![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কে, আমি যেমন নিজে জানি না, বাকিরাও নিশ্চিতভাবে কিছু জানেন না। বেশিরভাগ ঐতিহাসিকের মতে আমি নিতান্তই এক কাল্পনিক চরিত্র, ইতিহাসে আমার অস্তিত্ব নাই! তাদের মতে ঔপন্যাসিক, গল্পকারেরা বিবেক চরিত্র চিত্রায়নে আমাকে সৃষ্টি করেছেন। এমনকি আমার নাম নিয়েও বিভ্রাট আছে। কেউ কেউ আমার নাম গোলাম হোসেন বলেও অভিহিত করেছেন!
বাংলাদেশের টেলিভিশন ইতিহাসকে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায় -
১) ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত। পুরোপুরি সাদাকালো যুগ।
২) ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত । রঙিন টেলিভিশনের আবির্ভাব হয় '৮০ সালে। প্রেসিডেন্ট জিয়ার মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ গিমিক দেবার প্রবনতা ছিল। রঙিন টিভিও সেধরনের একটি গিমিক। লোকে সমালোচনা করেছিল যে জিয়া সাহেব ঋন করে ঘি খাচ্ছেন। ৮০ সালে বাংলাদেশের খুব অল্পসংখ্যক মানুষের এমনকি সাদাকালো টিভি কেনার সামর্থ্য ছিল। রঙিন টিভি তো হাতে গোনা লোকের জন্য। কিন্তু জিয়া এসব সমালোচনাকে গুরুত্ব দেননি।
৩) ১৯৯২ সাল থেকে বর্তমান। এইসময় টেলিভশন ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। শত শত বিদেশি চ্যানেল, গোটা পনের দেশি চ্যানেল, হাজার প্রাইভেট প্রডাকশন হাউস গড়ে উঠেছে এইসময়। আজকের ফিরে দেখা এই পর্বের শুরুর দিনগুলি নিয়ে। লক্ষনীয় যে রঙিন টিভির মত এই যুগেরও উদ্বোধন হয়েছে বিএনপি সরকারের হাতে।
৯২ সালের মাঝামাঝি কোন একসময় বিটিভিতে ঘোষনা এল, তারা অনুষ্ঠানের সময়সীমা বাড়ানোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন এবং পরীক্ষামূলকভাবে তিনদিন অনুষ্ঠান বিকাল পাঁচটার পরিবর্তে তিনটা থেকে শুরু হবে। ঘটনাচক্রে এই তিনদিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার কোন একদিন বিরোধী দলের বেশ আগেই নির্ধারিত একটি বড় মহাসমাবেশের পরিকল্পনা ছিল। গুজব ছিল সেই মহাসমাবেশের লোক সমাগম কমানোর উদ্দেশ্যেই এই তিনদিন আকর্ষনীয় বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। এটা গুজব বলেই ধরে নেয়া যায় কারন এর কিছুদিন পর স্থায়ীভাবেই অনুষ্ঠান বিকাল তিনটায় এগিয়ে আনা হয়।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে বিটিভি সকালবেলা তিনঘন্টা (সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে এগারটা) মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনএন এর অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে। এটাই বাংলাদেশের মানুষের প্রথম কোন বিদেশি চ্যানেল দর্শন। সিএনএন বহির্বিশ্বে তখন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল উপসাগরীয় যুদ্ধে তাদের অসাধারন সব রিপোর্টিং এর কারনে। এটি মূলত একটা মার্কিন প্রপাগান্ডা নিউজ চ্যানেল ছিল, এখনও তাই আছে। সেসময় আমাদের ধারনা ছিল না যে শুধু খবরের জন্য কোন আলাদা চ্যানেল হতে পারে, সিএনএন যে কোন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করে না সেটাও জানতাম না। গভীর রাতে খালেদা জিয়া বিটিভি ভবনে সিএনএন সম্প্রচার উদ্বোধন করেন। আমরা অধীর আগ্রহে রাতভর বসে আছি কখন একটা ভাল সিরিজ বা মুভি শুরু হবে। রাত ২-৩টা পর্যন্ত বসেও তেমন কিছুই পেলাম না, খবর চলছে তো চলছেই। একসময় বিরক্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সিএনএন সামগ্রিকভাবে তেমন জনপ্রিয়তা না পেলেও সকাল এগারটায় শোবিজ বা এই জাতীয় নামে তারকাদের খবর নিয়ে আধঘন্টার একটা অনুষ্ঠান হত। এটি কিছুটা জনপ্রিয়তা পায় এবং একই সাথে সমালোচিত হয় মার্কিন অভিনেত্রী, মডেলদের খোলামেলা ছবি ও ভিডিওর কারনে। এছাড়া বাংলাদেশের সাধারন মানুষ এই চ্যানেল নিয়ে আগ্রহ দু'দিনেই হারিয়ে ফেলে।
সে বছরের ডিসেম্বরের ৬ তারিখে ভারতের কট্টরপন্থী হিন্দুরা বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে ফেলে সকালের দিকে। সিএনএন এই পুরো ব্যাপারটা লাইভ টেলিকাস্ট করছিল। ৯০ সালের দাঙ্গার অভিজ্ঞতায় ভীত হয়ে সরকার সেদিন সকালে বিটিভিতে সিএনএন এর সম্প্রচার কিছুক্ষনের জন্য বন্ধ করে দেয়।
৯২ এর শেষের দিকে বা ৯৩ এর শুরুতে সরকার ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিদেশি চ্যানেল নিয়ে আসার তথা ডিশ অ্যান্টেনা কেনার অনুমতি দেয়। প্রথম বিদেশি চ্যানেল হিসেবে এসেছিল জিটিভি, এমটিভি (পুরোপুরি ইংরেজি চ্যানেল তখন) এবং স্টার (এটিও পুরোপুরি ইংরেজি তখনও)। এই চ্যানেলগুলি তখন খুব সম্ভবত ফ্রি ছিল অর্থাৎ লাইসেন্স কিনতে হত না। শুধু ডিশ অ্যান্টেনা কিনলেই দেখা যেত। প্রথমদিকে অনেকেই তাই ব্যক্তিগতভাবে ডিশ কিনে দেখা শুরু করে। ক্যাবল অপারেটররা আসে একটু পরে।
৯৪ এর কোন এক ঈদের আনন্দমেলা অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব পান হানিফ সংকেত। তিনি এই অনুষ্ঠানে প্রচারের জন্য দর্শকদের কাছে প্রাইভেট ভিডিও পাঠানোর আহবান জানান। আনন্দমেলার মাস দেড়েক আগেই এই বিষয়ে ঘোষনা দেয়া হয় এবং কর্তৃপক্ষের রায়ে নির্বাচিত তিনটি ভিডিও আনন্দমেলায় প্রচারিত হয়। নাট্যপরিচালক সোহেল আরমান এই তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন। মিডিয়াতে এটাই তার প্রথম কাজ। ভিডিওগুলি খুব আহামরি কিছু না হলেও উল্লেখযোগ্য এজন্য যে প্রথমবারের মত বিটিভির নিজস্ব প্রযোজকদের বাইরে সাধারন মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় তাদের কাজ সারা বাংলাদেশকে দেখানোর। হতে পারে বিটিভি কর্তৃপক্ষ প্রাইভেট প্রডাকশনের অনুমতি দেবার আগ মুহুর্তে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দর্শক এবং সম্ভাব্য নির্মাতাদের আগ্রহ মাপতে চেয়েছিল। হতে পারে, দুটো একেবারেই সম্পর্কহীন ঘটনা।
এর কিছুদিন পরই প্রাইভেট প্রডাকশনের ঘোষনা আসে এবং হানিফ সংকেতই প্রথম এই সুযোগ গ্রহন করে তার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদিকে বিটিভি থেকে বের করে তিনি নিজেই নির্মান করেন। কয়েকদিন পর বিটিভির সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রযোজক আতিকুল হক চৌধুরী মাসুদ রানা সিরিজের পিশাচ দ্বীপ বইটির কাহিনী নিয়ে প্রথম প্যাকেজ নাটক হিসেবে নির্মান করেন প্রাচীর পেরিয়ে।
