নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম
প্রিয় সম্পর্কের ভিত্তিটা হতে হয় মজবুত। মজবুত থাকার শক্তিটা আসে ভেতর থেকে। তাই চুলের যত্নে আমাদের অবশ্যই হতে হবে সতর্ক। মেঘ কালো চুলের জন্য নিতে হবে আমাদের একটুখানি যত্ন। প্রিয় দর্শক আজ এসেছি চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম সম্পর্কে জানাতে। চুল যেহেতু আমাদের সকালের খুব শখের জিনিস তাই এই ব্যাপারে আমাদের খামখেয়ালী একেবারেই চলে না।
তাইতো আজ চুলের পরিচর্যায় জানবো অনেক তথ্য, শিখবো অনেক কিছু। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
চুল পড়ার কারণ
চুল আমাদের অনেক শখের একটা জিনিস। আর এই চুল প্রতি নিয়ত পড়ছে। কখনো কি চুল পড়ার কারণ টা জানতে চেয়েছেন? চুল পড়ার কারণ গুলো জানলে হয়তো আজ এতো চুল পড়ার সমস্যা আমাদের মাঝে থাকতো না। চলুন জেনে নিই কি কারনে আমাদের চুল পড়ছে এইভাবে-
চুল পড়ে সাধারণত পুষ্টি জনক সমস্যার কারণে। এছাড়া হরমোনের ভারসাম্যতা বজায় না থাকলে, বার বার চুলে ইলেকট্রিক মেশিনের সাহায্যে হিট দেওয়া, স্কাল্পে ইনফেকশন ইত্যাদির কারনে চুল পড়ে থাকে সাধারণত। আমরা যদি এই সমস্যা গুলোকে সমাধান করি এবং চুলের যত্ন নেয় তাহলে দ্রুত চুল পড়ার সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারবো। এছাড়া আমরা আজ জানবো প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ এমন কিছু তেল যার ফলে আপনার চুল সকল সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারে।
প্রাকৃতিক ভাবে চুল পড়া বন্ধ করার কিছু তেলের নাম
চুল খুব সেনসিটিভ একটা জিনিস। তাই চুলে যেকোনো হেয়ার ওয়েল নষ্ট করতে পারে চুলের সৌন্দর্যতা। তাই আমাদের অবশ্যই উচিত চুলের তেলের ব্যপারে একটু সতর্ক হওয়া। সাধারণ তেলে ক্ষতি হতে পারে চুলের তাই জন্য প্রাকৃতিকভাবে তৈরিকৃত তেল আপনার চুলকে দেবে পুষ্টি যা চুল বেয়ে উঠতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নিই প্রাকৃতিক গুণসম্মত তেলগুলোর নাম এবং তেলগুলোর গুনগুন সম্পর্কে কিছু তথ্য-
১. পেঁয়াজের তেল
পেঁয়াজ যে আমাদের চুলের পক্ষে কতটা উপকারী সেটা তো আমরা কমবেশি সবাই জানি। এই পেঁয়াজের তেলে রয়েছে পেঁয়াজের সকল গুন। এছাড়া এটি সালফার যৌগগুলিতে সমৃদ্ধ যার ফলে চুল লম্বা হয়। এটি ড্যামেজ চুলকে রিপেয়ার করে চুলকে যোগায় এক্সট্রা এনার্জি যার ফলে চুল হয় শক্ত ও মজবুত এবং এটি মাথার ত্বকের যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে সেটার বিরুদ্ধে লড়ে চুলকে করে চনমনে।
২. আর্গান তেল
অর্গান গাছ থেকে নির্যাসিত অর্গান তেল চুলে করে অনেক উপকার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড যা চুলকে করে ঘন ও প্রাণবন্ত। এটি প্রত্যেকটা চুলের গোড়া থেকে সমস্যা নির্মূল করে চুলকে করে দীর্ঘ। শক্তিশালী ও মজবুত চুলের জন্য খুব ভালো উপকারী তেল অর্গান তেল।
৩. ক্যাস্টর অয়েল
