নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব জটিল,ভীষণ সহজ এবং আবেগী নিতান্তই সহজ-সরল খোলা মনের মানুষ...আমার অভিধানে কান্না বলে কিছু নেই, তবে কষ্ট পাই খুব সহজে... যে যা দেয় তা ফিরিয়ে দেই। সে যদি হয় ভালোবাসা, তবে ভালোবাসা, অবহেলা হলে অবহেলা, কষ্ট হলে কষ্ট... আমার এ নীতি থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্যুত হইনি,হতে চাইও না...।
১৯৯১ সালের ২রা জুন প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল নামে একটি হিসেব খোলা হয় সোনালী ব্যাংক রমনা করপোরেট শাখায় যার নং ৫৪১৬। এবং এটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তৎকালীন সচিব ডাঃ কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী।
উক্ত একাউন্টে ০৯ জুন ১৯৯১ সালে ইউনাইটেড সৌদি কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ইউ,এস ডলারের ( বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমান ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা ) একটি ডিডি আসে যার নং ১৫৩৩৬৭৯৭০। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে তৎকালীন কুয়েত সরকারের অনুদান হিসেবে এই টাকা আসে। ২ বছরের বেশী সময় এই টাকা একাউন্টে পড়ে থাকায় সুদে আসলে এর পরিমান বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬৬৬৭০০০ টাকা।
১৯৯৩ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট এবং জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিলের সেই একাউন্ট থেকে পুরো টাকা ২৩৩৩৩৫০০ টাকা করে দুইটি সমান ভাগে ভাগ করে জমা দেয়া হয়।
১১৯৩ সালের ৪ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট থেকে ৪ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে বগুরার গাবতলীতে প্রায় ৩ একর জায়গা কিনা হয়। অবশিষ্ট ২ কোটি ২৯লক্ষ ৩৩হাজার ৫০০শত টাকা ১৪ বছর ব্যাংকে পড়েছিল, যা ২০০৬ সালে সুদে আসলে পরিনত হয় ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭ হাজার ২১৭ টাকায়।
২০০৬ এর ১৩ এপ্রিল হতে ৬ জুলাই পর্যন্ত তারেক রহমান এবং মোমিন উল্লাহর সাক্ষরিত ৫ টি চেকে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন প্রাইম ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান কাজী সলিমুল্লাহ কামাল।
উত্তেলিত টাকার মাঝে ১ কোটি টাকা করে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট এর নামে একটি সলিমুল হক কামালের নামে একটি এবং সলিমুল হক কামাল ও সৈয়দ আহম্মেদ এর নামে মোট ৩ টি এফ,ডি,আর করা হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে কাজী সলিমুল হক ২ কোটি টাকার এফ,ডি,আর ভাঙ্গিয়ে আশুলিয়ায় ট্রাষ্টের নামে জমি কিনার জন্য গিয়াস উদ্দীন নামক একজনের নামে ২ কোটি টাকার নতুন এফ,ডি,আর করেন। তখন এই টাকা সুদে আসলে হয়েছিল ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭১ হাজার ৪৪৩ টাকা। গিয়াস উদ্দীন ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে প্রাইম ব্যাংক নিউ ইস্কাটন শাখায় আশুলিয়ায় ৭৬ শতাংশ জমির বায়না স্বরুপ সরফুদ্দীন আহমেদের একাউন্টে পুরো টাকা জমা করে দেন।২৮ মার্চ ২০০৭ সালে সরফুদ্দীন আহমেদ উক্ত টাকা পুরোটায় উত্তোলন করেন। যা লোপাট হয়েছে বলে দুদক অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে তারেক রহমান জেলে থাকায় এবং পরবর্তীতে দেশের বাহিরে থাকায় উক্ত জমির রেজিষ্টেশন সম্পন্ন করা সম্ভব হয় নাই বিধায় বায়নার পুরো টাকাই দেওয়ানী মামলার মাধ্যমে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুনরায় আরফানেজ ট্রাষ্টের একাউন্টে জমা দেয়া হয়। যার দললাদি কোর্টে জমাও দেয়া হয়েছিল।
উক্ত ট্রাষ্ট, ব্যাংক হিসেব কোথাও খালেদা জিয়ার কোন সংষ্টিলতাই নেই। তার অপরাধ যখন কুয়েতের আমীর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষনের জন্য উক্ত টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করেন তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৪
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: তথ্যসহ সুন্দর ও সহজ বিবরণী দিলেন। সত্যিই যদি সবকিছু এতো স্বচ্ছ ও সৎ হতো, এবং ঠিক এরূপ দলিলাদি কোর্টে জমা পড়তো, তাহলে তো সাজা হবার কোন কারণ দেখি না। অন্তত বেসিক নলেজ তো তাই বলে। ঘাপলা কোথাও কিছু না থাকলে, একাধিকবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী, দেশের অন্যতম একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে এতো সহজেই জেলে পুরে!!!