লক্ষনীয় যে হানিফ সংকেত বা আতিকুল হক চৌধুরী কেউই নতুন পরিচালক ছিলেন না। তারা তখনই বিটিভিতে প্রতিষ্ঠিত। এরপর আরও বেশ কিছুদিন প্যাকেজ অনুষ্ঠানগুলি এরকম বিটিভির পুরোনো নির্মাতাগোষ্ঠির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আস্তে আস্তে এটি ছড়াতে থাকে বিটিভির স্বল্পপ্রতিষ্ঠিত শিল্পী যেমন ফারিয়া হোসেন, মোহন খান এদের মাঝে এবং তারও অনেক পরে সম্পূর্ন নতুন পরিচালকেরা আসেন।
বাংলা চ্যানেল প্রথমবারের মত স্যাটেলাইটে যায় এটিএন এর মাধ্যমে। ৯৭-৯৮ সালের কোন একসময় তারা ভারতীয় চ্যানেল এটিএন মিউজিকের সন্ধ্যার একঘন্টার স্লট কিনে নেয় এবং তাদের নিজস্ব সিনেমার গান ইত্যাদি প্রচার শুরু করে। এর কিছুদিন পর তারা নিজেরাই এটিএন নাম দিয়ে পুর্নাঙ্গ চ্যানেল স্থাপন করে।
তারপর আস্তে আস্তে স্যাটেলাইট চ্যানেল হিসেবে যুক্ত হয় চ্যানেল আই, একুশে টিভি, এনটিভি ইত্যাদি।
আজ এখানেই শেষ।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৫৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার অব্যহত সমর্থন আমাকে উৎসাহিত করে। অনেক ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৪৪
মুক্ত মণ বলেছেন: এতটুকু পর্যন্তই থাক। পরের অংশটুকু টিভি-বিনোদনের তথা জাতীয় রুচির পচন ধরার ইতিহাস। পড়তে খারাপ লাগবে।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:০১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। ভাল বলেছেন। আসলে এর পরের ইতিহাস আমি নিজেও খুব একটা জানি না। আমার জ্ঞান ওই ৯৪ সাল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। তারপরের অংশ বিস্তারিত হয়ত অন্য কেউ লিখবেন। আপনি হয়ত সেই অংশটা আর পড়তে যাবেন না।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৪৯
এ কে এম নাহিদ বলেছেন: খুবই তথ্যবহুল লেখা। ধন্যবাদ।
সীমানা পেরিয়ে নাটকটির কোন ডাউনলোড লিংক থাকলে দান
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:০৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। আমি দুঃখিত, আমার কাছে সীমানা পেরিয়ে নাটকের লিঙ্ক নাই। তবে এটা একটা বাজে নাটক। প্রথম প্যাকেজ নাটক হিসেবে ইতিহাসের অংশ, এছাড়া আর কোন উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য নেই।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৫২
আরহাসান বলেছেন: ভাল লাগলো, কিন্তু একটু আপত্তি আছে।
""সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে বিটিভি সকালবেলা তিনঘন্টা (সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে এগারটা) মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনএন এর অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে। এটাই বাংলাদেশের মানুষের প্রথম কোন বিদেশি চ্যানেল দর্শন।""
আমরা যারা ভারতীয় সিমান্তবর্তী এলাকার মানুষ তারা অনেক আগে থেকেই ভারতীয় চ্যানেল দেখতে পেতাম।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:০৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: মমমম। ছাদের উপর চিলমচি, থালা বাসন বসিয়ে ভারতীয় চ্যানেল আমিও আশির দশকে দেখেছি। আপনাদের মত অত পরিষ্কার হয়ত দেখতে পারতাম না। ঝাপসা, ঝিরঝিরে ছবি আসত। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম, বৈধভাবে বা বলা যায় সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিএনএনই প্রথম বিদেশি চ্যানেল দর্শন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৫৮
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ভালো লেখা। প্রিয় তালিকায় রাখলাম।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:০৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:০৭
দেশী পোলা বলেছেন: বাংলাদেশের টিভির ইতিহাসের অন্যতম পর্বের তারকা ঈভা রহমান-এর নাম না নেওয়ায় আপনারে শতকুটিমাইনাস দেওয়া হইলো।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:১২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। ইভা রহমানের বানান ভুল করার জন্য আপনাকেও শত কোটি মাইনাস।
এই লেখাটা তো ৯২ থেকে ৯৪ এর ইতিহাস। তখন ইভা রহমান মাটির সাথে কথা বলে। এর পরের পর্ব যদি কেউ লিখেন (আমি লিখতে পারব না), ইভা ম্যাডামের কথা নিশ্চয়ই আসবে। বাই দ্য ওয়ে, বাংলার সঙ্গীতাকাশে ইভা ম্যাডামের আবির্ভাব কোন সালের দিকে?
মাইনাসের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাবতে অবাক লাগে যে একসময় এমনও দিন ছিলো যখন বিকাপ পাঁচটা থেকে বারটা পর্যন্ত মাত্র একটা চ্যানেল চলত এবং তার প্রতি আমাদের আকর্ষণের কোন ঘাটতি ছিলোনা। কতদিন যে বিটিভি দেখি না! সেইসময়ের অনুষ্ঠানগুলোর জন্যে যে উন্মাদনা ও আবেগ ছিলো তার সিকিভাগও এখন হাজারদুয়ারী স্যাটেলাইট চ্যানেল ধারণ করতে পারবেনা।
চমৎকার পোস্টে মেগাপ্লাস!
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:৫৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: সেটাই। খুব বেশি ভাল অনুষ্ঠান কিন্তু বিটিভি দেখাত না। সপ্তাহে দুটো নাটক, বুধবারের ইংরেজি সিরিয়াল, বৃহস্পতিবারের মুভি অফ দ্য উইক বা বাংলা ছবি। এই তো। তবুও কত উপভোগ করেছি সেই সময়টা। আহা!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:৩৩
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: চমৎকার কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
গভীর রাতে সিএনএন চালু হয়েছিল বলে জানতাম না কিন্তু সকাল ১০টার দিকে প্রথম সিএনএন দেখি। ল্যারি কিংয়ের চশমা পড়া চেহারাটা মনে পড়ে। খুবই পুলকিত ছিলাম তখন। কিছুই বুঝতাম না তবু প্রতিসকালেই দেখতাম।
বিটিভি'র শুক্রবার সকালের নাটকে আচ্ছন্ন পুরো এলাকা! আর রাতে র্যাভেন,পারফেক্ট স্ট্রেন্জার!
ডিশের আগমন আরো পরিষ্কার স্মৃতি। যাদের বাসায় প্রথম ডিশ এ্যান্টেনা বসে তার কাছে শুনতাম , সে নাকি দুপুরে ঐ গোল বড় এ্যান্টেনায় ঘুমায়।কারেন্টের ভয়ে নিজে কখনো ট্রাই করি নাই।
চ্যানেল ভি, এ্যাপাচি ইন্ডিয়ান,বালি সাগু, ভিজে রুবি।জি হরর শো, ডিজনি আওয়ার।
--------------------------------------------
আপনি কি ঢাকার বাঁশিওয়ালা?
সুদুরে বসে সবাইকে ঢাকা'র নষ্টালজিক সুরে সুরে টানছেন!
আপনার এই অতীতের আবেগ ও সময়কে এভাবে ফিরে ফিরে দেখার ট্রেন্ডটা দেখে চমৎকার লাগে!
