![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি প্রথমে মানুষ, পরে বাঙালি, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি- এই আমার পরিচয়। এ পরিচয় নিয়েই মরতে চাই.........
বিভিন্ন ধরনের উদ্ধার কার্যক্রমের মধ্যে ‘আরবান সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ’ অত্যন্ত জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে এই কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়। সাভারের বহুতল ‘রানাপ্লাজা’ ধস এ ধরনের উদ্ধার তৎপরতার অন্তর্গত।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, রেডক্রিসেন্ট এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অখণ্ড ধৈর্যের সাথে নিরলসভাবে ৮০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যে অসাধারণ উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তা এক বিরল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিশ্ববাসী একদিন স্মরণ করবে।
আজ অনেকেই দূর থেকে উদ্ধার কার্যক্রমের ধীরগতি এবং নানা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছি, অভিযোগ করছি এমনকি অজ্ঞাতপ্রসূতভাবে উদ্ধার কর্মকাণ্ড ব্যাহত করার চেষ্টা করছি- এসব কতখানি যৌক্তিক? আমরা গত চারদিন ধরেই দেখছি ভবনধসে দুর্গতদের স্বজনরা উৎকণ্ঠা, আশঙ্কা আর করুণ আহাজারির মধ্যে নিদ্রাহীন প্রতীক্ষায় খোলা আকাশের নিচে প্রহর পার করছেন। তাদের মধ্যে ব্যাকুলতা দেখা গেছে, দেখা গেছে আকুতি, কিন্তু কখনও তাদের মধ্যে উগ্রতা বা উশৃঙ্খলতা দেখা যায়নি।
তাহলে কারা বিধ্বস্ত ‘রানাপ্লাজা’য় উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালীন বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে, কেন পুলিশকে রাবার বুলেট ছুড়তে হচ্ছে, টিয়ার শেল ছুড়তে হচ্ছে?
অনেক রাজনৈতিক নেতা সাভারের লাশ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন, অনেক আলেম অমানবিক ফতোয়া দিয়েছেন, বুদ্ধিজীবীরা টিভি টক শো-তে অযথাই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছেন এবং স্বতঃস্ফূর্ত ও সর্বাত্মাক উদ্ধার কর্মকাণ্ড এবং কর্মীদের আন্তরিকতাকে অপমান করছেন।
এক শ্রেণির ফেসবুকার ফেসবুকে আকাশকুসুম গল্প ছড়িয়ে মানুষকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রতিটি সমাজে এক শ্রেণির মানুষ থাকে যাদের কাজ সবকিছুর নেতিবাচক সমালোচনা করা- যাদেরকে আমরা নিন্দুক বলি। নিঃসন্দেহে এদের প্রয়োজন আছে- কিন্তু যারা অসত্য, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তাদেরকে কি বলব?
তবে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে একটি ঘটনা উল্লেখ করালাম, সম্ভবত এ থেকে তাদের বোধদয় হবে। আর যদি না হয় তাহলে তাদেরকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছাড়া আর কোনো বিশেষণে বিশেষায়িত করতে পারছি না।
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী যুক্তরাষ্ট্র। গত ২০০৫ সালে আটলান্টিক মহাসাগরীয় হারিকেন ক্যাটরিনায় দেশটির উপকূলবর্তী ফ্লোরিডা ও লুইসিয়ানা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি ছিল ৬ষ্ঠ প্রলয়ঙ্করী হারিকেন। ২৩ আগস্ট ২০০৫ থেকে ২৯ আগস্ট ২০০৫ এর মধ্যে এই হারিকেনে ১৮০০ লোক নিহত হয় এবং এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮১ বিলিয়ন ডলার।
এ সময় উদ্ধার এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘আরবান সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ’ (USAR) টাস্কফোর্স হিমশিম খায় এবং উদ্ধার কর্মকাণ্ডে ব্যাপক সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়। ফলশ্রুতিতে এই টাস্কফোর্সকে ন্যাশনাল ইনসিডেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আনা হয়, বর্তমানে যা সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধীনে।
©somewhere in net ltd.