নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক ও আধিভৌতিক তিনটি ঘটনা -৩

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৩৭



আশা আমার ছোট বোনের বান্ধবী। তাকে যখন প্রথম দেখি তখন তার বয়স ১৩-১৪ বছর হবে। মফস্বলের আলো-হাওয়া-জলে বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত পরিবারের শ্যামলা গড়নের কৃশকায় একটি মেয়ে। চেহারায় এমন কোন বৈশিষ্ট্য ছিলনা যে তাকে আলাদা করে মনে থাকে। আর সব মেয়ের মতই সে বেণি দুলিয়ে স্কুলে যায়, বই-খাতা হাতে নিয়ে দল বেধে পায়ে হেটে ব্যাচে স্যারের কাছে ইংরেজি এবং গণিত প্রাইভেট পড়তে যায়, কারণে অকারণে খিলখিল করে হেসে বান্ধবীদের গায়ে ঢলে পড়ে। ঢাকা থেকে বাড়ি গেলে ঈদ বা অন্য কোন আনুষ্ঠানে কখনো কখনো বোনের বান্ধবীদের দেখেছি, কিন্তু এই ফাজিল পুঁচকে দলকে গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন কখনো অনুভব করিনি।

আমার বোন তখন বোধহয় নবম শ্রেণি। তার বই পড়ার খুব নেশা। প্রবল উৎসাহে কখনো মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বই পড়ছে, আবার কখনোবা সেবা প্রকাশনীর তিন-গোয়েন্দার সিরিজ পড়ে শেষ করে ফেলছে। পা ঠক হিসেবে সে সর্বভুক, অবশ্য শুধু পাঠ্য পুস্তকগুলো ছাড়া। সেবার বাড়ি এসে দেখি আমার দু'খন্ডের শার্লক হোমস অমনিবাসের অবস্থা শোচনীয়, মলাট গেছে ছিড়ে, বইয়ের পাতাগুলো খুলে খুলে পড়ে এমন অবস্থা। ছোট বোনকে বকুনি দিতেই সে জানালো এটা তার একার দোষ নয়, তার এক বান্ধবী- নাম যার আশা, সে নাকি বইটা ধার নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে এই অবস্থা করে। বললাম তার বান্ধবী উইপোকা নাকি যে বই না পড়ে বই খেয়ে ফেলেছে। বান্ধবীকে উইপোকা বলায় সে বড় মনক্ষুণ্ন হলো। বললো সে আর কখনই আমার বই ছুঁয়েও দেখবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি।

বোনের মনক্ষুণ্ন হওয়া দেখে কথা ঘুরিয়ে বললাম যে উইপোকার কথাটা উদাহরণ মাত্র। ভেবে দেখ, উইপোকার কাছে বইয়ের পাতার লেখাগুলোর কোন মূল্য নেই, তার কাছে বই হলো শুধু একটা খাদ্য। এমন কী হতে পারে যে আমরা যেভাবে এই বিশ্ব দেখি, সে দেখাটাও অন্য কোন জগতে বা অন্য কোন গ্রহের উন্নত প্রাণীর চোখে উইপোকার বইয়ের পাতা খাওয়ার মতো একটা বিষয়। যখন তাকে "বাস্তবতা কি" এই প্রশ্ন যে কত জটিল হতে পারে, এ বিষয়ে জ্ঞান দিচ্ছি তখন সে ইতস্তত করে একটা অদ্ভুত কথা বললো। সেটা হলো তার বান্ধবী আশা নাকি ভবিষ্যৎ দেখতে পায়!

ঘটনার ব্যাখ্যায় সে যেটা বললো তা হলো আশার ছোটবেলা থেকেই সমস্যাটা ছিল। হয়ত সে রিকশায় করে কোথাও যাচ্ছে, হঠাৎ তার মনে হলো সামনের রিকশা থেকে এই মুহূর্তে একজন মহিলা আর তার ছোট্ট বাচ্চা পড়ে যাবে। হতোও তাই। হয়ত কয়েক সেকেন্ড বা মিনিট যেতে না যেতেই একজন মহিলা আর ছোট্ট বাচ্চা পড়ে যেত রিকশা থেকে। আবার হয়ত তার মনে হলো তাদের প্রতিবেশী বুড়ো দাদু আজ রাতে মারা যাবেন। পরদিন সকালে উঠে দেখা গেল মা তাকে ডেকে তুলে বলছেন, পাশের বাসার বৃদ্ধ মানুষটি কাল রাতে মারা গেছেন। এই ভবিষ্যৎ দেখা বিষয়টা আশার জন্য অতি কষ্টকর হয়ে উঠেছিলো। এটা ছোট্ট মেয়েটিকে এত বেশি আতঙ্কগ্রস্ত করতো যে সে প্রায়শই অসুস্থ থাকতো। অভিভাবকেরা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। কাজের কাজ কিছু হয়নি। দিনের পর দিন আশা হতাশ হয়ে অনুভব করেছে যে, সে আর সবার মত সুস্থ নয়।