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:৫১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ৮৬ সালে আপনার জন্ম হলে ৯২তে বয়স ৬ বছর। আমার ৬ বছর বয়সে আমি বোধহয় ঘড়ির কাঁটা রাত ৯টা বাজতেও দেখি নাই। তখন আটটা-সাড়ে আটটার মধ্যে আমাদের পুরো এলাকা নিস্তব্ধ হয়ে যেত। সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুম। ৯২ সালে হয়ত পরিস্থিতি একটু বদলেছিল। তবুও ৬ বছরের শিশুর জন্য রাত ১২টার উদ্বোধন না দেখারই কথা।
ঢাকার বাঁশিওয়ালা! ভাল বলেছেন। আমি কেমন জানি অতীতের মধ্যে আটকে গেছি। মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় সমসাময়িক কোন বিষয় নিয়ে একটা পোস্ট দিতে। কিন্তু দেয়া হয়না নানা কারনে। আমার এই পুরোনো আমলের ঘটনাগুলি আপনাদের ভাল লাগে দেখে আমি খুব খুশি। আপনাদের সবার সমর্থনে আমি কৃতজ্ঞ।
৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:১০
বিষন্ন পথিক বলেছেন: আপনার নষ্টালজিক করে দেবার ক্ষমতা প্রবল। ভালো লাগলো স্মৃতিচারন করতে।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:৪৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকে নস্টালজিক করে আমারও ভাল লাগল। ধন্যবাদ।
১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:২৩
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
সিরিজটায় বারবার ফিরে যাচ্ছি হারানোতে।
ফিরে পেতেও ইচ্ছে করে
হারিয়েছি যা হেলে অবহেলে
জেনে বা না জেনে।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:৪৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: সব সময়েই মন্তব্যের মত করেই প্রতিমন্তব্য লিখতে চাই। ১১ নাম্বার মন্তব্যের উত্তরে যেমন লিখলাম। আপনার এই মন্তব্যের উত্তরেও তাহলে একটা কবিতা লেখা উচিৎ। কিন্তু সেটা সামর্থের বাইরে। সহজ ভাষায়ই বরং বলি, আপনাদের ক্ষনিকের জন্য হারানোতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার মাঝেই আমার সাফল্য।
অনেক ধন্যবাদ সবসময় সাপোর্ট দেবার জন্য।
১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:২৫
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: ভালো লাগল। একটা মজার কথা জানাই। হয়ত ইন্টারেস্টিং লাগতে পারে। সেটা ১৯৮৬ সাল। আমার বয়েস নয়। খেলাধূলাতে ব্যাপক উৎসাহ। সে বছর বিশ্বকাপ ফুটবল। শোনা গেল বাংলাদেশ এর টিভিতে অনেক বেশি খেলা দেখাবে। আমাদের কোলকাতা আর মফস্বলে বাড়ি বাড়ি বাংলাদেশের অ্যান্টেনা ( উচ্চারণ করতাম এ্যান্টিনা) বসানোর ধূম পড়ে গেল। অ্যাণ্টেনা ছাড়াও বুস্টার আর কি দু একটা যন্ত্রপাতি লাগাতে হয়েছিল, যেগুলো আমাদের সাদা কালো টিভির পাশে লাগানো থাকত। খেলা দেখা হলো। মেক্সিকোর সেই বিশ্বকাপ। আমার কাছে বাংলাদেশের টিভির সাথে তাই জড়িয়ে গিয়েছেন মারাদোনা। মনে আছে বিশ্বকাপের পর পরই বায়না করে একটা আর্জেন্টিনার জার্সি কিনেছিলাম। টিভির সাদা কালো ডোরা তখন সত্যিই সাদা নীল, মারাদোনার জার্সি।
চমৎকার লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:৪১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: এবার আপনাকে আমি একটা মজার ঘটনা শোনাই। হয়ত ইন্টারেস্টিং লাগতে পারে। ১৯৮৭ সালে ভারত-পাকিস্তানে বিশ্বকাপে ক্রিকেট হল। আমরা খবর পেলাম যে দূরদর্শনে প্রায় সবগুলি খেলা দেখানো হবে। এদিকে আমাদের টিভিতে দেখানোর কথা মাত্র দুটো সেমিফাইনাল (তাও একটার বোধহয় অর্ধেক, আমার ঠিক মনে নেই অবশ্য) আর ফাইনাল খেলা। আর কি! আমরা ঠিক একই কাজ করলাম যা আপনারা ৮৬ সালে করেছেন। ঘরে ঘরে, ছাদে ছাদে থালাবাসন সহ বুস্টার অ্যান্টেনা বসে গেল। ঝাপসা ছবি, ঝিরঝির করে। তাও উৎসাহের কোন কমতি নাই। তুমুল আগ্রহে সেই বিশ্বকাপ ক্রিকেটের খেলা দেখা হল। ইন্টারেস্টিং না ঘটনাটা?
মনে করিয়ে দিলেন ৮৬ এর বিশ্বকাপ ফুটবল আর ৮৭ এর বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কথা। ৮৬ তেই প্রথমবার আমাদের টিভিতে অনেকগুলি খেলা দেখান হয়েছিল, ২৪টা যদ্দুর মনে পড়ে।
অনেক ধন্যবাদ আপনার স্মৃতিচারন আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:১৯
কালীদাস বলেছেন:
এরপর আরও বেশ কিছুদিন প্যাকেজ অনুষ্ঠানগুলি এরকম বিটিভির পুরোনো নির্মাতাগোষ্ঠির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আস্তে আস্তে এটি ছড়াতে থাকে বিটিভির স্বল্পপ্রতিষ্ঠিত শিল্পী যেমন ফারিয়া হোসেন, মোহন খান এদের মাঝে এবং তারও অনেক পরে সম্পূর্ন নতুন পরিচালকেরা আসেন।
এবং টিভি মিডিয়ার বারোটা বাজার শুরু সেখান থেকেই। ন্যাকামিভরা প্যাকেজ নাটকের ঢল, ৯৮এ শুরু হল নাটকের লেংথ আধাঘন্টা বাড়িয়ে টেলিফিল্ম বানানো.......হাহ! এখনো মনে আছে, বিটিভির ঐ চারঘন্টার জমনায় আমরা কখনো বিনোদনের অভাব ফিল করতাম না, বরং মনে হত.....
পোস্টে কমেন্ট এবং প্লাস
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:২৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: এই অংশটার কথা আমি ভাল জানি না। আপনার বিশ্লেষন সঠিকই হবে নিশ্চয়ই। ঠিক কোন সময় কার হাতে টিভি নাটকের পতন ঘটল এটা আমার জানার আগ্রহ। খুশি হতাম যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখে কেউ একটা পোস্ট দিত।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:২৮
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
আমার মন্তব্যে আপনার উত্তরের ভাষা ও শব্দ ব্যবহারের
বিন্যাসে একটি সুপ্ত ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।(খাইছে)
তবে কে কখন কিভাবে ও কাকে খাইছে তা জানিনা এখনও।
আসুবিধা আছে কিন্তু আগেই কইয়া রাক্লাম কিন্তু।
হা হা..................।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৩০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: খাইছে ও মোর মনু।
১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৩৩
মেঘলা মানুষ বলেছেন: আমি যদি এখনকার বাচ্চাদের বলি, শোন এমন এক সময় ছিল যখন ৫ টার আগে টিভি ছাড়লে কিছুই দেখা যেত না, এর বিশ্বাসই করবে না। ছোটবেলায় ৫ টা ২০ এর কার্টুনের জন্য অপেক্ষা করতাম। টিভির একজন উপস্থাপক ছিলেন (সম্ভবত: মাসুদ কায়সার ছিল তার নাম) যিনি অনেক সময় এভাবে শুরু করতেন: প্রিয় ছোট্টবন্ধুরা, একটু পড়েই প্রচারিত হতে যাচ্ছে তোমাদের জন্য কার্টুন ছবি ****। কার্টুনটা দেখার আগে এর গল্পটা একটু জেনে নিলে একটু ভাল হয় তাইনা... এরপর তিনি কার্টুনের কিছু অংশ গল্পের মত করে বলতেন। তার গল্প বলার ভঙ্গী ছিল খুব চমৎকার, আর কার্টুনের ক্লুগুলো যখন মিলে যেত খুব ভালো লাগত।
সিএনএনের হতাশা খুবই বিরক্তিকর ছিল, আমিও ভেবেছিলাম হয়ত কোন অনুষ্ঠান দেখাবে। কেউ যে সারাদিন খবর দেখাটে পারে এটা কল্পনায়ও ছিল না। বিবিসির সম্প্রচার একটু ভাল লাগত, মাঝে মাঝে টপগিয়ার দেখাত(বুধবারে)।
"প্রাচীর পেরিয়ে" নাটকটার কথাও মনে পড়ল। সেই নাটকে কে এস ফিরোজের পড়া সানগ্লাসটার কথা কি আপনার মনে আছে? (সেটাতে ছোট ছোট লাল LED ছিল!)
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:০৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: প্রাচীর পেরিয়ে নাটকের সানগ্লাসের কথা আর কিভাবে মনে থাকবে? আমার তো নাটকের নামই মনে ছিল না। সীমানা পেরিয়ে লিখেছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ঠিক নামটা মনে করিয়ে দেবার জন্য।
বিবিসি বিটিভিতে দেখাত নাকি? কবে? আমি তো শুধু সিএনএন দেখেছি!!
