![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি প্রথমে মানুষ, পরে বাঙালি, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি- এই আমার পরিচয়। এ পরিচয় নিয়েই মরতে চাই.........
সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে লিখব লিখব করে লেখা আর হয়ে ওঠেনি। আমি না লিখলেও অন্যদের আঙুল থেমে থাকেনি, যথারীতি সবাই নিজেদের মতামত (পক্ষে-বিপক্ষে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। এরই মধ্যে কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সিকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও পরিবেশিত সংবাদ নিয়েও অনেকেই গঠনমূলক এবং আত্মসমালোচানামূলক মতামত দিয়েছেন এবং উষ্মা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি দৈনিক ইনকিলাব কার্যালয় থেকে বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবিকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে………….
ন্যান্সি ও রবিউল্লাহ রবির গ্রেফতারির ঘটনা দুটো ভিন্নমাত্রিক হলেও ‘সম্প্রচার নীতিমালা’র সাথে সম্পৃক্ত। তাই আমার লেখার পরিশ্রম আনেকটাই লাঘব হয়েছে……….. বলতে গেলে অন্যান্যদের লেখার উদ্ধৃতি দিয়ে নিজের পাণ্ডিত্য জাহির করার একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই ভূমিকা না বাড়িয়ে সরাসরি মূল প্রসঙ্গে যাওয়া যাক-----
১. আমাদের অনেকের পরিচিত এবং স্বনামধন্য প্রতিবেদক উম্মুল ওয়ারা ‘ন্যান্সিকে নিয়ে উদ্বেগ’ শিরোনামে ফেসবুকে নিচের স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন----
ন্যান্সিকে নিয়ে উদ্বেগ !
‘আরে মেয়েটা ফালতু। ফোন দিলাম, বললো এমনি এমনি ঘুমের ওষুধ খেয়েছি। আসলে তো ঘর সংসারে ঝামেলা। আর কয়টা বিয়ে করবে! বললাম শোনা যাচ্ছে আবার ঘর ভাঙ্গছেন তিনি । নতুন করে প্রেম করছেন।’ এই হলো ন্যান্সিকে নিয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধান। আমার খুব চেনা এক সাংবাদিক বন্ধুকে ন্যান্সির খোঁজ খবর জানতে চাইতেই এভাবে ন্যান্সির কথা বলছিলেন।
গতকাল ন্যান্সিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ী নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে সম্ভবত ন্যান্সির আবার ঘুমের বড়ি বা নিশ্চিত মৃত্যু হবে এমন কোন কিছু খাওয়ার ইচ্ছে প্রবল হয়ে উঠেছে। দু/একজনকে বললাম, আচ্ছা ন্যান্সিতো একজন ভালো গায়িকা। তো এই এতো এতোদিন এই শিল্পীকে কোন বড় অনুষ্ঠানে দেখা যায়না-তখন তো আপনাদের এই উদ্বেগ কাজ করলোনা। কেন তাকে প্রোগ্রাম দেয়া হচ্ছে না- জানতে খোঁজ নিলেন না। আজ অসুস্থ এবং বিপযস্ত ন্যান্সিকে নিয়ে কেন এতো উদ্বেগ! এটা কে বলে গরম খবর। কাটতির খবর। বিকৃত রসের খবর পাঠক পড়তে খুব পছন্দ করে। আমরা সেটাই যোগানদার। কিন্তু একবারও চেষ্টা করি না-পাঠকগুলোকে ভালো পাঠক বানাই । যারা এতো শ্রম সাধনা করে আমাদের জঞ্জাল জীবনে বিনোদন দেয় , তাদের জন্য একটু সহানুভূতিশীল হই। তা না করে এদের জীবনকে অতিষ্ঠ করছি। এটা কি ঠিক।
২. একজন তরুণ উদীয়মান জ্বালানি বিটের রিপোর্টার ইমতিয়াজ ইমতু (ফেসবুকে ‘আখতারুজ্জামান আজাদ’এর একটি নিবন্ধ শেয়ার করেছেন। অনেক চেষ্টা করেও নিবন্ধের বিষয়বস্তুর সাথে অমত করতে না পেরে লিখেছেন-- কটু হলেও তিতা লাগলেও বেচারা খুব একটা মিথ্যা বলেনি ...
