![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি প্রথমে মানুষ, পরে বাঙালি, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি- এই আমার পরিচয়। এ পরিচয় নিয়েই মরতে চাই.........
বিচারধীন সবগুলো অপরাধ (৬১টি) সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও বয়স বিবেচনায় যুদ্ধাপরাধীদের শিরোমণি, পাক হানাদার বাহিনীর প্রধান দোসর, শান্তি কমিটির রূপকার গোলাম আযমকে মৃত্যুদ-ের পরিবর্তে ৯০ বছর কারাদ-ে দ-িত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
সরকার ও আসামি- উভয় পক্ষের আইনজীবীরা এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সরকার পক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন এই রায় গ্রহণযোগ্য নয়, গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তিই প্রাপ্য। তবে আপিল করার ব্যাপারে কিছু জানাননি তারা।
আসামি পক্ষের অসন্তুষ্টিই স্বাভাবিক। তারা রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার ঘোষণাও দিয়েছেন।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এই রায়ের ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণেই তাদের এই নীরবতা তা বোধগম্য।
লক্ষণীয় এবং উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। রায়ের পর দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-হানিফ সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে দেশবাসীকে এই রায় মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়াও, এই রায়ে দেশ ও জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এবং আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম।
দেশের নব্বইভাগ মানুষের প্রত্যাশা ভঙ্গের এই রায়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সন্তোষ প্রকাশ সত্যিই হতবাক করার মতো। তারা কী গোলাম আযমকে প্রকারন্তরে মুক্তি দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করছেন?
সরকারের হাতে এই মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার সময় আছে মাত্র তিন মাস দশ দিন। এর মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করে রায় কার্যকর করতে পারবে না এই সরকার। পরবর্তী সরকার রায় কার্যকর করতে কতখানি আন্তরিক হবে তা নিশ্চিত নয়।
পরিশেষে বলা যায়, সরকারি দল রাজনৈতিক আত্মহননের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে বাঁচিয়ে দিল।
©somewhere in net ltd.