নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি হলো আমার জগত, আমার মানস ভ্রমণের অখন্ড মানচিত্র । কল্পনার চরিত্রগুলোকে আমি লেখার জগতে বাস্তবতার ন্যায় সদর্পে চারণ করাতে চাই। আমি তাদের হাসি কান্না সুখ দুঃখে তুলির আঁচড় ছুঁয়ে দিয়ে অপছন্দের আঁকগুলো ইরেজার দিয়ে ঘষে তুলে বসাতে চাই কল্পনার রঙ ।

শাফায়াত উল্লাহ রহমত

খুব জটিল,ভীষণ সহজ এবং আবেগী নিতান্তই সহজ-সরল খোলা মনের মানুষ...আমার অভিধানে কান্না বলে কিছু নেই, তবে কষ্ট পাই খুব সহজে... যে যা দেয় তা ফিরিয়ে দেই। সে যদি হয় ভালোবাসা, তবে ভালোবাসা, অবহেলা হলে অবহেলা, কষ্ট হলে কষ্ট... আমার এ নীতি থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্যুত হইনি,হতে চাইও না...।

শাফায়াত উল্লাহ রহমত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় বি,এন,পি চেয়ারপার্সন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, জনসমর্থনই শেষ কথা নয়।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

বি,এন,পি’র নেতারা কথায় কথায় শুধু বলেন জনসমর্থনের কথা কিন্তু তারা উপলব্ধি করতে চান না শুধুমাত্র জনসমর্থন থাকলেই রাতারাতি সবকিছু হাতের নাগালে চলে আসে না। বর্তমান বাস্তবতায় ক্ষমতার পালাবদলে রাষ্ট্রযন্ত্রে যেসব ম্যাকানিজম কাজ করে, তাদের সমর্থনও জরুরি। আজকে বিএনপি ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সাথে জোট করেছে বলে আওয়ামী লীগ তাদের নিয়ে জঙ্গীবাদের ভয় দেখায়। কারণ ওই যে ক্ষমতার পালাবদলে রাষ্ট্রযন্ত্রে যেসব ম্যাকানিজম কাজ করে সেসবের সমর্থন বিএনপি’র পক্ষে নেই। আর সেসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাকানিজম হলো গণমাধ্যম বা ম্যাস মিডিয়া, পুলিশসহ প্রশাসন ও বিচার বিভাগ। এই মিডিয়া বিএনপিকে নয়, আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। ফলে জনসমর্থন বিএনপি’র পক্ষে থাকলেও বিজয়ের ফসল ঘরে তুলতে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয় দলটির। দুটি সুশীল দৈনিক- একটি ইংরেজি ও একটি বাংলা পত্রিকা- বিএনপিকে সমর্থন করছে ভাবলে ভুল করবে বিএনপি। এরা কখনোই বিএনপিকে সমর্থন করে না। করবেওনা। এরা ভিন্ন ইকুয়েশনে নড়াচড়া করছে। আর তার ছিঁটেফোটা তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিএনপি’র গায়ে পড়ছে। আর আমরা ভাবছি এরা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করছে সংবাদ জগতে।



