নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ না আমি কেউ না

খাঁজা বাবা

বল বীর – বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!

খাঁজা বাবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা প্রস্তুতি ও বাস্তবতাঃ ভুক্তভোগীর ফেসবুক ওয়াল থেকে

২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৬


ফেসবুক লিঙ্ক

এই দেশ এই দেশের সিস্টেম একজন নাগরিক হিসেবে কি আমার???? গত ১২ দিন ধরে আমি জ্বর, প্রচন্ড গলা ব্যথা, শুকনা কাশি, কফ, প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট এবং ফাইনালি তীব্র পেট ব্যথায় ভুগছি। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সকল লক্ষণ নিয়ে যখন অপেক্ষা করছিলাম তখন বন্ধুরা জোর করে যোগাযোগ করে IEDCR এর হেল্প লাইনে। তার মধ্যে ইন্ডিয়া থেকে গেস্ট এসেছিল। তাদেরকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিতে গিয়ে তারা বৃদ্ধ মানুষ হওয়ায় তাদের লাগেজের ট্রলিটা খালি হাতে ধরে বোর্ডিং পাসের জন্য ট্রলি ঠেলে নিয়ে গেছিলাম। এরপর ইমিগ্রেশনের গেট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে ফিরে এসেছি।

তখন প্রতিদিন চায়নায় মানুষ মরছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে। কিন্তু আমার তা মাথায় ছিল না। এয়ারপোর্টের ট্রলি জীবন কেড়ে নেয়ার ক্ষমা রাখতে পারে ভাবিনি। এরপর যা হওয়ার হয়েছে।

এটা ছিল ১০ মার্চের ঘটনা। ১২ তারিখে একটা আইসক্রিম খেয়েছিলাম শখ করে, প্রায় সাথে সাথেই গলা ব্যথা শুরু হয়েছিল। এরপর ১৪ তারিখে তীব্র গলা ব্যথা আর শরীর কাঁপিয়ে জ্বর। জ্বরে তেমন কিছু মনে হয়নি, কিন্তু এরকম গলা ব্যথা আমার জীবনে আগে কখনও হয়নি। মনে হয়েছিল কেউ গলা চেপে ধরেছে এবং নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। অথচ আমার চেস্ট পরিষ্কার। দীর্ঘদিন এজমা থাকায় আমি জানি কোনটা এজমার এট্যাক। কিন্তু এটা ঠিক সেরকম ছিল না। তীব্র গলাব্যথার জন্য ছিল এই শ্বাসকষ্ট। আমার খালাতো বোন বারডেমের মেডিসিনের ডাক্তার। আমার ডায়াবেটিসের চিকিতসাও উনি করেন। ওনাকে জানানো মাত্র এন্টিবায়োটিক দেন। খেতে শুরু করি।

কিন্তু শ্বাসকষ্ট থামে না, থামে না তীব্র গলা ব্যথাও। এভাবে ৯ দিন যাবার পর অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হতে শুরু করে। যুক্ত হল নেবুলাইজার। দিনে ৬ বার ইনহেলারের সাথে যুক্ত হয় ৬ বার নেবুলাইজার। কিন্তু এগুলো সবই সাময়িক। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভাল থাকা যায় তারপর যে কে সেই। তীব্র গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পেট ব্যথা, কাশি মাঝে মাঝে জ্বর।