সেই ঘোষকের নাম বোধহয় মাসুদ কায়সারই ছিল। নিশ্চিত না অবশ্য। আরেকজন পুরুষ ঘোষক ছিল, তাকে বেশি ভাল লাগত না। মাসুদ কায়সারের মধ্যে একটা ব্যক্তিত্ব ছিল। একটা খুব সুন্দর মেয়েও ঘোষনা দিত। নাম ভুলে গেছি।
আপনি জানেন কিনা জানি না, জিটিভিও কিন্তু প্রথম দিকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বোধহয় শুরু হত। না, সাড়ে সাতটা নাকি আরেকটু আগে? যাই হোক। ভুলে গেছি, কিন্তু সারাদিন সম্প্রচার হত না সেটা মনে আছে। কার্টুন ছবি আমি খুব একটা দেখি নাই। বাসায় টিভি যখন এসেছিল, আমার কার্টুন দেখার বয়স চলে গেছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৪১
মেঘলা মানুষ বলেছেন: পুরোই অপ্রাসঙ্গিক এই কমেন্টটা মুছে দেবেন:
এই বিজ্ঞাপনটা কি দেখেছেন? দেখবেন, হৃদয় ছুঁয়ে যাবে আশা করি।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:১০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমি এই কমেন্ট মুছব না, কিন্তু দেখবও না। আজকেই ব্লগে কে যেন পোস্ট করেছিলাম, আপনিই বোধহয়। আমি দেখা শুরু করলাম। ৩০-৪০ সেকেন্ডের মাথায় আমার সারা শরীরের কান্নাগুলি দলা পাকিয়ে গলার কাছে উঠে এল। সহ্য করতে পারি নাই। তাই ওই ব্লগ থেকে পালিয়ে এসেছি।
দুঃখিত, আপনার ভিডিওটা দেখা আমার পক্ষে সম্ভব না।
১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৪৫
বাল্মীকি বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, সিএনএন এর কথা মনে আছে। তখন টিভি দেখার আলাদা আনন্দ ছিল, এখন ঘুরেফিরে মনে হয় একই জিনিস দেখছি, টিভির সামনে বসতেই ইচ্ছা করে না।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:১০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আজকাল মনে হয় ব্লগে কম আসেন।
১৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৫১
লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন:
আমার এখনো মনে আছে যেদিন প্রথম সিএন এন এর নিউজ প্রচারিত হল, আমরা বাসার সবাই অধীর আগ্রহে টিভির সামনে বসে ছিলাম, এমনকি মাসুদ রানা সিরিজের ওই নাটকটির জন্য ও।
যদিও নাটকটি একেবারেই ভালো হয় নি।
@ মেঘলা মানুষ, আপনার দেয়া বিজ্ঞাপনটি দেখে চোখে পানি চলে আসলো।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:১৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: প্রাচীর পেরিয়ে একটা বাজে নাটক ছিল। আমার বন্ধু আগেই বলেছিল আমাকে না দেখতে। কেন যে দেখলাম! স্কুল-কলেজে আমরা একটা শব্দ ব্যবহার করে বন্ধুদের খেপাতাম। শব্দটা হচ্ছে হাফ-লেডিস। কিন্তু এই শব্দের আসল অর্থ বুঝলাম এই নাটকে নোবেলকে দেখার পর।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
১৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৩০
নির্লিপ্ত দৃষ্টি বলেছেন: ধন্যবাদ, পুরানো দিনের কথা মনে করিয়ে রোমাঞ্চিত করার জন্য, আমি যদিও সে সময় অনেক ছোট তারপরও অনেক কিছু মনে পরে গেল। আপনার এত সুনির্দিষ্ট করে সব মনে আছে দেখে বেশ অবাক হলাম।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৫৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। আমার মগজ চাচা চৌধুরীর মত অর্থাৎ কম্পিউটারের চেয়েও প্রখর।
নাহ, আই ওয়াজ জাস্ট জোকিং। আসলে যার যেটাতে আগ্রহ থাকে সে ওটা ভাল মনে রাখতে পারে। আমি সেসময় এইসব নাটক-সিনেমা ইত্যাদি নিয়ে খুব আগ্রহী ছিলাম। প্রাইভেট প্রডাকশন শুরু হবার পর সিরিয়াসলি দেশে ফিরে নাটক বানাতে চেয়েছিলাম। বাঙালি মধ্যবিত্তের মানসিকতা তো বুঝতেই পারেন, পরিবারের কেউ রাজি হল না। তাই আর আসা হল না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৩৭
ডিসকো বান্দর বলেছেন: ভাই, বিটিভির সবচে' বড় নাটক মুখরা রমনী বশীকরন দেখেছিলাম এক বসায় ছোটোকালে। তখন সম্ভবত ১৯৭৮ সাল।
খুব ভালো লাগলো।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:০২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: মুখরা রমনী বশীকরন আমিও দেখেছি। ৭৮ সালে না, পরে কোন এক সময়। দারুন একটা প্রডাকশন ছিল বিটিভির।
ধন্যবাদ ডিসকো বান্দর।
বিঃদ্রঃ যারা এই নাটকের নাম আজকেই প্রথম শুনলেন, তাদের জন্য একটু বলি। এটা শহীদ মুনীর চৌধুরীর করা শেক্সপিয়ারের নাটক টেমিং অফ দ্য শ্রুর (আশা করি, নামটা ঠিক বলেছি!) অনুবাদ। স্বাধীনতার কয়েক বছর আগে নির্মিত। নায়ক গোলাম মুস্তফা এবং নায়িকার নাম রেশমা (একটু সন্দেহ আছে নামটাতে!)। প্রযোজক মুস্তফা মনোয়ার। বাংলাদেশ টেলিভিশনে বেস্ট ৪-৫টা প্রডাকশনের একটা নিঃসন্দেহে।
২০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৪৯
কাউসার রুশো বলেছেন: হঠাৎ করে শেষ করে দিলেন! চলবে নাকি আসলেই এখানে শেষ।
আরো জানতে চাই।
আপনার ফিরে দেখা সিরিজের প্রশংসা করতে করতে টায়ার্ড হয়ে গেছি......
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:০৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ৯৩ এর শুরুর দিকে দেশ ছেড়েছি। প্রথম দিকে বিদেশে এসে যা হয়, দেশের খুঁটিনাটি খোঁজখবর রাখে সবাই। আস্তে আস্তে দেশের সাথে বন্ধন ছুটে যেতে শুরু করে। যে দেশে গেছি সেটাকেই দেশ মনে হতে থাকে। তখন তো এটা আরও বেশি সত্যি ছিল কারন ইন্টারনেট, সুলভ ফোন, অনলাইন পত্রিকা ইত্যাদি ছিল না। এরপরের ঘটনা আমি সেজন্য নিজেও জানি না, তাই শেষ না করে উপায় ছিল না। বরং তুমি আমার চেয়ে বেশি জানো নিশ্চয়ই।
তোমাকে ধন্যবাদ জানাতে জানাতেও আমি টায়ার্ড হয়ে গেছি।
২১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৫৮
বিডি আইডল বলেছেন: ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত । রঙিন টেলিভিশনের আবির্ভাব হয় '৮০ সালে। প্রেসিডেন্ট জিয়ার মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ গিমিক দেবার প্রবনতা ছিল। রঙিন টিভিও সেধরনের একটি গিমিক। লোকে সমালোচনা করেছিল যে জিয়া সাহেব ঋন করে ঘি খাচ্ছেন। ৮০ সালে বাংলাদেশের খুব অল্পসংখ্যক মানুষের এমনকি সাদাকালো টিভি কেনার সামর্থ্য ছিল। রঙিন টিভি তো হাতে গোনা লোকের জন্য। কিন্তু জিয়া এসব সমালোচনাকে গুরুত্ব দেননি।
এইখানে জিয়ার ভূমিকা কি ছিল বুঝতে পারলাম না!
নষ্টালজিক পোষ্ট পুরোপুরি...সিএনএন এর সাথে বিবিসিও প্রচার করা হত....ঘন্টাখানেক করে ছিল দুটোর টাইমস্লট...সিএনএন দিয়ে শুরু হয়....সেখানে টম এন্ড জেরীর একটা মূভির আ্যড দিয়ে কামিং সুন দেখানোতে বসে বসে অপেক্ষা করছিলাম কখন দেখাবে
বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার সময় সিএনএন এর সম্প্রচার লাইভ বন্ধ করে দেয়া হয়...পুরনো খবর দেখানো হচ্ছিল
প্রাচীর পেরিয়ে নাটকটা দেখলে মাসুদ রানা প্রেমিকরা সুইসাইড খেত...নোবেলের বেমানান অভিনয়, দুর্বল অভিনয় আর স্ক্রিপ্ট মিলে এটা এতটা কাল্ট হতে পারলো না...
কমেন্টগুলোতেও অনেক পুরনো দিনের কথা উঠে আসছে...আমার টিভি সিরিজ নিয়ে একটা ধারাবাহিক লেখা ছিল...সেখানেও বহু নস্টালজিক লোকের দেখা পাওয়া যাবে/.
