নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব জটিল,ভীষণ সহজ এবং আবেগী নিতান্তই সহজ-সরল খোলা মনের মানুষ...আমার অভিধানে কান্না বলে কিছু নেই, তবে কষ্ট পাই খুব সহজে... যে যা দেয় তা ফিরিয়ে দেই। সে যদি হয় ভালোবাসা, তবে ভালোবাসা, অবহেলা হলে অবহেলা, কষ্ট হলে কষ্ট... আমার এ নীতি থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্যুত হইনি,হতে চাইও না...।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দেশ প্রেম নিয়ে আমার কখনো কোন সন্দেহ ছিল না এখনও নেই। ৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বীর সদ্যসদের বীরত্বগাঁথা আমাদের সকলেরই যেমন জানা আছে ঠিক তেমনি জানা আছে ১৯৯১ এ মিয়ানমার সীমান্ত বা ২০০১ এর পাদুয়া-রৌমারী সীমান্ত যুদ্ধে বিজয়ের ইতিহাস...
জাতি হিসেবে আমাদের দেশের সর্বস্তরের মানুষ যুদ্ধ মনভাবাপন্ন না হলেও যুদ্ধ লেগে গেলে বা দেশের স্বার্থে যুদ্ধে অংশ নিতে কখনো পিছু হটেনি। স্বাধীন সার্বভৌম রাস্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর হতে দেশের সীমান্ত রক্ষায় যেমন বি,ডি,আর জওয়ানরা জীবন দিতে পিছু হটে নাই ঠিক তেমনি স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের কোন সরকারেরই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বাজেট বাড়ানো ছাড়া কমানোর নজীর নেই...
পূর্ববর্তী সকল সীমান্তযুদ্ধে বা উত্তেজনায় আমরা দেখেছি আমাদের একজন জওয়ান আহত হলে বা তাদের দিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হলে বিনিময়ে প্রতিপক্ষের একাধিক লাশ বা পলায়নের ইতিহাস... গত ২৮ মে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাতৃভুমির ভুখন্ড রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিজিবি ও বিজিপির সদস্যরা নিয়মিত টহলে বের হয়েছিলো। টহলের এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা ৫২ নমবর সীমান্ত পিলারের কাছে পৌঁছানো মাত্র বিজিবি সদস্যদের ওপর বিনা উস্কানিতে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে মিয়ানমারের বিজিপি। এ ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন নায়েক মিজান। মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। এলাকায় ছড়িয়ে থাকা রক্ত মাখা মাটিই বলে দেয় গুলি লাগার পর তার দেহটি এ দেশের মাটিতে পড়েছিল। পরে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা নায়েক মিজানুরের নিথর দেহটি নিয়ে গেছে বলে বিজিবির একটি সুত্র নিশ্চিত করে।
আমার প্রশ্ন হল আমদের বিজিবিতো মিয়ানমারের সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে নাই, তারা তাদের সীমান্তেই ছিল এবং মিয়ানমারের বিজিপি অন্যায় ভাবে গুলি ছোড়ার পর মিজান এই দেশের মাটিতেই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তা হলে গুলিবিদ্ধ বা মৃত মিজানকে কেমন করে তারা তাদের ক্যাম্পে নিয়ে গেল...??? এবং নিয়ে যাবার সময় তার অপর সঙ্গীদের ভুমিকা কি ছিল...??? তারা কি সন্মুখ যুদ্ধে ভয় পেয়ে নিজের জীবন নিয়ে পলায়ন করেছিল...??? নাকি বিজিপির অন্যায় গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে পাল্টা জবাব দেয়ার সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায়ও মিজান গুলি ছুড়তে ছুড়তে তাদের ধাওয়া করতে করতে তাদের সীমান্তে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেছিল...??? অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা বাবার সন্তান মিজানের ক্ষেত্রে ২য় টা হবার সম্ভবনাই বেশী...
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিডিআর’র ল্যান্স নায়েক ছিলেন শহীদ আবদুল হাফিজ। ১৯৭১ সালে দেশের জন্য লড়াই করে কোনো এক প্রান্তে তিনি প্রাণ হারান। যুদ্ধের পরেও তার লাশ খুঁজে পায়নি পরিবার। পরে বাবার পথ দেখেই বিডিআর-এ যোগ দেন ছেলে মিজানুর রহমান। জীবনের শেষ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) ৩১ ব্যাটালিয়নের নায়েক পদে চাকরিরত ছিলেন। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর একই বাস্তবতার মুখোমুখি হন মিজানুর রহমান। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার হয়ে বাবার মতই হারিয়ে গিয়ে দুই দিন পর তার লাশ হওয়ার খবর পাওয়া পায় তার পরিবার সহ দেশবাসী।
দেশের জন্য জীবন দিতে পারাটা যে কোন সৈনিকের জন্য গর্বের পরবর্তীতে দেশের সরকার তার পরিবারের জন্য কিছু করুক না করুক। কিন্তু মৃত্যুর পর ভিন্ন দেশের সাথে ফ্ল্যাগমিটিং করে লাশ হয়ে দেশে আসার পর তারই এত দিনের সহকর্মীরা যখন নাকে রুমাল চেপে ভাড়া করা লেবার দিয়ে তার মরদেহ নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে আসে তখন তার আত্না কতটা লজ্জাবনত হয়েছে তা কি কেউ একবার ভেবে দেখেছেন...????
দেশের তরে জীবন বিসর্জনকারী মুক্তিযোদ্ধা পিতার সীমান্তযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নিহত বীরসেনানীর লাশ পরিবহনের এই করুন দৃশ্য দেখে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে...
ক্ষমা করো আমাদের মিজান তুমি হয়ত জানতে না বিডিআরের নাম এবং পোশাক পরিবর্তনের সাথে সাথে আরেকটা জিনিসেরও পরিবর্তন হয়েছে, আর সেটা হল সহযোদ্ধার প্রতি ভাতত্ব প্রদর্শন... ।।
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮
খেলাঘর বলেছেন:
সীমান্ত যুদ্ধ হওয়ার কোন কারণ নেই; এগুলো ২ দেশের সীমান্ত বাহিনীর চোরাকারবারীর যুদ্ধ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:০১
পংবাড়ী বলেছেন: মিজান জীবিত নেই, উনি ক্ষমা করতে পারবেন না; দরকার যেই শালার বিজিবিরা উনার দেহ বহন করেনি তাদেরকে বুটের লাথি দিয়ে বজিবি থেকে বের করা; ইডিয়ট ডেলিগেটেড অফিসারকে জউটাপেটে করে মিলিটারী থেকে বের করা।