নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গি মৌলবাদীদের চিনবেন কিভাবে - শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও আমাদের আত্মবিস্মৃতি

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৭



বাঙালি জাতি হিসেবে যে বেদনাগুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত গভীর এবং দুঃসহ তার একটি হলো মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের দোসর আল-বদরের সহযোগীতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও মেধাবী সন্তানদের হত্যাকাণ্ড।

আর কোন জাতির জীবনে এত বড় ঘৃণ্য, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আছে কী না আমার জানা নেই। পৃথিবীর দুটি বিশ্বযুদ্ধেও যুদ্ধরত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপদ ছিলো। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে, বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিরস্ত্র, নিরীহ শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক এবং অন্যান্ন পেশাজীবী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে যাওয়া এবং নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনা ইতিহাসে বিরল।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার যে চক্রান্ত করেছিল, সেই কাজে হয়তো তারা সফল হতো না, যদি এদেশীয় আল-বদরেরা সহযোগীতা না করতো। এই ঘটনা থেকে বাঙালি জাতির ভিতরে একটি নিকৃষ্ট, কুটিল, বিষাক্ত ও কুচক্রী গোষ্ঠির পরিচয় পাওয়া যায়। এদেরকে যুগে যুগে চিহ্নিত করা এবং বিচারের আওতায় নিয়ে আসা বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়েরই একটি অংশ।

গত দুদিনে অবাক হয়ে লক্ষ করলাম যে ব্লগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে একটা কোন পোস্ট পর্যন্ত নেই। প্রথম আলো সহ অন্যসব গুরুত্বপূর্ণ দৈনিকগুলোতেও গতবাধা স্মরণিকা প্রকাশ ছাড়া বিশেষ কোন কথা নেই। নিজের শক্তি ও সত্তাকে ভুলে যাওয়া আত্মবিস্মৃত জাতি যখন গভীর নিদ্রায় মগ্ন ঠিক তখনই জঙ্গি মৌলবাদের শক্তি একটা জাতির মাথায় আঘাত করে। লক্ষ করলাম বুদ্ধিজীবী দিবসে এ সময়ের আল-বদরেরা কিন্তু ঘুমিয়ে নেই। ফেসবুক খুললেই এরকমের মৌলবাদীদের চোখে পড়ে।
বাংলাদেশে শিক্ষার হার কম হওয়াটা একটি সমস্যা বটে, কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা হল শিক্ষিত অশিক্ষিতেরা। স্বাধীনতা বিষয়ে, সংস্কৃতি বিষয়ে, শিক্ষা বিষয়ে, নারী স্বাধীনতা বিষয়ে এই শিক্ষিত অশিক্ষিতদের বয়ানের শেষ নেই। এদের ধারনা এমন যে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করা, নারীদের দাস হিসেবে গন্য করা তালেবানদের আফগানিস্তান থেকে সভ্যতার সূচনা হবে। ফেসবুকে এরকমই একজন জঙ্গি মৌলবাদীর একটি লেখা চোখে পরলো। লেখাটা নিম্নরূপ:

"যেহেতু বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ করি, সেই অর্থে আমি একজন বুদ্ধিজীবী। স্বাধীনতার এতো বছর পরও জালিম এবং জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আমার মত অনেককেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে থাকতে হয়। আমরা প্রান খুলে কথা বলতে পারিনা, যেমন পারতেন না আমাদের পূর্বপুরুষেরা । ৭১ আর ২৩ এর মধ্যে কি অবস্থা খুব একটা বদলেছে ! অনেক কালা কানুনের ভিড়ে আমরা সাহস করে লিখি, আমাদের লেখা পড়ে আমাদের প্রিয়জনেরা আতঙ্কে থাকে। শঙ্কায় থাকে, যে কোন রাতে দরজায় ঠক ঠক করে কেউ কড়া নাড়বে, তারপর সাদা মাইক্রবাসে করে তুলে নিয়ে হাওয়া হয়ে যাবে।"

