নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

র‍্যাপার ও এলজিবিটিদের অর্থায়ন বিষয়ক আমেরিকার ফাঁস হওয়া নথি এবং আওয়ামী ব্লগারদের লেখাপড়ার দুরবস্থা প্রসঙ্গে

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৩



জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে গণহত্যাকারী হাসিনার পতনের পেছনে নাকি র‍্যাপার আর এলজিবিটিরা জড়িত! যাদের নাকি ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট নামে একটি মার্কিন সাহায্য সংস্থা অর্থায়ন করেছিল! আর এতেই নাকি প্রমাণ হয় যে হাসিনার পতনের পেছনে আমেরিকা জড়িত ছিল। এমনটাই দাবি করেছেন আওয়ামীপন্থী ব্লগার কলাবাগান১। তার ভাষায় - "যেমনটা এতদিন সোনাগাজী বলে এসেছেন"! :)

সোনাগাজী এবং তার অনুসারীরা এতদিন বলে আসছিলেন, এটি জামাত-শিবির, সিআইএ, আর পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এর কাজ। এখন সেখানে র‍্যাপার আর এলজিবিটিদের যুক্ত করা হয়েছে! জামাত-শিবির যে বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে এতদূর এগিয়ে গেছে - এটা বোধহয় কোন পাগলও কল্পনা করতে পারবে না! কিন্তু এখন এরকম আজগুবি গল্প ছড়াতে ব্যস্ত খড়কুটো আঁকড়ে ধরা আওয়ামীলীগাররা।

তার আগে বলে রাখি, ব্লগে যে তিনজন কট্টর আওয়ামীলীগার আছেন, তাদের মধ্যে ব্লগের গোয়েবলস হিসেবে পরিচিত হাসান কালবৈশাখীর পড়ালেখার করুণ দশা আমি বুঝেছিলাম যখন তিনি শেখ হাসিনাকে নিয়ে টাইমস পত্রিকার একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেন। টাইমস-এ প্রকাশিত সেই ইংরেজি প্রতিবেদনটি না পড়েই তিনি ধরে নিয়েছিলেন যে, যেহেতু টাইমসের মতো একটি পত্রিকা হাসিনাকে নিয়ে প্রচ্ছদ করেছে, নিশ্চয়ই সেখানে তার প্রশংসায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে! আর ব্লগের গোয়েবলস হিসেবে তার দায়িত্ব ছিল এটি সবাইকে জানানো।

আওয়ামী দলান্ধ হিসেবে সুবিখ্যাত ও চিরস্থায়ীভাবে ব্যান হওয়া সোনাগাজীর লেখা পড়লে প্রায়ই সন্দেহ হতো, তিনি ঠিকমতো বাংলা পড়তে জানেন তো? তার বাংলা লেখার বাক্যগঠন ও বানান আমাদের দেশের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির বাচ্চাদের মতো। সেই লোক যখন ব্লগের অন্য লেখকদের "প্রশ্নফাঁস জেনারেশন" বলে গালি দিতেন, তখন সত্যিই হতাশ লাগত।

তবে আওয়ামী দলীয় কর্মী কলাবাগান১ একজন শিক্ষিত ও মার্জিত ব্যক্তি। তার লেখাগুলো থেকে জানা যায়, তিনি আমেরিকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ফলে তার পড়াশোনা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। যদিও তার গুটিকয়েক দলীয় পোস্ট - যেমন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে উচ্ছ্বাস বা পুতুলের ডব্লিউএইচওতে কাজ- এসব কিছু বাদ দিলে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে ভালো কিছু পোস্ট দিয়েছেন।

কিন্তু সেই একই লোক যখন র‍্যাপার ও এলজিবিটিদের অর্থায়ন বিষয়ে ফাঁস হওয়া মার্কিন নথিটি না পড়েই - "হায় হায়, এটা কী দেখলাম!" বা "এই জন্যই ইউনুস সাহেব বলেছিলেন, 'meticulous plan' করে ৩১৭ জনকে সিলেক্ট করেছিল দেশকে destabilize করার জন্য!" এমন কথা বলেন, তখন তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সন্দেহ না করে পারা যায় না!

এখন দেখা যাক, সেই ফাঁস হওয়া নথিতে আসলে কী আছে।

নথিটির মূল বক্তব্য হলো, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (IRI) নামের সাহায্য সংস্থাটি ২০১৯-২০ সালে র‍্যাপার ও এলজিবিটিদের অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণ দেয়। এটি রিপাবলিকান পার্টি-পরিচালিত একটি এনজিও, যার কাজ গণতন্ত্রের উন্নয়ন! :) লক্ষ করুন - এই সংস্থাটি চলে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির লোকদের টাকায়, যারা আবার ক্ষমতায় গেলে নাকি ড. ইউনূসকে বাদ দিয়ে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনবেন!