আজকে আওয়ামী লীগের পক্ষে এভাবে গায়ের জোরে সবকিছু করা সম্ভব হতো না, যদি বিএনপি আওয়ামী বিরোধী একটি প্লাটফর্ম না থেকে গত ৩৩ বছরে একটি পার্টি বা দল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারতো। অনেকে হয়ত আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন কেন বি,এন,পি কে এখন দল বলছি না??? কারণ এখনও আমরা চলছি ধার করা নেতাদের দ্বারা। একটা সময় পর্যন্ত আমাদের সেইসব ধার করা নেতাদের ছাড়া চলার উপায় ছিল না কিন্তু এখন সময় এসেছে নিজ দলের অঙ্গ সংগঠনের বাইরে থেকে কাউকে আর দলের স্থায়ী বা নির্বাহী কমিটির সদস্য না করার। যারা ভিন্ন মতাবলম্বী আছেন বা আসবেন তারা দলের উপদেষ্টা কমিটিতে থাকবেন। এভাবে নিজেদের তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতাদের আস্তে আস্তে নীতি-নির্ধারণী কমিটিতে ঢুকাতে হবে। কেবলমাত্র তখনই বিএনপি একটি প্লাটফর্ম থেকে একটি দলে পরিণত হবে। তৃণমূল শক্তিশালী হবে। সাংগঠনিকভাবে দুর্বল এ কথাটি শুনতে হবে না। সবার মনোবল চাঙ্গা থাকবে। ফলে চাইলেই যখন তখন বিএনপি’র ভেতরে হানা দিয়ে দল ভাঙার ষড়যন্ত্র করা যাবে না। দেশের গণতন্ত্রও শক্তিশালী হবে। কারণ যে যতো কথাই বলুক গণতন্ত্রের জন্য দুটি বড় দল থাকা জরুরি। সেটা না থাকলে একটি দল স্বেচ্ছাচারী হয়ে যায়। উদাহরন সরূপ চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মেয়রের কথা বলা যায়। কি লাভ হয়েছে ভিন্ন দল থেকে তাকে বি,এন,পি তে এনে মেয়র বানিয়ে...??

পেশাজীবীদের মাঝে বিএনপি’র অবস্থান

আজকে বিএনপি পেশাজীবিদের আন্দোলনে পাচ্ছে না। জেড এম জাহিদ সহ যাদের কে পাচ্ছে তাদের কে যদি বলা হয় কর্মবর্জনের কর্মসূচী দিতে তাহলে আমি নিশ্চিত ৯৯% কে খুঁজেই পাওয়া যাবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ পায় এবং পাবে। কারণ আওয়ামী পেশাজীবীদের মাঝে দলের বাইরে কোনো কথা নেই। তারা একটি সুবিধা দেয়া বা নেয়ার ক্ষেত্রে লোকটি দলীয় কি না খুঁজে নেয়। ফলে আওয়ামী সুবিধা পেতে হলে একজনকে দৃশ্যমানভাবে আওয়ামী লীগ হতে হয়। আর বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কাউকে কোনো প্রতিষ্ঠানের এমডি বা চেয়ারম্যান বানিয়ে পাঠায় কোনো কর্মী বিচ্ছিন্ন বা দলের প্রতি কোনো দরদ নেই এরকম শীর্ষ কোনো কোনো নেতার রেফারেন্সে। ফলে তারা ওই প্রতিষ্ঠানে এসে নিজের ইচ্ছে মতো লোকদের কাছে ডেকে নেয়। ওমুকের আত্মীয়, তমুকের বন্ধু। অথবা নিজ এলাকার লোক। সরাসরি ঘোষণা দিয়ে দেয়- এখানে কোনো দলাদলি চলবে না। আমি নিরপেক্ষভাবে প্রশাসন চালাবো। তখন ত্যাগী লোকজন কাছেই ভিড়তে পারে না। পাঁচ বছর কষ্ট করে দল ক্ষমতায় আসলো। এখন নিজের দু-একজন লোকের চাকরি, পোস্টিং দেবে। দিতে পারছে না। কেন? এমডি, জিএম বা চেয়ারম্যান কথা শোনেন না। তিনি আছেন তার দেশী বা নিরপেক্ষ অথবা তথাকথিত যোগ্য লোকদের নিয়ে।তাদের কথাই শুনছেন। আবার তাকে কিছু বলাও যাচ্ছে না।কারণ সে বলে সে ম্যাডামের লোক। তারেক রহমান সাহেবের লোক, মহাসচিবের লোক অথবা কোনো মন্ত্রীর লোক অথবা অন্য কোনো দলীয় প্রভাবশালী কারো মাধ্যমে এসেছেন। ফলে আসল বিএনপি সমর্থকরা হতাশ হয়ে পিছু হটে। আর উপরে জানিয়ে যেহেতু লাভ নেই। কারণ উপর থেকে তার প্রতি শতভাগ সমর্থন রয়েছে। এখানকার কথা শুনবে না। এর বাইরে কোনো কোনো নেতা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কোথাও পদ বা অধিপত্য বিক্রি করে। এরা দলের আসল লোকদের কোণঠাসা করে রাখতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। এভাবে ক্ষমতায় থাকাকালে গত জোট আমলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বিএনপিকে দুর্বল করেছে বিএনপি নিজেই। এসব ভুল পলিসি দিয়ে। ফলে সুবিধাবাদীরা এখন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।



