নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারিদিকে আজ মীরজাফরদের জয়ধ্বনি!!

হা হা হা পায় যে হাসি!!!

রাইসুল জুহালা

আমি কে, আমি যেমন নিজে জানি না, বাকিরাও নিশ্চিতভাবে কিছু জানেন না। বেশিরভাগ ঐতিহাসিকের মতে আমি নিতান্তই এক কাল্পনিক চরিত্র, ইতিহাসে আমার অস্তিত্ব নাই! তাদের মতে ঔপন্যাসিক, গল্পকারেরা বিবেক চরিত্র চিত্রায়নে আমাকে সৃষ্টি করেছেন। এমনকি আমার নাম নিয়েও বিভ্রাট আছে। কেউ কেউ আমার নাম গোলাম হোসেন বলেও অভিহিত করেছেন!

রাইসুল জুহালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

[ফিরে দেখা - ব্যক্তিগত জীবন] মৌচাক মার্কেটের সামনে তেরাস্তার মোড়ের জ্যাম, গাড়ির প্যাঁ-পোঁ, নানানবয়সীর হৈচৈ-হুড়াহুড়ি, তার মধ্যে বাঁশিতে পল্লীগানের সুর

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩২

*উৎসর্গঃ ব্লগার আসিফ মুভি পাগলা





নব্বই দশকের শুরুর দিকে মৌচাক মার্কেটে ঢোকার মুখে একজন মোটা, কালো, মধ্যবয়স্ক মুচি বসতেন। তাকে দেখলেই আমার অয়োময় নাটকের নিবারনের কথা মনে পড়ত। আশেপাশে যে আরো দু'য়েকজন মুচি ছিল, তারা কেউ এই ভদ্রলোককে একদম সহ্য করতে পারত না, সবসময় ঝগড়া ছিল। কিন্তু কাস্টমারদের মধ্যে উনি খুব জনপ্রিয় ছিলেন। যতটা না তার কাজের জন্য, তার চেয়ে অনেক বেশি তার বাঁশি বাজানোর অসাধারন প্রতিভার জন্য। জুতার কাজ শেষ হবার পর একটু অনুরোধ করলেই ব্রাশ, কালি ফেলে তুলে নিতেন তার বাঁশিটা আর চমৎকার সুর তুলতেন। মৌচাকের সামনের তিনরাস্তার মোড়ের জ্যাম, গাড়ির প্যাঁ-পোঁ, মার্কেটে আসা নানানবয়সীর হৈচৈ-হুড়াহুড়ি আর তার মধ্যে বাঁশিতে পল্লীগানের সুর - সবকিছু মিলিয়ে একটা অদ্ভুত আবেশাচ্ছন্ন সময়।



বাঁশি আর বেহালার মধ্যে কি যেন একটা বৈশিষ্ট্য আছে, শুনলেই মনে হয় হৃৎপিন্ডটাকে চিড়ে দিয়ে কাঁদছে। কিন্তু এই কাঁদার মধ্যেও কি যেন একটা সুখ আছে আর প্রায় বিনা পয়সা এই সুখ পাওয়ার লোভেই আমি কয়েকদিন পরপর এই ভদ্রলোকের কাছে জুতা পালিশ করতে যেতাম।



আমার মতই বাঁশি শোনার লোভে অনেক বেশি কাস্টমার তার কাছে কাজ করাতে আসত। এটাই বোধহয় অন্য মুচিদের রাগের কারন! সহকর্মীদের সাথে তার ব্যবহারও অবশ্য খুব ভাল ছিল না।



এরপর দেশের বাইরে চলে গেলাম। মধ্যে কয়েকদিনের জন্য একবার দেশে গেলেও মৌচাকের ওদিকে যাবার সুযোগ পাইনি। ৬-৭ বছর পর ৯৯ সালের দিকে অনেক দিন পর আবার মৌচাকে গেলাম তার বাঁশি শোনার জন্য। ততদিনে ওখানে ওভারব্রিজ হয়ে তুলকালাম অবস্থা। মুচিরা জায়গা বদলে ওভারব্রিজের নিচে চলে গেছে। কিন্তু বাঁশিওয়ালাকে তাদের মধ্যে দেখলাম না। অন্য মুচিদের কাছে খুব একটা যেতাম না বলে তাদের চেহারাও মনে নাই। পুরোনো মুচিদের সাথে বাঁশিওয়ালার যে মধুর (?!) সম্পর্ক, তাদের কিছু জিজ্ঞেস করতে সাহস হচ্ছিল না। বেশ সংকোচ নিয়ে কিছুক্ষন পর জিজ্ঞেস করলাম একজনকে। যা ভেবেছিলাম, শোনামাত্রই রেগে গেল - "মামু, দিলেন তো মেজাজটা বিলা কইরা"। শেষপর্যন্ত জানা গেল, বাঁশিওয়ালা নাকি বেশ কিছু দিন আগে পাততাড়ি সেখান থেকে গুটিয়ে অন্য কোথাও চলে গেছে। বাঁশি শুনতে না পেরে মনটা বেশ খারাপ করে চলে আসলাম। পরে অবশ্য মনে হল যে লোকটা মিথ্যা কথাও বলতে পারে। হয়ত সেদিন কোন কারনে ছিল না, দু'দিন পর আবার গেলেই পাওয়া যাবে। নানান ধরনের ঝুটঝামেলায় আর যাওয়া হল না। কয়েকদিন পর আবার ফিরে আসলাম পরবাসের আবাসে।



আজকে অনেক বছর পর ফেসবুকে একজন ব্লগারের একটা স্ট্যাটাস দেখে ("উপলব্ধি ১ : পেশাদার গায়কদের চাইতে রিকশাওয়ালাদের গান শুনতেই বেশী ভাল লাগে । তাদের অনেকেরই গানের গলা নাই কিন্তু আবেগ আছে ।") বাঁশিওয়ালার কথা খুব মনে পড়ল। সবসময় 'মামা' ডাকের কারনে তার নাম হয়ত কোনদিন জানতামই না বা জানলেও আজকে আর মনে করতে পারছি না।



-------------------------------------------------------------------------------

* ব্লগার আসিফ মুভি পাগলা ব্লগে খুব নিয়মিত নন। তাকে মূলত পাওয়া যায় ফেসবুকে। আমি ফেসবুকে তাকে অনুসরন করি তার ক্লাসিক স্ট্যাটাসগুলির কারনে। চরম সব দার্শনিক কথাবার্তা আর হাস্যরসের অপূর্ব মিশেলে ভর্তি থাকে সেগুলি। আমার পছন্দের একজন মানুষ।

মন্তব্য ১৩২ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (১৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এটা ব্লগে লেখার মত কি এমন উল্লেখযোগ্য ঘটনা? X(

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এই প্রশ্নের উত্তর আমি নিজেও জানি না। :(

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪০

সহ্চর বলেছেন:

পেশাদার গায়কদের চাইতে রিকশাওয়ালাদের গান শুনতেই বেশী ভাল লাগে । তাদের অনেকেরই গানের গলা নাই কিন্তু আবেগ আছে ।


আসলেই...

