নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি হলো আমার জগত, আমার মানস ভ্রমণের অখন্ড মানচিত্র । কল্পনার চরিত্রগুলোকে আমি লেখার জগতে বাস্তবতার ন্যায় সদর্পে চারণ করাতে চাই। আমি তাদের হাসি কান্না সুখ দুঃখে তুলির আঁচড় ছুঁয়ে দিয়ে অপছন্দের আঁকগুলো ইরেজার দিয়ে ঘষে তুলে বসাতে চাই কল্পনার রঙ ।

শাফায়াত উল্লাহ রহমত

খুব জটিল,ভীষণ সহজ এবং আবেগী নিতান্তই সহজ-সরল খোলা মনের মানুষ...আমার অভিধানে কান্না বলে কিছু নেই, তবে কষ্ট পাই খুব সহজে... যে যা দেয় তা ফিরিয়ে দেই। সে যদি হয় ভালোবাসা, তবে ভালোবাসা, অবহেলা হলে অবহেলা, কষ্ট হলে কষ্ট... আমার এ নীতি থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্যুত হইনি,হতে চাইও না...।

শাফায়াত উল্লাহ রহমত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ বিশ্ব রাজনীতি, স্বাধীন ফিলিস্তিন, ইসরাইল, ইরান, চীন এবং মার্কিন ইতিহাসের প্রথম ইসরায়েল বিরোধী প্রেসিডেন্ট।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

ব্রিটেন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাস্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে অথচ তৎকালীন ব্রিটিশ পররাস্ট্রমন্ত্রী বেলফোরের ঘোষণার কারণেই ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাস্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি আপাতত ব্রিটেন দিল, এরপর আরো কিছু ইউরোপিয় দেশ দিবে, তারপর সর্বশেষ যুক্তরাস্ট্রও দিবে! বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হতে যাচ্ছে। বিশ্ব একক পরাশক্তি হিসাবে যুক্তরাস্ট্রের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র ! অর্থনীতিতে এই তো যুক্তরাস্ট্রকে ছাড়িয়ে চীন এখন শীর্ষে ! অন্যদিকে ইরানের পরমানু কর্মসুচি নিয়ে পশ্চিমাদের সাথে ইরানের বিরোধের অচবলাস্থা এখনো কাটেনি মূলত ইহুদি লবির প্রভাবের কারণেই কারণ ইহুদি লবি চায় ইরানের সাথে পশ্চিমাদের যুদ্ধ, কিন্তু যুদ্ধে জর্জরিত ও অর্থনীতিতে বিপর্যস্ত পশ্চিমারা আর সে পথে পা বাড়াবে না অন্তত বারাকা ওবামার সময়কালীন তো নয়।তাই অবস্থা এমন যে, দুই পক্ষই আলোচনার নামে সমক্ষেপণ করছে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, আসছে নভেম্বরের ২৪ তারিখের মধ্যেই আমরা একটা চুক্তিতে পৌছাতে পারব। অন্যদিকে ইতোমধ্যেই পশ্চিমারাও ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণকে স্বীকৃতি দিয়েছে যা ছিল ইরানের অন্যতম প্রধান একটি দাবি।তবে পরমানু নিয়ে অচলাবস্থা হয়তো সহজেই কাটবে না ।

সিরিয়া, ইরাক ও ইরানের পরমানু কর্মসুচিতে পশ্চিমারা ইসরায়েল-সৌদি জোটের কথা তেমন কর্ণপাত করেণনি। কারণ ইসরায়েলের কথা শোনার মত অবস্থা পশ্চিমাদের এখন নেই। তবে পশ্চিমারা আসাদের পতন চাইলেও আসাদের পতনের জন্য কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি যেমনটি নিয়েছিল আফগানিস্থানের তালেবান, ইরাকের সাদ্দাম ও লিবিয়ার গাদ্দাফি উৎখাতে। তাই পশ্চিমাদের ভুমিকা দিশেহারা করেছে ইসরায়েল-সৌদি অক্ষকে। ইসরায়েল-সৌদি অক্ষ এখন নতুন করে চিন্তা ভাবনা করেছে। পশ্চিমারা ইরানের ব্যাপারে সুর যত নরম করছে উল্টোদিকে সুর চড়া করছে ইসরায়েল-সৌদি অক্ষ। একক পরাশক্তি হিসাবে চীনের উত্থান ইসরায়েল-সৌদি অক্ষকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। এই দেশ দুটি একসময় ব্রিটেনকে তাদের প্রধান প্রভু মনে করত, তারপর আমেরিকাকে, তাই নিজের অস্তিত্ব ও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চীনকে এখন প্রধান প্রভু মানার সময় এসে গেছে ! কিন্তু এটা ঠিক-পশ্চিমারা ইরানকে যতই তাদের দলে টানুক ইরান কোনোদিক দিয়েই পশ্চিমাদের এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না তাই আপাতত ইরান-চায়না-রাশিয়া অক্ষেরও ভাঙ্গার সম্ভবনা নেই।