হঠাৎ একদিন খুব আশ্চর্যভাবে তার এই অসুখটা ছেড়ে গিয়েছিলো। সেদিন আশা আর তার ছোট ভাই বাসায় একা। বাবা সাত সকালে গিয়েছেন কাজে। মাও কোন একটা কারণে পাড়ার কোন প্রতিবেশীর বাড়িতে গেছেন বেড়াতে। এমন সময় একটা ফকির এসে ভিক্ষা চাইলো। আশা একটা টাকা নিয়ে সেই ফকিরের কাছে যেতেই ফকির তাকে একটু দাঁড়াতে বললেন। আশা কে তিনি বললেন যে তার একটা ক্ষমতা আছে, এটা কী সে রাখতে চায়, নাকি সে রাখতে চায় না। আশা তার সবটুকু শক্তি দিয়ে বললো যে সে এটা থেকে মুক্তি চায়। ফকির তাকে বললেন, ঠিক আছে তবে তাই হবে। এরপর ফকির তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। তারপর থেকে ধীরে ধীরে আশার ভবিষ্যৎ দেখবার ঘটনাটা কমে আসতে থাকলো।

আমার বোনের সাথে সেই কথোপকথনের প্রায় দু-তিন বছর পরে আাশার সাথে আমার দেখা হয়েছিলো। সেদিন সে একাই এসেছিল আমাদের বাসায়। তখন আশা ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার্থী। সে যে কবে ফাজিল-পুচঁকে দল থেকে বেড়িয়ে বেশ একটুখানি বড় হয়ে গেছে, সেটা আমার জানা ছিল না। আমার সাথে তার খুব যে বেশি কথা হলো তাও নয়। তার আচরণে মনে হলো, সে যেন আমাকে বেশ চেনে। অতএব খুব বেশি কথার আর প্রয়োজন নেই। মনে আছে সে বলেছিলো "এসব ক্ষমতা থাকা কী ভালো, ভাইয়া?"। আমার মফস্বলী পড়ার ঘরে সে চুপচাপ বসেছিলো। তখন শরৎকাল, কিছুক্ষণ আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে আকাশ পরিস্কার হয়ে গেছে। শীতল একটা হাওয়া বইছে। আশার সামনের টেবিলে কিছু নাস্তা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোন খাবার সে ছুঁয়ে দেখলো না। আমাদের এক আত্মীয়া তার ছোট মেয়েকে নিয়ে কদিন আগে গ্রাম থেকে এসেছেন। সেই ছোট মেয়েটির কিছুকিছু কথা আমাদের কানে আসছিলো। আশা আমার কাছে আগ্রহ নিয়ে মেয়েটি সম্পর্কে জানতে চাইলো - তারা কবে এসেছে, কোথায় থাকে, এই সব।

আশা চলে যাবার পরে বেশ খানিকটা বাদে আমি ঘর থেকে বের হয়েছি। হঠাৎ দেখি সেই ছোট মেয়েটি আশাকে দেওয়া নাস্তার প্লেট থেকে বিস্কুট উঠিয়ে আগ্রহ ভরে খাচ্ছে। হঠাৎ মনে হলো আশা কী এই ঘটনাটি আগেই দেখতে পেয়েছিলো?

