![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি প্রথমে মানুষ, পরে বাঙালি, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি- এই আমার পরিচয়। এ পরিচয় নিয়েই মরতে চাই.........
আজ (রোববার) খালেদা জিয়া অত্যন্ত ক্রুদ্ধ এবং উত্তেজিত... রাগের মাথায় আজকের কর্মসূচির নামই গুলিয়ে ফেলেন...... ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র পরিবর্তে বলে বসলেন ‘ডেমোক্রেসি ফর লংমার্চ’। সাদা চোখে বা সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে তার এই উত্তেজনা এবং ক্রোধের কারণ-- পুলিশি বাধা। পুলিশ তাকে তার কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাসা থেকে বের হতে দেয়নি। রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক.... কিন্তু সত্যিই কি তাই? কারণ আমাদের দেশের রাজনীতির চরিত্র এত সহজ এবং সরল নয়। বরং কুটিল এবং জটিল।
আসুন পুরো চিত্রটি একটু দেখে নেই--- ঢাকা শহরে আজ প্রেসক্লাব, সুপ্রিম কোর্ট চত্বর এবং গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন এলাকাতেই মিডিয়ার প্রধান ফোকাস ছিল। এছাড়া মালিবাগে শিবিরের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে এবং এক স্থানীয় শিবির নেতার মৃত্যু হয়েছে.... আজিমপুর এলাকাতে ১৮-দলীয় সমর্থকদের মিছিল পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মাহলা দলের তিন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ, টিভির ক্যামেরায় হাসিমুখে পুলিশ পিকআপভ্যানে তাদের উঠতে দেখা গেছে।
সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ আজকের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে চত্বর থেকে বের হতে দেয়নি। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে, পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস ছুড়ে তাদেরকে নিবৃত্ত করে। এক পর্যায়ে দেখা যায় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের ব্যানারে সরকার সমর্থিত এক দল বিক্ষুব্ধ বিরোধী নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে হাইকোর্ট এলাকার দিকে হটিয়ে দেয় এবং তাদের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। একটি মটর সাইকেলও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আইনজীবী পরিষদের এই জমায়েতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ওসমান ফারুকও ছিলেন-- দীর্ঘদিন তাকে মিডিয়ার সামনে দেখা না গেলেও আজ তিনি মিডিয়ার সামনে সরকারের দমন-পীড়নের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।
এছাড়া, জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী ও বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের মধ্যেও ইট-পাটকেল বিনিময় হয়েছে। একজন সিনিয়র সাংবাদিক আহতও হয়েছেন।
অন্য দিকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে রাত থেকেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। সরকারের দাবি (সৈয়দ আশরাফ বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান) বিরোধী নেত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। খালেদার বাসভবনমুখী সবকটি রাস্তার মুথে বালুভর্তি ট্রাক রেখে অবরোধ করা হয়। ১০ প্লাটুন পুলিশ মোতাযেন করা হয় বাসভবনের চারপাশে।
দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়া নয়াপল্টন কার্যালযে যাবেন-- এমন খবর প্রচার করে মিডিয়াগুলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বাসা থেকে বের হতে পারেননি। তার বাসভবন থেকে মই-এর সহায়তা প্রদান করে কিছু মিডিয়া কর্মীকে তার বাসভবনে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেন এবং সেই মিডিয়া কর্মীদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি আজকের কর্মসূচি আগামীকালও চলবে বলে ঘোষণা দেন। এছাড়াও, তিনি উত্তেজিত ভাষায় অনেককে বকাবকি করেন, হুমকি দেন ইত্যাদি ইত্যাদি... আমি সেদিকে যাব না।
আমার প্রশ্ন-- সত্যিই কি তিনি নয়াপল্টনের ফাঁকা কার্যালযে যেতে চেয়েছিলেন? তিনি কি সত্যিই শুধু পুলিশি বাধার কারণে এতটা ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন?
এতকিছুর মধ্যে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতাও তার পাশে ছিলেন না, রাজধানীর কোথাও কোনো স্থানে ১৮-দল ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার উদ্যোগ ছিল না....
যানবাহন বিহীন ফাঁকা রাস্তায় রাজধানীর দুর্ভোগক্লিষ্ট কর্মজীবী মানুষের মিছিল।
এমন দৃশ্য নিশ্চয় আশা করেননি বিরোধী দলীয় নেত্রী........... আশাভঙ্গই কি তার ক্রোধ ও উত্তেজনার কারণ নয়?
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
গুগলরকস বলেছেন: আওয়ামী লীগের ৮০০০ লোক আটকাইছিলো। ওনাদের তো সারাদেশে ৮০০০ নেতা করমি আছে কিনা সন্দেহ! আওয়ামী লীগ খুব কমই রিটার্ন দিচ্ছে। নাইলে তো গ্রেনেড মারতো।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
মেনন আহমেদ বলেছেন: আবাল মার্কা পোষ্ট দেন কেন ভাই???