যাইহোক, ভূ-রাজনৈতিকগতভাবে দ্বন্দ্ব হল-ভারত বনাম চায়না, রাশিয়া বনাম জার্মানি, জাপান বনাম চায়না, ইরান বনাম ইসরায়েল, ইরান বনাম তুর্কি ও ইরান বনাম সৌদি কিন্তু ইহুদি লবি ভূ-রাজনৈতিক শত্রুতাকে ব্যবহার করছে বিশ্ব অর্থনীতিতে নিজেদের প্রভাব অক্ষুণ্ন রাখতে-যুক্তরাস্ট্রের দিন শেষ তাই নতুন পরাশক্তির কাছে জায়গা সুরক্ষিত করতে হবে। তাই ইহুদি লবি আপাতত যুক্তরাস্ট্রকে হাতছাড়া করবে না তবে ইহুদি লবি যুক্তরাস্ট্র পতনের জন্য কাজ করছে।তাই তারা চায় ইরান-মার্কিন যুদ্ধ অথবা মার্কিন-রাশিয়া যুদ্ধ ! এটা বুঝতেই পেরেই ওবামা ইউক্রেন ইস্যুতে যথেষ্ঠ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন ও ইরানের পরমানু কর্মসুচিতে ধীর চলো নীতি অনুসরণ করছেন অন্যদিকে রাশিয়ার পুতিনও সেই সুযোগে ক্রিমিয়া দখল করে তার ষোলকলা পুর্ণ করেছে । তাই ইহুদি লবির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ছিল ওবামার পুন:নির্বাচিত হওয়া ! কারণওবামার কারণেই ইহুদি লবি তাদের প্লান বাস্তবায়িত করতে পারে নাই। ওবামার কার্যক্রমে মোটেই সন্তুষ্টু নয় ইহুদি লবি। ইহুদিপন্থী কয়েকজন সাবেক জেনারেল ইতোমধ্যেই প্রকাশ্যে ওবামার বিরুদ্ধে সামরিক ক্যু করার হুমকি দিয়েছেন ! ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালে ইতিহাসে প্রথমবারের মত খোলাখুলিভাবেই রিপাবলিক্যান প্রার্থী মিট রমনিকে সমর্থন করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল পূর্বসুরী জর্জ বুশের মত মিট রমনিকে ব্যবহার করে যুক্তরাস্ট্রকে ইসরায়েলের স্বার্থে নতুন নতুন যুদ্ধে জড়ানো । ইহুদি লবির অন্যতম একটি টার্গেট ছিল ইরান-মার্কিন যুদ্ধ লাগিয়ে দেওয়া। ইহুদি ও্ সৌদি লবি আরো চায় যুক্তরাস্ট্র সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করুক ! যুক্তরাস্ট্র জড়িয়ে পড়ুক সিরিয়ার সাথে যুদ্ধে, এতে ইরান ও রাশিয়াও যুক্ত হবে আর অন্যদিকে আইএসআই্লকেও ইসরায়েলে ও সৌদি লেলিয়ে দিবে যুক্তরাস্ট্রের বিরুদ্ধে ! এরফলে মার্কিনদের পতন নিশ্চিত হবে আর একক পরাশক্তি হিসাবে উঠে আসবে চীন ! এর বিনিময়ে ইহুদি লবি সাংহাই ব্যাংকিং দখল করবে। তাই ইতোমধ্যেই মার্কিন থিংক ট্যাংকের মধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু হয়েছে যা অভুতপুর্ব !এক মার্কিন থিং ট্যাংক বলেছেন, ইসরায়েলেই যুক্তরাস্ট্রের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। অন্যদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খোলাখুলিভাবেই বলেছেন, “মার্কিন মিত্র বিশেষ করে সৌদি আরব, ইসরায়েলে, তুর্কি, কাতার, আরব আমিরাত মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস বিস্তারের জন্য দায়ী।” তাই বলা যায় আইএসআইএল অচিরেই নির্মূল হচ্ছে না । আইএসআইএল নিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা আরো কয়েক বছর চলবে। আইএসআইএল নিয়ে জটিল গেম চলছে, একদিকে সৌদি, ইসরায়েল, তুর্কি ও কাতার আইএসআইএলকে অস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং অন্যদিকে যুক্তরাস্ট্রের সাথে আইএসআইএল বিরোধী জোটে যোগ দিয়েছে ! মুখোশ পরে বন্ধু সেজে এই ডাবল গেম চলতেই থাকবে যতক্ষণ না চীন বিশ্বে একক পরাশক্তি হিসাবে উঠে আসে যুক্তরাস্ট্রের পতন হয়। এরপরেই সবাই মুখোশ খুলে নিজ নিজ চেহারা বিশ্ববাসীকে জানান দিবে !