সংস্থাটি মার্চ ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২০-এর মধ্যে শিল্পী, সংখ্যালঘু গোষ্ঠী এবং এলজিবিটিদের বিভিন্ন অনুদান দিয়েছিল। এগুলো মূলত গান রেকর্ড করা, এলজিবিটিদের নাচের অনুষ্ঠান আয়োজন এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য কিছু সাধারণ প্রশিক্ষণ, যেমন, কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়।

নথিটিতে উল্লেখ আছে যে, হাসিনা অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি না দেওয়ার কারণেই আমেরিকা তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর হাসিনার এই দাবি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, "শেখ হাসিনার পদত্যাগের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল এমন যেকোনো ইঙ্গিত সম্পূর্ণ মিথ্যা।"

নথিটির লিংক:view this link

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫০

কোমলমতিরপ্যাদানি বলেছেন: সোনাগাজী আর কলাবাগানকে একেবারে লজিকের পেরেক দিয়ে পুঁতে দিয়েছেন। তাও যদি এদের লজ্জা হয় !

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৮

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি বোধহয় পুরা রিপোর্ট না দেখেই শুধু একটা বিষয়কে মাঝখান থেকে তুলে ধরেছেন... ২০১৯ সনে তারা ১৭০ জন কে সিলেক্ট করে সরকারকে destabilize করার জন্য। আন্ডার লাইন করা অংশটুক থেকেই বুঝা যায় মেটিকিউলাস প্ল্যান ছিল।

পুরা আমেরিকার সরকার এর মাঝে তোলপাড় চলছে পুরা সংস্হাকে নিয়েই

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: তাহলে ট্রাম্পের লোকেরাই জড়িত হাসিনার পতনে?

আমি পুরো রিপোর্টটাই পড়েছি। এই প্রকল্পটি শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের মার্চে। ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত, তারা ১৫টি উপজেলা থেকে ১৭০ জনকে তাদের প্রকল্পের জন্য বেছে নেয়। তাদের নির্বাচন করা হয়েছিল সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য নয়, বরং গান, বাজনা ও নাচের মতো সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের জন্য কিছু সামান্য অনুদান দেওয়ার জন্য।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি বোধহয় ইংরেজী বুঝেও না বুঝার ভান করছেন। স্পস্ট ভাষায় লিখা আছে ১৭০ জন কে সিলেক্ট করা হয়েছিল
"TO DESTABILIZE BANGLADESH’S POLITICS"
আপনার কথা মত নাচ-গান এর জন্য অনুদান এর জন্য নয়....

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৪১

শ্রাবণধারা বলেছেন: কথাটা এখানে "who would cooperate with IRI to destabilize Bangladesh’s politics" তার মানে ভবিষ্যতে আইআরআই কে সহযোগিতা করবে এমনটা বলা হচ্ছে।

তো ভবিষ্যতে জুলাই-আগষ্ট ২০২৪ এ এরা কি কিভাবে আইআরআই কে সহযোগিতা করলো সেটাই মূল বিষয় হওয়া উচিত ছিলো না কী?

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪

কলাবাগান১ বলেছেন: এটা আমার কথা না
গ্রে জোন ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা মাইক বেনজ প্রকাশ করেছেন এই তথ্য যে কিভাবে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়... আর সেই ভিডিও কে রিটুইট করেন ইলন মাস্ক....আপনি দেখে নিতে পারেন টুইটারে বা ইউটিউবে.....র‌্যাপার আর এলজিবিটিকিউ ছিল একটা অংশ...
নেত্র নিউজ কে কিভাবে ডলার দেওয়া হয় সবই এই প্রতিবেদনে আছে। নেত্র নিউজ কি সেটা না জানলে গুগুল করে দেখতে পারেন তাদের কার্যকলাপ হাসিনার সরকার কে ডিস্টাবিলাইজ করার প্রয়াস
আপনার এই পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে আপনার আরেকটু পড়াশুনা করার দরকার আছে...আমার যেটুকু আছে তাতেই সন্তুস্ট....