কাস্টর অয়েল চুলের পক্ষে খুবই ভালো এবং উপকারী তেল। এর বিশেষ গুণ হলো এটি মাথার রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে অনেক সহায়তা করে। এর মধ্যে রয়েছে রিসিনোলিক এসিড যা চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে অনেক। ভিটামিন ই উপাদান রয়েছে এই তেলে। এছাড়া এতে আরো রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যা মাথার ত্বকে যেকোনো রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়ে ত্বককে রক্ষা করে।
৪. অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলের উপকারিতা সম্পর্কে কে না জানে। এর বিশেষ গুণ হচ্ছে এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি অ্যাসিড দ্বারা সমৃদ্ধ। অলিভ অয়েল চুলকে গোড়া থেকে যত্ন করে চুলকে করে লম্বা ও মজবুত। চুল ভেঙে যাওয়ার রোধ করে, চুলের উজ্জ্বলতা এবং চুলকে করে কোমল করে অলিভ অয়েল।
৫. নিম তেল
নিম শুধু মুখের জন্য নয় চুলের জন্যও অনেক উপকারী। এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল। এটি মাথার ত্বকের যেকোনো সমস্যার সমাধান করে চুলকে করে মজবুত, কালো, ঘন ও রেশমি। খুশকির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নিম তেল খুবই উপকারী একটি তেল। চুল পড়ার ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৬. নারকেল তেল
চুলের তেলের মধ্যে সবচেয়ে ব্যবহারকৃত তেল হচ্ছে নারকেল তেল। চুলের খাদ্য জোগাতে নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। নারকেল তেলের রয়েছে লরিক অ্যাসিড যা চুলের পক্ষে খুবই ভালো। অতিরিক্ত প্রোটিনের ক্ষতিকে রোধ করে চুলকে করে শক্ত ও ঝলমলে। এটি চুলকে কন্ডিশনার এর মত সাইন করতে সাহায্য করে।
৭. বাদাম তেল
বাদাম তেলে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা চুলকে করে কোমল ও শক্তিশালী। চুল পড়া এবং চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করে। চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং চুলের ভেতরের ফলিকলকে শক্তিশালী করে এবং আদ্রর্তা যোগায়। চুলের যত্নে বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন এটি খুবই উপকারী তেল।
প্রাকৃতিক তেল যেভাবে চুলের তেল হিসেবে প্রস্তুত এবং ব্যবহার করবেন
প্রাকৃতিক তেলগুলো চুলের পক্ষে খুবই উপকারী। তাই আমাদের উচিত এই প্রাকৃতিক তেল গুলোকে চুলের তেল হিসেবে ব্যবহার করতে যেসব প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে সেইসব সম্পর্কে জেনে নেওয়া। চলুন জেনে নেই প্রক্রিয়া গুলো কি কি-
চুলকে সুন্দর রাখার জন্য ভালোভাবে তৈরিকৃত তেল ব্যবহার করতে হবে। শীতল তাপমাত্রায় চাপা/ ভাঙ্গা বা তৈরি করা উন্নতমানের তেল বেছে নিতে হবে।
তেল মাথায় ব্যবহারের করার আগে তেলটা কে হালকা গরম করে লাগালে বেশি উপকৃত হবেন। তাই যতটুকু লাগবে ততটুকু তেল হালকা কুসুম গরম করবেন কিংবা বোতলটাকে গরম পানিতে কিছুক্ষণ রেখে সেই তেল মাথায় লাগাতে পারেন।
সর্বদা তেল আঙ্গুলের ডগায় লাগিয়ে তারপর আলতো আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার মাথার ত্বকে এবং প্রত্যেকটা চুলের গোড়ায় ভালোভাবে তেল পৌঁছে যাবে।
