নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ না আমি কেউ না

খাঁজা বাবা

বল বীর – বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!

খাঁজা বাবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম বিদেশ ভ্রমন ও বিড়ম্বনাঃ ১

০৯ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:২০



বেশ কয়েক বছর আগে কথা। আমি ও আমার এক বন্ধুস্থানীয় কলিগ সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা দার্জিলিং যাব। কোলকাতা হয়ে যাব, সূতরাং কোলকাতা ও দেখা হয়ে যাবে। ছোট বেলা থেকেই দার্জিলিং দেখার একটা শখ ছিল। তো পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিসা ও বাসের টিকিট কাটা হল। আমরা বাসে করে আমরা গেলাম বেনাপোল, ইমিগ্রেসন পার করে আবার একই কম্পানির বাসে কোলকাতা।

কোলকাতা বা ইন্ডিয়া আমাদের কাছে বিদেশ মনে হয় না ঠিক। একই রকম মানুষ, ভাষা, প্রকৃতি। আলাদা করার যায় শুধু রাস্তার পাশের সাইনবোর্ড দেখলে। আজ এই সফরের বিরম্বনার ঘটনা নিয়ে লিখব।

ঘটনা ১ঃ
আমরা বাস থেকে নেমে শিয়ালদহ স্টেশনে গেলাম শিলিগুড়ির টিকিট কাটতে। ইনফরমেশন সেন্টারে খোজ নিলাম কিভাবে বিদেশিরা টিকিট কাটতে পারে। ইনিফরমেশন সেন্টারে যে মহিলা বসা ছিলেন তাকে খুব হেল্পফুল মনে হল, ভাবছিলাম বাংলাদেশে কোন সরকারী ইনফরমেশন সেন্টারে লোক পয়া যায় কিনা আর পেলেও তার কোন সাহায্য পাওয়া যায় কিনা কখনো।

যাই হোক মহিলা আমাদের বললেন পাসপোর্টের ফটোকপি লাগবে। ফটোকপি কোথায় করা যাবে জানতে চাইলে তিনি পিছনের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন ওদিকে ফটো কপির দোকান আছে। তো আমরা ওনার পরামর্শ অনিয়াযী অই দিকে গিয়ে ফটোকপি করে আবার একই পথ দিয়ে ভিতরে টিকিট কাউন্টারের দিকে আসছিলাম। হঠাত সাদা শাড়ি (ইউনিফর্ম হবে কোন) এক বেটে মত মহিলা আমাদের পাকড়াও করলেন এবং হাত ধরে টেনে একটা রুমের ভিতর নয়ে আসলেন। আমরা বার বার জানতে চাচ্ছিলাম কি হচ্ছে? আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? আপনি কে? সে কোন কথার জবাব দিচ্ছিল না। এক এ তো আমরা মাত্র ২০ মিনিট আগে নতুন একটা দেশে এসে নামলাম, ২য় তো উনি একটা মহিলা। তো আমরা একটু ভরকে গেছিলাম।

মহিলা আমাদের রুমের ভেতর ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে রেখে চলে গেলেন। কিছুই বললেন না। রুমের ভিতর ঢুকে দেখি রুম ভর্তি অনেক লোক আর এক কোন একটা লোহার শিকের গাড়দ। তার মধ্যে উদোম গায়ে কিছু লোক। আমরা রুমের ভিতর থাকা অন্য লোকলের জিজ্ঞেস করলাম ভাই এখানে কেন নিয়ে এসেছে, ঐ মহিলা কে? ওনারা বললেন, ওই মহিলা পুলিশ, আপনারা স্টেশনে হয়ত কোন আইন ভেঙ্গেছেন তাই এখানে নিয়ে এসেছে। আমরা তো আরো ঘাবরে গেলাম, নতুন একতা দেশে এসেই কি আইন ভাংলাম? এমন সময় আর এক পুরুষ পুলিস সম্ভবত এস আই র‍্যাংকের, রুমে ধুকলেন। তো আমরা তাকে বললাম ভাই আমরা বাংলাদেশি, মাত্র ১০ মিনিট আগে বাস থেকে নেমে এখানে এসেছি টিকিট কাটতে, হঠাত এক মহিলা আমাদের এখানে ধরে নিয়ে এলেন। কেন এনেছেন কিছু বুঝতে পারেন নি। তো আমাদের কথা শুনে মনে হল তিনি নরম হলেন একটু, আমাদের পাসপোর্ট দেখতে চাইলেন, দেখালাম। এর পর তিনি আমারদের ছেড়ে দিলেন। আমরা ছাড়া পেয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। আবার যাচ্ছিলাম টিকিট কাউন্টারের দিকে।