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি সেই পডকাস্টটিও দেখেছি। মাইক বেনজ নামের এই ব্যক্তি সম্ভবত "বাংলাদেশ" নামের দেশটি ঠিক কোথায় সেটাই জানেন না। পাশে যে ভারত নামের আরেক টি দেশ আছে যারা আমাদের দেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে সেটা আরো জানেনা।

ইলন মাস্কের টুইটের কথাটিও আমি জানি। ইলন মাস্কের জন্য এই পডকাস্টটি ইউএসএইড-কে ডিফান্ড করার যুক্তি, আর আপনার জন্য এটি হাসিনাকে অপসারণের আমেরিকান ষড়যন্ত্রের প্রমাণ। :)

এমন অসংলগ্ন, অতি দুর্বল একটা রিপোর্টের ওপর দাঁড়িয়ে যখন আপনি বলেন, "হায় হায়, এটা কী দেখলাম" বা "এই জন্য ইউনুস সাহেব বলেছিলেন, 'meticulous plan' করে ৩১৭ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য", তখন বোঝা যায় যে আপনি সকল যুক্তি-বুদ্ধির ঊর্ধ্বে গিয়ে কেবল হাসিনার অন্ধ সমর্থক হয়ে কথা বলছেন।

হাসিনাকে কেন ছাত্র-জনতা বিতাড়িত করলো, তার প্রকৃত কারণ বোঝা কি এত কঠিন? গণহত্যা, দলীয় লোকদের সীমাহীন অত্যাচার, লুটপাট, এবং তার নিজের অসংযত ভাষা, এই কারণগুলোর বাইরে পতনের জন্য আর কোনো ব্যাখ্যা খোঁজার প্রয়োজন আছে?

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কলাবাগান১@আমেরিকা ভালো কাজ করেছে। শেখ হাসিনা দেশের মানুষের মস্তিষ্কে ফ্যাসিবাদের বীজ বপন করে গেছে। এখনো তার থেকে বের হতে পারছি না আমরা । :(

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:০৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি খোলা মন নিয়ে সেই রিপোর্টটি পড়ে বোঝার চেষ্টা করেছি। ২০১৯-২০ সালে র‍্যাপার ও এলজিবিটি গ্রুপের জন্য দেওয়া সামান্য কিছু অনুদানের সঙ্গে সরকার পতনের সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা একেবারেই হাস্যকর।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু একটা কথাই বলব- ''মানুষ হোন''।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই কমেন্টের উত্তর দিতে গেলে আপনার অনুভুতিকে আহত করা হয়, তাই আপাতত আমি চেপে গেলাম।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৮

অপু তানভীর বলেছেন: চ্যাট জিপিটি কে জিগাইলাম The Grayzone সম্পর্কে বল। হেতি কইল

The Grayzone একটি মার্কিন ভিত্তিক সংবাদ ওয়েবসাইট এবং ব্লগ, যা ২০১৫ সালে সাংবাদিক ম্যাক্স ব্লুমেনথাল প্রতিষ্ঠা করেন। ওয়েবসাইটটি প্রাথমিকভাবে "দ্য গ্রেজোন প্রজেক্ট" নামে পরিচিত ছিল এবং ২০১৮ সালের শুরুর দিকে AlterNet থেকে স্বাধীন হয়। এর সম্পাদকীয় লাইন প্রায়শই মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা এবং রাশিয়া, চীন ও সিরিয়ার মতো সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে বর্ণিত হয়েছে। ওয়েবসাইটটি বিভিন্ন সময়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের অভিযোগে সমালোচিত হয়েছে।

শেষ লাইনটা বিশেষ ভাবে লক্ষ্যনীয় !

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, অপু তানভীর।

আপনি যদি এই রিপোর্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন, তাহলে বুঝবেন এটি অত্যন্ত নিম্নমানের ও অগোছালো। তারপরও আমি খোলা মনে সরকার পতনে আমেরিকার সম্পর্কিত বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেছি।

আপনি এই অধ্যাপক সাহেবের কথাবার্তাগুলোও লক্ষ করুন:

"কলাবাগান১ বলেছেন: হায় হায় এটা কি দেখলাম
কলাবাগান১ বলেছেন: এই জন্য ইউনুছ সাহেব বলেছিলেন 'meticulous plan'
317 জনকে সিলেক্ট করেছিল দেশকে destabilize করার জন্য"

স্পষ্টতই, এই অধ্যাপক সাহেব মিথ্যা সংবাদ দিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

অথচ, যদি কেউ প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হয়ে থাকেন, তবে তাদের উচিত গণহত্যাকারী, অত্যাচারী ও লুটপাটতন্ত্রের শিরোমনি হাসিনা ও তার দোসরদের সমর্থন না করে তাদের বিচারের দাবি তোলা। সেই সাথে, দলটিকে পরিশুদ্ধ করে রক্ষা করা যায় কি না, সে বিষয়ে ভাবা।

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: রিপোর্টের আমি কিছুদুর পরলাম। পড়ার পরেই মনে হল এতো সময় নষ্ট করার কোন মানে নেই।