আর ত্যাগী ও বঞ্চিতরা অভিমানে। এক পা আগায়, এক পা পেছায়। আবার যদি একই পরিণতি ভোগ করতে হয়- এটা ভেবে। এভাবে কোথাও বিএনপি’র পক্ষে পেশাজীবীদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। বিশেষ করে বিভিন্ন সংস্থা যেমন, ব্যাংক, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, সিটি কর্পোরেশন, সচিবালয় ইত্যাদি জায়গায় কোথাও বিএনপি’র পক্ষে কারো কোনো অবস্থান নেই। এসব প্রতিষ্ঠানে আন্দোলনের ছোঁয়া যতক্ষণ না লাগবে ততোক্ষণ সরকারের টনক নড়বে না।



বিএনপি’র দাবি গণদাবি। তবুও রাজধানীর এসব সেবা বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম কোনো তৎপরতা নেই। সক্রিয় কার্যক্রম তো অনেক দূরের কথা। কারণ এসব জায়গায় ত্যাগী লোক সংখ্যায় কম। তারা সুবিধাবাদী অবস্থানে আছেন। আর বসে বসে সুবিধাবাদের ছক কষে রাখছেন। আমার নজরুল ভাই আছেন। ম্যানেজ করা যাবে। আমার আলাল ভাই আছেন। দেশী মানুষের পক্ষে থাকবেন। আর নোয়াখালী, বগুড়ার লোকজন তো আরো সুবিধাবাদী। তারা ভাবেন বিএনপি’র জন্মভুমিতেই তো আমরা। সুতরাং কিছু না করলেও বিএনপি’র সুবিধা বাড়ি নোয়াখালী বা বগুড়া হওয়াতে পাবোই। এরকম নানা ইকুয়েশন কষছেন সচিবালয় সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার শ্রমিক,কর্মচারী-কর্মকর্তারা। দেখবেন ক্ষমতায় গেলে এসব প্রতিষ্ঠানে বিএনপির লোকের অভাব হবে না। বেশিরভাগই হবে সেই সুবিধাবাদীরা। আর এখন মাঠে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া যেতো। ভূমিকাও থাকতো। যদি তারা জানতো যে বিএনপি থেকে সুবিধা নিতে গেলে বিএনপি’র জন্য দৃশ্যমান কিছু করতে হবে। তা যেহেতু না করেও সুবিধা নেয়ার বা পাবার নিশ্চয়তা আছে তাহলে ঝুঁকি নিতে আমি কেনো যাবো। ক্ষমতায় গেলে এই সুবিধাবাদতন্ত্রের কারণেই বিএনপি সাংগঠনিকভাবে এগোতে পারে না, যা এখন বোঝা যাচ্ছে।ফলে বিএনপি নিজেই নিজেকে দুর্বল রাখতে ভালোবাসে। আওয়ামী লীগের কী দোষ। তারা তো প্রতিপক্ষের দুর্বলতার সুবিধা নেবেই।



আজকে বিএনপি দল না হবার কারণে আওয়ামী লীগ যা খুশি তা করতে পারছে। বিএনপি কিন্তু ক্ষমতায় থাকলে তা করতে পারে না। কারণ আওয়ামী লীগ হলো একটি রাজনৈতিক দল, কোনো প্লাটফর্ম নয়। ফলে তারা সরকারে থাকতে যেমন ইচ্ছে মতো চলতে পারছে, তেমনি বিরোধী দলে থাকলেও পারবে। তাদের আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি তারা একটি রাজনৈতিক দল। আর ক্ষমতার পালা বদলে রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্যতম প্রধান ম্যাকানিজম মিডিয়া তাদের হাতের মুঠোয়। সুতরাং ক্ষমতায় থেকে যতো ভুলই করুক আওয়ামী লীগ-ওই মিডিয়া ম্যাকানিজম তাদের হয়ে তাদের ধোয়া তুলশি পাতা বানিয়ে দেবে। যেমনি ৯৬ সালের আইন-শৃঙ্খলা অবনতি, শেয়ারবাজার লুট, ২০০৬ সালের লগি-বৈঠা তাণ্ডব- সব ভুলিয়ে দিয়েছে এই মিডিয়া ম্যাকানিজম। তেমনি ২০০৯-২০১৩ সালের স্বরণকালের সেরা দুর্নীতি-দুঃশাসনও ভুলিয়ে দেবে মিডিয়া। সময় আসুক। দেখবেন।