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এই লাইনটার মালিক অবশ্য আমি না, তবে আমি এর সাথে একমত। একমত বলেই এটা নিয়ে একটা পোস্টই লিখে ফেললাম।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪২

নেক্সাস বলেছেন: পেশাদার গায়কদের চাইতে রিকশাওয়ালাদের গান শুনতেই বেশী ভাল লাগে । তাদের অনেকেরই গানের গলা নাই কিন্তু আবেগ আছে


এই লাইনটায় মন আঁটকে গেল।

ধন্যবাদ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এই লাইনটার মালিক অবশ্য আমি না, তবে আমি এর সাথে একমত। একমত বলেই এটা নিয়ে একটা পোস্টই লিখে ফেললাম।

ধন্যবাদ আপনাকেও।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৪

বড় বিলাই বলেছেন: ভালো লিখেছেন। মাঝে মাঝে অবশ্য রিকশাওয়ালাদের গান শুনলে মজাই লাগে। একবার এক রিকশাওয়ালা বড় আবেগ দিয়ে একটা হিন্দী গান ধরেছিল, (ঐ সময় রিফিউজি সিনেমাটা বের হয়েছিল), মেরে হামফাসার, মেরে হামফাসার, মেরে পাস আ মেরে পাস আ। পুরোটা রাস্তা ধরে সে হামসাফারকে হামফাসার বলে গেয়ে গেল। :P

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ক্লোজআপ ওয়ানের অডিশন রাউন্ডের কথা মনে পড়ল। একটা গ্রাম্য অল্পবয়সী ছেলে গাইছিল -

চোখের জলে আমি ভেসে চলেছি
পথের দেখায় আমি পথে নেমেছি
আয়রে মনের আশা আজো মেটেনি
আয়রে সুখের কলি আজো ফোটেনি

সে 'হায়রে' উচ্চারনই করতে পারছিল না, কিন্তু গাইছিল চমৎকার। কুমার বিশ্বজিৎ বললেন - এসব ছোটখাট উচ্চারনের ভুল ঠিক করে নেয়া যায়, কিন্তু ঈশ্বরপ্রদত্ত কন্ঠই আসল। এই গায়কটাই নোলক বাবু।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৫

বাদ দেন বলেছেন: ব্লগে কি শুধু উল্লেখযোগ্য ঘটনা থাকবে?

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: নাহ, তা ঠিক না। তবে বেশি ফালতু ঘটনাও থাকা উচিৎ না।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৬

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: বাঁশিওয়ালার কথা খুব মনে পড়ল। সবসময় 'মামা' ডাকের কারনে তার নাম হয়ত কোনদিন জানতামই না বা জানলেও আজকে আর মনে করতে পারছি না।

আমাদের আশে-পাশে এই ধরনের বেশ কয়েকজন মানুষ থাকেন যাদেরকে "মামা" বলে সম্বোধন করার কারণে তাদের নামটাই জানা হয়না।

পোষ্টে ++++++

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। এটা ভাল বলেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে বাদামওয়ালা, ঝালমুড়িওয়ালাদের নাম আর কয়জন জানে। বুয়া আর অমুকের মা নামের আড়ালে গৃহকর্মীদের নামও তো অনেক সময়ই জানা হয় না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৮

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: সামুতে আজকে আপনার ১ বছর পূর্ণ হয়েছে। ১ বছর পূর্তিতে আপনাকে অভিনন্দন জানাই। :)

ব্লগার পরিসংখ্যান

পোস্ট করেছেন: ৩১টি
মন্তব্য করেছেন: ৪৯০৫টি
মন্তব্য পেয়েছেন: ২৮৯৩টি
ব্লগ লিখেছেন: ১ বছর ৩ ঘন্টা
ব্লগটি মোট ২১৫২২ বার দেখা হয়েছে

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনি বলার পরই খেয়াল করলাম। মনেও ছিল না যে কবে রেজিস্টার করেছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনার অভিনন্দনের জন্য।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৩

ৈজয় বলেছেন: বুঝলাম।

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: কি বুঝলেন?

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০১

মোঃমোজাম হক বলেছেন: আমাদের মাঝে আপনার আগমনের বর্ষপুর্তিতে অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আসলেই অনেক আনন্দ পেয়েছি আপনাদের সান্নিধ্যে। আজেবাজে লোকের কারনে মেজাজও খারাপ হয়েছে অনেক সময়। তবে আনন্দের পাল্লাই অনেক ভারি।

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১০

আসিফ মুভি পাগলা বলেছেন: আপনার প্রায় পোস্টেই দেখি পোস্টটা কাউকে না কাউকে উৎসর্গ করেন । দেখতে ভালো লাগে । লেখক যখন বই প্রকাশ করেন তখন যেমন উৎসর্গের ব্যাপারটা চলে আসে তেমনি ব্লগের লেখাও যে এতটা আবেগ নিয়ে উৎসর্গ করা যায় আপনার কাছ থেকেই প্রথম দেখা । সত্যি বলতে কি আমার নিজেরও লোভ ছিল যদি হঠাৎ কোন একটা লেখা আমাকে উৎসর্গ করে বসেন ।

আজকে আসলেই অনেক ভাল লাগছে । যাইহোক, এক বছর পূর্তির মাধ্যমে ফুলপ্যান্ট পরা ব্লগার হওয়ার জন্য অভিনন্দন।

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার লোভ পূরন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। :D ব্লগে আরো নিয়মিত চাই আপনাকে।

অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১২

মামুন হতভাগা বলেছেন: বিমান বন্দরের উল্টা দিকের একটা চায়ের দোকানে একজনকে পাওয়া যেত যে শুধু মোহাম্মাদ রফির গান গাইত..আমরা বন্ধুরা কত রাত যে বিমান বন্দরের রাস্তায় কাটিয়েছি সেই শাহাজাহানপুর থেকে ঐখানে যেয়ে,হিসাব নাই।সেটাও ৯৮/৯৯ এ।আজ আপনার লেখা পড়ে আবার মনেপড়ে গেল :( :( :( :( :(

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এরকম কত প্রতিভা কত বিচিত্র জায়গায় হারিয়ে গেছে, কে জানে! :(

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৭

জুন বলেছেন: আমরা চিটাগাং থাকতে ট্রেনে একজন অন্ধলোক গান গাইতো।
কিযে অপুর্ব গলার স্বর আর সুর আজও মনে পড়ে।
বর্ষপুর্তির শুভেচ্ছা রাইসুল।

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এরকম কত প্রতিভা কত বিচিত্র জায়গায় হারিয়ে গেছে, কে জানে! :(

অনেক ধন্যবাদ জুন।

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৯

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: রাইসুল জুহালা বলেছেন: এটা ব্লগে লেখার মত কি এমন উল্লেখযোগ্য ঘটনা? =p~ =p~

স্মৃতিকথন শুনতে মন্দ লাগেনা ।

+++++++++++

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমার অন্যদের স্মৃতিকথা পড়তে ভালই লাগে। কিন্তু নিজের স্মৃতি বলতে বড় সংকোচ হয়। আজ সকালে আসলে খুব বেশি নস্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম। সেজন্য পোস্টটা লিখলাম।

১৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: রাইসুল ভাই, আপনি এত আগের কথা বলেন যে স্মৃতি হাতড়েও খুজে পাইনা। নব্বইতে আমি একেবারে গ্যাদা বাচ্চা। তবে ছোটবেলা থেকেই শান্তিনগর,বেলি রোড , এজিবির আসেপাশে থাকতাম।

এখন কোথায় থাকি জানেন ? মৌচাকের পাশে আরেকটা মার্কেট আছে বেশ পুরাতন। আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স। পাঞ্জাবির মার্কেট হিসেবে বেশ ফেমাস। এখ সেটার উপর ১৪ তলা এপার্ট্মেন্ট। সেটার ৫ তলায় আমার বাসা। :)

মৌচাকে এখনো ওভারব্রিজের নিচে আগের মতি ভিড়। সেখানে মুচিও কম নাই। তবে আপনি যার কথা বললেন তাকে খোজার একটা চেস্টা চালানো যেতে পারে। কিন্ত ২০ বছর আগের কথা।নাহলে ট্রাই মারতাম।

স্মৃতিচারন বেশ ভালো লাগলো।

বেলী রোড নিয়ে লেখা চাই আপনার কাছে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ভাই তন্ময়, ঘটনা হচ্ছে কি জানেন! অনেক দিন ধরে দেশের বাইরে তো। খুব পরিচিত জায়গাগুলিও ভুলে গেছি। মৌচাক মার্কেটের ঠিক সামনে মুখোমুখি দাঁড়ালে বামপাশে ছিল লিলি প্লাজা নামে একটা মার্কেট, ডানপাশে কি যেন একটা ছোট মার্কেট যার নাম ভুলে গেছি। আর মৌচাকের পেছনে ছিল আরেকটা মার্কেট, সেটার নামও ভুলে গেছি। এর মধ্যে আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স কোথায়? এটা কবে হল? তাও আবার ১৪ তলা!

বেইলী রোড নিয়ে হয়ত লিখব কোন একদিন।

১৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৬

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বর্ষপূর্তিতে শুভেচ্ছা। এভাবেই লিখে যান সবসময়।

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তন্ময়। আপনাদের সাথে বছরটা বেশ ভাল গেল। অনেক কিছু জানলাম নতুন বাংলাদেশ সম্পর্কে।

১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৬

ছেঁড়া পাল বলেছেন: আসিফ ভাই তো গুরু মানুষ ! @রাজু (রাইসুল জুহালা) ভাই : ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে । :)
@আসিফ ভাই : আপ্নে না শেরে বাংলায় আসেন ছায়াছবি নিতে ? আসলেন না তো ! :(

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ছেঁড়া পাল। আপনার নিকটা পছন্দ হয়েছে।

১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৩

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: বর্ষপূর্তির প্রাণঢালা শুভেচ্ছা প্রিয় ব্লগার :)



শুভকামনা নিরন্তর এবং ভাল থাকুন সব সময় :)



পোষ্ট ভাল লেগেছে !!

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চয়ন।

১৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: রাইসুল ভাই, সামথিং ইজ ভেরী রং :-/

আজকে দুপুরে আমি শৈশবের এক মুচি'র কথা স্বরণ করছিলাম। তার ভিন্ন ব্যাক্তিত্বের টানেই! আর এখন দেখি আপনার এই পোস্ট!!!! সামথিং ইজ ভেরী রং , আপনি মেশ রাশি নন তো? ;)

নিজের স্মৃতিচারন করে যাই আপনার সাথে ,

উত্তরায় ৩ নাম্বার ও ৫ নাম্বার সেক্টরের মাঝের ব্রিজের গোড়ায় একটা গাছের নিচে একজন মুচি বসতো। তার কাজের চেয়ে বেশী বিখ্যাত ছিল তার ইয়া লম্বা চুল ও দাড়ি ও বাঁশীর জন্য, খুব ভাবের সাথে পদ্মাসনে বসে কাজ করতো। সবাই তাকে চিনতো।

একদম শৈশব থেকেই তাকে দেখা, বড় হয়ে ছেড়া স্যান্ডেল জোড়া লাগানোর জন্য কয়েকবার গেছিও। কিন্তু হঠাৎ করেই আমার কৈশরে সে গায়েব হয়ে যায়।

সেই শৈশব থেকেই তার রহস্যজনক আউটলুকে মোহাচ্ছন্ন আমি ভাবলাম, বোধহয় সন্যাস নিয়েছে বা এমন ভাবের, মহৎ কিছু একটা করেছে! কিন্তু কিছুদিন সেই জায়গায় বেশ কিছু দোকান-পাট গড়ে উঠার পর তাকে দেখি আবার, টাকা পয়সা কামানোর সংগ্রামে লিপ্ত, বড়ই সাধারন হয়ে গেছে! চুল টুল কেটে ভদ্রলোক হবার চেষ্টায় আছে :(

আমার অনেক দুঃখ লেগেছিল তখন কিন্তু এই মন্তব্য লিখতে লিখতে বেশ হাসি পাচ্ছে। আমরা নিজেদের রোমান্টিক ভাবনায় সুখ পাওয়ার জন্য কত নির্দয় আব্দারই না করি!