আখতারুজ্জামান আজাদ মূলত ন্যান্সিকে নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন অস্বাভাবিক সংবাদ পরিবেশনায় ক্ষুব্ধ হয়েই নিবন্ধটি লিখেছেন---- “অস্বাভাবিক যা, তা হচ্ছে 'সবার আগে সর্বশেষ খবর' জানাতে গিয়ে কতিপয় সাংবাদিকের ও অধিকাংশ অনলাইন পত্রিকার নগ্ন তাণ্ডব। এই বঙ্গদেশে আগে কাকের চেয়ে কবির সংখ্যা বেশি ছিল। ডিজিটাল সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্সের (ডিএসএলআর) এই যুগে এখন এদেশে কবির চেয়ে ফটোগ্রাফারের সংখ্যা বেশি, ফটোগ্রাফারের চেয়ে অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকের সংখ্যা বেশি। আগে এ দেশের প্রতি বর্গমিটার মাটির নিচে পাঁচ জন করে অমর ঘুমোতেন, এখন আমাদের প্রত্যেকের ফ্রেন্ড লিস্টে অন্তত পঁচিশ জন করে অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ঝিমোচ্ছেন। কতিপয় অনলাইন পত্রিকা আছে; যেগুলোর প্রকাশক, সম্পাদক, উপ-সম্পাদক, প্রতিবেদক, বিশেষ প্রতিবেদক, ক্রীড়াপ্রতিবেদক, বিনোদনপ্রতিবেদক থেকে শুরু করে পত্রিকাটির পিওনও একই ব্যক্তি। এসব পত্রিকার কাজই হচ্ছে উদ্ভট-চটকদার শিরোনাম দিয়ে, মৃতকে জীবিত আর জীবিতকে মৃত বানিয়ে, সঙ্গমের দশটি উপায় জানিয়ে কিছু হিট বাড়ানো। ন্যান্সিও দুর্ভাগ্যবশত পড়ে গিয়েছিলেন এক'নায়ক'তান্ত্রিক পত্রিকাগুলোর কবলে। পত্রিকাগুলো জীবিত ন্যান্সির ব্যবচ্ছেদ করেছে, তার 'পরকীয়া' উদঘাটিত করেছে, তার পেটে 'অবৈধ' বাচ্চা আবিষ্কৃত করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি! কিছু পত্রিকা পারলে ন্যান্সির গলধকৃত বটিকাগুলো কোন্ কারখানায় তৈরি হয়েছে, তাও বের করে ফেলত।”
সাংবাদিকতার বিকৃতরূপ দেখে আখতারুজ্জামান আজাদ এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন যে অসৌজন্য ও অশালীন আচরণের কারণে ব্যাপক সমালোচিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীকে সম্ভবত অসচেতনভাবেই সমর্থন করে বসেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘এই যে মিডিয়াতাণ্ডব, এই যে পত্রিকায়-ফেসবুকে চরিত্রহনন; এসব দেখে বারংবারই মনে পড়ে ঐ মাতাল মহসিনের কথা। সমস্ত সাংবাদিকই নিশ্চয় খবিশ-চরিত্রহীন নন। মাতাল মহসিনের খবিশ সাংবাদিক হচ্ছেন ঐ সাংবাদিকটি, যিদি ন্যান্সির পরকীয়া বা পেটে অবৈধ বাচ্চা আবিষ্কার করেছেন; মাতাল মহসিনের চরিত্রহীন সাংবাদিক হচ্ছেন ঐ সাংবাদিকটি, যিনি ন্যান্সিকে চরিত্রহীনা বানিয়েছেন।’
সাংবাদিকতাকে মহান পেশা মনে করা অনেক কর্মরত সাংবাদিকই আজ অপসাংবাদিকতার নগ্ন বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করে হতাশ। অনেক সম্ভাবনাময় নবীন এই পেশা ছাড়ার কথা ভাবছেন।
৩. রকিবুল ইসলাম মুকুলের একটি স্ট্যাটাসে সেই হতাশাই ফুটে উঠেছে। পুলক ঘটকের শেয়ার করা রকিবুল ইসলাম মুকুলের লেখাটিও আমাকে আকৃষ্ট করেছে।
সাংবাদিকতার এমন দুর্যোগপূর্ণ অবস্থান থেকে উত্তরণের জন্য মুকুলে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের প্রতি আকুল আহ্বান জানিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, এর জন্য তিনি একটি পন্থাও বাতলে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন---
“সাংবাদিকদের জন্য একটি এ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল জরুরি।
দরকার সংবাদপত্র ও অনলাইন পরিচালনার নীতিমালারও। বেশিরভাগ সাংবাদিক হয়তো যোগ্য হয়েই পেশায় আসেন। তবে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ নূন্যতম যোগ্যতা ছাড়াই হুট করে ঢুকে পড়েন এই পেশায়। চিকিৎসকদের জন্য যদি বিএমডিসি, ফার্মাসিষ্টদের জন্য ফার্মেসী কাউন্সিল, আইনজীবীদের জন্য বার কাউন্সিল, শিক্ষকদের জন্য শিক্ষক নিবন্ধন এর ব্যবস্থা থাকে, তাহলে সাংবাদিকতায় মানদণ্ড ঠিক রাখতে এমন একটি কাউন্সিল কেন নয়!