সরকার ইচ্ছেমতো মামলা করছে রাস্তায় নামলে,কেউ রাস্তায় বের হতে পারছেনা।
এভাবে সবাই যদি ধরা দেয় পুলিশলীগের কাছে তো আন্দোলন করবে কারা ???
আপনার মতো অন্ধ পাচাটা আওয়ামিলীগার রা???
অন্ধ না হয়ে চোখটা খোলেন না হলে এসব আপনার ঘাড়েও পড়বে একদিন কারন আপনিও এদেশের একজন নাগরিক।
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৬
ভোরের সূর্য বলেছেন: এতকিছুর মধ্যে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতাও তার পাশে ছিলেন না, রাজধানীর কোথাও কোনো স্থানে ১৮-দল ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার উদ্যোগ ছিল না....
ভাই মনে হয় দেশে থাকেন না অথবা টিভি কিংবা সংবাদ পত্র দেখেন না আর না হলে মিথ্যা বলছেন।
আপনি বল্লেন যে একজন সিনিয়র নেতাও তার পাশে ছিলেন না। কিভাবে থাকবনে?
আর তার পাশে থাকা মানে কি বলতে চাচ্ছেন আপনি।তার পাশে বসে থাকবেন?বা তার বাসায় যাবেন?যদি সেটায় হয় তাহলে কিভাবে যাবে তার কাছে?পুলিশ যেভাবে ঘিরে রেখেছে খালেদা জিয়ার বাড়ী সেখানে কি যাওয়া সম্ভব?আচ্ছা আপনি হয়তো বলবেন তাতে কি।দলের জন্য যাবেন সব ভয়কে জয় করে।
কয়জন সিনিয়র নেতা থাকে একটা দলে?কয়জন সিনিয়র নেতা জেলের বাইরে বলবেন কি?
মওদুদ সহ ৪জন নেতাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর পরে সিনেমা স্টাইলে বিএনপি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হল দপ্তর সম্পাদক রিজভী কে।
হান্নান শাহ কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কালকে মেজর(অবঃ) হাফিজ কে গ্রেফতার করা হল
আজকে সেলিনা রহমান সহ ৩ জন নেত্রি খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে যেয়ে আটক হল।
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত চলে যাবার পর শমসের মবিন চৌধুরিকে আটক করা হয়েছে।
এরা কি সিনিয়র নেতা না?
এছাড়া ফকরুল সহ অন্যান্য নেতাও গ্রেফতার আতংকে আছেন।দল চালানোর মতন নেতা নাই এখন বিএনপিতে।
এর পরেও কিভাবে আপনি মিথ্যাচার করেন যে খালেদার পাশে কোন সিনিয়র নেতা নাই!!!!!!!!
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
বাঙলি বলেছেন: শমসের মবিন চৌধুরী, সেলিমা রহমানরা আটক নন, জেলে আছেন ৭ জন আমি যতটুকু জানি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ১৮ জন, উপদেষ্টা পরিষদে আছেন ৩৪ জন....... কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নেতাকর্মীদের কথা বাদই দিলাম। এছাড়াও ছাত্রদল যুবদল শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ও তাদের নেতাকর্মীরাও তো আছেন, নাকি উনারা শুধু হালুয়া-রুটির ভাগ নেওয়ার জন্য চেহারা দেখান.....
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩১
হুংগা বলেছেন: বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন জননেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া জেএসসি বলেছেন, পাকিস্তান ও বাকশালের আচরনে মর্মাহত।
৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: আরে ছাগল ছানা, দালাল বইলা কি অন্ধ হইয়া গেছো? ঐ বাসায় যে যায় তাকেই তোমার আম্মা জেলে ঢুকায় তা দেখনা ছাগল? পুলিশ-র্যাব এর কয়েকশ সদস্য যেখান ঘিরে আছে তাও মাথায় ঢুকেনা আইছো আতলামী করতে। গেট দিয়ে ঢুকতে দাও না তাই মই ব্যবহার করছে।
সিনিয়র নেতা খালেদার পাশে নাই বলছো, গরু কোন নেতা ঐ বাড়ীর আশেপাশে গেলেই আম্মা বাহিনী ধরে নিয়ে যায় এটাও দেখোনা ছাগল। সর্বশেষ ঘন্টা দুয়েক আগে শমশের মবিন চৌধুরীকে ঐ বাড়ী থেকে বের হবার সাথে সাথে ধরা হলো এরপরও কি প্রশ্ন করে খালেদার কাছে কেউ নাই কেন!
দালাল পেইড ব্লগার জ্ঞান জাহির করে
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩
বাঙলি বলেছেন: বিরোধী নেতা হিসেবে লুকিয়ে না থেকে রাস্তায় নেমে গ্রেফতার হলেই দলের ভাবমূর্তি বাড়তো............. আন্দোলন করবেন আর জেলে যাবেন না...... এটা রাজনীতি নয়
৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনার কথা অনুযায়ী স্থায়ী কমিটির সবাই এবং উপদেষ্টা কমিটির সবাই খালেদা জিয়ার বাড়ীতে যাবেন আর আটক বা গ্রেফতার হবেন তাই না?
