নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব জটিল,ভীষণ সহজ এবং আবেগী নিতান্তই সহজ-সরল খোলা মনের মানুষ...আমার অভিধানে কান্না বলে কিছু নেই, তবে কষ্ট পাই খুব সহজে... যে যা দেয় তা ফিরিয়ে দেই। সে যদি হয় ভালোবাসা, তবে ভালোবাসা, অবহেলা হলে অবহেলা, কষ্ট হলে কষ্ট... আমার এ নীতি থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্যুত হইনি,হতে চাইও না...।
রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর হতে ৮০ কিলোমিটার দূরে জেলার সবচেয়ে বড় ও দূর্গম ইউনিয়ন সাজেক। সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার অন্তর্ভূক্ত হলেও ঢাকা থেকে যাবার জন্য খাগড়াছড়ি হয়ে যাওয়া সহজ। যারা সময় স্বল্পতায় টাফ জার্নি পছন্দ করেন তারাও এক রাতে গিয়ে পরের রাতে ফিরে আসতে পারবেন এই স্থান থেকে। খাগড়াছড়ি হতে সরাসরি চান্দের গাড়ী নিয়ে সাজেক যাওয়া যায়। চান্দের গাড়ী যখন পাহাড়ের পথ ধরে দু’পাশে গভীর অরণ্য, মাঝে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে ছুটে চলে তখন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবেই। দেখবেন গাড়ি কখনও ওপরের দিকে উঠছে তো কখনও নিচের দিকে। মাঝে মধ্যে মনে হবে এই বুঝি আকাশ ছুঁতে চলেছেন। তারপরক্ষনেই মনে হবে এই বুঝি নেমে যাচ্ছেন গিরিখাঁদে। বেশিভাগ স্থানেই কোনো জনমানবের চিহ্ন নেই।
এইখানে গিয়ে দিনে দিনেই আপনি আপনি ফিরে আসতে পারবেন রাঙ্গামাটি বা খাখড়াছড়িতে। সাধারণের রাতে থাকার জন্য কোন রেষ্ট হাউজ বা কটেজ গড়ে উঠেনি এখনও। খাবারের জন্য ভালো বা মাঝারি কোন মানের হোটেল এখনো তৈরী না হলেও হওয়ার পথে। একমাত্র থাকার জায়গা গত বছরের শেষে নির্মিত আর্মিদের সাজেক রিজোট এবং ইসিবি ১৯ এর নির্মাণ চমৎকার একটি রেস্ট হাউজ! তবে আর্মি রেফারেন্স ছাড়া এখানে জায়গা হবেনা আপনার। আর্মি রেফারেন্স থাকলেও অন্ততঃ ১৫/২০ দিন আগে বুকিং দিতে হবে এখানে থাকার জন্য।কংলাক পাড়ায় বাঁশ-কাঠের তৈরী জেলা পরিষদের একটা ডাক বাংলো আছে তবে সেটা থাকার অযোগ্য। সেক্ষেত্রে আপনি কংলাক পাড়ার সর্দার এর আতিথেয়তা গ্রহণ করতে পারেন।
রিজোটের পাশে বৃহৎ আকৃতির হেলিপ্যাডের উপর আলো, মেঘ, কুয়াশা আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির লুকোচুরি খেলায় আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য...
এইখানে বসবাসরত স্থানীয়দের কয়েকজনের সাথে আলাপ করে যা জানতে পেরেছি তা হল ৪৩,৭৭৬ একর বা ৬০৩ বর্গমাইল আয়তনের দেশের সবচেয়ে বড় এ ইউনিয়নে চাকমা,ত্রিপুড়া,পাংখুয়া ও লুসাই এই ৪ টি উপজাতীয় সম্প্রদায়ের বসবাস। এদের মধ্যে চাকমা সম্প্রদায় বেশি। এরপর ত্রিপুরা, লুসাই ও পাংখুয়া সম্প্রদায়ের অবস্থান। তাদের সহঅবস্থানে বসবাস হলেও এক সম্প্রদায় আরেক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ প্রচুর। এ বিরোধের জের ধরে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষও হয়েছিল। তারা স্ব স্ব সংস্কৃতি ও পেশা নিয়ে স্বাধীন ভাবে থাকতে বেশ স্বাচ্ছন্দবোধ করে । পাংখুয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা এখনও তীর ধনুক ও বলম দিয়ে পশু শিকার করে। লুসাই সম্প্রদায়ের লোকেরা লেংটি (ধুতি) পড়ে এখনও। তবে চাকমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকেরা অন্য দু সম্প্রদায় থেকে শিক্ষিত হওয়ায় তাদের মধ্যে একটু আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছ। তো আর অপেক্ষা কিসের পরিবার নিয়ে ঘুরে আসুন দেশের সবচেয়ে উঁচু এই দর্শনীয় স্থান থেকে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৮
শাফায়াত উল্লাহ রহমত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪
Mohammad Sohel বলেছেন: পড়ে অনেক ভাল লাগলো
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯
শাফায়াত উল্লাহ রহমত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১
সুমন কর বলেছেন: আরো একটু বিস্তারিত এবং আরো ছবি থাকলে ভালো হতো।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৩
শাফায়াত উল্লাহ রহমত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার পরামর্শের জন্য।
ভবিষ্যতে সময় সুযোগ করে পার্বত্য অঞ্চলের সকল পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে বিশদ লিখার ইচ্ছে আছে।
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: উৎসাহ আরো বেড়ে গেল
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০১
শাফায়াত উল্লাহ রহমত বলেছেন: তবে দেরী কেন ভাই? সময় বের করেন ব্যাগ গোছান আর চলে যান বাংলার রূপ সুধা পান করতে...
৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
বঙ্গমিত্র সিএইচটি বলেছেন: এটা আমার জন্মভুমি। বিশ্বের সৌন্দর্যমন্ডিত স্থানগুলোকে নতুন করে নির্বাচিত করলে সাজেক প্রথম সিরিয়ালে থাকবে । লেখক কে অসংখ্য ধন্যবাদ।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০২
শাফায়াত উল্লাহ রহমত বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো ভাই।
পরের বার গেলে কাঁচা বাশপাতা রান্না করে খাওয়াতে হবে কিন্তু আপনার বাসায়।
৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৩
শাফায়াত উল্লাহ রহমত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি তো আপনি দখল করে রেখেছেন। সাজেক দেখার উপায় নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