তেলটি কমপক্ষে আধঘন্টা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে রেখে দিন এর থেকে ভালো হয় যদি আপনি সারারাত রেখে দিতে পারেন। অতঃপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলবেন।
আপনার যদি এলার্জি জাতীয় কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই তেল ব্যবহারের আগে যাচাই করতে ভুলবেন না।
চুল পড়া রোধে এসেনশিয়াল অয়েল এর ব্যবহার
চুল পড়ার ক্ষেত্রে এসেনশিয়াল অয়েলের উপকারিতা লক্ষনীয়। এটি চুল পড়া প্রতিরোধে ১০০% কার্যকরি এসেনশিয়াল অয়েল। এসেনসিয়াল অয়েলের মধ্যে যে সব চুল পড়া বন্ধের জন্য উপকারী সেগুলো এবং তেলগুলোর বর্ণনা একে একে নিচে তুলে ধরা হলো-
১. ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল
লেভেন্ডার তেল চুল পড়া রোধের জম বললেও চলে। এর ভারসাম্যপূর্ণ প্রভাব চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে। এটি মাথার ত্বককে প্রশমিত করে এবং চুলকে পুষ্টি যোগায় এবং শক্ত ও মজবুত করে তোলে।
চুল পড়া বন্ধ করতে ল্যাভেন্ডার এসিয়েনসিয়াল অয়েল ভূমিকা শীর্ষক গবেষণার ফলাফলঃ
জার্নাল অফ কোরিয়ান একাডেমি অফ নার্সিং থেকে পরীক্ষাকৃতভাবে গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহারে মহিলাদের চুলকে দ্রুত বৃদ্ধি করে তোলে এবং চুল পড়া রোধে খুবই ভালো সহযোগিতা করে।
২. টি ট্রি বা চায়ের এসেনশিয়াল অয়েল
চা গাছের তেলে শক্তিশালী উপকারী অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রয়েছে যা ছত্রাক এবং খুশকি সংক্রামণ থেকে বাঁচায়। মাথার ত্বকের সংক্রমণকে দ্রুত নির্মূল করে। এতে চুল পড়া কমিয়ে চুলকে দ্রুত লম্বা ও আকর্ষণীয় করে তোলে।
চুল পড়া বন্ধ করতে টি ট্রি বা চায়ের এসেনসিয়াল অয়েলের ভূমিকা শীর্ষক গবেষণার ফলাফলঃ
অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল সমৃদ্ধ চা গাছের তেলে রয়েছে চুল পড়া প্রতিরোধের দারুন গুন। এছাড়া মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এটি খুবই যত্নের সাথে চুলের উপকার করে। যদি কারোর মাথায় খুশকি বা ছত্রাক সংক্রমণের থেকে থাকে তাহলে এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে আপনার সমস্যায়।
৩. রোজমেরি এসেনসিয়াল অয়েল
রোজমেরি এসেন্সিয়াল ওয়েল মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুলকে ঘন, লম্বা ও চুল পড়া রোধে এটি খুবই উপকারী। এর এন্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য মাথার ত্বক সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে। চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন রোজমেরি এসেন্সিয়াল ওয়েল।
চুল পড়া বন্ধ করতে রোজমেরি এসেন্সিয়াল অয়েলের ভূমিকা শীর্ষক গবেষণা ফলাফলঃ
স্কিনমেডে গবেষণা করে জানানো হয়েছে যে, রোজমেরি এসেন্সিয়াল অয়েল মানুষের চুলের জন্যও খুবই উপকারী এটি চুল বৃদ্ধিতে খুব সহায়তা করে। এই গবেষণার শেষ অংশে বলা হয়েছে রোজমেরী তেল চুল পড়ার সমস্যার একটি মহা ঔষধ। এই তেলে অনেকের চুলের সমস্যাগুলো সমাধান হয়েছে।
৪. সিডারউড এসেনসিয়াল অয়েল