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:১৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: রঙিন টিভি আনার মত একটা বড় সিদ্ধান্ত ছোটখাট মন্ত্রী-আমলাদের উপর নির্ভর নিশ্চয়ই করেনি। এগুলি সরকারপ্রধানের সবুজ সংকেত ছাড়া করা যায় না। যাই হোক, ৮০ সালে না আসলেও এর দু'চার বছরের মধ্যে রঙিন টিভি চলেই আসত। যারা তখন বিরোধিতা করেছিলেন, তারা বুঝতে পারেননি যে রঙিন টিভির দাম কয়েক বছরের মধ্যে এত কমে যাবে এবং মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে চলে আসবে।
আমি বিবিসির সম্প্রচার দেখি নাই। এটা হয়ত কিছুদিন পর শুরু হয়েছে।
আমি সেসময় কঠিন রানাভক্ত ছিলাম এবং আমার ইচ্ছা হচ্ছিল নোবেল জুতোপেটা করি।
আপনার টিভি সিরিজ নিয়ে লেখাগুলি কোন সময়ের দিকে লিখেছিলেন? সময়টা বললে আমি নিজেই খুঁজে নিতে পারব।
আপনার দীর্ঘ মন্তব্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:০১
মুখোশে ঢাকা আমি মুকিত বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।+
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:১৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:১২
গানচিল বলেছেন: এখানে একটি ব্যাপারে আমি একটু কনফিউজড। বিটিভির রঙিন অনুষ্টান কি ৮০ সালের দিকে শুরু হয়েছিল? না ৮৩ সালের দিকে? আমার যতদুর মনে পড়ে ৮৩ সালের দিকে। মামুনুর রশীদের বিখ্যাত আংশিক রঙিন"এখানে নোঙর" নাটক দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিভির রঙিন অনুষ্টানের যাত্রা শুরু হয় (এবং নাটকটি আমার সংগ্রহেও আছে)। কিন্তু ইদানিং শুনছি রঙ্গীন অনুস্টান সম্প্রচার শুরু হয় ৮০ সালের দিকে। উল্লেখ্য, ৮১-৮২ সালের মার্কামারা নাটকগুলো যেমন, আয়না, বাবার কলম কোথায়, দূরবীন দিয়ে দেখুন,ইডিয়ট অলৌকিক, হাজার বছর ধরে, পারলেনা রুমকী, আমাদের মন্টু মিয়া...প্রভৃতি নাটকগুলো কিন্তু সাদাকালোই। এখানে আমারই ভূল হচ্ছে কিনা ঠিক বুঝতে পারছিনা।
@ডিসকো বান্দরঃ মুখরা রমনী বশীকরন নাটকটা বড় নাটক হলেও সেটা কি " মামুনুর রশীদের এখানে নোঙর ( প্রায় আড়ই ঘন্টা), চম্পা-আসাদ অভিনীত আব্দুল্লাহ আল মামুনের " শাহজাদীর কালো নেকাব"( দেড় ঘন্টা) কিংবা বুলবুল আহমেদ শম্পা রেজা অভিনীত "ইডিয়ট" এর চেয়েও বড়? মনে হয়না। তাই "মুখরা রমনী বশীকরন" নাটকটা বিটিভির সবচেয়ে বড় নাটক হিসেবে মেনে নিতে পারছিনা।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:২৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: প্রথম কথা হচ্ছে, আপনার বাসাটা আমি একদিন লুট করব। আমাকে সাহায্য করার জন্য লোকজন খুঁজছি। আপনার সব সিডি, ভিএইচএস, ডিভিডি নিয়ে আসব।
৮০ সালে আমাদের বাসায় রঙিন টিভি ছিল না, তাই এই বিষয়ে নিশ্চিত বলতে পারছি না। তবে জিয়ার আমলে করা হয়েছিল সেটা আমি নিশ্চিত। পত্রপত্রিকায় এই বিষয়ে লেখালেখি হচ্ছিল। খুব খুঁজলে আমার বাসায় শফিক রেহমানের যায়যায়দিন বইটা পাওয়া যেতে পারে যেটা আসলে জিয়ার আমলে সন্ধানী পত্রিকায় প্রকাশিত তার কলামের সংকলন। এই বইটাতেও এই রঙিন টিভির ঘটনার উল্লেখ আছে। হতে পারে, ৮০তে কাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু শেষ হয়েছে ২-৩ বছর পর। হতে পারে, প্রেসিডেন্টের খবর ইত্যাদিই শুধুমাত্র রঙিন করা হত।
ধন্যবাদ আপনাকে। লুটের ব্যাপারে আমি কিন্তু সিরিয়াস।
২৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৩৭
কাউসার রুশো বলেছেন: আপনি দেশের বাইরে থাকেন?????
কোন দেশ????
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৩৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: বিশ্ববাসী এই দেশকে আদর করে ইউনাইটেড শিট অফ আমেরিকা বলে ডাকে।
২৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৪৩
বিডি আইডল বলেছেন: সিরিজটা শেষ করা হয় নি...শেষ পর্বের লিংক
Click This Link
এখানে আগের ৩ টি পর্বের লিংক আছে
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:০৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: যাই, পড়ে আসি আপনার নস্টালজিক পোস্টগুলি। ধন্যবাদ লিঙ্কের জন্য।
২৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৪৫
কাউসার রুশো বলেছেন: আমি আরো ভাবলাম দেশে ব্লগীয় কোন গেট টুগেদার হলে আপনার সংগে দেখা হবে
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: কে জানে, দেখা হয়ত কোনদিন হয়ে যাবে। ইউ নেভার নো ব্রাদার।
২৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৪৮
ডিসকো বান্দর বলেছেন: @গানচিল......ওটা ৩ ঘন্টার নাটক ছিলো যতটুকু আমার মনে পড়ে। ছোটোবেলার কথা ভুলও হতে পারে।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: @গানচিল।
২৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৫৪
ভদ্র পোলা বলেছেন: তথ্য বহুল পোষ্ট , ভালো লাগলো
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩৪
বাদ দেন বলেছেন: ইয়ে ছোট মানুষ একটা কুসচেন করি, রঙ্গিন টিভি আনা হইসে ব্যপারটা কি, মানে এর আগে রঙ্গিন টিভি আমদানী বন্ধ ছিল? না বিটিভি রঙ্গিন টেলিকাস্ট শুরু করে?
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: বিটিভি রঙ্গিন টেলিকাস্ট শুরু করে। রঙিন টিভি আমদানী হয়ত নিষিদ্ধ ছিল না। কিন্তু বিটিভি রঙিন ছবি না দেখালে সেই আমলে বিদেশ থেকে লাখখানেক টাকা খরচ করে রঙিন টিভি আনার তো কোন মানে নাই। কারন বিটিভি ছাড়া অন্য চ্যানেল আপনি দেখতে পারছেন না, আর ভিসিআরও তখন আসে নাই।
৩০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪৬
বাদ দেন বলেছেন: লাখখানেক টাকা?
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৫০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: একদম সঠিক দামটা বলতে পারছি না, তবে এর কাছাকাছিই হবে হয়ত। বিলাসদ্রব্য হিসেবে মোটা অংকের আমদানী করও থাকার কথা।
৩১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০২
বাদ দেন বলেছেন: মানুষ ওই সময় কি দেখবার জন্য টিভি কিনত? মাত্র ৫ ঘন্টা। একটা সিনেমা দেখাইতে গেলেইত স্লট শেষ হয়ে যাবার কথা।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৩৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। আপনার কমেন্ট পড়ে প্রথমে একটু হাসলাম। তারপর মাথা চুলকাতে চুলকাতে ভাবলাম এর কি জবাব হয়!! আপনি বোধহয় মোটামুটি টিভি বোঝার সময় থেকেই ক্যাবল টিভির জমানা দেখছেন, তাই না? যদি তাই হয়, আমি আপনাকে কোনভাবেই বোঝাতে পারব না বিটিভির ওই ভাঙাচুরা সেটে নির্মিত অনুষ্ঠানগুলির কি অসাধারন জাদু ছিল।
৫ ঘন্টা না, আসলে ৭ ঘন্টা। অবশ্য এর মধ্যে মোট এক ঘন্টা পনের মিনিট (৩০+৩০+৫+১০) খবর, ১০ মিনিট কুরআন এবং অন্য ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ, ৫ মিনিট জাতীয় পতাকা প্রদর্শন আর ঘন্টাখানেকের বিজ্ঞাপন ছিল।
৩২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:৫৭