আরেকটা কথা, রাষ্ট্রের কোন দায়িত্বে ছিলেন তারেক রহমান(?) যে প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডের টাকায় কেনা জমি তারেক রহমানের অনুপস্থিতির ঝুলে থাকে? পক্ষান্তরে আপনিই প্রমাণ দিলেন এতে তারেক রহমানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। নয় কি?
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
২ নং মন্তব্য আপনাকে সাহায্য করবে সব সময় লজিক্যালী ভাবতে
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:২৯
শাফায়াত উল্লাহ রহমত বলেছেন: ভাই @জহিরুল ইসলাম সেতু ঘাপলা না থাকলে কি আর মামলার সুযোগ পায়??? জিয়াউর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে কুয়েত সরকার এই অনুদান দেয় এটা আমার মত আপনিও জানেন। ঘাপলা হলো এই অনুদান দ্রুত বাগে নেয়ার জন্য তৎকালীন স্বার্থানেষী মহল ট্রাষ্ট গঠনের পূর্বেই প্রধানমন্ত্রীর ত্রানতহবিল নামক একাউন্ট খুলে সেই অনুদানের এফ,ডি,আর গ্রহন করেছিলেন।
আর প্রধানমন্ত্রীর নলেজের বাহিরে নিশ্চয় সেই টাকা আসে নাই। এই যুক্তিতেই কিন্তু মামলা হয়েছে।
আর তারেক রহমানের সংশ্লিষ্টতা তো থাকবেই কারণ যে কোন ট্রাষ্ট পরিচালনার জন্য মোতোয়ালি বা পরিচালনা পরিষদ থাকে। আর বাবার নামে হওয়া ট্রাষ্টের পরিচালনার দায়িত্বে সন্তান থাকতেই পারেন।
মজার বিষয় হচ্ছে টাকা সুদে আসলে ব্যাংকে জমা আছে এখন মাঝখানে খালেদা জিয়া জেলে।
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৩৮
শাফায়াত উল্লাহ রহমত বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই আশাকরি আপনার উত্তর দিতে পেরেছি। টাকা সুদে আসলে ব্যাংকে জমা আছে এখন মাঝখানে খালেদা জিয়া জেলে সেই ত্রান তহবিলের একাউন্টে অনুদান গ্রহন করা হয়েছিলো বিধায়। এতিম খানার জন্য বগুড়ার গাবতলীতে ৩ একর জমি কিনার কথা কিন্তু উল্লেখ্য করেছি প্রিয় ভাইজান।
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:১৬
রাফা বলেছেন: পুরো বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা না করে এটাকে নিয়ে রাজনীতি করছে বি,এন,পি নামক দলটির নেতারা।যদি পোষ্ট-দাতার কথা মেনেও নেই যে টাকাটা গচ্ছিত ছিলো ব্যাংকে তাহোলে ৯১ সালে ডিপোসিট করা টাকা কি ২০১৮ সালে এসে ৬ কোটি হওয়ার কথা নাকি ৬০ কোটি হওয়ার কথা ছিলো।আর যদি যে এতিমের কাজে টাকাটা এসেছিলো সেটা যদি ১০জন এতিমের পেছেনেও ব্যায় করা হোতো সেটা আমার হিসেবে ৬০০ কোটিরও উপরে দড়াতো বলে আমার বিশ্বাস।
প্রকৃত ঘটণাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার প্রবনতা থেকেই সংকটের শুরু।অন্ধের মত কথা না বলে ফ্যাক্টস নিয়ে কেউ আলোচনা করছেনা।
আশা করি মি.শা.উ.রহমত বুঝতে পেরেছেন ।টাকা এসেছিলো প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে তার অজান্তে কি টাকাটা হেটে হেটে আরো ৬টি একাউন্টে চলে গেলো?অপব্যাখ্যা নয় সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে পোষ্ট লিখুন।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
