নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মধুর গরল

েরজাউল বারী

আমি একজন নিভৃতচারী ব্যক্তি। আমার সবাইকে পড়তে ভালোলাগে। আমি সবকিছু সহজে বলতে বা করতে সংকোচ বোধ করি। ভয় পাই যেন আমার কথায় বা লিখায় যেন কেউ আঘাত না পায়। আমি সবকিছু পর্যবেক্ষন করি আমার আপন আলোকে। তবে আমি কারোও ভালো কাজকে সবসময় উৎসাহিত করি।

েরজাউল বারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেলফি তুলতে গিয়ে আত্মহত্যা ????

১৩ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

হাই ডেফিনিশিন ফ্রন্ট ক্যামেরা বর্তমান থ্রি জি মোবাইল ফোন বা গ্যাজেটস এর একটি অনন্য প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে ভিডিও কল আদান প্রদান করা যায়। সবচেয়ে কম সুবিধা হল এর মাধ্যমে নিজের ছবি নিজেই তুলা যায়। এবং এই সুবিধাকে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবীর লক্ষ কোটি মানুষ প্রতি সেকেন্ডে অসংখ্য সেলফি তুলে তা বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়াতে আপলোড করছে।
আলফ্রেড নোবেল যখন ডিনামাইট আবিস্কার করেছিলেন তখন তিনি নিজে সহ সারা বিশ্বের লোক খুশিতে আটখানা হয়েছিল কিন্তু সে খুশি বেশিদিন টিকেনি।
যখন পত্রিকায় নিচের খবরটি পড়লাম............ তখন আমারও আলফ্রেড নোবেলের ডিনামাইট আবিস্কারের কয়েক বছর পরের অনুভূতির মত হয়েছিল।

শখ ভারী অদ্ভূত জিনিস। কখন যে কার কিসের শখ হয়। এই যেমন ১৮ বছরের রোমানিয়ান তরুণী আনা উরুসি। ওর শখ বিপজ্জনক জায়গায় দাঁড়িয়ে সেলফি তুলবে। আর সেগুলি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে পোস্ট করে মিলবে হাজার হাজার 'লাইক', 'পোস্ট'।
সেই শখ রাখতেই আনা স্পেশাফি সেলফি তুলতে বেছে নেয় ট্রেনের ছাদকে। উদ্দেশ্য ফেসবুকে সেই স্পেশাল সেলফি পোস্ট করে বাহবা আদায় করা। যেমনভাবা তেমন কাজ। এক বন্ধুকে নিয়ে সে পূর্ব রোমানিয়ার লাসিতে এক ট্রেনের ছাদের ওপর বেশ কষ্ট করে ওঠে। তারপর ট্রেনের ছাদের ওপর উঠে খেলতে শুরু করে।

এরপর আনা ছাদের ওপর শুয়ে পড়ে পা'টাকে ওপরে তুলে সেলফি তুলতে শুরু করে। পা-এর একটা অংশ ২৭ হাজার ভোল্টের ইলেকট্রিকের তারে ছুঁতেই রীতিমত বিস্ফোরণ হয়। তরুণীর শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়, জ্ঞানও হারিয়ে ফেলে সে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে আনাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর শরীরের অর্ধেকটাই সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছিল। আর আনার সেই ১৭ বছরের বন্ধুরও অবস্থাও ভাল নয়।

মেয়েটির ছবির লিংক নিচে দেওয়া হলো.........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.