মোঃমোজাম হক বলেছেন: কবে রঙ্গীনটিভি চালু হয়েছিল জানিনা,তবে লেডি ডায়ানার বিয়ে দেখেছিলাম রঙ্গীন এবং সরাসরি।আমার ভাই তখন সিঙ্গাপুরে প্রবাসী,তিনিই টিভিটা নিয়ে এসেছিলেন।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:০৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: উইকিতে দেখলাম লেডি ডায়নার বিয়ে হয়েছিল ৮১ সালে। তবে এখানে একটা কথা আছে। এই বিয়ে তো বিটিভির মাধ্যমে প্রচারিত হয়নি। তখন তালিবাবাদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র বা এই জাতীয় কি যেন একটা ছিল, তার মাধ্যমে বিদেশি টিভি থেকে রিসিভ করে শুধু বিটিভি টাওয়ার দিতে প্রচার করা হত। এটা বোধহয় বিটিভির নিজস্ব রঙিন টিভির কারিগরি না থাকলেও করা সম্ভব। যাই হোক। জিয়া প্রকল্প নিয়েছিলেন, এইটুকু আমি নিশ্চিত। ঠিক কবে চালু হয় তা আমার জানা নাই। তখন আমার বয়স বেশ কম, আমি রঙিন টিভি পেয়েছি আরও কয়েক বছর পরে, খুব সম্ভব ৮৩-৮৪ সালে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৬
পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন:
প্রাচীর পেরিয়ে নাটকটার কথা ভালোমতই মনে আছে বহু কারনেই। !! বিপাশা হায়াত ও ছিল সেখানে, কিন্তু রানা সিরিজের এডাপ্টেশন হিসেবে এর চেয়ে ভয়াবহ কিছু আর মনে হয় হতে পারে না।
অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে যদি কারো কোনদিন মাসুদ রানাকে পোট্রেট করার যোগ্যতা থাকে, তবে সেটা শুধুই নোবেল। ঐ জঘন্য ও দুর্বল নাটক টা না হলে, এখনো যদি কেউ স্পাই থ্রিলার / মাসুদ রানাকে নিয়ে মুভি বানানোর চিন্তা করে , তাহলে ফাস্ট চয়েজ হিসেবে নোবেলই থাকবে বাংলাদেশি স্পাইকে চরিত্রায়ন করার জন্য।
যাই হোক, পোস্ট সুন্দর হয়েছে
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:১৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: মাসুদ রানা ছবিটা দেখেছেন? সোহেল রানা আর অলিভিয়া অভিনীত? ওইটার অবস্থাও এই নাটকের মতই। তবে সোহেল রানাকে আর যাই হোক, হাফ-লেডিস মনে হয়নি। প্রাচীর পেরিয়ে খুব হতাশ করেছিল। আতিকুল হক চৌধুরী তার তরুন বয়সের ফর্ম সেসময় পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছিলেন। এর আগে ৯১-৯২ সালের দিকে একটা ধারাবাহিক বানিয়েছিলেন - জলাশয় কতদূর। মাইলসের মানাম আহমেদ অভিনয় করেছিল। অভিনেতা জাহিদ হাসান এই ধারাবাহিক সম্বন্ধে পরে বলেছিল - "আমার জীবনে আমি যে কয়টা বাজে নাটকে কাজ করেছি, জলাশয় কতদূর তার মধ্যে অন্যতম"।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৩৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩১
দূর্যোধন বলেছেন: আপনার সিরিজগুলো পড়তে বেশ ভালো লাগছে।
তবে একটা কথা বলতে চাই,উপদেশ মনে করলে কিছু করার নেই।
সিরিজের প্রতি পোস্টের শেষে আগের পোস্টগুলোর লিনক দিয়ে দিলে নতুন পাঠক এবং যারা এই সিরিজ অনুসরন করছেন,তাদের জন্য সুবিধা হতো বলে মনে করি।
ভালো লাগলো।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:২৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: উপদেশ, পরামর্শে কিছু মনে করব কেন? আপনি তো সিরিজের নিয়মিত পাঠক। নতুন একজন এসেও আমাকে পরামর্শ দিতে পারে। লোকের পরামর্শেই তো লেখার মান উন্নত হবে। আর নিয়মিত হিসেবে আপনার তো অধিকার আরও বেশি। আচ্ছা, পরের পর্ব থেকে লিঙ্ক দিব। এই লেখাটা অলরেডি পুরোনো হয়ে গেছে। আমি আবার একটু অস্থির প্রকৃতির মানুষ বলে পুরোনো লেখা নাড়াচাড়া করার আর ধৈর্য পাই না। নতুন পর্ব এর মধ্যে শুরু করেছি, সেটা নিয়ে আছি।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সমর্থন এবং পরামর্শের জন্য।
৩৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৪২
দেশী পোলা বলেছেন: আমার ধারণা ছিল যে কালার টিভি-ভিসিআর ইত্যাদি আসা শুরু করে ১৯৭৯'র দিকে। নীলক্ষেত, ইউনিভার্সিটি, ডিএমসি'র আশেপাশে তখন দোকানে দোকানে পয়সা দিয়ে হিন্দী আর ইংরেজী সিনেমা দেখানো হতো কালার টিভিতেই। যতদূর জানি, বিটিভি'র কালার সম্প্রচারের আগে থেকেই দেশে কালার টিভি এসেছিল।
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৩০
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আরেকটা কথা তখন সলিড গোল্ড নামে ইংরেজী গানের শো চলতো সেটাও আমরা রঙ্গীন দেখতাম।প্রতিবেশীরাও চলে আসতো কালার শো টি দেখার জন্য।
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: সবকিছু মিলে এই উপসংহারে আসা যায় যে বিটিভির টাওয়ার রঙিন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে পারত। কিন্তু নিজেদের কাছে রঙিন অনুষ্ঠান ধারন করার প্রযুক্তি সেসময় ছিল না।
৩৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:২৫
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
একটি কাকতাল............
আমি আমার ভাষায় এখানে লিখতে এসে আপনার
নিজের সম্পর্কে বলা 'একটু অস্থির প্রকৃতির মানুষ'
শব্দগুচ্ছটি পেলাম।
যাক আমাকে আমার মত বলতে হল না।
ক্রমাগত আমাকে নস্টালজিক করে দেয়া লেখাগুলো
(যা দ্রুত উৎপাদনশীল) আপনার প্রকৃতির করনে
বিঘ্ন হলে মোরা যামু কই?
অতএব আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি প্রতিনিয়ত।
আমি আবার ভাল করে সবকিছু সুন্দর গুছিয়ে(!)
লিখতে পারি না।
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:২৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। আপনার মত করে কি বলতে চেয়েছিলেন? শোনার আগ্রহ বোধ করছি। এই ফিরে দেখা সিরিজের ঘটনাগুলি যে সময়ের, সে সময়ে যদি আপনি আমাকে দেখতেন তাহলে বুঝতে পারতেন আমি কত অস্থির প্রকৃতির ছিলাম। এখন তো অনেক ভাল। প্রথম ইউএস এসে আমি ২-৩ মাস পর পর চাকরি (সেই ধরনের চাকরি না, প্রচলিত ভাষায় অড জব যাকে বলে আর কি! রেস্টুরেন্টে, মুদির দোকানে ইত্যাদি) বদলাতাম কারন এক কাজ বেশি দিন করতে আমার ভাল লাগত না। বাসা কতবার বদলেছি, সেটা হিসেব করতে ক্যালকুলেটর লাগবে। কত সময় যে বেকার থেকেছি, প্রচন্ড অর্থকষ্টে পড়েছি এই অস্থির স্বভাবের জন্য, আপনি চিন্তা করতে পারবেন না। আমি খুব তাড়াতাড়ি কোন কিছু বোর হয়ে যেতাম। এখনও বোর হই। তবে একটু বয়স বেড়েছে তো, তাই কষ্ট করে হলেও নিজেকে নিয়ন্ত্রন করি।
আপনি গুছিয়ে লিখতে পারেন না? বলেন কি! তাহলে কবিতা লিখেন কিভাবে?
৩৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৩৯
কান্টি টুটুল বলেছেন: ইংরেজীতে কথা বলা প্রাকটিসের জন্য CNN এর খবর সময়ে মন দিয়ে শুনতাম,
একজন সুইডিস মহিলা সুন্দর উচ্চারনে খবর পড়তেন নাম ছিল Bettina Lusher,
প্রিয় সিরিজ LA LAW আর DALLAS আজও মিস করি।
সুন্দর পোস্ট,ধন্যবাদ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:১৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: বাপরে! আপনি তো বেশ বড় সিএনএন ভক্ত ছিলেন দেখছি। আমি ল্যারি কিং এর সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানটাই দু'চারবার দেখেছি।
ডালাস খুব প্রিয় ছিল। এল এ ল' এর কথা খুব একটা মনে পড়ছে না।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৩৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৫১
রেজোওয়ানা বলেছেন: আচ্ছা এটিএন বাংলা কি আগে নাকি একুশে টিভিটা আগে শুরু হয়েছিল? পরে একুশের লাইসেন্স বাতিল হলো না?
ঈদ আনন্দ মেলার একটা অনুষ্ঠানই খুব ভাল লেগেছিন, সেটা কত সালে হয়েছিল মনে নেই, তবে ওটার উপস্থাপনা করেছিলেন আনিসুল হক (নামটা কি ঠিক হলো!), এবং সেই অনুষ্ঠানেই প্রথম বারের মতো একটা গাড়ি পুরস্কার হিসাবে রাখা হয়েছিল, সেটা পেয়েছিলেন আবুল হায়াত।
পিশাচ দ্বীপ নাটকা টা কি সেটাই যেটার মাসুদ রানা হয়েছিল নোবেল আর সোহানা বিপাশা?
এটা হলে সেটা একটা জঘন্য নাটক হয়েছিল!
আমার দাদাভাই সারাদিন বসে বসে সিএনএন দেখতেন দেখতাম, আর আমি একটা নিউজই দেখেছিলাম বলে মনে পরে, সেটা প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুর খবরটা!