সহস্রাধিক বুদ্ধিজীবী হত্যা করে একটি জাতিকে মেধাশুন্য করা আর বাক স্বাধীনতাকে খর্ব করা ও প্রতিহিংসার রাজনীতিকে এক করে দেখার সুযোগ নেই। এটি একটি অপতৎপরতা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি অসম্মান। এই ধরনের ফেসবুকি লেখার মাধ্যমে আত্মবিস্মৃত ও নিদ্রামগ্ন জাতিকে সহজে ধোকা দেওয়া যায়। যারা এই ধোকাগুলোকে ধরতে পারে, তাদের পক্ষে জঙ্গি মৌলবাদীদের চিহ্নিত করাটা সহজ হয়।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার ব্লগটি পড়লাম। ব্যাপারটি খুব হতাশার। এখন ক্লাস নাইন ও টেইনের ছাত্রকে প্রশ্ন করুন। ২৬ শে মার্চ কোন দিবস হিসিবে পরিচিতি? অনেকে বলবে বিজয় দিবস। অপারেশন সার্চ লাইট কি, এটাও কেউ বলতে পারবে না।

গ্রামের এক কৃষক কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো ১৪ই ডিসেম্বর কি দিবস? উত্তরে তিনি বলেন “জানি না ভাই।” গ্রামের কৃষক না হয়, পেটের চিন্তায় এসব দিবস এর ধার ধারে না। কিন্তু যে স্কুলে পড়ে, সে কেন এসব প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারে না?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা সত্যিই তাই। ১৪ই ডিসেম্বর কী দিবস অনেকেই হয়তো এটা জানেনই না। এটা দুঃখজনক যে দেশের জন্য এই বড় আত্মত্যাগের মহিমা আমরা প্রচার করতে পারিনি।

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: দিন দিন রাজাকারের সংখা বাড়ছে।মুক্তি যুদ্ধের সমর্থক কমছে।এটা একটা বিরাট সমস্যা।কোথায় গিয়ে যে শেষ হবে?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: এটা সঠিক পর্যবেক্ষন। দেশে ধার্মিক মানুষের সংখ্যা কমছে, কিন্তু ধর্মোন্মাদ বাড়ছে। ধর্মোন্মাদ এবং রাজাকারের পারস্পরিক সম্পর্ক আছে।

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করা ছাড়া উপায় কি- জাতির এই চরম দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির জন্য আমি আপনি সবাই দায়ী। কেউ দায় এড়িয়ে থাকতে পারবেন না। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কি বলতে পারেন?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: কোন দেশে আইনের শাসন না থাকলে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত না হলে তার পরিণতি মৌলবাদের উত্থানে গিয়ে শেষ হয়।
আওয়ামী অগণতান্ত্রিক অপশাসন দেশে মৌলবাদ ও জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ।

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

নিমো বলেছেন: ব্লগে বেশ কিছু বছর ধরেই এসব দিবসে ব্যানার পরিবর্তন, ব্লগ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক বার্তা দেয়া হয় না। সবই আর্থিক সমস্যা নাকি মানসিক সমস্যা, তা কেবল মডুই জানেন। কেননা দেশসেরা মানসিক রোগের চিকিৎসক হিসাবে নিজেকে ইতোমধ্যেই তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমার বিশ্বাস ব্লগ মডারেটর উন্নত আদর্শ এবং দেশপ্রেম ধারণ করেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এবং অন্যসকল গুরুত্বপূর্ণ দিবসে ব্যানার পরিবর্তন এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক বার্তা দেয়ার কথা উল্লেখ করে আপনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। এটি করা উচিত বলে আমি মনে করি।

তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বোধহয় ব্লগারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন।

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আজও রাজাকার আল-বদরের ছায়া বাংলার অনেক মানুষের মধ্যে দেখতে পাবেন। এই ব্লগেও ২/৩ কে দেখতে পাবেন। এরা তাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে যারা রাজাকারের গাড়িতে স্বাধীন বাংলার পবিত্র পতাকা লাগিয়ে আমাদের হৃদয়কে রক্তাক্ত করেছিল।আজও তারা মৌলবাদী ব্যাতিত সবাইকে নাস্তিক ভারতীয় মনে করে। সুযোগ পেলেই এরা বাংলাদেশকে জঙ্গি রাস্ট্র পাকিস্তান বানাবে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩০

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত সঠিক। তবে যতদূর মনে পড়ে ব্লগে একসময় আরো ভয়ঙ্কর জঙ্গিরা পোস্ট দিত, যেগুলো দেখে আমার অন্তরাত্মা কেপে উঠতো। সে হিসেবে এখনকার পরিস্থিতি অনেক ভালো হয়েছে বলে মনে করি।