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এমন ঘটনা আমিও অনেক শুনেছি।

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। ঘটনাটিতে তেমন বিশেষত্ব আছে এমন দাবি করিনা। এমন ঘটনা প্রায় শোনা যায়।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: বহু ঘটনার কথা আমরা বলি যেটা মিলে যায় সেটাই আমরা মনে রাখি।হকি গুলি ভুলে যাই।

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: সত্যিই তাই কামাল ভাই। যেগুলো মেলে না সেগুলো আমরা ভুলে যাই। তবে আশার ক্ষেত্রে মিলে যাওয়া সাফল্যের রেট একটু বেশি ছিল- এটা ছিল ১০০%। তার কথা সত্য কিনা তা নির্ণয়ের সুযোগ অবশ্য ছিল না।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আশা নিজেই বিশ্বাস করতো সে ভবিষৎে দেখতে পায়, তাই তেমন কিছু ঘটতো মাঝেমধ্যে। এই ঘটনা ঠিক কতজন জানতো ৫/১০ জনের বেশি হবে?

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, কোন কারণে খুব ছোট বয়সে তার সাইকির ভিতরে হয়ত এই বিশ্বাসটা ঢুকে গিয়েছিল। তার রহস্য গল্প পড়ার নেশার ব্যাপারটা একারণে উপস্থাপন করা। অবশ্য আরো ছোট ছোট কিছু ডিটেইল সময়ের অভাবে আর যোগ করা হয়নি।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২৫

শায়মা বলেছেন: আমার মনে হয় কিছু কিছু মানুষ ভাবুক হয়। তারা আমাদের চাইতে বেশি ভাবে বা চিন্তা করে। তাই ভাবুক না বলে চিন্তুকও বলা যায়। তারা নানা মানুষ নিয়ে ভাবে। ঘটনা নিয়ে ভাবে। যেমন সামনে রিক্সায় চলা মেয়ে ও তার বাচ্চা। তার মনে হয় যদি পড়ে যায় যদি পড়ে যায়। এই রকম আমরা ভাবি না কেউ কেউ ভাবে, সিজোফ্রেনিয়া টাইপ ব্যাপার মনে হয় একটু যাদের সন্দেহ বাতিক থাকে। তারা ফ্যান দেখলেও ভাবে যদি মাথায় খুলে পড়ে। এই রকম ভাবনার ১০০টার মধ্যে ২/৩ বা ১০ মিলে যায় আর ভাবেন উনারা বড় পীর হয়ে গেছেন।

সাথে সাথে বন্ধু বান্ধব মা বাবা আত্মীয় স্বজনেরাও সিমপ্যাথিটিক ইনফ্লুয়েন্স হন। আর রটনা রটাতে থাকেন ও বুঝতে পারে। ও ভবিষ্যৎ দেখতে পারে।


কেউ বাসার থেকে গেস্ট যাবার পর ছেলেমেয়েরা সেই খাবার খাবে এতে আশ্চর্য্যের কি আছে ভাইয়া!!!!

তুমিও দেখছি আরেকজন!!!!!!! X((


আশাকে আমার কাছে পাঠায় দিও। ওর পীর বাবা হবার আশা আমি ছুটায় দেবো!!! :P

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: "আশাকে আমার কাছে পাঠায় দিও। ওর পীর বাবা হবার আশা আমি ছুটায় দেবো!!!"

হা হা। :) তবে আশার কিন্তু পীর-বাবা হবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা ছিলনা। "সিজোফ্রেনিয়া টাইপ" ব্যাপার কী না বলতে পারিনা তবে এটার সাথে যে মানসিক কোন একটা সমস্যা যুক্ত এটা মনে হয়।

উইলিয়াম জেমস (William James) বলে একজন আমেরিকান দার্শনিক এবং মনোবিজ্ঞানী এ জাতীয় ঘটনাগুলোর কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার লেখা ঝরঝরে, সাবলীল। একটা ভালো গুণ আছে হুমায়ূন আহমেদের মতো, ছোটো বিষয়গুলোকেও খুব আকর্ষণীয় ও হৃদয়গ্রাহী করে উপস্থাপন করতে পারেন। এ পর্বের 'আশা' ক্যারেক্টারও হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রের মতো। তবে, আশার ভবিষ্যত দেখা বা বলতে পারাটা কোনো আদিভৌতিক ব্যাপার না। এটার সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মহান শায়মানন্দ দাশ - তারা ফ্যান দেখলেও ভাবে যদি মাথায় খুলে পড়ে। এই রকম ভাবনার ১০০টার মধ্যে ২/৩ বা ১০ মিলে যায় আর ভাবেন উনারা বড় পীর হয়ে গেছেন।