পথে সেই মহিলার সাথে আবার দেখা। আমাদের দেখে মনে হল তিনি প্রচন্ড ক্ষেপে গেলেন। প্রায় উরে এসে আবার আমাদের ধরে ফেললেন। বললেন আপনারা কেন বের হয়েছেন? আমরা তাকে বললাম আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। তিনি আমাদের কোন কোন কথাই শুনবেন না, আবার টানতে টানতে নিয়ে সেই ঘরে ঢুকালেন। আমাদের ভাগ্য ভাল সেই এস আই তখনো সেখানে ছিলেন। আমাদের দেখতে পেয়ে মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন ওদের কেন ধরেছ? মহিলা বলল ওরা উলটো পথ দিয়ে ভেতরে ঢুকেছে। এতক্ষনে বুঝলাম আমাদের অপরাধ। আমরা যে গেট দিয়ে ফটোকপি করার পর ঢুকেছি, সেটা এক্সিট। আমরা বললাম আমরা তো নতুন, কোনটা উলটো পথ তা তো আমরা চিনি না, ইনফরমেশন ডেস্ক থেকে আমাদের এই রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে। এস আই তখন বলল এরা বিদেশি, ধরার আগে দেখবে না? মহিলা মনে হল রাগে তখন আমাদের চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে। রাগে গজগজ করতে করতে রুমের দরজা খুলে আমাদের যেতে দিল। আমরাঅ হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।

পরের পর্বে অন্য একটি ঘটনা লিখব একই ষ্টেশনের।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রথম বিদেশ ভ্রমণেই পরবিতো পর- ডাইনীর ঘাড়ে! X(

০৯ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: জেল জরিমানা করতে না পেরে খুবই বিরক্ত হয়েছিলেন :-B :-B

২| ০৯ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌এহহে, আর একটু হইলেইতো ছেড়াবেড়া লাইগা যাইতো!!!
অল্পের উপর দিয়া গেছে।

০৯ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: আসল ঘটনা তো লিখিই নাই।
কাল লিখব :P

৩| ০৯ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


পরে জেনেছেন, রুমে আটকে রেখে কি শাস্তি দেয়া হয় উল্টো পথের জন্য?

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০২

খাঁজা বাবা বলেছেন: ফাইন বা জেল :P

৪| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


জেল থেকে দার্জিলিং আরও সুন্দর।

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৩

খাঁজা বাবা বলেছেন: হাহাহা
সুন্দর সিনেমার নাম। :P

৫| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১০

শাহ আজিজ বলেছেন: শেয়ালদা স্টেশন একটা যন্ত্রনার জায়গা । আমি ক্যান্টনমেন্ট নেমে পাতাল রেলে যাদুঘর নেমে হোটেল খুজতাম । কলকাতায় যেমন সাহায্যপূর্ণ মানুষ পাবেন তেমনি প্যাড়া দেবার কিছু মানুষ আছেই । এরাই সকালে দেবিকে পেন্নাম করে বের হয় কাকে বাঁশ দেওয়া যায় ।