ভাইয়া তার এক বন্ধুর কাছে নিয়ে গেল। সেই ডাক্তার খুবই ইয়ার্কির মুডে জানাল এটা সিম্পল ঠান্ডা জ্বর, করোনা টরোনা নয়। আমার বন্ধু রানু আমার অবস্থা দেখে রেগে টেগে সমস্ত শক্তি দিয়ে IEDCR. এর হেল্পলাইনে যোগাযোগ করে পুরো ইতিহাস বলল। IEDCR কুর্মিটোলা হাসপাতালের এক প্রতিনিধি নাম ফারহা চৈতি উদ্বিগ্ন হয়ে ফোন করলেন। সব শুনে জানালেন ঐদিন রাতেই তারা আমাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাবে কারন আমি করোনা ভাইরাস সাসপেক্টটেড। আমি রাত টুকু সময় নিলাম সব কিছু গোছানোর জন্য। ঠিক হল সকাল ৮ টায় ওনাদের এম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাবে একটা টিম এসে। সারা রাত ঘুমাতে পারলাম না নানান চিন্তায়। সকাল ৮ টার আগে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করলাম। নাহ তাদের কোন খবর নেই। নেই তো নেই। নিজেই সকাল ৯ টার দিকে চলে গেলাম কুর্মিটোলা হাসপাতালে। গিয়ে ডাক্তার ফারহা চৈতিকে (+880 1986-813530) ফোনের পর ফোন করলাম। উনি ধরলেন না। কি করবো কিচ্ছু জানিনা। এখান থেকে সেখান ছুটে বেড়ালাম সেই অসুস্থ শরীরে। ডাক্তার চৈতি ফোন করলেন বেলা ১১:৩০ এ। উনি যে আনতে যাননি বা যাবার কথা ছিল তার ধারপাশ দিয়েও গেলেন না। এদিকে হাসপাতালে প্রচন্ড ভীড়। লোকে লোকারণ্য। গায়ে গায়ে মানুষ বসে আছে এমারজেন্সির সামনে। কোন ডাক্তার নাই। এমার্জেন্সির টিকিট কেটে আমি দূরে দাঁড়িয়ে থাকলাম। আমার প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট আর তীব্র শীতের অনুভূতি হল। আমি উইন্ডব্রেকার পরে যাবার পরও ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপছিলাম। কিন্তু এমার্জেন্সি সার্ভিস বলে সেখানে কিছু নেই। নেই একজনও ডাক্তার। এদিকে অপেক্ষা করছে শত শত নারী পুরুষ শিশু। আর তাদের যা তা ভাষায় ধমক দিয়ে যাচ্ছে আনসার সদস্যরা। আমি দূর থেকে সব দেখছি এবং মনে মনে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি কোন ভাবেই এখানে থাকা যাবে না। লোকে উন্মুক্ত ভাবে হাঁচি কাশি দিচ্ছে, থক থক করে থুতু ফেলে ভরিয়ে দিচ্ছে।

আমার খালাতো ভাই ফোন করলেন এবং অবস্থা জানতে চাইলেন। IEDCR এর চিফ মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরা ওনার পরিচিত। ওনার সাথে যোগাযোগ করলেন। ফ্লোরা ম্যাডাম সাথে সাথে কুর্মিটোলা থেকে বেরিয়ে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে যেতে বললেন আমাকে। ততোক্ষণে আমি ভীষণ ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, ক্ষুধার্ত এবং হতাশ। সময় চেয়ে নিলাম। বাসায় ফিরে আমাকে গোসল করতেই হবে এবং খেতে হবে। তারপর যেতে হবে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে। সেখানে ফ্লোরা ম্যাডাম আমার জন্য সকল ব্যবস্থা করে রেখেছেন।

বাসায় ফিরে ঘন্টাখানিক গোসল করলাম এমন ঘিনঘিনে অনুভূতি হয়েছে কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সুস্থ মানুষ সেখানে অসুস্থ হতে বাধ্য। এরপর তৈরি হচ্ছি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে যাবার জন্য, কিন্তু মন কোন ভাবেই সায় দিচ্ছে না। কারন IEDCR এর প্রস্তুতি নিয়ে আমি ভীষণ সন্দিহান। এরা ঠিক ভাংগা কলসির মত। এরপর মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরা আমার খালাতো ভাইকে জানালেন আমাকে করোনা ভাইরাস সম্ভবত এটাক করেনি। বাইরে বা হাসপাতালে থাকলে আমাকে ভাইরাস এটাক করবে। তাই হাসপাতালে থাকার দরকার নাই। আগে ব্লাড টেস্ট হোক। আমি হাসপাতালে থাকার ব্যাপারে একটুও আগ্রহী ছিলাম না নোংরা পরিবেশ এবং তাদের সার্ভিস কোয়ালিটি দেখে। মনে হয়েছিল ওখানে থাকলে আমি মারা যাব। আমি বাসায় থাকতে চাইলে ফ্লোরা ম্যাডাম রাজি হলেন। সিদ্ধান্ত হল বাসা থেকে আগে টেস্টের জন্য স্যাম্পল কালেক্ট করা হবে এবং আমাকে বাসার ভেতরে ১০০% isolation এ থাকতে হবে। পরের দিন অর্থাত গতকাল বাসা থেকে IEDCR এর লোকজন এসে ব্লাডের স্যাম্পল নিয়ে যাবে। সারাদিন অপেক্ষা। এই আসছি সেই আসছি বলে এখন পর্যন্ত কোন খবর নাই। গতকাল এবং পরশুদিন একাধিক বার তাদেরকে একই তথ্য বার বার দিয়েছি। আসছি আসবো বলে তাদের কোন খবর নাই।

