নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভালোবাসাহীন জগতের বাসিন্দা, জীবন যেখানে নীরস। প্রতিনিয়ত খুঁজে যাই ভালবাসার রূপ এবং অবগাহন করতে চাই যুক্তির সাগরে।

রায়হানুল এফ রাজ

আমি খুব সাধারণ মানুষ।পৃথিবীতে এই অল্প সময় বিচরণে আমি বুঝে গেছি আমার সম্বল একমাত্র আমি। প্রকৃতির মাঝে আমি আমিই। আমার অস্তিত্বও আমি। তাই নিজেকে নিয়ে খেলতেই আমি বেশি পছন্দ করি। মেতে থাকতে চাই যুক্তির খেলা নিয়ে।

রায়হানুল এফ রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা বাঁচতে চাই

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৬


আমরা বাঁচতে চাই। এই আমরা কারা ? আমরা বাংলাদেশের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা । আরেকটি গুরুত্ব পূর্ণ কথা হল আমাদের অন্তরে বাংলাদেশের জন্য যে ভালবাসা আছে তা ১৯৭১ এর দেশপ্রেমীদের চেয়ে কম নয়। কারণ তাঁরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করার সময় যেসব স্বাধীনতা বিরোধীদের শেষ করতে পারে নি আমরা তরুণ প্রজন্মই তাদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছি। আমরাই পরীক্ষা হল থেকে বের হয়ে শুনেছি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। প্রচুর পরিশ্রম , একনিষ্ঠ তপস্যা, অদম্য ইচ্ছা, উচ্চ আত্মবিশ্বাস নিয়েও আমরা হেরে গেছি । কিন্তু আমরা কি সত্যিই হেরে গেছি ? আসলে আমরা হারিনি। আমাদের হারানো হয়েছে। যে জায়গায় আমাদের মধ্য হতে কয়েকজন মেধাবীর বিচরণ করার কথা ছিল, সেই জায়গায় এখন বিচরণ করবে এক ঝাঁক চোর।
আমরা বাঁচতে চাই। আমরা চোর ইঞ্জিনিয়ার চাই না । সেই সাথে এও আশা করি না যে, আমাদের যারা চিকিৎসা করবে তারা অদক্ষ হোক। যারা চুরি করে ডাক্তার হয় তারা আর যাই হোক, তারা অন্তত দক্ষ নয়। আমাদের দেশের মন্ত্রী-এমপি সহ টাকাওয়ালা ব্যক্তিরা সামান্য আঙ্গুল গরম হলেই দেশের বাইরে যায়। তাদের মধ্যে অধিকাংশই যায় দেশের মানুষের টাকায় । খুব কঠিন করে বললে বলা যায়, তারা যায় আমার টাকায়। আমি এক টাকার চকলেট খেলে যে কর দেই সেই টাকায় তারা দেশের বাইরে চিকিৎসা করাতে যায়। আর আমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেখানে ২৩ জন ডাক্তার থাকার কথা সেখানে আছে মাত্র ৩ জন। রাত ১২ টার পর হাসপাতালে গেলে আমার উপজেলার মানুষ ডাক্তার পায় না । তাদের চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করতে হয় সকাল ৭ টা পর্যন্ত। তারপরও সেই ডাক্তার যদি হয় চোর, তাহলে তো আমাদের হতাশ হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
আজ আমার দেশের মন্ত্রীরা সমানে মিথ্যা কথা বলে। মিথ্যা বলুক, কিন্তু মাঝে মাঝে যে ভবিষ্যৎ বাণী করেন আর অন্যের উপর যে দোষ চাপায় তা নিতান্তই শিশুসুলভ পাগলামি। কিছু কিছু মন্ত্রী তো সারা জীবন জীন তপস্যা করে অবশেষে যেন মন্ত্রী হয়েছেন । ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই জীনের মাধমে তারা খবর পেয়ে যান কেন, কিভাবে, কখন ঘটল? অথচ ঘটনা কি ঘটল তারা তাই জানেন না।
আমরা বাঁচতে চাই। আমরা যখন আমাদের অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরি তখন তা পূরণ করা তো দূরের কথা, উচ্চ পর্যায়ের কর্তা-ব্যক্তিদের কান পর্যন্ত পৌঁছে না। যদিও পৌঁছে তখন তারা বলে যে, অনেকেই তো অনেক কথা বলে। সব কথা কি বিবেচনায় আনা সম্ভভ? তাহলে কি তারা যেটা বলে সেটাই ঠিক?
প্রতিদিন হাজার জন হাজার কথা বলে। কেন বলে? কারণ বিবেক তাদের চুপ থাকতে দেয় না। নিজে ভালো থাকতে, দেশের মানুষের একটু ভালো থাকার জন্য তাদের বলতে হয়। কিন্তু বলে কি লাভ? বলনেওয়ালা এবং শুনলেওয়ালা দুই জনগোষ্ঠীই বঞ্চনার শিকার।
আমার এই লেখা সেই সব তরুণের জন্য যারা দেশের জন্য কিছু করতে আগ্রহী । তাদের বলি হতাশ হবে না। হাল ছেড়ো না বন্ধু কণ্ঠ ছাড় জোরে। নিজের মাঝের সূর্যটাকে প্রজ্জলিত কর। দেশ, মা, মাটি ও মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা কর। কারণ আমরা বাঁচতে চাই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ কথাগুলো দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্তা-ব্যক্তিদের কান পর্যন্ত পৌঁছুক, সেটাই কামনা করি।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আমিও সেই কামনাই করি। ধন্যবাদ আপনাকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.