শেষ বলেছেন: খুবেই বিমর্ষ ইতিহাস ।
শেয়ারে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
রাঘব বোয়াল বলেছেন: কষ্ট করে পড়া এবং কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: মানবতাবাদীরা এইসব ইতিহাস পুড়াইয়া দেয়না ক্যান? মানুষের ইতিহাসই হইতেছে আসলে যুদ্ধ আর নৃশংসতার ইতিহাস।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৭
রাঘব বোয়াল বলেছেন: এইসব ইতিহাস পুড়াইলে খুবই ভালো হইত।কিন্তু তা সম্ভব না।
৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
পুরোটাই একটা কপি পেষ্ট পোষ্ট। ফিচার পোষ্ট নিজের মতো করে লিখা যেতো।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
রাঘব বোয়াল বলেছেন: ব্রাদার তথ্য সূত্র উল্লেখ করেছি........ আপন চোখে চাইয়া দেহেন.........
৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৩
সালমান মাহফুজ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল । শেয়ার করার জন্য অভিনন্দন ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০০
রাঘব বোয়াল বলেছেন: সবাইকে জানানোর জন্যই দেয়া।
কষ্ট করে পড়া এবং কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
রাঘব বোয়াল বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
৯| ১০ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ভালো তো তথ্যসুত্র এড করেছেন। কিন্তু সেটা আমার কমেন্ট দেয়ার আগে করা উচিৎ ছিলো।
ভালো থাকুন।
১১ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
রাঘব বোয়াল বলেছেন: হে হে যখন পোস্টাইছি তখনই উল্লেখ করছি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় আপনার চোখে তা এড়ানোর জন্য।
ধন্যবাদ।
১০| ১০ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: খুব ভাল লাগল। তবে এসরনর সমাধান কি?
১১| ১০ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: খুব ভাল লাগল। তবে এসরনর সমাধান কি?
১১ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪০
রাঘব বোয়াল বলেছেন: আপনার কথা বুঝিনাই।দয়া কইরা বুঝায়া বলেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪২
কালের সময় বলেছেন: তথ্য মুলক পোস্ট