শাফায়াত উল্লাহ রহমত বলেছেন: জিয়াউর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে কুয়েত সরকার এই অনুদান দেয় এটা আমার মত আপনিও জানেন। ঘাপলা হলো এই অনুদান দ্রুত বাগে নেয়ার জন্য তৎকালীন স্বার্থানেষী মহল ট্রাষ্ট গঠনের পূর্বেই প্রধানমন্ত্রীর ত্রানতহবিল নামক একাউন্ট খুলে সেই অনুদানের এফ,ডি,আর গ্রহন করেছিলেন।
আর প্রধানমন্ত্রীর নলেজের বাহিরে নিশ্চয় সেই টাকা আসে নাই। এই যুক্তিতেই কিন্তু মামলা হয়েছে।
আর তারেক রহমানের সংশ্লিষ্টতা তো থাকবেই কারণ যে কোন ট্রাষ্ট পরিচালনার জন্য মোতোয়ালি বা পরিচালনা পরিষদ থাকে। আর বাবার নামে হওয়া ট্রাষ্টের পরিচালনার দায়িত্বে সন্তান থাকতেই পারেন।
মজার বিষয় হচ্ছে টাকা সুদে আসলে ব্যাংকে জমা আছে এখন মাঝখানে খালেদা জিয়া জেলে।
৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:১৮
বনসাই বলেছেন: গোল্ডফিস ম্যামোরি নিয়ে বেশি দূর যাওয়া যাবে না। এতোই সহজ সরল বিষয় হলে বিএনপির ব্যারিস্টারের দল কী করলো? এরা তো দেখি অকম্মার ঢেঁকি!
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
শাফায়াত উল্লাহ রহমত বলেছেন: ভাই আপনার কি মনে হচ্ছে যে বি,এন,পি'র ব্যারিষ্টার দের যুক্তি খন্ডনে এই বিচার প্রক্রিয়াতে কিছু আসছে বা গিয়েছে.????
৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৪
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: মন্তব্যের পাশের লাল চিহ্নিত অংশে ক্লিক করুন। প্রতিউত্তরের জন্য একটি বক্স ওপেন হবে, সেখানে মন্তব্যের প্রতিউত্তর লিখে প্রকাশ করুন।
ধন্যবাদ
৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৬
মোঃ পারভেজ মোশারফ বলেছেন: রাজনৈতিক পোস্ট করলে বিরোধ সৃষ্টি হবে তবু করা হয়।এটা বিরত থাকুন ভাই।
১০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন:
১১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৩
খাঁজা বাবা বলেছেন: আমার প্রশ্ন, ৯১ সালের টাকা ২০০৬ সালে কেন চুরি করা লাগবে? তারেক রহমান নাকি ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার মাত্র ৪ কোটি টাকার অভাব ছিল? তাও মৃত বাপের নামের টাকা? তারেকের ৪ কোটি টাকা প্রয়োজন হলে কি দেওয়ার লোকের অভাব আছে? উলটা পাল্টা যুক্তি দিলেই সব সত্য হয়ে যায় না।
১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২০
কিছু বলার বাকি বলেছেন: এতিমের টাকা তছরুফ করা অপরাধ তবে জনগনের টাকা নয় । তা যতই হাজার হাজার কোটি টাকা হোক ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
জিয়া এতিমখনা আছে, নাকি নেই?
সেই টাকা এতিমখানার জন্য দেয়া হয়েছিল কাকাে? বেগম জিয়াকে নাকি আপনাকে?
সেই টাকা কয়েকটা এতিমখানাকে দান করতে কয় মিনিটের দরকার হতো?