আর সত্য কথা বলতে, যদি আমেরিকা সাহায্য করেও থাকে তাতেও আমার কোন আপত্তি নেই বরং আমি তাকে ধন্যবাদ দিবো। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার সরকার অবৈধ ভাবে গায়ের জোড়ে ভোট চুরি করে দেশের ক্ষমতা দখল করেছিল। কত পাপ যে এরা করেছে সেটা হিসাব করা যাবে না। এই শেখ হাসিনা ঝেটিয়ে বিদায় করতে যদি এলিয়েনরা পর্যন্ত এসে হাজির হয় তাতেও আমার কোন আপত্তি নেই ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:২০

শ্রাবণধারা বলেছেন: অপু তানভীর বলেছেন: "এই শেখ হাসিনাকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে যদি এলিয়েনরাও এসে হাজির হয়, তাতেও আমার কোনো আপত্তি নেই।"

হা হা! এলিয়েনদের সাহায্য নিতে আমারও আপত্তি নেই। :)

কেউ যখন এই গণঅভ্যুত্থানকে তৃতীয় শক্তির কূটকৌশলের ফলাফল হিসেবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে, তখন তারা আসলে বোঝাতে চায় যে এটি জনমানুষের চাওয়া নয়, বরং স্বাধীনতা-বিরোধীদের ষড়যন্ত্র মাত্র।

এই অভ্যুত্থানে গণমানুষের আত্মা জেগে উঠতে দেখেছি নিজ চোখে। অতএব এসব উসকানিমূলক কথাবার্তা অবজ্ঞা করতে পারতাম। তবু মনে হলো, দেখি এদের আত্মাকে জাগ্রত করা যায় কি না!

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬

নতুন বলেছেন: ২০১৯-২০২০ --- এলজিবিটি--- আর ২০২৪ এর সাথে মেলার কোন মানে হয় না।

১৯৭১ এর যুদ্ধ পাকিস্তানিরাই শুরু করেছিলো বঙ্গবন্ধু না। ২৫ শে মার্চের রাতে ঢাকায় আক্রমন যেমন পাকিস্তানি ভুল ছিলো।

তেমনি ঢাবিতে সাধারন ছাত্রছাত্রীদের উপরে ছাত্রলীগের হামলাই ২০২৪ এর আয়ামীলীগের ভুল।

সব সময় সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক হয় না।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:২৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: ১৬ বছরে নিজের পাপের হিসাব করলে খুব সহজেই তারা তাদের পতনের কারনগুলো অনুভব করতো।

যেহেতু তারা এখনও না বোঝার ভান করছে এবং বিভিন্ন যড়যন্ত্রে লিপ্ত, অতএব কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই তাদের জন্য অবধারিত।

১০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮

মাহদী হাসান শিহাব বলেছেন: নথিপত্র বা রিলেটেড ডকুমেন্টস পড়া কষ্টসাধ্য। তবে যখন লিখতে হবে তখন না পড়ে লেখা ন্যাক্কারজনক।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

এই নথিটি সেই অর্থে নথির সংজ্ঞাতেই পরেনা বোধহয়। আইআরআই একটি ছোট এনজিও এবং তাদের অনুদানগুলোও ছোট একটি গ্রুপের জন্য। ইলন মাস্ক তার প্রয়োজনে সম্ভবত তারই লোককে দিয়ে পডকাস্ট বানিয়ে এটির প্রচার করছেন।

১১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: রিপোর্টটি অসম্পূর্ণ। আরো অনেকে টাকা খেয়েছিল, তাদের কথা লেখা নেই। যে রিকশাওলা আহত ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল, তার কথা লেখা নেই। আরো একজন রিকশাওলা, টিএসসিতে যার ছাত্রদের উদ্দেশে স্যালুট দেয়ার ছবি ভাইরাল হয়েছিল সেই কথাও লেখা নেই। ৫০০০ রিকশাওলার এমন একটি গ্রুপ নিয়মিত ভাতা পেত আমেরিকা থেকে।

কবি সাহত্যিকদের কথা লেখা নেই। তারা ধানমন্ডিতে এসে বিশাল মিছিল করে গেছিল। তাদের ২৭৫ জনের একটা দল ছিল।

অভিনয়কর্মীদের কথা লেখা নেই। তাদের পালের গোদা সিয়াম। সে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিল।

গ্রামে, গঞ্জে, মফস্বলে অসংখ্য মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। তাদের কথা লেখা নেই।