ভিন্ন মতের, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ থাকুক সেটা ভালো, কিন্তু জঙ্গি-জেহাদি, কাফের-কাদিয়ানী কতলকারীদের ব্লগে রাখাতো যাবেই না, বরং তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

রাসেল বলেছেন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। বুদ্ধিজীবী হত্যা কি বিচারের আওতায় আনা যায়?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। এই প্রশ্নটি আমার মনেও উদয় হয়েছিল। একজন মানুষকে হত্যা করার আইন আছে, আর এত গনহত্যার আইন কী নেই?

গনহত্যার মত জঘন্য অপরাধের আইনের বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই বললেই। তবে আমার ধারনা এই যে একজন মানুষ হত্যার আইন পৃথিবীর ইতিহাসে সহস্র বছরের পুরনো। তার আধুনিক ধারাটি যেটি বৃটিশ দের তৈরি পেনাল কোড সেও প্রায় দেরশ বছরের পুরনো। কিন্তু গনহত্যার মত ঘৃণিত অপরাধের আইনগুলো অপেক্ষাকৃত নতুন যেগুলো মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তৈরী হয়েছে।

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:




পাকিস্তানের দোসর আল-বদরের সহযোগীতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও মেধাবী সন্তানদের হত্যাকাণ্ড।

একটি দেশের জন্য এর চেয়ে অপূরণীয় ক্ষতি আর কী হতে পারে!!!

কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা হল শিক্ষিত অশিক্ষিতেরা।


শিক্ষিত মূর্খদের নিয়ে আসলেই বিপদ।
অনেকেই তাদের অনুসরণ করে বিপথে যায়।


১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। আশা করি আপনি এখন ভালো আছেন?

একটি দেশের জন্য এর চেয়ে বড় ক্ষতি আর কিছুই হতে পারে না। অথচ এটা নিয়ে জাতি হিসেবে আমাদের যেন কোন বিকারই নেই। অষ্ট্রেলিয়ায় আপনি নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন যে ওখানে ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো, স্থানগুলো কত গুরুত্বের সাথে সংরক্ষন করা হয়। অথচ আমরা এমন এক অর্বাচীন জাতি যে বুদ্ধিজীবী দিবসকেও ভুলে থাকি। নিজেকে চেনার ব্যাপারে আমাদের এত অবহেলা।

ইদানীং শিক্ষিত মূর্খদের সংখ্যা দারুন বেড়ে গেছে। মৌলবাদী ধ্যান ধারণা আমাদের পিছন দিকে নিয়ে যায়, অন্ধকারের দিকে, দাসত্বের দিকে নিয়ে যায়। তাই সমাজের রেডিকালাইজেশন দেখে দুঃখিত হই।

৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

বিজন রয় বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আজও রাজাকার আল-বদরের ছায়া বাংলার অনেক মানুষের মধ্যে দেখতে পাবেন। এই ব্লগেও ২/৩ কে দেখতে পাবেন।

আপনার এই কথাটি মানতে পারলাম না গোফরান, ব্লগে কয়েকশত আছে। তার মধ্যে বর্তমানে একটিভ আছে ১২/১৩ জন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ব্লগের চেয়ে এরা সম্ভবত ফেসবুকে বেশি সক্রিয়। তবে এক সময় এরা মোটামুটি জঙ্গি তলোয়ার নিয়ে এই ব্লগেও দাপিয়ে বেড়াতো। এখনও অবশ্য দুএকটি ইচড়ে-পাকা, পিনাকি রায়ের চেলা দেখা যায়।

৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬

বিজন রয় বলেছেন: পোস্টে যা বলেছেন, তা শোনার মতো মানুষ এদেশে খুব কম হয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য বাংলাদেশে যা হওয়ার কথা সেটাই হচ্ছে।

বাংলাদেশের পরিণতি ভাল হওয়ার কোন কারণ দেখছি না।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, আমরা একটা নিদারুন হতাশার সময় পার হচ্ছি।

সুশাসনের অভাব এই পরিস্থিতিকে, হতাশাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সত্যি বলতে আমার জানা নেই এই পরিস্থিত থেকে কি করে বের হওয়া সম্ভব।

১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট।
সহমত।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: দুঃখজনক। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

