![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি প্রথমে মানুষ, পরে বাঙালি, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি- এই আমার পরিচয়। এ পরিচয় নিয়েই মরতে চাই.........
রাজিবের মৃত্যু অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো আমাদের মধ্যে জ্বলছে, তার মৃত্যু আমাদের ঋণী করেছে, এই ঋণ শুধতে হবে। রাজাকার দেশদ্রোহীদের ধর্ম ব্যবসা এবং সাধারণ মানুষের আবেগ নিয়ে প্রতারণার মুখে চপেটাঘাত করায় কাপুরুষ রাজাকারের বাচ্চারা তাকে হত্যা করেছে- ওইসব হত্যাকারীকে শুধু ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলালেই চলবে না, তাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে এই বাংলার মাটিতে নিঃশ্বাস ফেলতে না পারে সে ব্যবস্থাও করতে হবে।
ধর্মের উর্দিপরা সকল উগ্রপন্থি উপাদানকে এদেশ থেকে নির্বাসিত করতে হবে।
আর এ জন্য তারুণ্যে উজ্জীবিত গণজাগরণ ফ্রন্টকে এগিয়ে যেতে হবে বহুদূর। রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে যে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে প্রজন্ম প্রজন্মান্তরে। প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জনের মধ্যেই যেন এই আন্দোলন থেমে না যায়। এখন থেকেই ভবিষ্যৎ লক্ষ্য এবং কর্মপন্থা নিয়ে ভাবতে হবে- এই আন্দোলনকে দিতে হবে সাংগঠনিক রূপ।
আজকের শাহবাগের আন্দোলনের মূল্য লক্ষ্য রাজাকারদের ফাঁসি নিশ্চিত করা এবং জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, আর এ লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। কিন্তু লক্ষ্য অর্জন হওয়ার পর কী হবে?
আন্দোলনকে ঘিরে যে তরুণ নেতৃত্বের সৃষ্টি হয়েছে তাদের কী হবে? এই নতুন নেতৃত্ব আমাদের দেশ ও জাতির সম্পদ। এই নেতৃত্বকে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে-
রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। আর সে জন্য দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এই তরুণ নেতৃত্ব জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে, প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
তরুণ্যের জোয়ারে এ দেশের সকল অন্যায়-অব্যবস্থার জঞ্জাল ভেসে যাবে। দেশেবাসী পাবে সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ।
এই প্রত্যাশায়
জয় বাংলা, জয় তারুণ্য
©somewhere in net ltd.