আপনার ফিরে দেখাগুলো বেশী জোস! আমাদের সবাইকে সাথে নিয়ে আরো বেশী বেশী করে পেছনের দিনগুলো ফিরে দেখুন ভাই। অনেক দোয়া রইলো।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। আত্মার মিল আছে বোধহয় আপনার সাথে আমার। :)

ভাল লাগল আপনার স্মৃতিকথন। ভাল থাকবেন, অনেক ভাল। সবসময়।

১৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০০

কাউসার রুশো বলেছেন: পেশাদার গায়কদের চাইতে রিকশাওয়ালাদের গান শুনতেই বেশী ভাল লাগে । তাদের অনেকেরই গানের গলা নাই কিন্তু আবেগ আছে
সহমত

আসিফ মুভি পাগলাকে আমি ব্লগে খুব মিস করি। :(

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ তোমাকে। :)

২০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০০

কাউসার রুশো বলেছেন: আপনি কেমন আছেন?

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ভাল আছি রুশো। তুমি কেমন আছ ভাই?

২১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪৭

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: মাঝেমাঝে পথেঘাটে কাউকে কাউকে দেখি বাঁশি বাজিয়ে অর্থ উপার্জন করতে।
এরকম কারও বাঁশির সুর শুনে ভালো লাগলে আমার মাথা এমন খারাপ হয়ে যায় যে মনে হয় পার্সে যত টাকা আছে সব ঝেড়েঝুড়ে এক্ষুনি লোকটার হাতে দিয়ে দিই! :|

:)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: বিদেশে তো এই জিনিস খুব কমন। পাতালরেলের স্টেশনে, বড় রাস্তার ধারে লোকে গিটার, স্যাক্সোফোন ইত্যাদি বাজিয়ে পয়সা রোজগার করে। কিন্তু জানেন, এদের বাজানোর মধ্যে আমি কখনো সেই আবেগটা পাইনা যেটা আমার সেই মুচি মামার বাঁশিতে পেতাম। এদেশের এরা আবার ছোটখাট মাইক্রোফোন, স্পিকার ইত্যাদি ব্যবহার করে। এসব সাউন্ড সিস্টেমের কারনে হোক বা যেকোন কারনেই হোক, এদের বাজনা আমার কাছে বরাবরই কৃত্রিম মনে হয়।

২২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩০

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার লেখটা পড়ে আমাদের ভার্সিটির গাড়ির এক টিকেট চেকার মামার কথা মনে পড়ে গেলো। জাবির অনেক ছাত্রছাত্রীরই হয়তো তার কথা মনে আছে। সাদা লম্বা কাচা পাকা দাড়ির মামা
রাত সাত অথবা আটটার গাড়িতে যখন ঢাকা থেকে জাবিতে যেতাম, বেশির ভাগ সময়েই সেই মামা থাকতেন,ক্স টিকিট কাটা শেষ করে গাড়ির সামনে দরজায় দাড়িয়ে দরাজ গলায় যখন "পথে পথে দিলাম ছড়াইয়ারে সেই দু:খে চোক্ষেরও পানি".......শুরু করতেন, গাড়ি ভর্তি হাউকাউ করা ছেলে মেয়ের দল সব চুপ হয়ে যেত। রাতের বিস্তীর্ন আধারে তার গলা চরাচরে মিশে যেত। সে থামতো গিয়ে একদম যখন মোশাররফ হোসেন হল দিয়ে গাড়ি ঢুকতো তখন।
মাঝে মাঝেই দেখতাম সুপারী বাগানে বসে ছেলেপেলে তার গান শুনছে!

বের হয়ে আসার বেশ কিছু বছর পরে একবার গিয়ে শুনলাম তিনি মারা গেছেন...............

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: শেষ লাইনটা পড়ে চুপসে গেলাম। কত শত প্রতিভা এইভাবে অকালেই পচে যায় আমাদের দেশে, তাই না?

২৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: একবার আমি স্কুলে যাওয়ার সময় এক রিশকায় উঠসিলাম। রিশকাঅলা আমাকে অবাক করে দিয়ে একদম নির্ভুল উচ্চারণে নিখুঁত সুরে রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে যাচ্ছিলো। তার সাথে অনেক কথা হইসিলো। সেইগুলা বলবানি একদিন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এই রিকশাওয়ালার নাম কি দুলাল? কয়েক বছর আগে এনটিভি না কোন এক চ্যানেলে যেন এক রিকশাওয়ালার সাক্ষাৎকার দেখেছিলাম যে রবীন্দ্রসঙ্গীতের খুব ভক্ত।

আপনাদের কথোপকথন শোনার খুব আগ্রহ বোধ করছি।

২৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪

েরজা , বলেছেন:

বাশরিয়া বাজাও বাশি দেখিনা তোমায়
গেয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়
এ শহরে আসছ তুমি করে কোন রাজ্য থেকে
তোমাদের দেশে বুঝি সব মানুষ-ই বাশি শেখে !
আমাদের স্কুল-কলেজে শেখে লোকে লেখা-পড়া
প্রানে গান নাই মিছে তাই - রবি ঠাকুর মুর্তি গড়া । ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: চমৎকার কবিতা। অনেক ধন্যবাদ রেজা।

২৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: মৌচাকের মুখোমুখি দাড়ালে বামের ছোট মার্কেটটার নাম লিলি প্লাজা। তার বামের মার্কেটটাই হলো আয়েশা কমপ্লেক্স। একসময় তিন তলা ছিলো। এখন ১৪ তলা। হা হা। আর পিছনের মার্কেটের নাম আনার কলি। :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: লিলি প্লাজার এক ঘটনা বলি। ৮৫-৮৬ এর দিকে এই মার্কেটটা শুরু হয়েছিল। প্রায় প্রথম দিকেই এখানে একটা ক্যাসেটের দোকান প্রতিষ্ঠিত হয়, মার্কেটের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে সোজা গেলে একদম শেষ মাথায়। দোকানটার একটা আদি নাম ছিল কি যেন, ভুলে গেছি। কিছুদিন পর এর নাম হয় পিংকি অডিও। আরিফ নামের এক লোক এই দোকানে চাকরি করত। তখন তো আমরা ৬০ এবং ৯০ মিনিটের ক্যাসেটে প্রিয় গানগুলি রেকর্ডিং করাতাম। আরিফ বেশ ভাল রেকর্ডিং করত আর কাস্টমারদের সাথে বেশ ফ্রেন্ডলি ছিল। আমি আর আমার বন্ধুদের প্রায় সবাই তার কাছ থেকে রেকর্ডিং করতাম, ক্যাসেট কিনতাম। খুবই ভাল সম্পর্ক ছিল তার সাথে। এরকম তাকে দোকানের কর্মচারী আমি দেখেছি ৯২-৯৩ পর্যন্ত। এরপর দীর্ঘদিনের গ্যাপ। ২০০০ সালের দিকে ওই এলাকার এক বন্ধু ইউএস আসল, অনেক দিন পর তার সাথে আলাপ-সালাপ করলাম। যে তথ্যটা শুনে সোফা থেকে পড়ে যাচ্ছিলাম সেটা হচ্ছে যে আরিফ নাকি এখন কোটিপতি! সে পিংকি অডিও কিনে নিয়েছে, সেখান থেকে ইংরেজি গানের পাইরেটেড ক্যাসেট বের করে, এমনকি অডিও কোম্পানিও শুরু করেছে যেখান থেকে বাংলা ব্যান্ডের মিক্সড অ্যালবাম বের হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। মাস দু'য়েক আগে আমি এক পত্রিকায় এই আরিফের ছবি দেখলাম। তিনি নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দিয়েছেন এবং শাকিব খান আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে ছবি বানাচ্ছেন। আরও জানলাম যে তিনি শরীফউদ্দিন খান দীপুর ছোট ভাই। দীপু হচ্ছে লেট নাইনটিজ আর আর্লি টু থাউজেন্ডের দিকে যে অশ্লীলতাসমৃদ্ধ ছবির বানিজ্য চলছিল, তার অন্যতম হোতা এবং পথপ্রদর্শক। ২৫ বছর আগের সেই ক্যাসেটের দোকানের দিনগুলির কথা মনে করে নিজেই হাসলাম।

আয়েশা কমপ্লেক্সের কথা মনে করতে পারছি না। লিলি প্লাজার পাশের জায়গাটাতে আগে কি ছিল, তাও মনে পড়ছে না। তবে ১৪ তলা বিল্ডিং ছিল না, এটা নিশ্চিত।

২৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৭

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: Nostaljia post......,sei sathe ovinondon..........

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ সাকিন।

২৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৭

আসফি আজাদ বলেছেন: স্মৃতি কখনও আনন্দের, কখনও বেদনার। রেজোওয়ানা আপার সৌজন্যে আর একটু উদাসী হলাম

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ ভিডিও লিঙ্কের জন্য। কলিম শরাফির এই গানটা আমার খুব পছন্দ। :)

২৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২২

জাহিদুল হাসান বলেছেন: আগে প্রতি সপ্তাহের ৫ দিন ২ বার করে মৈচাক মার্কেটের চমর ভীড়ের মোকাবেলা করতাম। ১ মাস হলো ১ বার ও সেখানে যাওয়া হয়না। খুব একটা সুবিধার যায়গা না, তাই মিস করি না।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ভাই জাহিদুল, ২০ বছর আগে যে ভিড় ওখানে ছিল, আজকে কি অবস্থা, আল্লাহ মালুম। মিস করার মত কোন জায়গা ওটা না।

২৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৭

দূর্যোধন বলেছেন: আসেন আমরা আরেকবার আমাদের ব্লগ-শিক্ষা আউড়াই।
ব্লগ কি ?
ব্লগ হইলো ওয়েব লগ-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ডেফিনিশনে যাওনের দরকার নাই,অর্থ পুরা পরিষ্কার।
তার মানে আপনের এই পোস্ট ব্লগে লেখার অযোগ্য অবশ্যই না :)

এখনো এমন কিছু কিছু গায়ক ( গায়ক মানে যে গান গায়-এই অর্থে ) রাস্তায় আমি দেখি।কিন্তু নগর-জীবনের দ্রুতি এতই বেশি,আপনার মনে ঐ গান রেখাপাত করার আগেই আপনি গানের উৎস-রে পার হইয়া যাইবেন ।আর দুনিয়ার যাবতীয় ক্যাচালে মন আচ্ছন্ন থাকায় মন আর অন্যদিকে ডাইভার্ট হবার চান্সও আজকাল কইমা আসতাছে।

হায়রে যান্ত্রিকতা !!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। ব্লগে লেখার যোগ্য তো বুঝলাম, অবশ্যপাঠ্য তালিকায় আসার যোগ্য কি? ;)

কিন্তু নগর-জীবনের দ্রুতি এতই বেশি,আপনার মনে ঐ গান রেখাপাত করার আগেই আপনি গানের উৎস-রে পার হইয়া যাইবেন ।আর দুনিয়ার যাবতীয় ক্যাচালে মন আচ্ছন্ন থাকায় মন আর অন্যদিকে ডাইভার্ট হবার চান্সও আজকাল কইমা আসতাছে।

দারুন বলেছেন। হায়রে যান্ত্রিকতা!!

৩০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৭

নস্টালজিক বলেছেন: ফিরে দেখা-য় ফিরে আসার জন্য অভিনন্দন, জুহালা!