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:১৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমি ৮০ ভাগ নিশ্চিত এটিএন আগে শুরু হয়েছিল। কিন্তু অতটা প্রচার পায়নি দুটো কারনে - তাদের অনুষ্ঠানের মান ছিল সস্তা বাংলা সিনেমার মত এবং তাদের ক্যাবল লাইন ছাড়া দেখা যেত না। একুশে টিভি দেখার জন্য ক্যাবল লাইনের প্রয়োজন হত না বলে এটা অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। আর একশ' ভাগ নিশ্চিত এই বিষয়ে যে এটিএন প্রথম হিন্দি স্যাটেলাইট চ্যানেলের এক ঘন্টার স্লট কিনেছিল ৯৭ সালের দিকে। ২০০১ এ বিএনপি আসার কিছুদিন পর একুশে বন্ধ করে দেয়া হয়। চ্যানেল আই আর একুশের মধ্যে কোনটা আগে, সেটা আমি অবশ্য জানি না।
আপনার এই প্রিয় আনন্দমেলাটা হয়েছিল ৯৩ সালের রোজার ঈদে, ২৫শে মার্চে। এই আনন্দমেলাটা নিয়ে অনেক ঝামেলা আছে। জানেন নিশ্চয়ই যে আনিসুল হক ব্যক্তিগতজীবনে বিরাট ব্যবসায়ী এবং খুব ধনী মানুষ। আনন্দমেলাকে আকর্ষনীয় করার জন্য তিনি নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রভাব খাটিয়ে সেই উপহারের গাড়ি, দুটো হাতি (হুমায়ুন আহমেদের অয়োময়ে অনুসরনে একটা ছোট নাট্যাংশে ব্যবহারের জন্য), বিমানের টিকেট (আনিসুল হক এবং হুমায়ুন ফরিদী বম্বে গিয়েছিলেন দীলিপ কুমারের সাক্ষাৎকার নিতে) ইত্যাদি প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকার স্পন্সর এনেছিলেন। এই স্পন্সরগুলি নিয়মানুসারে বিটিভির মাধ্যমে আসেনি। এমনকি বম্বেতেও বিটিভির কোন ক্যামেরাম্যান বা প্রযোজক যাননি, আনিসুল হক সম্পূর্ন ব্যক্তিগতভাবে ওই অংশ রেকর্ড করেন। সেজন্য সমালোচনা হয়েছিল যে এই আনন্দমেলা একটা খারাপ উদাহরন স্থাপন করল। এর ফলে ভবিষ্যতে অনেক ধনী লোকই দু'হাতে টাকা খরচ করে আনন্দমেলা তৈরী করার সুযোগ নিবেন। আপনার প্রিয় আনন্দমেলাকে নিয়ে এতগুলি খারাপ খবর দেবার জন্য দুঃখিত।
হুম, নোবেল আর বিপাশার সেই আবর্জনাটাই ছিল প্রাচীর পেরিয়ে তথা পিশাচ দ্বীপ।
অনেক ধন্যবাদ আপনার স্মৃতির ডালা খুলে দেবার জন্য। আপনার সাথে আমিও ঘুরে এলাম সেই সময়টা।
৪০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩
জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম বলেছেন: এরশাদ সাহেব একবার বেড়াতে এসে ,সম্ভবত ৮২-৮৩ সালে ,আমাদের কলেজ হোস্টেলে একটি রঙ্গিন নিক্কন ১৪ইঞ্চি টিভি দিয়েছিলেন।
সেই প্রথম রঙ্গিন টিভি দেখা।
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: তাই নাকি! এরশাদের কারমাইকেল কলেজের ছাত্র নাকি আপনি? আপনাদের কলেজে হঠাৎ টিভি দেয়ার কারন কি? আপনি সেই টিভির কাহিনী নিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে দেন। পড়ি আমরা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৫৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: আরে দু:খিত হবার কি আছে ভাইয়া, এই সব অজানা পর্দার পেছনের খবর পাই বলেই তো আপনার ব্লগটা এত ভাল লাগে, যে কারণে লিংকে রেখেছি আমার
এই বিষয় গুলোতো জানতামই না, আমার জাস্ট দেখতে ভাল লেগেছিল, সম্ভবত অনুষ্ঠানের চাকচিক্যের কারণেই। আর আনিসুল হকের উপস্থাপনার স্টাইলটা বেশ ভাল লাগে আমার। এছাড়া আবদুল্লাহ আবু সাইদ স্যারের করা আনন্দমেলা গুলোও ভাল লেগেছে (এইটার কথা এখন মনে পড়লো)। গত ১০ বছরে আমি একটাও আনন্দমেলা দেখিনি, তাই এখন কি অবস্থা সেটা জানি না!
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমিও অনেক বছর আনন্দমেলা দেখি নাই। এখনও হয় কিনা, কে জানে!
৪২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২
কুন্তল_এ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নস্টালজিক করে দেয়ার জন্য।
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:০৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৪৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:১৬
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমার জন্মই হয় ৮৭র দিকে। কিন্তু আপনি এত সুন্দর করে লিখেন যে পুরো ঘটনাটা ইলাস্ট্রেট করতে কোন অসুবিধা হয় না।
ব্যক্তিগত প্রশ্ন, আপনি কি ডায়েরী লিখতেন ? আপনার স্মৃতিশক্তির প্রশংসা করি।
আরো হাজার বছর লিখে যান এভাবেই। শুভকামনা রইলো।
২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:১৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যটার জন্য সত্যিই কৃতজ্ঞ। ফিরে দেখা সিরিজটা ভয়ে ভয়েই শুরু করেছিলাম কারন এখানে আপনার মত অল্পবয়সী ব্লগারের সংখ্যাই বেশি আর আপনারা আমার এই ইতিহাস পড়তে কতটা আগ্রহী হবে সেটা নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। আপনারা যেভাবে গ্রহন করেছেন, ধন্য আমি।
না, আমি ডায়েরী লিখতাম না। এই সিরিজে যা কিছু লেখা হয়েছে, তার ৯৫ ভাগই সম্পূর্ন স্মৃতি থেকে (সেজন্য মাঝে মাঝে নাম, তারিখ ইত্যাদিতে এক-আধটু ভুলও হয়ে যায়)। কালেভদ্রে দু'একটা জিনিস হয়ত অনলাইনে সৌভাগ্যক্রমে রেফারেন্স পেয়ে যাই। কোন বিনয়-টিনয় না, আমার স্মৃতিশক্তি আসলে এমন কিছু না। যে যে বিষয়ে আগ্রহী থাকে, সে ওই বিষয়ে অনেক বেশি মনে রাখতে পারে। আমার এক পরিচিত আছে, ২৫-৩০ বছর আগে কোন দলের খেলোয়াড় কোন টেস্ট ম্যাচে কত রান করল, কত উইকেট পেল, সব বিস্তারিত মনে রাখতে পারে। আমাকে কেটে ফেললেও আমি এটা পারব না। সেজন্যই বলছিলাম যে স্মৃতিশক্তি এখানে বিষয়ই না, আগ্রহটাই বিষয়।
যাই হোক, আপনার মন্তব্যটা পড়ে এত ভাল লেগেছিল যে দীর্ঘ একটা উত্তর দিয়ে ফেললাম। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা।
৪৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:২১
রাজকন্যে বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।
২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:২৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
৪৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:১৯
আমি সুফিয়ান বলেছেন: ধন্যি আপনার স্মরণ শক্তির.....
আমার তখনকার বিটিভির একটা জিনিসই কেবল খেয়াল আছে....
মুভি অব দা উইক
কি যে বিরক্তি লাগত(৫-৬ বছর বয়স তখন,বৃহস্পতি বার রাতে দিত)
আর এটি এন আগে আসছে....ঢাকায় এক আত্বীয়ের বাসায় দেখেছিলাম
আমার মনে আছে, এটিএন এ তখন নাসির গোল্ড সিগারেটের এড দিত..
আমার জিঙ্গেলটা মনে আছে
" বলছে সবাই, বলবে সবাই
আরো লোকে বলবে...
এখনথেকে ... নাসির গোল্ডই চলবে"
একুশে আসে ২০০০ এ
২৯ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৪৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: মুভি অফ দ্য উইক আমার খুব প্রিয় ছিল। আসলে বাজেট এবং অন্যান্য কারনে এতে দেখাত একটু পুরোনো ছবিগুলি। ৫-৬ বছর বয়সে লোকে যেমন অ্যাকশন, যুদ্ধের ছবি পছন্দ করে সেগুলি খুব কম আসত। সেজন্যই আপনার ভাল লাগত না। তবে তখন মাসে ৩টা ইংরেজি এবং একটা বাংলা ছবি দেখান হত। এটা সম্পূর্নই নির্বুদ্ধিতা। গুনগতমানের প্রশ্ন এখানে না, বাস্তবতা হচ্ছে বাংলা ছবির আবেদন ছিল দেশের ৯৮ ভাগ লোকের কাছে (সেসময়ের কথা বলছি, এখন হয়ত এর চেয়ে অনেক কম হবে)। তাই টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ ছিল।
এটিএন এবং একুশে সম্পর্কে তথ্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৪৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:২০
সেলিম তাহের বলেছেন:
আপনার স্মৃতিশক্তি ও ইতিহাসমনস্কতায় আমি মুগ্ধ!
২৯ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৫০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। অনেক ধন্যবাদ।
৪৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪৫
পাগলাঘোড়াসিটিজি বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লাগল।
প্রিয়তে
২৯ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:২৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪
লেখোয়াড় বলেছেন: ঈদ মোবারক থাকল। ভাল থাকবেন।
২৯ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:২৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক দিন পর দেখলাম আপনাকে। ভাল আছেন আশা করি।
আপনাকেও ঈদ মোবারক এবং অনেক ধন্যবাদ।
৪৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:২২
েরজা , বলেছেন:
বসের সৃতি শক্তিতে আমার চোখ ছানা বড়া .......।
২৯ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:২৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। স্মৃতিশক্তির ব্যাপারটা ৪৩ নাম্বার মন্তব্যের উত্তরে ব্যাখ্যা করেছি।
অনেক ধন্যবাদ আর ঈদ মোবারক।
৫০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৩০
েরজা , বলেছেন:
হেমন্ত মুখোপাধ্যয়ের তিক্ততায় ভরা শেষ বাংলাদেশ সফর, ফিরে যাবার দুই সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু এবং কবি আজাদ যশোরী (১৯৮৯)-লেখটায় দুইটা মন্তব্য করেছিলাম .....উত্তরের অপেক্ষায় আছি ....