খেলাধুলা আমার অনেক প্রিয়, বিশেষ করে ক্রিকেট ও ফুটবল। ক্রিকেটে প্রায়ই আমার অ্যাসেসমেন্ট ঠিক হয়, অর্থাৎ যা বলি তাই হয়। তার মানে এই না যে আমি ভবিষ্যত দেখে বলেছি :) এটা আমার স্কিল এং এক্সপেরিয়েন্স। গত ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপে আমি প্রায় প্রতিটা ম্যাচের আগেই ফেইসবুকে ফোরকাস্ট দিতাম। প্রথম ৩টা লেগে গেল, এমনকি আর্জেন্টিনা যে সউদির কাছে হারলো, সেটা সহ :) এটা ছিল স্রেফ ফ্লুক ফোরকাস্ট, ফকিরের কেরামতি আর কী। বাকি ফোর কাস্টে কোনোটা হয়েছে, কোনোটা হয় নাই। আমার মতো এমন ফোরকাস্ট দিয়েছে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ, কারোটা ফলেছে, কারোটা ফলে নি।

আশা হয়ত রাস্তায় বের হলেই ওর আশঙ্কা হতো, হয়ত কেউ একজন বাচ্চাসহ রিকশা থেকে পড়ে যাবে। একদিন সেটা হয়ত ঘটেই গেছে। এরকম আশঙ্কার মতো আরো অনেক কিছুরই আশঙ্কা সে করে থাকবে, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটা লেগে যাওয়া কোনো দৈব ঘটনা না, জাস্ট অ্যাক্সিডেন্ট।

ধরুন, একটা লোক আকাশের অবস্থা দেখে প্রায়ই বলে আজ বৃষ্টি হবে, চৈত্রমাসে বলে আজ ঝড় হবে। বর্ষার দিনে ১০ দিন বৃষ্টির কথা বললে ৩/৪ দিন বৃষ্টি হবেই, ঝড়ের দিনেও ওরকম হবে। তো, তার এই পূর্বাভাস বলা থেকে বাড়ির মানুষ রটিয়ে দিল, বাহ, দাদু তো দেখি সবকিছু আগাম বলে দিতে পারে। এভাবেই ঘটনা ছড়ায়, যত ছড়ায় তত অতিরঞ্জিত হতে থাকে।

আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর উপর আমার প্রচণ্ড আগ্রহ। ছোটোবেলা থেকেই আমি অলৌকিক কিছু দেখতে ও পেতে চাইতাম। সত্যিকারেই ব্ল্যাক ম্যাজিক বলে কিছু আছে কিনা সেই রহস্য জানতে চাইতাম, যা আজও খুঁজছি। তবে, একটা রহস্যময় ঘটনার ব্যাখ্যা আজও আমি পাই নি, যার লিংক এর আগের কোনো এক পোস্টে দিয়েছিলাম।

শুভেচ্ছা রইল।

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই। আপনার পর্যবেক্ষণ শক্তি অনন্য সাধারণ বলেই হয়তো আপনার ফোরকাস্টগুলো অনেকটা নিখুত হয়।

আশার ক্ষেত্রে বিষয়টা আমার বিশ্বাস ঠিক পর্যবেক্ষণ নির্ভর নয়। এই ঘটনাগুলো যখন ঘটতো তখন তার সাইকির কিছু পরিবর্তন বা রূপান্তর ঘটতো। আশার ক্ষেত্রে তার ধারনা মিলে যাওয়া সাফল্যের মাত্রা ছিল শতভাগ।

কিন্তু তার পরেও এটাকে ঠিক অলৌকিক ব্যাপার বলে আমি মানতে রাজি নই। কিছুদিন আগে TED Talks এ ঠিক এই ধরনের ঘটনার ব্যাখ্যা নিয়ে একটা আলোচনা ছিল। সেটারও মূল কথাটা ছিল আপনার এই কথাটাই "এটা আমার স্কিল"।