সিডারউড এসেনসিয়াল অয়েল ভারসাম্যপূর্ণ প্রভাব চুলের তেলচিটে ভাব দূর করে চুল পড়া রোধ করে। এরমধ্যে রয়েছে মাথার ত্বকের সংক্রমনের থেকে রক্ষা করার মত গুণ। তাই চোখ বন্ধ করে সিডারউড এসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন আপনিও।
চুল পড়া বন্ধ করতে সিডারউড এসেন্সিয়াল অয়েলের ভূমিকা শীর্ষক গবেষণা ফলাফলঃ
আর্কাইভস অফ ডার্মাটোলজিতে গবেষণায় জানানো হয়েছে যে, সিডারউড ওয়েলের প্রভাবে মাথার চুল পড়ার সমস্যা দ্রুত রোধ হয় এবং এটি মাথার ত্বকের সংক্রমণ রোগকে সমাধান করে চুল বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৫. পেপারমিন্ট এসেনসিয়াল অয়েল
পেপার মিন্ট তেলের বিশেষ ক্ষমতা হচ্ছে এটি মাথার রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখে। যা চুলের ভেতরের ফলিকলের কার্যকলাপকে বাড়িয়ে তুলে মাথার ত্বককে সজীব ও সুস্থ রাখে এবং তাড়াতাড়ি চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
চুল পড়া বন্ধ করতে পেপারমিন্ট এসেন্সিয়াল অয়েলের ভূমিকা শীর্ষক গবেষণা ফলাফলঃ
টক্সিকোলজিক্যালের গবেষণায় জানানো হয়েছে যে, পেপারমিন্ট এসেন্সিয়াল অয়েল যখন এক্সপেরিমেন্ট করা হয় তখন একটা ইঁদুরের ওপর করা হয় তখন দেখা যায় ইঁদুরের লোম পেপারমিন্ট এসেন্সিয়াল অয়েলের দৌলতে দ্রুত লম্বা এবং ঘণ হয়ে যায়।
৬. ক্যামোমাইল এসেন্সিয়াল অয়েল
ক্যামোমাইল তেল মাথার ত্বকের সম্পূর্ণ যত্ন নেই এবং যদি মাথায় কোন ধরনের জ্বালাপোড়া জনিত সমস্যা হয় তাহলে কিংবা মাথা গরম হয়ে যায় তাহলে এই তেলটি বিশেষ উপকারী। এই তে চুল পড়া রোধে খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এটি চুলের উজ্জ্বলতা এবং কোমলতা দুটোই বাড়িয়ে দেয়।
চুল পড়া বন্ধ করতে যেভাবে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করবেন-
এসেন্সিয়াল অয়েলের নামগুলো তো শুনলাম এবার চলুন এই তেল ব্যবহার কিভাবে করতে হয় সেই সমন্ধে একটু জেনে নিই।
১. এসেনশিয়াল অয়েল পাতলা করে ব্যবহার করা:
সাধারণত এসেনশিয়াল অয়েল সব সময় গাঢ় ধরনের হয়ে থাকে। যা দেখতে মনে হয় এটি জমাট বেঁধে আছে। তাই ব্যবহারের আগে অবশ্যই এটি পাতলা করে ব্যবহার করতে হবে। এটি পাতলা করতে আপনারা সাধারনত ঘরে থাকা নারকেল তেল, বাদাম তেল কিংবা জোজোবা তেলের সাথে কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল ওয়েল মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি অনেকটাই ফল পাবেন।
২. স্ক্যাল্প ম্যাসাজ:
ভালো ফলাফল পেতে পাতলা করা এসেনশিয়াল অয়েল আঙ্গুলের ডগায় কিছুটা পরিমাণ করে মাথায় একটু একটু করে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখবেন। অতঃপর আঙ্গুল দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করবেন এতে আপনার চুলের পাশাপাশি মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করবে এবং চুলের ভেতরের ফলিকলে প্রবেশ করে চুলকে দেবে মজবুত হওয়ার মত শক্তি।
৩. দীর্ঘ সময়ের জন্য এসেনসিয়াল ওয়েল লাগিয়ে রাখুন:
রেশম কালো চুল পেতে হলে, এসেনসিয়াল অয়েল লাগানোর পর চাইলে ৩-৪ ঘন্টা কিংবা তারও বেশি সময় সবথেকে ভালো হয় যদি সারারাত লাগিয়ে রাখতে পারেন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে এসেনসিয়াল ওয়েল আপনার চুলের গোড়ায় গোড়ায় গিয়ে চুলের সকল ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারে।
৪. এসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহারের মেয়াদ বা ফ্রিকোয়েন্সি:
আপনার পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েলটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মাথায় ব্যবহার করতে পারেন মাথার ত্বক থেকে চুলের আগা পর্যন্ত তেলটি লাগিয়ে রাখবেন। অবশ্যই তেলটি ব্যবহারের আগে মেয়াদ দেখে নিবেন।
চুল পড়া বন্ধে আরও যা যা করণীয়
চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুলকে কোমল, মজবুত করার জন্য বহুমুখী পদ্ধতি প্রয়োগ অধিক প্রয়োজন। আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে তেল ছাড়াও আরো অনেক উপায় রয়েছে আসুন জেনে নিই সেগুলো কি কি-
১. একটি পুষ্টিকর ডায়েট অনুসরণ করুন:
চুল পড়া এড়াতে আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পুষ্টির সম্মত খাবার রাখুন যেমন- হলুদ ফল, সবুজ শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। এর সঙ্গে ভিটামিন এ, সি, ই এবং বায়োডিন জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারন, এই জাতীয় খাবার চুলের জন্য খুবই উপকারী।
২. মৃদু চুলের যত্নের অভ্যাস করুন:
ইলেকট্রিক মেশিনের সাহায্যে হিট দেওয়া, স্টাইলের জন্য চুলকে শক্ত করে বাঁধা, স্ট্রেট করা, আঁটসাঁট ভাবে চুলের বিনুনি করা চুলের পক্ষে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত কারণ এতে চুলের ফলিকলে সমস্যা করতে পারে। এর ফলে চুলগুলো ভেঙ্গে যেতে পারে চুলকে ভালো রাখতে নরম চিরুনি এবং কোমল ব্রিস্টল সহ একটি ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন এতে করে চুল ভেঙ্গে যাওয়ার সমস্যাটা থাকবে না।
৩. স্ক্যাল্প (মাথার ত্বক) পরিষ্কার রাখুন:
আপনার চুলকে সুস্থ রাখতে প্রায় প্রতিদিন চুলে অল্প করে শ্যাম্পু দিন এতে করে আপনার চুল খুশকি মুক্ত এবং ময়লা হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। অতিরিক্ত ধোয়াযুক্ত স্থানে না যাওয়া কিংবা গেলেও মাথায় একটা স্কার্ফ বা ওড়না দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে যাওয়া কারণ ধোয়াতে চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে চুলে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।
৪. রাসায়নিক চিকিৎসা এড়িয়ে চলুন:
যেকোনো ধরনের রাসায়নিক যেমন- রঞ্জক, পারোম এবং শিথিল করনের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক চুলকে দুর্বল এবং ভেতর থেকে ভেঙে দিতে পারে। তাই অবশ্যই এ ব্যাপারে অধিক সচেতন হতে হবে। যদি আপনার একান্তই প্রয়োজন হয় এ ধরনের চিকিৎসার তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞ পেশাদার একজনের সহায়তা নিতে হবে। এর রাসায়নিক চিকিৎসার পদ্ধতির আগে ও পরে চুলের যত্ন নিতে হবে।