অপরদিকে বিএনপি কোথাও শান্তি পাবে না- ক্ষমতায় থাকুক আর বিরোধী দলে থাকুক। কারণ ক্ষমতার পালা বদলে রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্যতম প্রধান এই মিডিয়া ম্যাকানিজম তাদের বিপক্ষে। অথচ তারা এটা উপলব্ধিই করছে না। বিএনপি’র যে মিডিয়া উইং সেটা দেখে মনে হয় এরা চাকরি করছে। একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করছে না। অপরদিকে আওয়ামী লীগের মিডিয়া উইংয়ের সবাই দলীয় কর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ আছেন। আর বাইরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যারা আছেন, তারাও দলীয় ভাবনা থেকেই অকৃত্রিম সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

বিএনপি একটি মিডিয়া প্রতিবন্ধী প্লাটফর্ম। গোটা বিএনপি’তে একজনও সক্রিয় মিডিয়া বিশেষজ্ঞ পাওয়া যাবে না।এ নিয়ে তাদের মধ্যে লক্ষণীয় কোনো ভাবনাও নেই।আজকের বিএনপি’র মূল দল, ছাত্রদল, যুবদল সহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের কেউই মিডিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের সাথে নিবিড় সম্পর্ক বা যোগাযোগ রাখে না।



তারা জানেই না মিডিয়াতে সক্রিয়ভাবে কারা আছে বিএনপিমনা, আর কারা আওয়ামীমনা। বিএনপিমনার সংখ্যা এতো কম কেন? বাড়াতে হলে কী করতে হবে। আওয়ামী লীগ এক্ষেত্রে কী করছে। এসব নিয়ে তারা মাথাই ঘামান না। শুধুমাত্র ক্ষমতায় গিয়ে কয়েকটা চ্যানেল আর একটা-দুইটা পত্রিকা বের করে ওই আওয়ামীমনা সাংবাদিকদের হাতেই তুলে দিয়ে খালাস। একবার জানার চেষ্টাও করে না যাদের হাতে চ্যানেলটা বা পত্রিকাটা দিলাম এরা কোন মাইন্ডের লোক। বিএনপি’র না হোক।অন্তত আওয়ামী ঘেঁষা যেন না হয়। এটাও নিশ্চিত করে না। ভাবে এইতো হয়ে গেছে। আর প্রেস ক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে বিএনপি তৃপ্তির ঢেকুর তোলে।একবার তলিয়ে দেখে না সাংবাদিকতা পেশায় তাদের অধিকাংশের অবস্থান কোথায়। সে জন্যই রাতারাতি ৭১ টিভি দ্বিতীয় বিটিভি হয়ে যায়, কেউ তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না। অথচ এনটিভি, বাংলাভিশনকে প্রতিদিন পেশাদারিত্ব বা নিরপক্ষেতার প্রমাণ দিতে হয়।



অপরদিকে আওয়ামী লীগের অত্যন্ত শক্ত অবস্থান রয়েছে মিডিয়াতে। এখানে বিএনপি’র অনেক শেখার আছে আওয়ামী লীগের কাছে। তারা খোঁজ নেয়। এ রিপোর্টার বা সাংবাদিকটা কোন মাইন্ডের। আমাদের কী না।এটা জানতে তারা তাদের সিনিয়র সাংবাদিকদের সহযোগিতা নেয়, যারা বিভিন্ন কাগজে বা চ্যানেলে হয় এডিটর, চিফ নিউজ এডিটর, নিউজ এডিটর, চিফ রিপোর্টার, সিনিয়র রিপোর্টার, স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।এরাই ক্লিয়ারেন্স দেয়। তারপর তারা কাছে টেনে নেয়। এভাবে শুধু মূল দল নয়, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগসহ সব অঙ্গ সংগঠন মিডিয়ার সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখে।এ জন্যই আওয়ামী লীগ চাইলে বাংলাদেশে রাতকে দিন আর দিনকে রাত বানিয়ে ফেলতে পারে।