সকল শহীদদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাজ্ঞলি।

১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এখন সময়টা এমন হয়ে গেছে দেশ নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ইতিবাচক কিছু লিখলে বা বললে দালাল ট্যাগ খেতে হয়। মৌলবাদীদের নিয়ে লিখলে ধর্মবিদ্বেষী ট্যাগ খেতে হয়। যত বেশি দেশকে গালমন্দ করা যায়, দেশের সমালোচনা করা যায়; তত বেশি দেশপ্রেমিক। একসময়ের স্বৈরাচারীরা এখন বড় গণতন্ত্রপ্রেমী। রাজাকার-আলবদরদের বংশধরেরা এখন জ্ঞান বিতরণ করে। তারা বিরাট দেশপ্রেমিক।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০২

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা এই অবস্থাটা তৈরি হয়েছে।

সত্যি বলতে কী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং এর চেতনা যাদের এগিয়ে নিয়ে যাবার কথা ছিলো তাদের অপকর্মের বোঝা এত ভারী হয়ে গেছে যে তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলে ঘৃণা বোধ হয়।

যেহেতু বড় একটি শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে এই সুযোগে রাজাকার-আলবদরেরা দেশপ্রেমিক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যে কোন অকার্যকর দেশেই ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতি, হত্যার মত অপকর্মের পথ ধরে মৌলবাদের উত্থান ঘটে, আমাদের দেশেও তাই হচ্ছে।

১৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমরা সাধারণত এই গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে আমাদের ব্যানার পরিবর্তন করে থাকি। আমাদের সাইটটি যে মডেলে করা হয়েছে, সেখানে মূলত ব্যানার আপডেটের কাজটি আমাদের ডেভ টিমই করে থাকেন। যেহেতু তারা কেউই আমাদের সাথে বর্তমানে পূর্ণকালীন ভাবে যুক্ত নন এবং তারা সবাই বিভিন্ন টাইম জোনে থাকেন, তাই মাঝে মাঝে যোগাযোগের ঘাটতির কারণে ব্যানার পরিবর্তন করতে দেরী হয়।

যেমন আজকে বিজয় দিবসের ব্যানার আপডেট হতে একটু সময় লাগবে।

আপনাকে ধন্যবাদ, আমার উপর আস্থা রাখার জন্য। আর যাদের আস্থা নেই, তাঁদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আপাতত কিছু করার নেই।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, আপনার উপর যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। ব্যানার পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করার জন্য ধন্যবাদ।

ব্যানার তৈরীর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন অবশ্যই, কিন্তু তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন ব্লগারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন এবং আত্নবিশ্লেষণের প্রক্রিয়া যেটা আপনি অনুভব করে থাকবেন।

দিবসটিকে যথাযথ গুরুত্ব দেবার জন্য এবং ইতিহাসকে বুঝে ওঠার জন্য ঐতিহাসিক গল্প, সাক্ষাৎকার, নথি, ছবি, ঐতিহাসিক সংবাদপত্র এবং রেকর্ড বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেই দিনগুলোতে আমাদের বারবার ফিরে যেতে হবে। যেটা আমি এই ব্লগ থেকে কিছুটা হলেও আশা করেছিলাম।

১৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: এত বছর বাদেও কেন স্বাধীনতার বিরুদ্ধ শক্তি শক্তমান। এইধারাটি কারা জিইয়ে রাখছে। এর গভীরে প্রবেশ করা জরুরী।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: সুশাসনের অভাব এবং জাতি হিসেবে আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতাগুলো এই বিরুদ্ধ শক্তির উত্থানের জন্য অনেক খানি দায়ী বলে মন করি।

ইতিহাস নিয়ে আমাদের আগ্রহ এত কম যে এর গভীরে প্রবেশ করা দুরূহ, তবে নিঃসন্দেহেই এটা জরুরী।

১৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: "শিক্ষিত অশিক্ষিত" একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করছেন। একটা জাতির শিক্ষিত জনগোষ্ঠী সেই জাতির বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু সেই জাতির শিক্ষিত জনগোষ্ঠীরই একটা সিংহভাগ যদি অন্ধের মত আচরণ করে তাহলে তা অতীব দুঃখজনক বিষয়ে পরিণত হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর বিভ্রান্তিমূলক কনটেন্ট এর ছড়াছড়ি দেখতে পাওয়া যায়, যা একটা দ্বিধাবিভক্ত জাতিকে সত্যিকার ভাবেই বিভ্রান্ত করার জন্য যথেষ্ট। আমাদের এই তথাকথিত শিক্ষিতদের সম্পর্কে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি যখন মিথ্যা এবং অপ্রাসঙ্গিক তথ্যের ছড়াছড়ি। বাংলাদেশের মত দেশে যখন প্রায় সকল বিষয়েই স্বচ্ছতার দারুন অভাব তখন এই মিথ্যা এবং অপ্রাসঙ্গিকতা আমাদের বিভ্রান্ত করার জন্য যথেষ্ট। এর থেকে আমরা কী করে রক্ষা পেতে পারি সেটা গভীর চিন্তার বিষয়।

মিথ্যা এবং অপ্রাসঙ্গিক তথ্য পরিষ্কার করে আমাদের ভাবনা চিন্তায় স্বচ্ছতা নিয়ে আসার জন্য প্রচুর পড়ালেখার কোন বিকল্প নেই। আর অবশ্যই আমাদের এই তথাকথিত শিক্ষিত অশিক্ষিতদের সম্পর্কে সচেতন হওয়াটা জরুরি।

১৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: যারা "বাংলাদেশ" নামের এই চার সংখ্যার শব্দটি আজও মেনে নিতে পারেনি তাদের জন্য নিম্মলিখিত কাজগুলো (দেরি না করে..) বাস্তবায়িত করা অতি জরুরীঃ

/তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আর পাসপোর্ট প্রত্যাহার করে নেয়া।
/তাদের উত্তরাধিকার সূত্র প্রাপ্ত জমি-জমা, ফ্ল্যাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে অধিগ্রহন করে নেয়া।
/তাদের বাধ্যতামূলক ভ্যাসেকটমি করে দেয়া।

তাদের পূর্বপুরুষরা ৭১ এ যা করে গেছে, উপরোল্লিখিত কাজগুলো সে তুলনায় অনেক মানবিক। অতএব কালবিলম্ব না করে যা প্রস্তাব করা হলো তা দ্রুত বাস্তবায়ন করাই সমিচীন।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

পোস্টটির মূল বিষয় বুদ্ধিজীবী দিবসে আমাদের আত্মবিস্মৃতি এবং শিক্ষিত অশিক্ষিতদের ছড়ানো তথ্য বিভ্রাট।

১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: সুশাসনের অভাব এবং জাতি হিসেবে আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতাগুলো এই বিরুদ্ধ শক্তির উত্থানের জন্য অনেক খানি দায়ী বলে মন করি।

ইতিহাস নিয়ে আমাদের আগ্রহ এত কম যে এর গভীরে প্রবেশ করা দুরূহ, তবে নিঃসন্দেহেই এটা জরুরী।
ঠিক বলেছেন। এই জরুরী কাজ শুরু করা।

সময়টা এমন মানুষ শুধু বর্তমান দেখে।
বর্তমানের আগে যে অতিত ছিল এবং পুরো জাতির ইতিহাস মুছে দেয়ার পায়তারা ছিল, দীর্ঘ সময় ধরে। একটা প্রজন্ম বড় হয়েছে ভুল ইতিহাস পড়ে, জেনে। এবং তাদের যে বিস্তার । চারপশের মানুষের দূর্নীতি, এ সব রোধ করার জন্য সর্ব সাধারনের মধ্যে আবার জাগাতে হবে দেশের প্রতি মমত্ব, ভালোবাসা, আন্তরিকতা।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেক সুন্দর করে কথাগুলো বলেছেন।

ইতিহাস নিয়ে আমাদের কম আগ্রহের একটা কারন হয়তো আমাদের দারিদ্র। দরিদ্র লোকেরা শুধু খায়, কোন সৌন্দর্য বা ইতিহাসের ধার ধারেনা। এমন কি যখন দরিদ্রতা কমে যায় তখনও শুধু খায়!

তাই মনে হয় জাতি হিসেবে আমরা হয়তো খিদে যুগ বা খাওয়া যুগে আছি। বহু দৈববছর পরে খিদে যুগ শেষ হলে হয়তো ইতিহাসের আত্মোপলব্ধি যুগে প্রবেশ করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.