নূন্যতম এথিকস না জেনে, শিক্ষায় সুশিক্ষিত না হয়ে- কোনমতে একবার ঢুকে পড়ছেন অনেকে। তারাই তিলকে তাল বানাচ্ছেন। গসিপ করছেন। তুচ্ছ ঘটনায় কারও জীবন নিয়ে রগরগে কাহিনী ফাঁদছেন। সর্বশেষ ন্যান্সিকে নিয়ে যে ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে কোথাও কোথাও- বিদেশে হলে মিলিয়ন ডলার মানহানির ক্ষতিপূরণ দিয়ে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো ওসব সাংবাদিককে। বাংলাদেশ বলে সম্ভব। সরকার বা রাষ্ট্রের টলারেন্সি হয়তো অনেক বেশি। এসব সাংবাদিকের!!!! অনেকে সম্পাদক পর্যন্ত বনে গিয়ে গাড়িতে ভুল বানানে প্রেস স্টিকার লাগিয়ে ঘুরছেন।
আর অনলাইনের তো কোন মা বাপ নেই। প্রতিদিন ফেইসবুকে যেসব লিংক দেখি, দু একটি প্রতিষ্ঠিত ওয়েব পোর্টাল ছাড়া বেশিরভাগই যেন পর্ণো সাইট। এসব তথাকথিত কিছু সাংবাদিকের কারনে পেশাটা সম্পকেই মানুষের ধারণা বদলে যাচ্ছে। এখন আর সাংবাদিকদের পাত্তা দিতে চায়না সাধারণ মানুষও। এসব সাংবাদিকই!!!! কাওরানবাজার, শাহবাগ ঘুরে পরনিন্দা করে বেড়ায়, পরচর্চা করে এখানে সেখানে, সুবিধা আদায়, ধান্দাবাজি, তদবিরবাজি করে বেড়ায়।
আমি এসব বললে কী, আর না বললেই কী! হয়তো ছেড়ে দেয়ার সময় এসেছে এই মহান পেশাটা। এক যুগের বেশি সময় ধরে যা কাছে থেকে দেখলাম- নিশ্চই আমার সে অভিজ্ঞতাগুলো বই লিখে খোলামেলাভাবেই শেয়ার করবো পেশা ছাড়ার পর। তবে কষ্ট হয়। আমার বা আমাদের তো বলা বা লেখা ছাড়া কিছু করার নেই-
সাংবাদিকতায় অগ্রজ যারা আছেন.. অনুরোধ- দয়া করে অপসাংবাদিকতা থামান... আমরাও একযুগ আগে আপনাদের কাছে যেভাবে শিখেছি- বা তারও আগের যে পেশাদারিত্ব সেটি ফিরিয়ে আনুন... সরকারের দরকার নেই- সিনিয়র সাংবাদিকরা মিলেই এমন একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুন- যার সনদ ছাড়া কেউ সাংবাদিক পরিচয় দিতে পারবেন না।
সত্যি বলছি-- নয়তো মানুষ আর আমাদের কারও কথা বিশ্বাস করবে না। ‘খবিশ’ই হবে আমাদের শেষ পরিচিতি।”
এই স্ট্যাটাসটি ডেইলি স্টার রিপোর্টার রাশিদুল হাসানের। সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা তার এই স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেছেন।
৪. রাশিদুল হাসানের স্ট্যাটাস
I can't help writing this post and I urge my seniors to save image of the noble profession, journalism.
Here goes the story.