একটি দেশের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয় গণমাধ্যম কে, যা দেশের উন্নয়নে, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় প্রহরীর ভূমিকায় থাকে। অথচ বাংলাদেশের মূলধারার মিডিয়া মূলত একটি বিশেষ দলের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে। আর এ দলটি হলো আওয়ামী লীগ। আর মিডিয়াপ্রতিবন্ধী বিএনপি এ নিয়ে টু শব্দটিও না করে একাধারে নিজেদের, বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রের সর্বনাশ করছে।



আজকে মিডিয়ার একপেশে ভূমিকার জন্য অন্যতম প্রধান দায়ী বিএনপি। তাদের মিডিয়া মূর্খতা।বলে রাখি এখন মিডিয়া আওয়ামী এজেন্ডার বাহক হিসেবে বিএনপি’র আন্দোলনকে দুর্বল করতে সহিংসতার নামে খুবই উদ্বেগ দেখাচ্ছে। আবার রাস্তায় নেতারা কেন নামে না সে প্রশ্নও তুলছে। পুলিশ কেন নামতে দিচ্ছে না? এখনো নির্বাচনকালীন সরকারের পুলিশ কেন বিএনপি’র সাথে সেই আগের মতোই আচরণ করছে? কেন পুলিশ গুলি করা বন্ধ করছে না? সব ককটেলই আন্দোলনকারী বিরোধী দল মারছে? সাধারণ মানুষের ওপর বা সংবাদ মাধ্যমের উপর ককটেল হামলা বা আক্রমণ তৃতীয় কেউ বা সরকারের কোনো এজেন্ট করছেনা তো? এটা বের করার দায়িত্বও মিডিয়ার। অথচ এসব প্রশ্ন বাদ দিয়ে আন্দোলনটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তারা এখন ‘মিডিয়ার ওপর হামলার কথা বলে’ বিএনপি’র বিরুদ্ধে মিডিয়াকে আরো ক্ষেপিয়ে জনমত আওয়ামী লীগের পক্ষে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মনে রাখতে হবে এরা এমপি কামাল মজুমদারের নিজ হাতে আরটিভির মেয়ে রিপোর্টার অপর্ণা সিংয়ে হাতভাঙার প্রতিবাদ করে না। কিন্তু এদের হেফাজতের সমাবেশে কোনো এক নারী রিপোর্টারের সাথে অসদাচারণের সোচ্চার প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। দুটোই অন্যায়। অথচ এরা অন্যায়ের সংজ্ঞা নিজের মতো করে তৈরি করছে। নিজের ইচ্ছে মতো একটার প্রতিবাদ করে, অন্যটা এড়িয়ে যায়। এতোটাই দলকানা এরা সাগর-রুনির রক্তের উপর দাঁড়িয়েও এখনো সরকারের দালালি করে। এখন এদেশে মিডিয়ার তথ্যনাশকতা চলছে। এটা বিএনপি’র দুর্বলতার কারণেই বেশি হচ্ছে। এই দলবাজ মিডিয়া কিন্তু বহির্বিশ্বে মেসেজ পাঠাচ্ছে জামায়াতের সংস্পর্শের কারনে বি,এন,পি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট নাশকতা বা সহিংসতা চালিয়ে দেশে উগ্রবাদের জন্ম দিচ্ছে। যদি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়, তারা কী কী ভাবে সহিংসতা করছে, জবাব হলো ঝটিকা মিছিল, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ, নিজেদের নেতাদের গ্রেফতার বা হত্যার প্রতিবাদে হরতাল, গাড়িতে আগুন, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ বা পুলিশের ওপর হামলা। হাতে অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে এরকম ছবি বা ফুটেজ নেই। এটা কারা করছে? ছাত্রলীগ- যুবলীগ। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করছে। পুলিশ পাশে থাকছে। চাপাতি দিয়ে কোপাচ্ছে। পুলিশ পাশে আছে। একবারও মিডিয়া বলছে না যে মিছিল, মিটিং অবরোধ, হরতাল বিরোধী লের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেখানে সরকারি দল কেন তাদের মুখোমুখি সশস্ত্র অবস্থান নিচ্ছে? কেন তাদের উপর হামলা করছে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এটা দেখবে। সরকারি দল হামলা করাতে তো পরিস্থিতি সহিংস হচ্ছে। আর এ সহিংসতার দায় তো সরকারি দলের। পাশাপাশি পুলিশও প্রথমবারের মতো দেশে সরাসরি গুলি করছে। কোনো মিডিয়া পুলিশের সে গুলি নিয়ে স্পটে প্রশ্ন তুলছে না । আবার গুলি করার ফুটেজ বা ছবিও বেশিরভাগ মিডিয়া এড়িয়ে যাচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগের সুরে সুর মিলিয়ে হঠাৎ জনদরদী হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সমস্যাটার মূলে তারা ইচ্ছে করেই যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের সুবিধার্থে তা জিইয়ে রাখছেন।