সময়গুলো অনুকুলে থাকুক সবসময়!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার সময়গুলোও সবসময় অনুকুলে থাকুক আর কাব্যদেবী বারেবারে ধরা দিয়ে যাক আপনার কলমে।

অনেক ধন্যবাদ কবি।

৩১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪২

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:
১ নং কমেন্টকারীকে থাম্বস-আপ। :P

শৈশব, কৈশর, এমনকি তারুন্যের অনেকটা সময় পার করে এসেছি ওদিকটায়। ভীষণভাবে যাতায়াত ছিলো মৌচাক মার্কেটে। তাই নামেই নস্টালজিক। মুচির কাছে যাতায়াত না থাকায় বাঁশির সুর মিস। :( তখন জানা থাকলে ঠিক যেতাম। বেহালা, বাঁশি নিয়ে আপনার মত করেই ফিল করি ভাইয়া।



অ.ট.: ক্যামনে ক্যামনে জানি ভেতরে একটা অপেক্ষা তৈরী হয়ে গেছে। ;) :#>

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ১ নং কমেন্টকারীকে আমার পক্ষ থেকেও থাম্বস-আপ। :(

আপনি ওই এলাকার লোক নাকি। ইউ নো, মৌচাকের একটা অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে। সাধারনত কি হয়, কোন এলাকায় একটা মার্কেট খুব জনপ্রিয় হলে তার আশেপাশে আরও প্রচুর দোকান-মার্কেট তৈরি হয় এবং সেগুলিও খুব জনপ্রিয় হয়ে যায় অল্প সময়েই। যেমন, নিউমার্কেট বোধহয় পিলখানা এলাকার প্রথম মার্কেট। তারপর গাউসিয়া, নীলক্ষেত, হকার্স মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড পুরো এলাকা জমজমাট। মৌচাকে সেটা হয় না। এই মার্কেটের কাছে তার আশেপাশের মার্কেটগুলি দাঁড়াতে পারে না। এখনকার অবস্থা অবশ্য জানি না। মোটামুটি আর্লি নাইনটিজের কথা বলি। ৮৫-৮৬ সালের দিকে লিলি প্লাজা হল, ৮৯ সালের দিকে সেঞ্চুরী আর্কেড বা এই জাতীয় নামের একটা মার্কেট হল, ৯০-৯১ এর দিকে আনারকলি হল। একটাও দাঁড়াতে পারল না। সেঞ্চুরী তো আমি দেশে থাকতেই দেখেছি অর্ধেক দোকান বন্ধই হয়ে গেছে। এই মার্কেটগুলির এখন কি অবস্থা?

বাঁশিকে নিয়ে একটা গান মনে পড়ল -

বাঁশি কেন আগের মত বাজে না
মত আমার কেমন কেমন......(ভুলে গেছি)
তবে কি ছেলেবেলায়......(আবারও ভুলে গেছি!)

৩২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪৬

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: মৌচাক মার্কেটের পিছনে ছিলো আনারকলি মার্কেট। :) ওখানে আমরা জামায় কাজ করার জন্য লেইস, চুমকি এসব কিনতাম।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হাঁ হাঁ, এখন মনে পড়েছে। আনারকলি মার্কেট। একটা মাছিও যেত না সেসময়। :D এখনকার কথা জানি না।

৩৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৮

শাহানা বলেছেন: আমি ঐ এলাকায় অনেক দিন থেকেই যাচ্ছি। তবে এই তথ্য জানাছিল না। অনেকদিন আগের কথা মনে গেল, একদিন বাসে বসে সিগনালে আটকে আছি। এমন সময় এক ভিক্ষুক গান ধরলো ফুটপাতে। খুবই সুন্দর সেই গান ছিল। হয়তো আবেগ বেশি ছিল বলেই।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুম, দেখেছি আপনি শান্তিনগরে কোথায় যেন থাকেন। মৌচাকের কাছেই তো।

ফুটপাতের সেই ভিক্ষুকের মত কত প্রতিভা আমাদের দেশে পচে মরছে!

৩৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৩

জুন বলেছেন:
যদিও ২ দিন পার হয়ে গেছে রাইসুল,
তারপর ও ব্লগে বর্ষপুর্তির অভিনন্দন !:#P !:#P

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুন। ভাল গেল বছরটা আপনাদের সবার সাথে। :)

৩৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৬

মেলমুটকিড বলেছেন: রাইসুল জুহালা ভাই,আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নিমফুল নাটকের জন্য ।আমার আম্মার খুব প্রিয় নাটক এটি ।আমিরুল ইসলামের কেরাছি কিনার বর্ননা আমার আম্মা এতো বছর পরো মনে রেখেছে ।আপনাকে আবারো বিরক্ত করছি ২টি নাটকের ব্যাপারে,একটি হলো আল মনসুর যুদ্ধের শেষ লগ্নে গুলিবিদ্ধ হয়,সহযোদ্ধারা তাকে তার অন্তিম অবস্থায় নিয়ে রওয়ানা হয়।এর একটি ডায়লগ হলো ধলা কাহা।এটির নাম কি আপনার মনে আছে,এটি কি আপনার সংগ্রহে আছে?আরেকটি হলো,মুজিবুর রহমান দিলু,কে এস ফিরোজ,রিটা আব্দুল্লাহ অভিনীত নাটক যাতে রিটা পাগল চরিত্রে অভিনয় করেছিল ।কে এস ফিরোজ একটি স্কুল বানায় যা দুর্বৃত্তরা আগুনে পুড়ে নস্ট করে দেয় । থাকলে দিয়েন,ইউটিউব এ নিমফুলের মত করে দিয়েন ।তাহলে ডাউনলোডের সুবিধা হয় । আপনার সুস্বাস্থ কামনা করছি ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: কোন ব্যাপার না। আপনার আম্মার পছন্দের একটা নাটক উনি এতদিন পর আবার দেখার সুযোগ পাচ্ছেন, আমি এতেই খুশি। ওনাকে আমার সালাম জানাবেন আর দোয়া করতে বলবেন।

আপনার প্রথম নাটকটার নাম হচ্ছে 'আমার দ্যাশের লাগি' আর দ্বিতীয় নাটকটার নাম খুব সম্ভবত 'সেই এক মানুষ' বা এই জাতীয় কিছু। বিটিভির বোধহয় প্রথম নাটক যেটা সম্পূর্ন বহির্দৃশ্যে চিত্রায়িত। দুঃখের বিষয়, আমার কোন কাছে কোনটাই নাই। কোন দিন যদি পেয়ে যাই কোথাও, অবশ্যই আপনাকে জানাব।

ভাল থাকবেন।

৩৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৭

কবির চৌধুরী বলেছেন: একই যোগ্যতা ওয়ালা কেও মানে ভাল বাঁশি বাজাতে পারে এমন মানুষ পশ্চিমা বিশ্বে কেমন কদর হইতো? তার কি আর কিছু কইরা খাইতে হইতো?