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২০

শায়মা বলেছেন: হা হা সোনাবীজভাইয়া শায়মানন্দ দাশ আমি!!!!!!!!!!!!! :P

আসলেই ঐ জে জাতিস্মর বলে না কেউ কেউ ? ধরে আচ্ছা ধোলাই দিলে জাতিস্মর হবার সাধ মিটে যাবে একেবারেই। অমন জাতিস্মর আমিও হতে পারবো বিশ্বাস করো। যারাই ভবিষ্যৎ দেখতে পায় বলে বা যা বলে তাই ফলে যায় বলে প্রচারিত হয় তারা আসলে কিছুই না সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত কিছুটা পাগল পাগল মানুষ আর কি।

আর প্রেডিক্ট করে বাজী ধরা বা কে জিতবে কে হারবে গেইস করার চেষ্টা করা সেটাও এক ধরনের মানসিক শক্তির প্রয়োগ করা। মন যা চায় তা জোর করে দেখতে চাওয়া। তবে তুমি নিজেই বুঝছো উহাও কখনও ঘটিবেক কখনও ঘটিবেক লাই। :)


যাইহোক সোনাবীজভাইয়া আমি তোমার কথামত অস্ট্রেলিয়ায় কাবুলীয়া সাজুগুজু করে ছবি তোলা পোস্ট দিয়েছি। তুমি তো দেখোই না। :(

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: 'যারাই ভবিষ্যৎ দেখতে পায় বলে বা যা বলে তাই ফলে যায় বলে প্রচারিত হয় তারা আসলে কিছুই না সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত কিছুটা পাগল পাগল মানুষ আর কি।"

এই কথাটা বেশি মজার ছিল। আর "কাবুলীয়া" শব্দটা আমার বড়ই পছন্দ হয়েছে।

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এমন ঘটনা ঘটতে পারে হয়তো, হয়তো বা না। তবে এমন কাহিনী পড়তে ভালো লাগে

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যা, তা ঠিক। ঘটনাগুলো বিশ্বাস করা কঠিন হলেও গাল-গল্প প্রায় সময়ই উপভোগ্য।

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আধিভৌতিক কাহিনী আমার ভীষন পছন্দের।

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: জানিনা এটাকে ঠিক আধিভৌতিক বলা যায় কিনা, তবে এই গল্পগুলোর একটা আকর্ষণ আছে। ধন্যবাদ।

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫

ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: গল্প পড়লাম, কষ্ট করে নিজের মতো বুঝে নিলাম।
তবে কেন যেন মনে হচ্ছে আশা আপনাকে মনে মনে খুব ...... করতো।
এমন গল্প আরো পড়েতে চাই।

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আশার সাথে সম্ভবত ৩-৪ বারের বেশি আমার কথা হয়নি। আমাদের সম্পর্কে শ্রদ্ধার বিষয়টিই মূখ্য হয়ে ছিল, অন্য কিছু নয়।

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:




কিন্তু এই ফাজিল পুঁচকে দলকে গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন কখনো অনুভব করিনি।

কথা সত্যি না শ্রাবণ।
যথেষ্টই গুরুত্ব দিয়েছে, মনে রেখেছে, আবার সেটা আমাদের সাথে শেয়ারও করেছে :)

আগের পর্বগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবারেও কোন রহস্য নেই, তবে আগের দুই পর্বের চেয়ে এবারেরটা তুলনামূলকভাবে বেটার।

পোষ্টে উল্লেখিত ঘটনার মতো আমার সাথেও হয়েছে।
একবার আমার এক সহপাঠী আমাকে নিয়ে কিছু ভবিষ্যতবাণী করে যে আমার জীবনে এই এই হবে।
ইনফ্যাক্ট পরবর্তীতে সত্যি তাই তাই হয়েছে কিন্তু আমার কখনও মনে হয়নি তার কোন দৈব ক্ষমতা আছে।

বেশ অনেক আগে একবার গুলশান ক্লাবের সেক্রেটারির সাথে আমার পরিচয় হয়।
পরিচয়ের শুরুতেই উনি আমাকে দেখে কিছু ফিউচার প্রেডিক্ট করে কথা বলেন।
কেনো করেছিলেন জানিনা কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেটা পরবর্তীতে মিলে যায়।
আমার তখনো মনে হয়নি ওনার কোন অলৌকিক ক্ষমতা আছে।

কিছু কমন অনুমান আমরা অনেকসময় করে থাকি। সেটা আবার কখনও কাকতালীয়ভাবে মিলে যায়।
এই আর কি, আধ্যাত্মিক বা রহস্যের কিছু নেই।