আজ পর্যন্ত বিরোধীদলের একজন কর্মীও রাস্তায় অস্ত্র হাতে পাল্টা পুলিশকে বা সরকারি দলের লোকজনকে গুলি করেনি। সেটাও মিডিয়া উল্লেখ করছেন না। তাহলে তারা কী করবে? শুধু মার খাবে। সহিংসতা বা হত্যাকাণ্ডের মূলে হচ্ছে পুলিশ আর সরকার দলীয় সশস্ত্র ক্যাডাররা। অথচ মিডিয়া পুলিশের সরাসরি গুলি করা নিয়ে একবারও প্রশ্ন তুলছে না। উল্টো বিদেশে ম্যাসেজ যাচ্ছে বিরোধী দল রাজপথে সহিংসতা করছে। আর বিদেশীরাও তা বিশ্বাস করছে। সেটা তাদের বিবৃতি দেখলেই বোঝা যায়, ‘আন্দোলনের নামে সহিংসতা কাম্য নয়। সব দলকে সহনশীল হতে হবে। আমরা সহিংসতার বিপক্ষে’- এসব কথাই তারা সব সময় বলে।



দেখুন কী অবস্থা! মার খেলেন আপনারা, জীবন যাচ্ছে আপনাদের কর্মীদের। গুলি করে মারছে হয় পুলিশ নয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ। আর মামলাও হলো আপনাদের মানে বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। আবার বিদেশে ম্যাসেজ যাচ্ছে বিরোধী দল আন্দোলনের নামে দেশে সহিংসতা চালাচ্ছে। এবার আপনি কি হাসবেন, না কাঁদবেন?



সশস্ত্র সরকারি দল মাঠে নেমে সহিংসতা উসকাচ্ছে বা ছড়াচ্ছে। সরাসরি হামলা করছে। গুলি করছে। সেই সংবাদ বিদেশীরা পাচ্ছে না। কী আর বলবো বিএনপি’কে। বাংলাদেশে বড় বড় দেশের দুতাবাসের প্রেস উইং এ কাজ করা লোকগুলো পর্যন্ত আওয়ামীমনা, বিএনপিবিরোধী, যা বিএনপি’র কারো মাথায়ও নেই।



গত পাঁচ বছরে সরকার দলীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। তারা এবং র্যাব-পুলিশ দিয়ে শতো শতো বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের কুপিয়ে, গুলি করে হত্যা করেছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ নিজেরা প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজী করেছে। এক রানা প্লাজার রানাই দেড় হাজার মানুষ হত্যা করেছে বা হত্যার জন্য দায়ী। এর প্রত্যুত্তরে ছাত্রদল বা যুবদল কিছুই ফেরত দেয়নি ছাত্রলীগ, যুবলীগকে। তবে শিবির করেছে।



