নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি হলো আমার জগত, আমার মানস ভ্রমণের অখন্ড মানচিত্র । কল্পনার চরিত্রগুলোকে আমি লেখার জগতে বাস্তবতার ন্যায় সদর্পে চারণ করাতে চাই। আমি তাদের হাসি কান্না সুখ দুঃখে তুলির আঁচড় ছুঁয়ে দিয়ে অপছন্দের আঁকগুলো ইরেজার দিয়ে ঘষে তুলে বসাতে চাই কল্পনার রঙ ।

শাফায়াত উল্লাহ রহমত

খুব জটিল,ভীষণ সহজ এবং আবেগী নিতান্তই সহজ-সরল খোলা মনের মানুষ...আমার অভিধানে কান্না বলে কিছু নেই, তবে কষ্ট পাই খুব সহজে... যে যা দেয় তা ফিরিয়ে দেই। সে যদি হয় ভালোবাসা, তবে ভালোবাসা, অবহেলা হলে অবহেলা, কষ্ট হলে কষ্ট... আমার এ নীতি থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্যুত হইনি,হতে চাইও না...।

শাফায়াত উল্লাহ রহমত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৈতিকতা শিক্ষাহীন সংস্কৃতির কাছে কি আমরা পরাস্ত নই..??

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১৭



জনৈক আবু জাফর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। পড়াশোনা করেছেন সোভিয়েত ইউনিয়নে। দুই ছেলে এক মেয়ে এখন প্রবাসে আর তার অবস্থান বৃদ্ধাশ্রমে। যাপিত জীবনের ফেলে আসা দিনগুলির কোনও হিসেবই মিলছেনা তার। সারাক্ষন উদাস নয়নে জানালার গ্রিল ধরে আকাশ দেখেই সময় কাটে। একটু ভালবাসা চান,পরিবারকে পাশে নিয়ে বাকিটা জীবন কাটানোর চিন্তাও তার কাছে এখন পাপবোধ মনে হয়।

ড. আব্দুল আউয়াল। ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক । ৩ ছেলেমেয়ের দুজনই থাকেন দেশের বাইরে । বড় ছেলে অবসরপ্রাপ্ত উইং কামান্ডার। কিন্তু এতগুলো নির্ভরতার কাছেও তার জায়গা হয়নি। অবস্থান ওল্ড হোম। পরিবারকে অনুভব করেন খুব। তখন অসীম আকাশের দিকে তাকিয়ে অতীত স্মৃতি রোমন্থন করেন।

কামরুল সাহেব ছিলেন একটি নামকড়া কলেজের অধ্যক্ষ। সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করে তুলেছেন। বাড়ি-গাড়ি সব রয়েছে এই রাজধানীতেই। কিন্তু অঢেল সম্পত্তি গড়ার পিছনের মানুষটি জায়গা হয়নি সেখানে। তিনি বৃদ্ধাশ্রমে আছেন ১৮ বছর ধরে। একটু সুখ চান শেষ বয়সে। নাতি-নাতনিদের সাথে আড্ডা দিয়ে পার করতে চান সময়। কিন্তু.......

নিলুফা ইয়াসমীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্ত্রী। নিজেও রাজধানীর নামকড়া একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। দুই সন্তান কে করেছেন উচ্চ শিক্ষিত। স্বামী মারা যাওয়ার পরে জায়গা হয়েছে ওল্ড হোমে। তিনি একটিবার পুন:জন্ম চান। উচ্চশিক্ষা নয়, মাটিকে জড়িয়ে ধরেই বাচঁতে চান পরের জন্মে। যেখানে নৈতিকতা থাকবে কোন স্বার্থের মোহ থাকবেনা।

কেনো এমন হচ্ছে? কেনো আমাদের জন্ম দাতা বাবা বা মা যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত তাদের স্থান হয় না তাদেরই কষ্টের টাকায় তৈরী বাড়ীতে? খুজঁতে খুব বেশি ঘাটতে হবে না। নৈতিকতা শিক্ষাহীন সংস্কৃতির কাছে পরাস্ত আমরা। আদর্শের সংগ্রামে পরাজিত ব্যক্তিরা বর্তমান সমাজপতি। ফলে নৈতিকতা নয়, সমাজ পরিচালিত হচ্ছে শক্তি আর স্বার্থের বদৌলতে । উপনিবেশ শাসনের অবসানের পর থেকেই ক্রমান্বয়ে আমরা একটি খিচুরি মার্কা সংস্কৃতির মধ্যে দিয়ে বড় হচ্ছি। নৈতিকতাহীন শিক্ষা, আর সবপেয়েছির দোষে আমরা ভুলে যাচ্ছি নিজেকেই। আর রাষ্ট্রযন্ত্রও দক্ষ, যোগ্য ও নৈতিকতাসমৃদ্ধ নৈতিক শিক্ষক নিযুক্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বারংবার। এই অস্থির, নিয়ন্ত্রণহীন বিরূপ সমাজ ব্যবস্থার দায় কারো একার নয়, বরং এর দায় সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রের এবং সকল নাগরিকের।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৭

সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: মা-বাবারা শিক্ষিত করেছেন কিন্তু সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেননি। ধর্মীয় শিক্ষা না দিলে যতোই শিক্ষিত হোক সন্তানেরা ধর্মীয় শিক্ষা না থাকায় মা-বাবার প্রতি সন্তানের কর্তব্যকে যুক্তি দেখিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে আসে।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমি অনেক সৌভাগ্যবান অন্তত একটা দিক থেকে যে, আমার পরিবারে এ ধরনের কোন কাহিনী নেই। রাব্বুল আলামীনের কৃপায় আমি ছোট থেকেই পরিবারের শৃঙ্খলা দেখেছি, বড়দের প্রতি অগাধ সম্মান আর ছোটদের প্রতি স্নেহ দেখে বড় হয়েছি। আমার বাবা পরিবারের সবচেয়ে বড় সন্তান ছিলেন। তিনিই আমার চার ফুপুকে বিয়ে দিয়েছেন, দুই চাচাকে পড়াশোনা করিয়েছেন। তারা আর সবাই বেশ ভালো আছেন। বেঁচে থাকতে আমার দাদ-দাদুও বাবাকে ভীষণ ভালোবাসতেন। আমার বাবাও দাদা-দাদুর উপর দিয়ে কখনো কিছু বলেন নি। ঢাকায় বড় হলেও বাবা প্রতি মাসে দাদুকে দেখতে গ্রামের বাড়ি যেতেন আর আমরা প্রতি ঈদে দেশে যেতাম। মাঝে অনেকগুলো বছর দাদু আমাদের সাথেই ঢাকায় ছিলেন। তবে তিনি ঢাকার চেয়ে গ্রামে থাকতেই পছন্দ করতেন।

বাবা চলে যাওয়ার পর এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার মা, স্ত্রী আর সন্তানকে একসাথে আমার কাছে নিয়ে আসবো। মা এখন বড় ভাইয়ার সাথে আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু বেশ ভালোই চলছে। নিজের সন্তান হওয়ার পর থেকে বিষয়গুলো আরো অনেক বেশী পরিষ্কার হয়ে গেছে আমার কাছে। বড় ভাই জার্মানীতে পড়াশোনা শেষ করে এখন বাংলাদেশে বেশ ভালো জব করছেন। আমিও আমার বিশ্বাবিদ্যালয় জীবন আমেরিকাতেই পার করেছি। দিন শেষে আলোচ্য পুরো বিষয়টার অনেকটাই আসলে পরিবারের শিক্ষা থেকে আসে।

বাংলাদেশে সবাই সার্টিফিকেটের পেছনে ছোটে। জীবন, দায়িত্ববোধ, মায়া-মমতা, ভালোবাসাহীন হয়ে শুধুই অর্থের পেছনে ছোটাই আমাদের নৈতিক এবং সামাজিক করুন পরিনতির কারন। লিখার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪২

ধ্রুব অন্যকোথাও বলেছেন: খুবই দুর্বল লেখা। এই ইস্যু নিয়ে গভীরে গিয়ে কোন লেখা আছে কিনা জানতে চাই।

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাবা-মা সম্পূর্ণ নিজেদেরজৈবিক,সামজিক এবয় অর্থনৈতিক স্বার্থে সন্তান জন্ম দিয়ে তাদের পৃথিবীতে এনে বিপদে ফেলে।

ব্যাপারটা সম্পূর্ণ একটা ব্যবসা যাকে ধর্ম এবং সাহিত্য আবেগীয় ন্যাকামিতে পরিণত করেছে।

সুতরাং উন্নত দেশের সন্তানদের বেশীরভাগ তাদের অভিভাবকদের নিজেদের স্বার্থে বৃদ্ধ বয়সে ত্যাগ করে।
সন্তানের দরকার কি?

সন্তান ছাড়াও আনন্দ করা যায়।

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ ভালো না। একটাও ভালো মানুষ নাই। সবাই ভালোর মুখোশ পড়ে আছে।

মানুষের সংবেদনশীলতা কি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে? মিনিমাম কান্ডজ্ঞানটুকুও তো দেখি না। আপনি না চাইলেও আপনাকে হতাশ না করে কেউ ছাড়বেই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.