+++

০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ভাল বলেছেন। কতশত প্রতিভা এইভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশে!

অনেক ধন্যবাদ কবির চৌধুরী। গান-বাজনা সম্পর্কিত কোন পোস্টে আপনাকে না পেলে একটু ফাঁকা ফাঁকা লাগে। :)

৩৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৫

দূর্যোধন বলেছেন: উপসসসসস !!

বর্ষপুর্তির শুভেচ্ছা ,রাইসুল জুহালা :)

০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দূর্যোধন। ঈদের ছুটিতে কিন্তু অনেকগুলি হিন্দি ছবি দেখবেন। আপনার রিভিউয়ের অপেক্ষায় আছি।

৩৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৮

আরুশা বলেছেন: ভাই আমি এখনও রিকশা করে মৌচাক মার্কেটের সামনে দিয়ে যাতায়াত করি ।তবে যা যানজট সেখানে । কাউকেই আর বিশেষভাবে চোখে পড়েনা। তবুও আমার পরিচিত জায়গা নিয়ে লিখেছেন বলে ভালোলাগলো :)

০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:২৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মৌচাকের যানজট ২৫ বছর আগেও ছিল। অনেক পরে শহীদ ফারুক ইকবাল এবং [দুঃখিত, অন্য শহীদ ব্যক্তির নাম ভুলে গেছি] এর কবরকে একটু ছোট করা হয়েছিল। জ্যাম অবশ্য খুব একটা কমে নাই।

৩৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫১

কাউসার রুশো বলেছেন: আমি ভালোই আছি
বর্ষপূর্তির অনেক অনেক শুভেচ্ছা রাজু ভাই
:) !:#P :) !:#P

০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তোমাকে রুশো। ঈদ মোবারক তোমাকে আর তোমার পরিবারের সবাইকে।

৪০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৬

বেঈমান আমি বলেছেন: রাইসুল জুহালা @আমি শান্তিনগর থাকতাম।মোচাক মার্কেটের ঐ দিক দিয়াই তো চলাফেরা করতাম।বাট মনে পড়ছেনা কখনো দেখেছি।আমি ৯৪/৯৫ এর কথা বলছি।পোস্ট ভালো লাগলো।ভালো থাকবেন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমি ওনাকে ৯০-৯১-৯২ এর দিকে দেখতাম। শেষ দেখেছি ৯২ সালে কারন ৯৩ তে আমি দেশ ছেড়েছি। উনি জায়গাটা কবে ছেড়েছেন, সেটা আমার জানা নাই! আপনি শান্তিনগরের লোক নাকি! আমি ওদিকে যেতাম প্রায়ই। ঠিক মোড়ে একটা বড় বিল্ডিং আছে, নিচতলায় মিষ্টির দোকান (মধুমিতা বোধহয় নাম!)। তার পাশে একটা গলি ছিল। ওদিকে আমার এক বন্ধু থাকত।

৪১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৭

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:
"আমি মেলা থেকে তালপাতার এক বাঁশি কিনে এনেছি
বাঁশি কই আগের মত বাজেনা
মন আমার তেমন সুরে সাজেনা
................................... :( "

গানচিল ভাইয়াকে মিস করতেছি।


সত্যি। সেঞ্চুরী আর্কেড এমন আধুনিক নাম আর জমকালো ভাবে শুরু হইছিলো, অথচ টিকতে পারলোনা। আয়শা কমপ্লেক্সে ফ্ল্যাট আছে বলেই মনে হয় এখনো দাঁড়িয়ে আছে। যাওয়া হয়না এখন আর। বন্ধুরা আছে। ফোনেই যোগাযোগ হয়। রাস্তার যা অবস্থা, ওদিকে যাওয়ার কথা ভাবতেই মন চায়না। :(

০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আরে আপনি গানটা ধরে ফেলেছেন দেখি! চলুন, সবাইকে চমৎকার এই গানটা শোনাই -



সেঞ্চুরী আর্কেডে আমি জীবনে প্রথম এস্কিলেটর নামক এক বস্তুর সন্ধান পাই এবং উহাতে চড়ি। :D পরের দিকে ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিলেও সেঞ্চুরীর একটা ঐতিহাসিক মূল্য আছে। সেসময় বারিধারা, বসুন্ধরা, ডিওএইচএস, উত্তরা এগুলি ছিল না বা থাকলেও খুব জনপ্রিয় ছিল না। উচ্চবিত্তের এলাকা বলতে গুলশান আর বনানী। তো গুলশান-বনানী এলাকার মার্কেটের খবর জানি না, কিন্তু ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত এলাকাগুলির মধ্যে প্রথম ঝাঁ চকচকে মার্কেট ছিল সেঞ্চুরী। আমরা ছোটবেলা তো মার্কেট বলতে বুঝতাম নিউমার্কেট, গাউসিয়া আর মৌচাকের ভয়াবহ গরম, যত্রতত্র হকার আর অপরিকল্পিত দোকানপাটসমৃদ্ধ বাজারগুলিকে। মার্কেট যে সুন্দর আর সাজানো-গোছানো হতে পারে সেঞ্চুরীই সেই ধারনার সাথে ঢাকার মধ্যবিত্তদের পরিচয় করিয়ে দিল। এই কথাটা স্বীকার করতেই হবে।

সমস্যা হল যে তারা যে মধ্যবিত্তদের এলাকায় ব্যবসা করতে এসেছে, সেই জিনিসটা বুঝতে পারে নাই। জিনিসপত্রের কি দাম আর তাদের কি দেমাগ! মাটিতে পা পড়ে না, পাত্তাই দেয় না। কিছুদিন পর পাবলিক রেগে গিয়ে তাদের পাত্তা দেয়া বন্ধ করে দিল আর তারা ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিল। :D

৪২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৬

দূর্যোধন বলেছেন: ছবি দেখার চেষ্টা করবো,লৌকিকতা শেষ করাটাই ঝামেলা যে !!