গতকাল সারাদিন রাত তীব্র শ্বাস কষ্টে ভুগেছি। ৮/১০ বার নেবুলাইজ করেছি, ইনহেলার দিয়েছি আর অপেক্ষা করেছি একটা সঠিক ডায়াগনোসিস হোক। জানি কেন এমন সমস্যা হচ্ছে। গলার ব্যথা, শ্বাসকষ্ট পেট ব্যথা কিছুই ঠিক হচ্ছে না।

সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগের ফলাফল যদি এই হয়, তবে ধরেই নিচ্ছি বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ নেই। IEDCR একটা স্টুপিড প্রতিষ্ঠান এবং তাদের চিফ মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরা হলেন সেই স্টুপিড নেতা। আপনারা হেল্প লাইনে ফোন করে দেখেন কি ধরণের ব্যবহার করে এরা। স্যাম্পল কালেকশনের জন্য এই নম্বরে কল করেন 01550064901 দেখবেন একই তথ্য আপনাকে কতবার দিতে হচ্ছে। প্রতিটা হেল্পলাইনে কি ভাবে কথা বলছে এক একজন। ফোন করেন কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে এই নম্বরে Control room Kuwait Bangladesh hospital-01830 769803 দেখেন কেমন ব্যবহার করবে আপনার সাথে।

গতকাল থেকে তীব্র শ্বাস কষ্টে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। নিজে নিজে নেবুলাইজ করছি। হ্যাঁ আমি আর কারো কাছে যাব না। আমার কোন চিকিতসার দরকার নেই। IEDCR এবং মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরার উপর ওহি নাজিল হইসে আমি সুস্থ আছি। তারা এখন বিভিন্ন জায়গার চাপে পরে ব্লাড নিতে আসলে আমি দেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারন টেস্টের রিপোর্ট কি হবে আমি জানি। এবং এও বিশ্বাস করি এই ব্লাড ড্রেনে ফেলে দেয়া হবে এবং বলা হবে আল্লামা মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরাতো আগেই টেস্টের রিপোর্ট জানতেন।

হ্যাঁ আমার কিছুই হয়নি। আমি একদম সুস্থ আছি। এই কয়দিন অসুস্থ হওয়ার নাটক করলাম। নাটকের অংশ হিসেবে দিনে রাতে নিজে নিজে নেবুলাইজ করলাম, ইনহেলারের পর ইনহেলার দিলাম। নাটকের অংশ হিসেবে এখনও ভুগছি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা পেট ব্যথা নিয়ে। IEDCR একটা আল্লা প্রদত্ত প্রতিষ্ঠান। ওনাদের ওপর নিয়মিত ওহি নাজিল হচ্ছে। আর করোনা ভাইরাস তেমন কোন ঘটনা না। এই দেশে জন্মাইসেন এইতো বেশী। এখনও বেঁচে আছেন এইটা বোনাস।

আমি ভীষণ ভাবে বিপর্যস্থ। এরকম দীর্ঘ শ্বাসকষ্ট এবং মানসিক যন্ত্রণায় অনেক দিন ভুগিনি। আমি যদি কোন কারনে মরে যাই সেই দায় আমার, তা রাষ্ট্রের না, IEDCR এর না এবং মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরার মত একজন সুপার ওহিপ্রাপ্ত নারীরও না। মীরজাদি সেবরিনা ফ্লোরা সিম্পিলি একটা সরকারের পা চাটা গোলাম, এটুকু মনে রাখবেন।