৫. ভেজা চুলকে যত্ন সহকারে সামলান:
সাধারণত ভেজা চুলে, চুলের গোড়া অনেকটাই নরম থাকে তাই জন্য ভেজা চুল আঁচড়ানোর সময় অনেকটাই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভেজা চুলে স্টাইল করা থেকে বিরত থাকুন এতে করে চুলের সমস্যা হয়। তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চুল জোরে জোরে মোছার চেষ্টা করবেন না। এতে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। চুল শুকানোর জন্য প্যাটিং, বাতাসে দাড়িয়ে কিংবা রোদে শুকাতে পারেন।
৬. স্টেস (দুশ্চিন্তা) লেভেল ম্যানেজ করুন:
ক্রনিক স্ট্রেস চুল পড়ার মূল কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই চিন্তা মুক্ত থাকতে আপনি রেগুলার ব্যায়াম, ধ্যান, যোগব্যায়াম কিংবা শখের কোন কাজ থাকলে করে সময় কাটাতে পারেন। এতে চিন্তা মুক্ত হবেন এবং আপনার চুল পড়ার সমস্যা ও রোধ হবে।
৭. চুলের টাইট হেয়ার স্টাইল এড়িয়ে চলুন:
এমন ধরনের চুল বাধার স্টাইল আনফলো করুন যেগুলো আপনার চুলকে শক্ত ও টানটান অবস্থাই রাখে। এর মধ্যে আছে পনিটেল, বিনুনি বা বান কারন এইগুলা থেকে চুলে ট্রাকশন অ্যালোপেসিয়া হতে পারে এতে চুল পড়ে যেতে পারে। সেজন্য ডাইট ফিটিং চুলের স্টাইল থেকে বিরত থাকুন। আলগা চুলের স্টাইল বেছে নিন। এতে আপনার চুল ভালো থাকবে।
৮. সূর্য রশ্মি ও পরিবেশগত ক্ষতি থেকে চুলকে রক্ষা করুন:
বাইরে বের হওয়ার সময় মাথায় অবশ্যই স্কার্ফ বা টুপি ব্যবহার করতে হবে এতে করে অতিরিক্ত সূর্যের রশ্মি আপনার চুলকে ড্যামেজ হওয়া থেকে বাঁচাবে। কারণ বাইরে পরিবেশ দূষণকারীর কোন অভাব নেই। এজন্য চুলকে বাঁচাতে অবশ্যই আপনাকে এই পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
৯. পেশাদারের পরামর্শ নিন:
সব ধরনের সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করেও যদি দেখেন আপনার চুল পড়া রোধ হচ্ছে না তাহলে অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনাকে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চুলের পরিচর্যা করতে হবে। এছাড়া চুলের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে সেখানেও আপনি আপনার সমস্যার কে তুলে ধরতে পারেন। মনে রাখতে হবে, চুল বৃদ্ধির চক্র সময় নেয় তাই জন্য সব সময় ধৈর্য ধরে রাখতে হবে।
সঠিক অনুশীলনে ধারাবাহিকতা, পুষ্টি, প্রয়োজনে সময় পেশাদার নির্দেশিকা সহ সকল ধরনের চুল পড়া রোধের সহায়তা নিতে পারেন।
পরিশেষে,
প্রিয় পাঠক আমার এতক্ষণের আলোচনার শেষপ্রান্তে এসে পড়েছি। আজকের আলোচনার বিষয় ছিল চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম। আশা করি পুরোটা পড়ে আপনি ও উপকৃত হবেন। তবে একটা কথা মনে রাখবেন যে কোনো তেল ব্যবহারের আগে অবশ্যই মেয়াদ দেখে ব্যবহার করবেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ তেলে আপনার উপকারের থেকে ক্ষতি হবে বেশি। পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে আমাদের অন্যান্য পোস্টগুলো দেখে আসতে পারেন ধন্যবাদ। আরো পরুন জেনে নিন গলা ব্যথার ঔষধের নাম
©somewhere in net ltd.