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: কোলকাতার ট্যাক্সি সার্ভিস কে সবার ভাল বলে। তবে আমি যতবার গেছি, আমার অভিজ্ঞতা ভাল না। বাংলাদেশি লোক বুঝতে পারলেই আর মিটারে যেতে চায় না, ভাড়া বাড়িয়ে চায়। অথবা অযথা ঘুরপথে যাবে যাতে টাকা বেশি আসে।

৬| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: শেয়ালদা স্টেশন একটা যন্ত্রনার জায়গা । আমি ক্যান্টনমেন্ট নেমে পাতাল রেলে যাদুঘর নেমে হোটেল খুজতাম । কলকাতায় যেমন সাহায্যপূর্ণ মানুষ পাবেন তেমনি প্যাড়া দেবার কিছু মানুষ আছেই । এরাই সকালে দেবিকে পেন্নাম করে বের হয় কাকে বাঁশ দেওয়া যায় ।

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: :)

৭| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

রশিদ ফারহান বলেছেন: বিড়ম্বনাময় দারুণ অভিজ্ঞতা!

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: অভিজ্ঞতা :-B :-B

৮| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: বিশাল নিয়ম ভেঙ্গেছেন দেখা যাচ্ছে ! জেল জরিমানা হয় নাই এই রক্ষে !! :D

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: বিদেশী বলে পার পেয়েছি :``>>

৯| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কতো বিড়ম্বনায় যে আমাদের প্রতিদিন পড়তে হয় তার হিসেব নেই।

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০০

খাঁজা বাবা বলেছেন: হম, পদে পদে বিড়ম্বনা :)

১০| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে কোনো ভ্রমনই পুরোপুরি আনন্দময় হয় না।

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:০০

খাঁজা বাবা বলেছেন: যা হয়েছে সেটাও একটা অভিজ্ঞতা।
আসলে এক এক দেশের এক এক রকম নিয়ম কানুন।
নতুন কোথাও গেলে সাবধানী হতে হয়।

১১| ০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তারপর কি হলো?

০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: কাল বলব :P

১২| ০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



সাদা পোশাক-পরা মহিলা পুলিশ তো সুস্হ নয়।

০৯ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: ওরা হয়ত ধরতে পারলে তার উপর কমিশন পায় :``>>

১৩| ০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:২৬

গরল বলেছেন: গেট এ যদি লেখা না থাকে এন্ট্রি না এক্সিট তাহলে সেটাতো আপনাদের দোষ না, এই জন্য এসব দেশে বেড়াতে যাওয়াও বিপদ। এর আগেও অনেকের কাছে শুনেছি যে ভারতে ট্রেনেও নাকি ঝামেলা করে, এয়ারপোর্টে ঝামেলা করে, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের। এজন্য ভারতে যাওয়ার কোন ইচ্ছা কখনই হয় নাই।

১১ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:০৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: গেটে হয়ত ছোট করে কোথাও লেখা ছিল, আমরা খেয়াল করি নি।

আগে দিল্লি বা মুম্বাই গেলে বাংলাদেশীদের হোটেলে রুম দেয়া হত না।
আমি একবার এমন ঝামেলায় পড়েছিলাম, সাথে ইন্ডিয়ান থাকায় ঝামেলা উৎরে গেছি।

১৪| ১১ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৫

সোহানী বলেছেন: যা একটু আধটু ভেবেছিলাম সমগ্র ভারত দর্শনে বের হবো, আপনার অভিজ্ঞতা শুনে ইচ্ছা টিচ্ছা উড়ে গেছে। :P

মাপ ও চাই দোয়া ও চাই।

আসলে আমাদের বাংলাদেশীদের কাছ থেকে মাল পানি খুব সহজেই আদায় হয় তা বোঝা যাচ্ছে। তাই তারা সম্ভবত উৎ পেতে থাকে।

১১ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: ওরা জানে বাংলাদেশীরা ওখানে খরচ করতে যায়, তাই কখনো সুযোগ পেলে ছাড়ে না।
তাও ইচ্ছা থাকলে একবার ঘুরে আসতে পারেন। :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.