ব্রিটেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাস্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে এরপর ইউরোপের অন্যান্য রাস্ট্র দিবে আর ইউরোপ দেওয়া শেষ হলে এরপর যুক্তরাস্ট্র অর্থাৎ-যুক্তরাস্ট্র, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাস্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিবে তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে ইউরোপর দেশগুলি দিচ্ছে। হ্যাঁ, গতকালকের নিউজ হলঃ ব্রিটেনের পর সুইডেন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাস্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে !
ইসরায়েল, যুক্তরাস্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ও ইসরায়েলের চীনমুখী পদক্ষেপ ! আমার এ কথায় অনেকেই দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, ইসরায়েলের বিখ্যাত পত্রিকা হারেৎজ কিছুদিন পূর্বে একটি কার্টুন প্রকাশ করেছে। সেই কার্টুনে ইসরায়েলী একটি যুদ্ধ বিমান যুক্তরাস্ট্রের ওয়াল ট্রেড সেন্টারে হামলা করতেছে ! এই কার্টুন দ্বারা হারেৎজ পত্রিকা এটাই বুঝিয়েছে বর্তমানে আমেরিকার সাথে ইসরায়েলের সম্পর্কের ইতিহাসের সবচেয়ে সর্বনিম্ন মাত্রায় অবস্থান করতেছে অর্থাৎ ইসরায়েলের সাথে যুক্তরাস্ট্রের সম্পর্কের এত অবনতি এর আগে ঘটেনি! ইরানের পরমানু কর্মসুচি ও সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতনের ইস্যুতে যুক্তরাস্ট্র তেমন কার্যকরী ভুমিকা না নেওয়াতে যুক্তরাস্ট্রের ওপর চরম ক্ষেপেছে ইসরায়েল ও সৌদি অক্ষ ! এরই পরণতি হিসাবে মধ্যপ্রাচ্যে আইএসআইএল এর উৎপত্তি ! এই আইএসআইএল সৃষ্টি করা হয়েছে মূলত দুটি দেশকে লক্ষ্য করে একটি ইরান ও অপরটি যুক্তরাস্ট্র ! উদ্দেশ্য ছিল ইরান ও যুক্তরাস্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যে মরণঘাতি একটা যুদ্ধে জড়ানো ! হ্যাঁ, আইএসআইএল সৃষ্টিতে নি:সন্দেহে যুক্তরাস্ট্রের ভুমিকা আছে তবে নিশ্চয় সরাসরি নয় । মূলত যুক্তরাস্ট্রের ইহুদি লবি ,সৌদি ও ইসরায়েল অক্ষ আইএসআইএল সৃষ্টি করেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই কিন্তু এই আইএসআইএল ইরান ও আসাদ সরকারের জন্য শাপে বর হিসাবে দেখা দিয়েছে। যে আমেরিকার সাথে ইরানের ৩৫ বছর ধরে কোনো কুটনৈতিক সম্পর্ক নেই সেই ইরানের সাথে আমেরিকা এবার নতুন সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে ! এরই পদক্ষেপ হিসাবে ইরানের পরমানু ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান আমরা দেখতে পাব আর এই নিয়ে গবেষণাধর্মী একটা আর্টিকেল প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জারনাল !সম্পর্কের এই নতুন সমীকরণে আমরা ইসরায়েল ও সৌদিকে চীনমুখী দেখতে পারব অন্যদিকে ইরানকে দেখা যাবে মধ্যপন্থী নীতি অবলম্বন করতে তবে পশ্চিমাদের সাথে ইরানের শত্রুতা আগের মত থাকবে না ।অপরদিকে রাশিয়া ও ভারতকেও আমরা একই কাতারে দেখতে পারব। আমি আবারো বলছি যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে ইহুদি লবির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হল ওবামার পুন:নির্বাচিত হওয়া না ঠেকাতে পারা। ওবামা প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নেতানিয়াহুকে ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি হিসাবে মন্তব্য করেছে-যা সত্যিই বিষ্ময়কর ! ওবামা প্রশাসন ইসরায়েলের কথা আর আগের মত গুরুত্ব দিচ্ছেন না তবে ইহুদি লবির প্রভাবে যতটুকু না দিলেই নয় ততটুকুই দিচ্ছেন। সম্ভবত মার্কিন ইতিহাসে একমাত্র ওবামাই হলেন ইসরায়েল বিরোধী কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট !
*(লেখাটি বেশ কয়দিন আগেই লিখেছিলা, এর অধিকাংশই আমার ব্যক্তিগত পর্যালোচনা এবং কিছু অংশ সংগৃহীত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.