তারপর শ্রাবণ, স্টক শেষ নাকি আরও আছে?
তিন পর্বের সিরিজ হয়ে গেলো কিন্তু কোন আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক বা রহস্যের দেখা পেলাম না।
শিরোনামের শব্দগুলোর কেমন অবমাননা হলো!!!! :(

শ্রাবণের কাছ থেকে একটা সেরকম লেখা এখন পরিস্থিতির দাবী :)

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিরোরডডল। মনে হচ্ছে এই লেখাটা আপনার বিচারে তৃতীয় বিভাগে পাশ মার্ক পেয়েছে। এটা জেনে আমি আপ্লুত। :)

আপনি ভবিষ্যদ্বাণীর যে উদাহরণগুলো দিয়েছেন, এই ধরনের ভবিষ্যদ্বাণীই আমরা সচরাচর শুনে থাকি। তবে আশার বিষয়টি কিন্তু একটু ভিন্ন। ঘটনাগুলো ঘটতো অতি দ্রুত এবং সেগুলো ঘটার অল্প সময় আগে অনেকটা বিদ্যুতচমকের মত বিষয়টা তার শরীর মনে আচ্ছন্ন হয়ে যেত। এটা তাকে প্রায় মৃগীরোগীর (Epilepsy) মত অসুস্থ করে ফেলতো। গল্পের কিছু ছোট ডিটেইল আমি বর্ণনায় নিয়ে আসতে পারিনি, যেটা সময়ের অভাব বটে, আমার অযোগ্যতাও বটে।

"শ্রাবণের কাছ থেকে একটা সেরকম লেখা এখন পরিস্থিতির দাবী"। এমন উৎসাহব্যঞ্জক কথা বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ। তবে সত্যি বলতে কি এই জাতীয় লেখাগুলো বা বিষয়গুলো বোধহয় আমার জন্য নয়। যুক্তির রাস্তায় হাটাটাই আমার পথ, উল্টো দিকে হাটতে গেলে দেখি হোচট খেতে হয়।

১১| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া কাবুলীয়া আবুলীয়া এই রকমের অনেক শব্দ ভান্ডার আবিষ্কার করেছি আমি।:) যাইহোক আশা পীরবাবা হবে না পীর মাতা হবে। :)

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩০

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি মানুষ হিসেবে অনেক সৃষ্টিশীল এটা নিশ্চয়ই আগে বলেছি। আপনাকে দেখলে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।

কাবুলীয়া শব্দটা বেশি ভাল। তবে আবুলীয়াটা মনে হচ্ছে কাউকে উপহাস করে কিছু বলা হচ্ছে।

১২| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৫

শায়মা বলেছেন: হা হা আসলেই আবুলীয়া কর্মকান্ড বোকাদেরই কাজ!!!!!!!!!!!

২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: মুজতবা আলীর মত প্রশ্ন - এটা তো আবুল থেকে আবুলীয় বা আবুল-মার্কা কর্মকাণ্ড হবার কথা। এটাতে আবার আ-প্রত্যয় যোগ করে আবুলীয়া হয়ে গেল কী করে? :)

১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

শায়মা বলেছেন: ইশটাইল ভাইয়া! :)

সব কিছুতে একটু গয়না গাটি না পরালে আমার চলেই না!!!!!!! এই আ টাও তাই! :)

২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: হা হা :) আবুলীয় এর সাথে অতিরিক্ত আ- টা তবে এর গয়না! ইন্টারেস্টিং! :)

১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: এই-পর্ব ভাল লেগেছে। রহস্য আমরাই সৃষ্টি করি।

২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই।

"রহস্য আমরাই সৃষ্টি করি।" হ্যা নিঃসন্দেহে। যে বনে কখনো মানুষ যায়নি সেই বনের পাখীগুলো কখনো গান গায় নি! যে বনের গাছগুলোর ঝরা পাতার শব্দ কেউ শোনেনি সেখানে গভীর বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়নি!

উইপোকার প্রসংগটা সেকারনে টানা, কিন্তু এটা মনে হয় সবার চোখ এড়িয়েছে। :)

(আপনি বলতে পারেন পাখিগুলো কু-কু শব্দ করেছিলো হয়তো, কিন্তু গান সেটা গান হতে গেলে একজন মানুষ নামক শ্রোতা প্রয়োজন। :))

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.