বল্টু ভাইরাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কনসার্ন। তাদের ব্যবস্থা করে রেখেছি। পৃথিবীর আর কোন কিছুর প্রতি আমার কোন দায় নেই। আমি এতটা মানসিক ভাবে এবং শারীরিক ভাবে বিপর্যস্থ যে ঠিক জানিনা কি কি ভুল করতে পারি কারন সঠিক ভাবে ভাব্বার মত মানসিক অবস্থায় আমি নেই।

উইশ ইউ হ্যাপি করোনা লাইফ। এই মিথ্যাবাদী, ইতর মানুষের দেশে জন্মে আমি ভীষণ লজ্জিত। এই দলকানা ধর্ম কানা মানুষের দেশে জন্মে আমি লজ্জিত। আমাকে সবাই ক্ষমা করবেন।

পুনশ্চ: লেবু চা গরম চায়ের বয়ান কেউ দিতে আইসেন না। এগুলাই করতেসি। আমি বলতে চেয়েছি একজন নাগরিক হিসেবে আমার সঠিক চিকিতসা পাওয়ার অধিকারের কথা। আজাইরা জ্ঞান দিবেন না। মাথা ভয়াবহ গরম আছে। যা কিছু ঘটায় ফেলতে পারি। কারন এখন আর আমি কিচ্ছু মানবো না। সেই সব ডাক্তারদের জন্যও করুণা যারা ডায়াগনোসিস ছাড়া রোগ নির্ধারণ করে। ঘেন্না ঘেন্না ঘেন্না।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আ্ইইডিসিআর এর এই অবস্থা !!
আল্লাহ ওদের হেদায়েত দান করুন।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: সবাই মিলে সার্কাস করতেছে

২| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

সমূদ্র সফেন বলেছেন: থমকে গেলাম, কি নিদারুণ নিষ্ঠুর কষ্ট, রাগ,ক্ষভ, ও অভিমানের ভিতর দিয়ে আপনার দিন কাটছ্রে। you have Miles to go before you sleep.

২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: রাষ্ট্রের দায়িত্ব মানুষের মৌলিক অধিকার পূরন করা
কিন্তু সংস্থাগুলির নাটক উপহাসের সামিল

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশের বাস্তব চিত্র। বলার কিছুই নাই। X(

২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: আমাদের দেশে ১০ লাখ আক্রান্ত হলেও সেব্রিনা আপার হিসেবে ১০০০ এর বেশি হবে না

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর সাজগোজ করে মিথ্যার বয়ান করে চলে তাদের পেট।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: তারা ঠিক মিথ্যাও বলে না
টেষ্ট করে যেটা ধরা পরে সেটা বলে
বাস্তব হচ্ছে টেষ্টের হার খুব কম।

আর সরকার থেকে বে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তাতে নিয়ন্ত্রনের চেয়ে বরং আরো ছড়াবে।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: এরপরেও এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে অনেকে আবার গোস্যা করছে। মানুষের জীবনের চেয়ে এখানে ইগো মূল্যবান হয়ে দাড়াচ্ছে। সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ লালসালুতে লিখেছিলেন- জান না থাকলে ধান দিয়ে কি হবে?....
এখনও অনেকেই ধান আগলে রাখার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে। নিশ্চয় কম দুঃখে ইটালি ফেরত যুবক ওই কথা বলেনি...

ভদ্রলোকের সুস্থতা কামনা করি।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভদ্রলোকের সুস্থতা কামনা করি
:)

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

রিফাত হোসেন বলেছেন: iedcr এর বক্তব্য কেমন যেন লাগাম ছাড়াই ছিল। ভদ্রমহিলার সুস্থতা কামনা করছি।
ভদ্রমহিলা অনেক কষ্টের মধ্যে আছেন।
তবে উনার রক্তের নমুন দিতে এখন রাজি হয়েছেন।

চিন্তা করছি একজন নারী হয়ে আরেকজন নারীর সাথে এমন আচরণ কিভাবে করতে পারল iedcr প্রধান। :(

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: এটা ফ্লোরা ম্যাডামের দোষ না।
ওনাদের ব্যবস্থা খুবই সীমিত।
কর্তৃপক্ষের দোষ।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবনে ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত কেসের হার খুব কম
সামনে বাড়লে পরিস্থিই ভয়াবব হবে
ওনাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়াস উচিত।
কিন্তু ওনারা কথায় কথায় সময় পার করছেন।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সোহানী বলেছেন: হায়রে দেশ.........

