নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেই ২০০৮ সাল থকে ব্লগিং করতেছি অতিরিক্ত ঘাড় তেড়ামির কারনে আগের আইডি ব্লক খাইছি।আমার এই আইডিতে ঘাড় তেড়ামি বাদ দিয়া ব্লগিং করতেছি।

রাঘব বোয়াল

নিক নাম দেইখা ডর খাইয়েন না।আমি আসলে খুব সাধারন মানুষ।আর জানতে ভালোবাসি জানাতে ভালোবাসি তাই নিজে যা জানব অন্যকেও তা জানাবো।

রাঘব বোয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

লালবাগ দূর্গ: ট্র্যাজেডির অপর নাম ?????

০৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬



লাগবাগ কেল্লা নামেই এখন পরিচিত।এর নির্মাণকাল নিয়ে প্রচলিত ধারনা হলো শাহজাদা আজম এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন কিন্তু শেষ করতে পারেননি।শায়েস্তা খাঁ এটার নির্মাণ কাজ শেষ করেন।অধিকাংশ ঐতিহাসিক এ মতের সমর্থন করেন।শায়েস্তা খাঁ পরবর্তী সুবেদারদের হঠকারিতায় সুবা বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত হওয়ায় ঢাকার গৌরব স্তিমিত হয়ে আসে।অনেকেই বলেন মুর্শিদাবাদে রাজধানী স্থানান্তর না করলে হয়তোবা নদী বেস্টিত ঢাকা দখল করে ইংরেজদের পক্ষে এত সহজে বাংলার মসনদ দখল করা
সম্ভব হতো না।সেকথা বলে এখন আর লাভ নেই।
ইতিহাসের কাছে “যদি” শব্দের কোন মূল্য নেই।

ইংরেজ আমলে শায়েস্তা খাঁর বংশধরদের হাতেই ছিল লালবাগ দূর্গের দখল।১৮৪৪ সালের ২ নভেম্বর ইংরেজরা দূর্গটি বার্ষিক ষাট টাকা খাজনায় শায়েস্তা খাঁর বংশধর বলে দাবীদার সালেহা খানমের কাছ থেকে ইজারা নেয় এবং এখানে দেশীয় সৈন্যদের থাকার ব্যবস্থা করে।
১৮৫৭ সালের ঐতিহাসিক সিপাহী বিদ্রোহের সময় লালবাগ কেল্লায় গোলন্দাজ সহ সৈন্য সংখ্যা ছিল ২৬০ জনের মতো।ঢাকার সৈন্যরা বিদ্রেহে যোগ দেয়নি।কিছু গুজব, কিছু উত্তেজনা সত্তেও ঢাকা ছিল মোটামুটি শান্ত।কিন্তু চট্টগ্রাম বিদ্রোহের পর ইংরেজরা গোপনে ঢাকার দেশীয় সৈন্যদের নিরস্ত্র করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময়ে সৈন্যদের একাংশ ছিল ট্রেজারী পাহারার দায়িত্বে আর বাকীরা ছিল দূর্গে।ঠিক হয় একদল যাবে ট্রেজারীতে দেশীয় সৈন্যদের নিরস্ত্র করতে,আরেক দল যাবে দূর্গে।ট্রেজারীর সৈন্যদের নিরস্ত্র করার খবর কিভাবে যেন কেল্লায় পৌছে যায়।কাজেই দূর্গের সৈন্যরা প্রতিরোধের জন্য তৈরী হয়।কিন্তু বেশীক্ষন তারা টিকতে পারেনি।অনেকে পালিয়ে যায়।সংঘর্ষে নিহত হয় ৪০ জন দেশীয় সৈন্য।কয়েকজন দূর্গ প্রাচীর থেকে ৫০ ফুট নীচে বুড়ি গঙ্গায় ঝাপ দেয়,ওরাও বাঁচেনি।সংক্ষিপ্ত কোর্টমার্শালের নামে বিচারের প্রহসন করে ফাঁসি দেয়া হয় কয়েকজন গ্রেপ্তার করা সৈন্যকে।প্রথমদিন চারজন,পরের দিন তিন জন এবং তারপর আট জনকে প্রকাশ্যে
ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় আন্টঘর ময়দানের গির্জার পাশে।নয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়।সেই প্রথম লালবাগ দূর্গের মাটি সত্যি লাল হয়েছিল দেশীয় সৈন্যদের রক্তে।
লালবাগের দু:খজনক ইতিহাস এখানেই থেমে থাকেনি।১৯৫৩ সালে আবার ঘটে নারকীয় হত্যাকান্ড।