মিডিয়ার কল্যাণে ছাত্রলীগের বিশ্বজিৎ হত্যা, জাহাঙ্গীরনগরের মেধাবী ছাত্র জুবায়ের হত্যা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র ছাত্র ফারুক হত্যা সহ অসংখ্য হত্যাকাণ্ড চাপা পড়ে গিয়েছে। সেটা কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতেই চাপা পড়ে গেছে। কে চাপা দিয়েছে? একপেশে আওয়ামীপন্থী মিডিয়া। বহির্বিশ্বের কাছে ম্যাসেজ হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে সহিংস দল জামায়াত- শিবির। আর এ জন্য বিএনপি’কে পদে পদে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। এ বদনামের তোকমা গায়ে প্রতিনিয়ত লাগছে। অথচ বাস্তবতা হলো গত পাঁচ বছরে, যেমন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে তেমনি ছাত্রলীগ, যুবলীগের হাতে শতো শতো বিরোধী দলের নেতাকর্মী গুম, হত্যার শিকার হয়েছেন। কিন্তু বিএনপি যদি মিডিয়ার এ অপসাংবাদিকার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতো তবে তারা বাধ্য হতো কিছুটা হলেও পক্ষপাতমুক্ত সাংবাদিকতা করতে। আর এতে বহির্বিশ্বে একপেশে সংবাদ কিছুটা হলেও কম যেতো। বিএনপি বোঝে না যে এক আমার দেশকে বলা হতো বিএনপি’র পত্রিকা। তাহলে বাকি সব কী নিরপেক্ষ? না আওয়ামীমনা পত্রিকা? আওয়ামী লীগ কি কোনো বিবেচনা ছাড়াই নিজেদের দলের নামে কোনো কাগজ রাখেনি। নিশ্চয়ই না। আওয়ামী ভালো জানে যে একটি দলীয় পত্রিকা না রেখে সব পত্রিকায় নিজেদের লোক ছড়িয়ে দিলে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার নামে ‘সেইরাম’ সেবা পাওয়া যাবে।



আমেরিকা মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ওসামা বিন লাদেন কে। সে ভালো কি মন্দ সেটা ভিন্ন আলোচনা। আমি বলতে চাচ্ছি সেই লাদেনের সাথেও সিএনএন, বিবিসি, আল জাজিরা সহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম কথা বলেছে। অথচ দেখবেন, গত পাঁচ বছরে কোনো চ্যানেলে জামায়াত বা শিবিরের একজন নেতাকেও একবারের জন্যও কোনো টক-শোতে এনে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়নি।

পুলিশ গুলি করে শতাধিক মানুষ মেরে ফেলল। আর পত্রিকা, টিভিগুলো নিউজ দেয় জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে নিহত ৭০ বা ১০০। আর মিডিয়ার এ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না বিএনপি। অথচ ভারতীয় মিডিয়া দেশের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে তাদের সাংবাদিকতা চালায়। আর বাংলাদেশের মূলধারার সব মিডিয়া একটি দলীয় স্বার্থকে সমুন্নত রাখতে দেশের স্বার্থকে বিসর্জন দেয়।