সবচেয়ে বড় কথা, শেখ হাসিনা নিজেই টাকা খেয়ে পুলিশকে গুলি করতে বলে জনগণকে ক্ষেপিয়ে দিয়েছিল। তার নামটাও থাকা উচিত ছিল। আর প্রভাষ আমিনের নাম না থাকাটা রীতিমতো অমার্জনীয়। তিনিই আসল মাস্টারমাইন্ড।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: "৫০০০ রিকশাওলার এমন একটি গ্রুপ নিয়মিত ভাতা পেত আমেরিকা থেকে।"।
নির্মম সত্য কথা বলেছেন! :) :)

আপনার মন্তব্যটি আরেকটি দুঃখজনক বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। গণমানুষের আন্দোলনে যে খেটে-খাওয়া মানুষগুলো রক্তাক্ত লাশ বা তখনও বেঁচে থাকা, বেঁচে যাওয়া ছাত্রদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে, নিজেরাও গুলি খেয়ে মরেছে, আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে তারা আবার সকল আলাপ-আলোচনা থেকে নেই হয়ে গেছে!

১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: আপনি কাদের আত্মা জাগ্রত করতে চান বলুন ? ধান্দাবাজদের? এরা নিজেদের আত্মা শয়তানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে অনেক আগেই। চোখের সামনে এতো পাপ অন্যায় দেখেও যারা সমর্থন করতে পারে, তাদের পেছনে বিন্দু মাত্র সময় নষ্ট করার কোন মানে আমি দেখি ।
কেবল মানুষের কথার কিংবা কাজের প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। কোন জানোয়ার কী বলল না বলল তাতে মাথা ঘামানোর কোন দরকার নেই।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৫০

শ্রাবণধারা বলেছেন: হাঁ, এটা একটা পণ্ডশ্রম বলেই মনে হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের একটি ঐতিসাহিক দল এবং আদর্শের চেয়ে তারা গণহত্যাকারী, খুনি এবং লুটেরাদের বাঁচাতেই বেশি উদ্যমী - এই বিষয়টাই আমাকে আশ্চর্য করছে।

১৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৫৪

কু-ক-রা বলেছেন: উহারা (আউয়ামিলীগ) চরম দেশবিরোধী অবস্থানে যাইয়া আমেরিকাকে বাংলাদেশে রেজিম চেন্জ অপারেশনের সুযোগ করিয়া দিয়াছিল। আমেরিকানরা প্রথমে রেজিম চেন্জ না করিয়া নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করিবার চেষ্টা করিয়াছিল (২০১৯ সালে আমেরিকা কর্তৃক আকসা জিসোমিয়া চুক্তি স্বাক্ষর করিতে চাওয়া উহার প্রমাণ)। ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের কয়েক মাস পূর্বে জ্যাক সুলিভানের সাথে আউয়ামী নেতাদের মিটিং হইয়াছিল। শেক হাসিনা সর্বোচ্চ চেষ্টা করিয়াছিল আমেরিকাকে ম্যানেজ করিয়া ক্ষমতায় থাকিয়া যাইতে। কিন্তু ভারতের সায় না থাকায় শেক হাসিনা আমেরিকাকে ম্যানেজ করিতে ব্যর্থ হইয়াছিল। বলগার কলাবাগানের কথায় যুক্তি আছে কিন্তু নুক্তি (নৈতিকতা) নাই। শেক হাসিনা সরকার যে একধরণের হাতমুজায় পরিনত হইয়াছিল এবং উহার ভিতরে ভারত নামক একটা শয়তানের হাত ছিল - ইহা উহারা (কলাবাগান ইত্যাদি ব্লগাররা) কখনোই স্বিকার করিবে না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:১৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমার লেখার বিষয়বস্তু গ্রেজোনে প্রকাশিত কেবল এই প্রতিবেদনটি। ২০১৯ সালে আমেরিকার আকসা জিসোমিয়া চুক্তি সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আইআরআই এই প্রকল্পের সাথে সেই চুক্তির সম্পাদিত হওয়া বা না হওয়া কি আদৌ কোনোভাবে জড়িত?

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতা সম্পূর্ণ নিরস্ত্র ছিল, এবং তারা একের পর এক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে—এটা আমরা সবাই দেখেছি। তাহলে এখানে আমেরিকার ভূমিকা কোথায়? গণহত্যাকারী হাসিনা ছাত্রজনতাকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট, সেনাবাহিনী শেষ পর্যন্ত নিজ সন্তানসমদের মেশিনগানের গুলিতে ঝাঁঝরা করতে রাজি হয়নি—এটাই আমাদের এই বিজয়ের ঘটনা।

এর বাইরে এখন পর্যন্ত আমেরিকার কোনো ভূমিকা দৃশ্যমান নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.