নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভালোবাসাহীন জগতের বাসিন্দা, জীবন যেখানে নীরস। প্রতিনিয়ত খুঁজে যাই ভালবাসার রূপ এবং অবগাহন করতে চাই যুক্তির সাগরে।

রায়হানুল এফ রাজ

আমি খুব সাধারণ মানুষ।পৃথিবীতে এই অল্প সময় বিচরণে আমি বুঝে গেছি আমার সম্বল একমাত্র আমি। প্রকৃতির মাঝে আমি আমিই। আমার অস্তিত্বও আমি। তাই নিজেকে নিয়ে খেলতেই আমি বেশি পছন্দ করি। মেতে থাকতে চাই যুক্তির খেলা নিয়ে।

রায়হানুল এফ রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগন্তুকের ভালোবাসাঃ (স্মরণ)

১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৫

তালাইমারীতে যে মানুষটার সাথে সবচেয়ে বেশি হৃদ্যতা ছিল সেই মানুষটা হটাত করেই না ফেরার দেশে চলে গেছে। প্রতিবার বাড়ি আসার সময় মামাকে বলতাম, মামা বাড়ি যাচ্ছি। বাড়ি আসার সময় সর্বশেষ চায়ের বিল তিনি কখনো নিতেন না। বলতেন মামা এইটা আমার পক্ষ থেকে। এখন রমজান মাস চলছে। যেদিন বাড়ি ফিরবো তার আগের দিন রাতে চা খেতে খেতে বললাম, মামা কালকে বাড়ি যাচ্ছি দোয়া করিয়েন। ফিরে এসে দেখা হবে। সেই মানুষটা শুধু একটা অতি প্রাকৃত হাসি হেসে বলেছিল, যদি বেঁচে থাকি তবেই দেখা হবে। ঈদের পর আবার তালাইমারী ফিরতে হবে। কিন্তু মানুষটার সাথে আর দেখা হবে না।
মানুষটা আসলেই কে? একজন চা ওয়ালা। কিন্তু রুয়েটের হাজার শিক্ষার্থীর কাছে তিনি টুটুল দাদু নামেই পরিচিত। আমি মামা বলেই ডাকতাম। সেই জন্য যে মানুষটা সবাইকে দাদু সম্বোধন করতেন তিনিও আমাকে মামা বলতেন। চায়ে চিনি কম খাওয়ার বাতিক আছে আমার। মাত্র দুই দিন বলেছিলাম সেই কথা, তার পর আর কোন দিন বলতে হয়নি চিনি কম দেওয়ার কথা।
আমি তারেক ও ইমরান আমরা তিন জন প্রায় প্রতিদিনই চা খেতে যেতাম। তিনি খেয়াল রাখতেন। আমাদের মধ্যে কেউ যদি না যেত তবে তার খোঁজ নিতে কখনো ভুল করতেন না তিনি।
সেই মানুষটা নেই। সুদূর পঞ্চগড় থেকে রাজশাহীতে গিয়েছি আমি। প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরের একটা আগন্তুক মানুষের সাথে হৃদয়ের একটা সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিলো।
মামা ভালো থাকবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.