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: সব গুজব

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আমার বিন্দুমাত্র আস্থা নেই।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: ব্যবস্থা খুব সীমিত
ওনারা স্বীকার ও করছেন না, প্রস্তুতিও নিচ্ছেন না
শুধু ফাকা বুলি দিচ্ছেন

৯| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৫

নায়লা যোহরা বলেছেন: এ দেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থার এই করুণ পরিস্থিতি আজকে কালকের না। সব সময়েরই। না জানি কবে দেখতে পাবো অন্য দেশের মানুষ এই দেশে এসে চিকিৎসা সেবা নিবে!!!

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১০

খাঁজা বাবা বলেছেন: আমাদের হয়ত সম্পদের অপ্রতুলতা আছে, কিন্তু সদিচ্ছার অভাব আরো বেশি।
সম্পদ যা আছে তাও লুটপাট চলছে।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছেন নিশ্চই
করোনা মোকাবেলায় তিনি হাসপাতাল বানাবেন, যদিও জরুরি প্রয়োজন ছিল, পি পি ই ও টেষ্টিং কিট।
হাসপাতাল বানালে আবার টেন্ডার হবে, লাখ লাখ টাকায় পর্দা কেনা যাবে।

১০| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ভাই আমাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে একটা মিথ ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে যে করোনা মানে ফ্লু , কিন্তু করোনা কোনোক্রমেই ফ্লু নয় , এটা শুধুই নিউমোনিয়া এবং মারাত্মক খারাপ ধরণের ক্রনিক নিউমোনিয়া যার একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জ্বর আসে , তাই এর ট্রিটমেন্ট প্লান এ শুধুই নিউমোনিয়া এর কথা মাথায় রেখেই করতে হবে , এবং টেস্ট টেস্ট আর টেস্ট , এখনকার স্লোগান হয়ে উচিত ডিটেকশন এন্ড আইসোলেশন , আইইডিসিআর দিনে খুব অল্প পরিমানে টেস্ট করতে পারে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল , এখন মুড়ি কুর্কীর মত করে করোনার টেস্ট করতে হবে , কারণ আমাদের মাথায় রাখতে হবে অলরেডি ভাইরাস কমিউনিটিতে চলে গেছে , যার ভয়াবহ রূপ আমরা এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পাবো !!!!

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪২

খাঁজা বাবা বলেছেন: এটা তো একটা ছোঁয়াচে রোগ নাকি?
টেষ্ট না করে আপনি ট্রিটমেন্ট দেবেন না, মানে আই সি ইউ তে নেবেন না।
টেষ্ট করে ধরা না পরা বা, ডাক্তারের কাছে না যাওয়া মানে আপনার এই রোগ হয় নি
নামে আপনি ইচ্চা মাফিক পুরোপুরি অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছড়াতে থাকবেন এই রোগ।
আমাদের দেশে অল্প পরিমান পরীক্ষা করা হয়েছে, তাতেই আক্রান্তদের মৃত্যু হার ১০ এর বেশি
কিন্তু বাস্তবে আরো বেশি
প্রাথমিকেই যদি এই অবস্তা থাকে, কয়েকদিন পড়ে কি হবে ভীছেন?
সরকারের এই নিয়াম কোন মাথা ব্যথা নাই।
আল্লাহর ওয়াস্তে লাখ লাখ মানুষের জীবন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।

আপনি অফিস বন্ধ ঘোষনা করলেন।
তার আগে যাতায়াত নিয়ন্ত্রন করলেন না।
এখন গ্রাম থেকে গ্রামে রোগটি ছড়াবে।
সেখানকার মানুষ কেউ ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও দেবে না, আর আপনাদের হিসেবে এই মৃত্যু গুলিও আসবে না।
কিছু দিন পর ঘোষনা দেবেন, ইউরোপ আমেরিকার চেয়ে সফল ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে।

