নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব জটিল,ভীষণ সহজ এবং আবেগী নিতান্তই সহজ-সরল খোলা মনের মানুষ...আমার অভিধানে কান্না বলে কিছু নেই, তবে কষ্ট পাই খুব সহজে... যে যা দেয় তা ফিরিয়ে দেই। সে যদি হয় ভালোবাসা, তবে ভালোবাসা, অবহেলা হলে অবহেলা, কষ্ট হলে কষ্ট... আমার এ নীতি থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্যুত হইনি,হতে চাইও না...।
যারা গেছেন তারা নিশ্চই জানেন যে প্রথমে জাহাজে করে সবাইকে সেন্টমার্টিন ফেরীলাইনে নামিয়ে দেয়া হয়। আর সেখান থেকে পায়ে হেটে ব্রীজটা পার হয়ে এসে নামতে হয় সেন্টমার্টীন দ্বীপে।
এখানে নামলেই হাতের ডানদিকে যে বীচ টা দেখা যায় প্রায় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সবাই এই বীচ ধরে হাটি এবং ব্রীজের গোড়ার দিক থেকে পানিতে নামি আর কিনারা ঘেষে ডান দিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি।।
পানিতে একবার নেমে পড়োলে আমরা আর কেউই কিন্তু বালিতে উঠে আসতে চাইনা সামনে এগুতে থাকি পানি ধরেই। ঠিক সোজা সামনের দিকে এগিয়ে গেলে এবার দ্বীপটা হাতের বা দিকে টার্ন নেয়। ঐ জায়গাকে বলা হয় “জিনজিরা উত্তরপাড়া” স্থানীয়রা বলেন উত্তর বীচ।।
দুইদিকের পানির স্রোত এবং ঐ ত্রিকোনাকৃতির মধ্যস্রোত এই জায়গাটিতে মিলিত হয়েছে এবং ত্রিমুখি স্রোতের কারনে পানির চাপ খুব বেশী ওখানটায় এবং চাপটা নিন্মমুখি।
স্থানটা দেখতে অনেকটা লম্বাটে খালের মত, আর এই ত্রিমুখি স্রোতের কারনে অনেক জায়গাজুড়ে বড়সড়ো গর্ত তৈরী হয়েছে। আমরা অনেকই এই বিষয়ে জানিনা এবং কোন নির্দেশনা নেই বলেই আমরা সাতার কাটতে কাটতে এই টার্ন দিয়েই বা পাশের বীচের দিকে এগুতে থাকি, আর তখনি কিছু বুঝে উঠার আগেই সমুদ্রের অতলে হারিয়ে যায় অনেকেই। আবার দ্বীপে গিয়ে বন্ধুদের সাথে কিছুটা নিরিবিলিতে পানিতে নামার লোভেও অনেকে এই স্থানটা বেচে নেয়। সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল আহছান উল্লাহ ইউনিভার্সিটির এতগুলো ছাত্র অকালে প্রাণ হারালো ওই স্থানেই।
ভেবে দেখুন সব বন্ধু পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে আর চোখের সামনে মায়াবী নীল পানি গ্রাস করে নিচ্ছে কাছের বন্ধুকে !! কতটা লোমহর্ষক!! ভাবতেই গা শিউরে উঠে।
সেন্টমার্টিন নেমে প্রথম বীচে হাটা শুরু করলেই কয়েক মিনিট পরেই এই অভিশপ্ত জায়গা অর্থাৎ অনেক কাছেই।ওখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে হতে কিছু বুঝে উঠার আগেই হয়ত ভুলবশত আপনিও পা দিতে পারেন এই জায়গাটিতে!! কারন নীল পানির আচ্ছাদনে আলাদা করে বোঝার কোণ উপায়ই নেই।
খুব নাড়া দিয়ে উঠলো আর ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করতেছে আমাদের নিষ্ঠুর বিবেক কে, এতটা নিশ্চিত জানা সত্তেও ওখানকার প্রশাসন কোণ ব্যবস্থা নেয়নি এই অভিশপ্ত জায়গা সম্পর্কে !!
প্লীজ সবার কাছে অনুরোধ রইলো এই স্থানটা সম্পর্কে আপনার কাছের সবাইকে সচেতন করে দিন। ছবিগুলো ভালো করে দেখে নিন আর আপনার পরিচিত যারা যাচ্ছেন তাদের ভালো করে অই জায়গা সম্বন্ধে বুঝিয়ে দিন, জীবন মৃত্যুর মালিক আল্লাহ্ যদি আর একটি প্রাণ ও বাঁচে আপনার এই ছোট্র কাজ থেকে তাহলে অনেক বেশী উপকৃত হবেন।।
লিংক : Click This Link
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২২
বিডি আইডল বলেছেন: ওইখানে না গেলে কি হয়? বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সমুদ্র সৈকত হইলো টেকনাফ। কয়টা লোক যায় ওইখানে?
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ভাই, সুইমিংপুল এমনকি বাসার বাথটাবও মৃত্যু ফাঁদ হতে পারে সাবধান না হলে। এর জন্য ওখানে না যাওয়াটা কোন সমাধান না, সমাধান হলো সাবধান থাকা।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
ফিলিংস বলেছেন: ধন্যবাদ, সচেতন মুলক পোষ্টের জন্য।
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬
নিজাম বলেছেন: সবাই সচেতন হোক।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৭
আহলান বলেছেন: জি, ধন্যবাদ