আপনি বল্লেন যে খালেদা জিয়ার পাশে নাকি কোন নেতা নাই তাহলে যাদের কথা বল্লাম এবং যারা খালেদা জিয়ার বাড়ীতে যেয়ে বা যাবার সময় আটক হয়েছেন তারা কারা?
মেজ(অবঃ)হাফিজ যে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষনা দিয়েই গ্রেফতার হলেন সেটাকে কি বলবেন?
আর কিভাবে আপনি একটা মিথ্যা কথা বল্লেন যে সেলিনা রহমান বা শমসের মবিন চৌধুরি আটক হন নি? এত টিভি চ্যানেলের সামনে দিয়ে যে পুলিশ ৩জন কে খালেদা বাসায় ঢুকতে দিলনা এবং মাইক্রোবাসে করে নিয়ে গেল।সেটা কি আটক নয়?শমসের মবিন চৌধুরিকেও যে ব্রিটিশ দূত চলে যাবার পর আটক করে নিয়ে গেল। সেটা কি?
ভাই কাল কে কাল এবং সাদা কে সাদা বলার চেস্টা করুন।দয়া করে মিথ্যা বলবেন না এবং নিজেকে হাসির পাত্র করবেন না যেমন আওয়ামীলীগের আশরাফ বলেছেন খালাএদা জিয়া নাকি নিজেই নিজেকে গৃহবন্দী করে রেখে নাটক করেছেন।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
বাঙলি বলেছেন: ৩০ তারিখে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়াটা দেখলেন, আর সঙ্গে সঙ্গে বলে দিলেন তারা আটক হয়েছেন তাই না? আটক করা হলে ৩১ তারিখে শমসের মবিন চৌধুরী নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করলেন কিভাবে? সেলিমা রহমানকে সেদিন আটক করলে গত সাত তারিখে আবার কেমন করে আটক করা হলো, ভোরের সূর্য? নাকি রাতে চোখে দেখেন না, রাতকানা নাকি?
৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭
ভোরের সূর্য বলেছেন: না ভাই রাতকানা না। আর রাতকানা হলেই বা কি।আমিতো আপনার ব্লগ দিনে দেখেছি এবং দিনেই উত্তর দিয়েছি।আপনি সেটাও বুঝেন নাই।ভালভাবে লক্ষ্য করে দেখুন বিকাল ৪:২৮ এ আপনাকে উত্তর দিয়েছি।
যাইহোক আপনি শুধু তর্কের খাতিরে তর্ক করছেন।আপনি কোন যুক্তি মানছেন না এমন কি আপনার কাছে কোন যুক্তিও নেই তাই আপনি আমার উত্তর দেন নাই।আরো মজার ব্যাপারগুলো হচ্ছে যে আমি আপনাকে উত্তর দিয়েছি ১তারিখে এবং এরমধ্যে অলরেডি খালেদা জিয়ার আইন উপদেষ্টাও গ্রেফতার হয়েছেন সেটা নিয়ে কিছু বলেন নাই কারন হয় আপনি জানেন না বা উত্তর দেয়ার কিছু নাই।কারন আপনার লেখা এবং তথ্য অন্তঃসার শুন্য।
আপনি অযথা তর্ক করছেন সেটা আপনার বক্তব্য দেখলেই সবাই বুঝবে। বুঝলাম ১তারিখে আটক হয়েছিলেন সেলিমা রহমান এবং তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।আবার ৭ তারিখে গ্রেফতার হয়েছিলেন কিন্তু পার্থক্য কি?কথা হচ্ছিল যে খালেদা জিয়ার পাশে কেউ নাই এবং গ্রেফতারের ভয়ে কেন নেতারা তার পাশে থাকবেনা। কিন্তু আপনার কথা ভুল প্রমাণিত হইয়েছে।
ভাই,প্লিজ বুঝে শুনে শুধু আওয়ামীলীগ বা বিএনপি বলে কথা নয় বরং নিরপেক্ষভাবে লিখুন এবং তথ্য সংগ্রহ করে লিখুন। তাতে লেখার মধ্যে ম্যাচিউরিটি আসবে। সাদা কে সাদা এবং কালোকে কাল বলতে শিখুন।
আমি না হয় রাত কানা কিন্তু আপনি তো রাতকানা বা দিন কানা নন।তাই তাল গাছটা আমার এই মনোভাব থেকেহে বেড় হয়ে আসুন এবং সুস্থ চিন্তা করতে শিখুন।
ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
আহলান বলেছেন: সরকার সারা দেশের যান বাহন চলাচলের সুযোগ দিক, তারপর দেখেন আশা ভঙ্গ হয় না নৌকার তলা ফুটো হয় .... পুলিশ মিলিটারি দিয়ে গনতন্ত্র রক্ষা হয়?