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে---

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: :(

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০২

ইফতি সৌরভ বলেছেন: দেখুন, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে কোন নতুন করোনা রোগী পাওয়া যায় নি। তাছাড়া আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে করোনা মোকাবিলায় এবং আমাদের সক্ষমতা দেখে আম্ররিকা ইতিমধ্যে আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছে। করোনা মোকাবিলায় পৃথিবীব্যাপী আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি ......... আর একটু কাঁঠাল পাতা দিবেন, শেষ হয়ে গিয়েছে ।

২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: টেষ্ট না করলে আগামী ২৪ বছরেও কোন রোগি ধরা পরবে না।
আগামীতে বৃহস্পতি গ্রহ থেকেও সাহায্য চেয়ে পাঠাবে আমাদের কাছে।

১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: এটা বাংলাদেশে বেশি দরকার!

২৬ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১০

খাঁজা বাবা বলেছেন: খুবই প্রয়োজন :D

১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

গ্রীনলাভার বলেছেন: এতো অসুস্থতা নিয়ে এতো কিছু লিখেছেন কি করে?

২৬ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১১

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভয় আর ক্ষোভ শক্তি যোগায়

১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনি সেটা মনে করতে পারেন।
আমি ও অধিকাংশ সচেতন মানুষ এটা মনে করে না। প্রথম থেকে উদ্ভট তথ্য দিয়ে আসছিলেন এই প্রধান ব্যক্তি। সীমাবধ্যতা এক ব্যাপার আর অদক্ষতা আরেক ব্যাপার। জনাব ফ্লোরার মন্তব্য খাপছা। এইভাবে রোগ নির্ণয় করা হয় না। আর রোগ নির্ণয় এর কিট বা সরঞ্জাম কোন ভেক্সিন নয়, যে ব্যবহার করতে হবে গুনে গুনে। আক্রান্ত এর রোগের সাথে মিললেই করা যায়, এর সাথে বিদেশ এর কি সম্পর্ক ? প্রবাসীদের দেশে আসার সময় তো টাকা নিয়ে অনেক কে ছেড়েছেন। উনি না করুক, কাজটা অন্য অসাধু কর্মকর্তা করেছেন। কর্মকর্তার সল্পতা আবার দিয়েন না।

উনাদের দায়িত্বশীল হতে হবে।

২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: ওনাদের কাছে সরকার থেকে ক্লীয়ার কন গাইডলাইন ছিল না, এখনো নাই।
আর টেষ্টিং কিট মনে হয় ওনারা রেসনিং করেছে, যেটা ছিল আর একটা ভুল।
শুরুতেই সব আক্রান্ত আইডেন্টিফাই করে আলাদা করে ফেলা উচিত ছিল, ওনারা এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করেতে পারে নাই।
এমন কি এখন পর্যন্ত এরা ভুল করছে।
মনে হচ্ছে সমস্যা সমাধানের চেয়ে জনগনকে অন্ধকারে রাখাই এদের উদ্দেশ্য।

১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: জনাব ফ্লোরার মন্তব্য খাপছাড়া#

২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: ওনাদের নিয়ন্ত্রনের কোন প্রিপারেশান নাই, এমনকি ইচ্ছা আছে বলেও মনে হয় না।

১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সৌজন্যে করোনা চিকিৎসার রূঢ় বাস্তব প্রত্যক্ষ করলাম। কমেন্ট করার ভাষা নেই।
উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা আপু যেন শীঘ্রই সুস্থ হয়ে ওঠেন।

২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: আমারা এখন পর্যন্ত কোন নিয়ন্ত্রনের কোন প্ল্যান করতে পারি নাই
আমাদের প্রশাসনের সেই সক্ষমতা ও ইচ্ছা আছে বলেও মনে হয় না।
আল্লাহর উপর ভরসা করা ছাড়া আর কিছু করার নাই।
এই সমস্যা ব্যক্তি উদ্যোগে সমাধান সম্ভব নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.