এবার আর বিদেশী প্রভূ নয়, হত্যাকারী পাকিস্তান নামক রাস্ট্রের সরকার নিজেই।সে সময়ে পশ্চিম পাকিস্তান আর পূর্ব পাকিস্তানে সরকারী চাকুরীজীবিরা সমান বেতন ভাতা পেতেন না।পশ্চিমিরা বেতন পেতেন বেশী।পাকিস্তান পুলিশের মধ্যেও অবস্থা একইরকম ছিল।পূর্ব পাকিস্তানের পুলিশরা পশ্চিমিদের
সমান সুযোগ-সুবিধা দাবী করলে পরিস্থিতি গরম হয়ে ওঠে।সে সময়ে পুলিশ লাইন ছিল এই লালবাগ কেল্লার ভিতর।পুলিশরা ধর্মঘট ডাকলেও প্রথম থেকেই আলোচনার মাধ্যমে ব্যাপারটা সুরাহা করার পক্ষে ছিল।এদিকে ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারীর ঘটনায় সরকার ছিল কিছুটা শংকিত।সরকার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রন করতে চাইল।প্রথমে আলোচনার নামে প্রহসন শুরু করে অতর্কিতে পাকিস্তানী সেনারা ঝাপিয়ে পড়ে পুলিশের ওপর।সেময় ছিল রমজান মাস।ইফতারের সময়ের জন্য অপেক্ষারত বাঙ্গালি পুলিশের রক্তে আবার
রঞ্জিত হয় লালবাগ দূর্গের মাটি।

লিখাটি লিখতে সাহায্য করেছেন ঃ কাজী মাহমুদ রুমন

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ চমৎকার পোস্ট!

০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

রাঘব বোয়াল বলেছেন: হে হে আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: তথ্যমূলক পোস্ট ভালো শেয়ার ধন্যবাদ ।

০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

রাঘব বোয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৫ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: "কয়েকজন দূর্গ প্রাচীর থেকে ৫০ ফুট নীচে বুড়ি গঙ্গায় ঝাপ দেয়,ওরাও বাঁচেনি।"

নদী আর কেল্লার অবস্থান কি এক ছিল?

০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০০

রাঘব বোয়াল বলেছেন: ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।আসলে কেল্লার প্রাচীরের দেয়াল হবেনা।তখুন বুড়িগঙ্গার আশে পাশে যেই প্রাচীর ছিলো সেই প্রাচীর থেকে ঝাপ দিয়েছিলো।

৪| ০৫ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

পাগলা সাইফুল বলেছেন: ভালো

০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:১০

রাঘব বোয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ পাগলা সাইফুল

৫| ০৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: লালবাগ কেল্লার অজানা কিছু ইতিহাস জানলাম। ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।

০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

রাঘব বোয়াল বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

৬| ০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সোজা প্রিয়তে। চমৎকার এই পোস্টে +++ অজানা ইতিহাস সামু'র পাঠকদের কাছে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

১১ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

রাঘব বোয়াল বলেছেন: স্বাস্থ্যকর একটি কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।আশা করি আপনার কমেন্ট আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।

৭| ২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:১২

টি এম মাজাহর বলেছেন: পুলিশ বাহিনীর উপর নৃশংসতার কথাটা একেবারেই জানা ছিলো না। ধন্যবাদ এরকম সুন্দর পোস্ট উপহার দেবার জন্য।

২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

রাঘব বোয়াল বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে পোস্ট করার আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে গেলো।

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:০৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: লালবাগ কেল্লার অজানা কিছু ইতিহাস জানলাম।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

রাঘব বোয়াল বলেছেন: জানিয়ে আনন্দিত হলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.