আর এটা বেশি বেশি করতে পারছে এই সবদিক থেকে ভোতা বানিয়ে রাখা বা ভোতা হয়ে থাকা বিরোধীদল বিএনপি’র কারণে। একটাও নেতা নেই মিডিয়া নিয়ে কথা বলার। আর সাংবাদিকতার নামে যাও দু’একজন যুক্ত আছেন। তারা আবার আসল কাজ বাদ দিয়ে এমপি, মন্ত্রী হবার স্বপ্নে বিভোর। এরা না সাংবাদিকতাটা করছেন ঠিকমতো, না বিএনপি’কে যথাযথ মিডিয়া উপদেশ দিচ্ছেন। কিছুই করছেন না। কিন্তু সাংবাদিকতার তোকমা গায়ে লাগিয়ে দলটির সর্বনাশ করছেন। কারণ দলটি মনে করছে আমার সাথে তো সাংবাদিকদের একটি অংশ আছেই। কিন্তু বিএনপি একবারও ভাবার প্রয়োজন মনে করে না যে সাংবাদিকতায় সফল সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, রাহাত খান, আবু হাসান শাহরিয়ার, মোজাম্মেল বাবু, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, অমিত হাবিব, মুন্নী সাহাসহ অন্যান্যদের অবস্থান কোথায়। আর বিএনপিপন্থীতের অবস্থান কোথায়। বিএনপিপন্থী সাংবাদিক হিসেবে যাদের নাম আসে কেউ বলতে পারবে তারা কোন কাগজের সাংবাদিক অথবা যে কাগজে আছেন, তা কেউ পড়ে বা জানে? তারা হয়তো ভূমিকা রাখছেন। সেটা কতোটুকু? এর বাইরে আরো প্রচুর নাম বলা যাবে, যারা সাংবাদিকতার মাধ্যমে তাদের বিবেচনায় ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের’ শক্তির সাথে রয়েছেন। আর জাতীয়তাবাদীমনা সাংবাদিক কে কোথায় আছে দিনের বেলায় হ্যারিকেন দিয়ে খুঁজতে হবে। তাও কাগজের নাম খুঁজে পেতে কষ্ট হবে। এক মাহমুদুর রহমানকে টিকতে দিতে চায়নি দলকানা সাংবাদিক সমাজ। কিন্তু মাহমুদুর রহমান একজন প্রকৌশলী। তিনি কেন মিডিয়ায় আসবেন। কারণ তিনি এ জায়গায় জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসীদের শূন্যতা দেখতে পেয়েছেন বলেই এসেছেন। এ সিন্ডিকেট এতোই শক্তিশালী যে ফরহাদ মজহারের মতো মানুষকে গিলে ফেলতে চায়। তবে এটা ঠিক যে, বিএনপি যে রাজনীতি করে তাতে তার প্রতি কারো পক্ষপাতের খুব একটা দরকার নেই। দরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা বা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকার। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি ফাউল খেলে যে দলটি সেটা হলো আওয়ামী লীগ। আর তার তুলনায় ফেয়ার প্লেয়ার ট্রফি পাবে বিএনপি।সুতরাং বিএনপি নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার দাবিটা করলেই একটা ভারসাম্য আসতে বাধ্য।

দল ক্ষমতায় থাকা কালীন কতগুলি টিভি বা পত্রিকার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে বোধকরি তা স্বয়ং খালেদা জিয়াও বলতে পারবেন না। কোথায় সেইসব মিডিয়া আর কোথায় তাদের সেই সব তথাকথিত বি,এন,পি মনা সাংবাদিকরা...????



এর উত্তর সেইসব লাইসেন্সধারীদের পক্ষের তদবিরবাজদেরও জানা নেই ফলে রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগকে ছুঁতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে বিএনপি’কে। সেটা তাদের ভেতর থেকে জন্ম নেয়া নেতৃত্ব ছাড়া, ধরে এনে বানানো নেতা দিয়ে সম্ভব হবে না।



একজন ভিন্ন দলের লোককে এনে বা ব্যবসায়ীদের মনোয়ন না দিয়ে নিজের দলের একজন ত্যাগী স্থানীয় নেতাকে মনোনয়ন দিয়ে এমপি/ উপজেলা চেয়ারম্যান বানাতে হবে। এতে দল শক্তিশালী হবে। গ্রুপিং আপনা আপনি নির্মূল হয়ে যাবে। হঠাৎ বৃষ্টির মতো, হঠাৎ বিএনপি নেতা বানানো বন্ধ করতে হবে। কারণ বিএনপি এভাবে দীর্ঘদিন প্লাটফর্ম হিসেবে চলতে থাকলে সেই দিন বেশি দূরে নয় যে, এ প্লাটফর্ম ভেঙে একদিন খান খান হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে এখনো বিএনপি হলো মূলত নীরব জনসমর্থন আর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফাউল খেলার প্রতিবাদ স্বরূপ দেয়া ভোটারদের ভোটে টিকে থাকা একটি প্লাটফর্ম। এবার সময় এসেছে নিজস্বতা তৈরি করে দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার। নইলে আর একটা ঝড় আসলে বা আওয়ামী লীগসহ তাদের নেপথ্যের কারিগররা অদূর ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে এ প্লাটফর্মটিকে গুড়িয়ে দেবে। বিএনপি’কে সুদূরপ্রসারী কৌশল নিয়ে এগুতে হবে দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর কল্যাণে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.