At the beginning of today's "meet the reporters" program at the Dhaka Reporters Unity, moderator apparently demanded that the guest--Fakhrul Islam Alamgir donate a handsome amount of money to DRU fund.
Moderator: "We need the donation to meet various expenses of our organisation. Although your party is not in power at present, even though I do hope you will announce to donate us a big amount of
At the end of the program, some reporters sitting on the front row told Fakhrul what about the announcement?
Fakhrul: "Oh, sorry. You know it's hard for me to give you a large amount of money. But I will donate you a good amount of money."
Moderator: within how many days?
Fakhrul: within two to three days.
Moderator [with a big smile]: "Although Fakhrul Islam Alamgir could not mention time frame on fall of the government. He mentioned the time of giving us money."
রাশেদের প্রশ্ন: এটা কি চাঁদাবাজী না?
৫. পুলক ঘটক, সাংবাদিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে সর্বদা সোচ্চার এবং গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং অকূতোভয় কলম সৈনিক। তার একটি নিবন্ধের অংশবিশেষ এখানে তুলে ধরলাম--
“ইনকিলাবের মালিক সম্পাদককে সাংবাদিকরা পুলিশে সোপর্দ করবে?
দৈনিক ইনকিলাবে পুলিশী অভিযানের বিরুদ্ধে আমরা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েছি। গ্রেফতারকৃত সাংবাদিকের মুক্তি দাবী করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সংবাদপত্র কার্যালয় থেকে কর্মরত অবস্থায় সাংবাদিক গ্রেফতারের বিরোধীতা করে লিখেছি। এবারে ইনকিলাবের মালিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন সাহেবের প্রতি একটা অনুরোধ জানাচ্ছি। এমন অবস্থা তৈরি করবেন না যাতে করে সাংবাদিকরা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে আপনাকে পুলিশে সোপর্দ করতে বাধ্য হয়। সাংবাদিকরা নিজেদের পেশার মর্যাদা রক্ষা করতে তথা নিজেদের সম্মান বাঁচাতে একদিন এরকম কঠিন উদ্যোগ নিতে বাধ্য হতে পারে।
আপনি অনেক বছর দৈনিক ইনকিলাবের মালিক ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আপনার কাছে জিজ্ঞাসা, পুলিশ বাহিনীতে ”হিন্দু লীগ” প্রতিষ্ঠার কোনও তথ্য কি আসলেই আপনি পেয়েছেন ? একটি নিয়মিত বাহিনীতে এরকম রাজনৈতিক দল কিংবা গ্রুফ তৈরির তথ্য যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে ঐ সংবাদের মূল প্রতিপাদ্য এবং শিরোনাম ‘পুলিশ বাহিনীতে হিন্দু লীগ’- এটাই কি হওয়া উচিৎ নয়?
আপনি কিভাবে এরকম উস্কানিমূলক মিথ্যা বার্তা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারেন?
আপনি যে প্রতিবেদন ছাপিয়েছেন সেখানে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার বক্তব্য নেই কেন? কাউকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তার সম্পর্কে যা ইচ্ছা তাই লেখা যায়? এটা কি সাংবাদিকতা ? পুলিশ বাহিনীর মধ্যে এভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রচেষ্টার দায় কেন আপনার বার্তা সম্পাদক বহন করবেন?”
এখন আমি উপসংহার টানতে যাচ্ছি---
উপরে উল্লেখিত স্ট্যাটাসগুলো বিলাপ করে বলছে আমাদের দেশে সম্প্রচার নীতিমালা কেন প্রয়োজন। যতটুকু জানি—সরকারের কাছে সম্প্রচার নীতিমালার দাবিটা সাংবাদিকরাই করেছিল। সম্ভবত ২০১২ সালের ডিইউজে কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সংখ্যায় সাংবাদিকদের দাবির তালিকায় এই দাবিটিও ছিল।
এখন অনেকেই এর বিরোধ করছেন—নিছক না বুঝে বিরোধিতার খাতিরে। নীতিমালায় কোনো অস্পষ্টতা কিংবা অসামঞ্জস্যতা থাকলে তা ঠিক করার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে……….তাই বলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের আতঙ্ক ছড়িয়ে সম্প্রচার নীতিমালার প্রয়োজন নেই--- এমনটা বলার কোনো সুযোগ নেই।
©somewhere in net ltd.