২৯ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৩৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ওহ তাই নাকি! দেখছি এখনই। আমি একটা পোস্ট লিখছিলাম এতক্ষন।
৫১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:০১
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: আপনার অবজার্ভেশনগুলো নিঁখুত রকমের পরিষ্কার । চমৎকার লাগলো ফিরে দেখা পর্ব ।
সি এন এন এর প্রতি আগ্রহ আসলেই মানুষ হারিয়ে ফেলেছিলো , তবে রিটায়ার্ড মানুষজন আগ্রহ নিয়ে টিভি খুলে বসে থাকতো !
আগে সেসময় মুভি অভ দ্য উইক এ ভালো সব মুভি দেখাতো ।
আর সপ্তাহের একদিনে নাটক প্রচারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় প্যাকেজ লটে । প্রথম নাটক সম্ভবত নাটের গুরু !
..............................
চমৎকার একটা পোস্ট পড়ে আবছাভাবে যা মনে এলো সেসবই লিখে ফেললাম । শুভেচ্ছা , রাইসুল জুহালা ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ফিরে দেখা সিরিজ আপনার ভাল লেগেছে, সেজন্য সম্মানিত বোধ করছি। নাটের গুরু নাটকের নাম মনে করতে পারলাম না। দেখা হয়নি বোধহয়।
আপনাকেও ঈদের অনেক শুভেচ্ছা।
৫২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬
আমি সুফিয়ান বলেছেন: আমার কথাও কিন্ত সেটাই, এখন বাংলাদেশের মানুষ বাইরের সংস্কৃতি নিয়ে অনেক বেশি জানে....
এখন কেনো মুভি অব দ্য উইক দেয় না?
এখনকত আফসোস হয়, না জানি কত ভালো মুভিই মিস করলাম
২৯ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আসলেই অনেক ভাল আর ক্লাসিক মুভি দেখিয়েছিল তারা। এরকম একটা দুর্দান্ত মুভি নিয়ে আমি ব্লগে রিভিউও লিখেছিলাম।
৫৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩৩
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: এখন ঈদে ১২ টা চ্যানেলে ২০০ অনুষ্ঠান, কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখব??
অথচ সেই ৯২/৯৩ সালের দিকে ঈদের দিন বিটিভিতে সাড়ে আটটার নাটক দেখার জন্য অধির আগ্রহে বসে থাকতাম, এরপর সাড়ে দশটায় হতো আনন্দমেলা। তখনকার নাটকগুলোর মান অনেক ভালো ছিল।
একবার ঈদ আনন্দ মেলায় উপস্থাপক নকিবুদ্দিন "মুসা বিন শমসের্" সাহেবের জুতার কালেকশন দেখানোর ফলে দারুন ভাবে সমালোচিত হন।
"পিশাচ দ্বীপ" নাটকটার কোন লিঙ্ক থাকলে দেন, বস্তাপচা নাটক হলেও সেই সময় বেশ উপভোগ করে ছিলাম। কয়েকদিন ধরে নাটকটার ট্রেইলার দেখানো হয়েছিল, "বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের এক দুধর্ষ স্পাই........." এটা শুনেই সে সময় কেমন যেন শিহরিত হয়েছিলাম।
ধন্যবাদ পনাকে। আর "ঈদ মোবারক"।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: মাসুদ রানা নাটকের লিঙ্ক পেলে আপনার কোন পোস্টে গিয়ে দিয়ে আসব। আমিও নাটকটার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম।
নাটকের মান ভয়াবহ পর্যায়ে। এইবার ঈদে দু'একটা তথাকথিত হাসির নাটক দেখলাম। হাসির দৃশ্যগুলি দেখি আর নিজেকেই প্রশ্ন করি, এখন কি আমার হাসা উচিৎ!!!
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আর ঈদ মোবারক।
৫৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৯
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাল লাগল জুহালা ভাই । মুক্ত মনের সাথে আমি একমত, এর পরের ইতিহাস অবক্ষয়েরই ।
একটা সময় ছিল বাংলা নাটকের মান নিয়ে আমি গর্ব করতাম ।
এখন ঘৃনা লাগে ছ্যাবলামি দেখলে
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: এখনকার নাটকের মান নিয়ে আমি আসলেই শংকিত। অবস্থা ভয়াবহ!!!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৫৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪১
ইমরান০০৭ বলেছেন: আপনার ফিরে দেখা সিরিজটা খুব ভালো পাই । চালিয়ে যান ।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৫০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৫৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:২৫
বৃত্তবন্দী বলেছেন: ম্যান কয়দিন ধরে আপনার এই লেখাগুলো পর্তেছি আর নস্টালজিক হৈতেছি।
সেই কৈশোরের পয়লা বিদেশী চ্যানেল হিসাবে সিএনেন আর বিবিসির কথা মনে করায়া দিলেন। যদ্দুর মনে পড়ে, শোবিজ টুডে নামের অনুস্ঠানটায় আপকামিং মুভি গুলা নিয়া রিভিউ টাইপের কাহিনী থাকতো। উপস্থাপনায় দুইজন থাকতো। একজন ব্লন্ড, সে আবার খানিকটা ঝকমকা/খোলামেলা (মানে ঐ আমলে কিশোরের কাছে খোলামেলা বলতে যা বুঝায় আর কি) টাইপের ড্রেস পরতো।
আর প্রাচীর পেরিয়ে নামের বিভৎস গ*স্রা*টার কথা আর কি বলবো। পিশাচ দ্বীপ বইটা মাত্র ছ'/সাত মাস আগে পড়া হৈছিলো। বইটার কিছু কিছু দৃশ্য কেম্নে চিত্রায়ন কর্বো ভাবতে ভাবতে মাথা আউলায়া গেছিলো। পরে নাটকটা দেইখা, আতিকুল হকেরে সবার আগে গুলি কর্তে মন্চাইছিলো। দেন নোবেলেরে। মাসুদ রানারে আর যাই হৌক নোবেলের মত কখনো ভাবি নাই। বমি আইছিলো পুরাই। পিশাচ কাহিনীরে কনভার্ট কৈরা কি মুখোশ মুখোশ টাইপের বালছাল বানায়া ফেল্ছিলো, ভাবতেই মেজাজ খারাপ হয়।
উপ্রে কে জানি বল্লেন মাসুদ রানা হিসাবে এখনো তিনি নোবেলরে দেখতে চান। আমি দ্বি-মত। আমার কাছে মাসুদ রানার জন্য এপ্রোপ্রিয়েট মনে হয় আহমদ রুবেলরে।
শেষে আবারো ধৈন্যা এরম নস্টালজিক কৈরা দেওনের জন্য...
১২ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:২৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ভাল, আপনাকে নস্টালজিক করতে পারলে আমি সার্থক। আপনার প্রোফাইলে গিয়ে দেখলাম আপনি অনেক পুরোনো ব্লগার। কিন্তু আমি আপনাকে আগে দেখি নাই। এখন বোধহয় খুব একটা এইদিকে আসেন না! অনিয়মিত আসা-যাওয়ার মধ্যে সময় করে আমার পোস্টগুলি পড়েছেন, আমি সেজন্য খুব খুশি।
আপনি তো দেখি সিএনএন এর খুব নিয়মিত দর্শক ছিলেন। আমার এত বিস্তারিত মনে নাই। তবে এই শোবিজ অনুষ্ঠানটা কিশোর-তরুন মহলে ভাল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
প্রাচীর পেরিয়ে আসলেই একটা ভুয়া নাটক ছিল। এমন মাস্টারপীস একটা গল্পের এই দশা করবে, ভাবতেই পারি নাই। আতিকুল হক চৌধুরী কি ভেবে এই প্রজেক্টে হাত দিয়েছিলেন আর নোবেলকে রানা চরিত্রে নিয়েছিলেন, উনিই জানেন। রানা বলতে আমাদের চোখে ভেসে ওঠে প্রখর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, দৃঢ় একজন মানুষ। নোবেলকে পাঁচ মিনিট দেখার পর ভিমড়ি খেয়েছিলাম। আহমেদ রুবেলের খুব বেশি কাজ আমি দেখি নাই, তাই বলতে পারছি না যে উনি পারফেক্ট মাসুদ রানা হবেন কিনা!
অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। অনেক ভাল লাগল।
৫৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪১
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: স্মৃতিকাতরতায় পেয়ে বসলো !
অনেক কিছূ মনে করিয়ে দেবার জন্য মাইনাস লন
১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: মাইনাস সাগ্রহে গৃহীত হল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৪৩
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার ফিরে দেখা সিরিজটা খুব ভালো হচ্ছে চালিয়ে যান