নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে বোঝা এবং মানুষের চিন্তার গতি প্রকৃতির সাথে পরিচিত হতে প্রয়াসী

বাঙলি

আমি প্রথমে মানুষ, পরে বাঙালি, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি- এই আমার পরিচয়। এ পরিচয় নিয়েই মরতে চাই.........

বাঙলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠগ-প্রতারকদের কাছে ধর্ম শুধুই প্রতারণা হাতিয়ার

১৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩



অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে যাত্রাবাড়িতে সবুজ ভাইয়ের পান দোকানে প্রায় দিনই কিছুটা সময় পান খেয়ে আগডুম-বাগডুম আলাপ করে কাটাই। চরমোনাইয়ের মুরিদ সবুজ ভাই নেহায়তই সহজ-সরল এবং ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের বজ্র আস্ফালনে তিনিও উত্তেজিত হয়েছিলেন এবং একইভাবে ফাটা বেলুনের মতো চুপসেও গেছেন। তবে এতে তার ধর্মাচারে কোনো ব্যাত্যয় ঘটেনি।



গতকাল রাতে ওনার দোকানেই কয়েকজন মুসুল্লির কাছে অভিনব এক প্রতারণার কথা জানলাম। অনেকেই হয়তো এই প্রতারণার সাথে পরিচিত কিন্তু মসজিদে যাতায়াত না থাকায় আমার কাছে বিষয়টি নতুন।



গতকাল যাত্রাবাড়ির এক মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে ১৪-১৫ বছর বয়সী এক তরুণ মুসুল্লি তার মায়ের ‘এপন্ডিসাইট’র অপারেশনের কথা বলে অন্যান্য মুসুল্লিদের কাছ থেকে সাহয্য সংগ্রহ করছিল। বেশ কিছু টাকাও সে সংগ্রহ করে। এ সময় এক প্রবীণ মুসুল্লি তাকে বলেন, তোমার মায়ের চিকিৎসার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সবই আমি করব। তোমাকে আর কারও কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রবীণ মুসুল্লি তরুণকে সাথে নিয়ে টিকাটুলিস্থ সালাহউদ্দীন জেনারেল হাসপাতালের এক মালিকের কাছে যান এবং অপারেশনের জন্য কি করতে হবে সে বিষয়ে জানতে চান।



সবিস্তারে বিষয়টি জানার পর হাসপাতালের মালিক বলেন, তিনি নিজ দায়িত্বে তার হাসপাতালে বিনা খরচে এই অপারেশনের ব্যবস্থা করে দেবেন। প্রবীণ মুসুল্লি রোগীর ওষুধপত্রের খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সাহায্যপ্রার্থী তরুণকে তার মা’কে নিয়ে এশার নামাজ শেষে হাসপাতাল মালিকের যাত্রাবাড়িস্থ ফার্মেসিতে আসতে বলেন এবং সাথে করে চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল টেস্ট এবং চিকিৎসাপত্র (যদি থাকে) নিয়ে আসতে বলেন।



এশার নামাজের পর বেশ কিছু সময় পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করেন ওই তরুণের জন্য। আমি যতক্ষণ সেখানে ছিলাম (সাড়ে ন’টা পর্যন্ত) ওই তরুণ আসেনি। জুরাইন থেকে যাত্রাবাড়ি আসার পক্ষে সময় অনেক বেশি পার হওয়ায় সবাই ধরে নেন ওই তরুণ আর আসবে না। মায়ের অসুস্থতার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা তার পেশা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

সায়েদ রিয়াদ বলেছেন: অনেক ফকির এসে ভিক্ষা খুজে । মাঝে মাঝে এইসব ভন্ডামির জন্য দিতেই ইচ্ছা করে না । ভিক্ষা করে খাচ্ছে উলটা মিথ্যা কথা বলে ।

২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

বাঙলি বলেছেন: ভিক্ষা দেওয়াই উচিত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.