ঈদ মুবারাক , রাইসুল জুহালা :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ঈদ মুবারাক দূর্যোধন aka অনিন্দ্য জাফরি। ;)

৪৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১১

ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: ঈদ মুবারক :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ঈদ মুবারক ফেলুডার চারমিনার। :)

৪৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৫

মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: ঈদ মুবারাক :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ঈদ মুবারাক আপনাকেও। :)

৪৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৫

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

বর্ষপুর্তির শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ঈদ মোবারকও বলছি একই সাথে।

একটি সুর আমিও খুঁজছি সারাক্ষণ ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আবারও ঈদ মুবারাক। মাংস কাটা শেষ?

৪৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৬

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

আমি কি ঠিক দেখছি ?
বুড়া মানুষ.....................

হ্যা অনেক আগেই।
আমি কাছে পিঠে নেই ।
অটোমেটিক সব কিছু চলে ।
প্রোগ্রামড।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। আজকে ঈদের দিনে আমি একটু সামাজিক হবার চেষ্টা করছি। সবার ফেসবুক, ব্লগের মন্তব্য দ্রুত পড়ছি এবং উত্তর দিচ্ছি। :)

৪৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০০

নাআমি বলেছেন: ঈদ মুবারক , অনেক অনেক শুভেচ্ছা ঈদের এবং বর্ষপূর্তির......

০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ঈদ মুবারাক নাআমি। অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের ওখানে কবে ঈদ হল?

৪৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪০

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
সমাজের অনগ্রসর মানুষের মাঝে , কত প্রতিভা লুকিয়ে আছে ভাবা যায় না। আমি নিজে আমাদের এখানে লোক সংগীতের উপর একটি সংগঠন চালাই। অনগ্রসর শিল্পীদের খুজে বেড় করে কাজে লাগাই। মাঝে মাঝে এদের দিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। অনেক ভালো পারফর্ম করে এরা। এর মাঝে রিক্সাওয়ালা , ব্রীক ফিল্ডের লেবারও আছে :)
ভালো লাগলো পোষ্ট ।
অভিনন্দন বর্ষপুর্তিতে।


শুভকামনা সবসময়ের জন্য। ঈদ মুবারক :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ভাল একটা কাজ করছেন। সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরেও একটু অবসর পেলেই ওরা যেভাবে শিল্পচর্চা করতে থাকে, ভাবাই যায় না!

অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্যও শুভকামনা সবসময়।

৪৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৪

নাআমি বলেছেন: আমাদের এখানে আজকে ঈদ .....সবাই কাজ থেকে ছুটি নিয়ে একসাথে মজা করছি........ :) আর দেশের সবাইকে মিস করছি....... :(

০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: দারুন। :)

৫০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২১

জুন বলেছেন: রাইসুল এই নিয়ে তৃতীয় বারের মত তোমাকে ঈদ মুবারক বলতে আসলাম।
যত বার লিখে সেন্ড বাটনে চাপ দিচ্ছি তত বার অটো লগ আউট হয়ে যাচ্ছি। দান দান তিন দান :( এবার না হলে আর নাই :P

০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আরে আল্লাহ! এত কষ্ট করেছেন, অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাকেও ঈদ মুবারাক। কেমন গেল ঈদ? ভাইয়ার কাছ থেকে কয়টা শাড়ি পেলেন? :D

৫১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৩

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আপনাকে দেখতে আসছি ভাইয়া!! আপনি এবং মুভি পাগলা দুজনেই আমার খুব প্রিয় ব্লগার!! বর্ষপূর্তিতে অভিনন্দন। আমার গ্লগেও আমন্ত্রণ রইল। :) :)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৫৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোনিয়া। সাথে ঈদের শুভেচ্ছাও।

নিশ্চয়ই যাব আপনার ব্লগে। :)

৫২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৪৪

স্তব্ধতা' বলেছেন: জুহালা ভাই, সেঞ্চুরী অর্কিড ঢাকা শহরের প্রথম মার্কেট যেখানে চলন্ড সিঁড়ি লাগানো হয়।আমরা ভাবলাম চলন্ত সিঁড়ি সে আবার কি? প্রবল আগ্রহে দেখতে গেলাম।প্রচুর লোক হতো সেই সংকীর্ণ চলন্ত সিঁড়ি দেখার জন্য।তবে, জিনিষ কেনার সামর্থ্য ছিলোনা কারোরই।তবে ওদের ব্যবসা মার খায় সিদ্ধেশরী কলেজের ছাত্র সংসদের সাথে সংঘর্ষে।সেই সংঘর্ষে একজন ছাত্র মারা যায়।ছাত্র সংসদের অনাচারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা একজোট হলে এই সংঘর্ষ বাঁধে।তবে এর পর থেকেই ওদের মার্কেট জনশূণ্য হতে থাকে।আর তার কিছু পরেই ইষ্টার্ণ প্লাজা একাধিক প্রশস্ত এস্কেলেটর দিয়ে ভরায় দেয়াতে সেঞ্চুরী অর্কিড ইতিহাসের পাতায়।

ও মৌচাক মার্কেটের ভেতর আরেকটা মার্কেট ছিলো, মারুফ মার্কেট।জুতার জন্য বরাদ্দ ছিলো। ঢোকার মুখে মুচি মামা ছাড়াও আরও দুটি জিনিস ছিলো।দু'টো সিগারেটের দোকান যেখানে বিদেশী সিগারেট পাওয়া যেতো।স্কুল পালিয়ে আমার প্রথম 'মোর' সিগারেট, আমার প্রথম সিগারেট :) :)

ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিকথা।

বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: দারুন! আপনি ওই এলাকার ছেলে নাকি? পুরো মৌচাক এলাকা আপনার নখদর্পনে মনে হচ্ছে। :)

সেঞ্চুরী নিয়ে আমার অভিজ্ঞতাও হুবহু আপনার মত। হঠাৎ একদিন খবর পেলাম যে সিদ্ধেশ্বরীর একটু সামনে একটা নতুন মার্কেট হবে 'পুরা বিদেশি স্টাইল'! আমরা তো চরম উত্তেজিত। কিছুদিন পর খবর আসল এস্কিলেটরের। আরও উত্তেজিত। যে উত্তেজনা নিয়ে মার্কেটে গেলাম, জিনিসপত্রের দাম আর দোকানদারদের ব্যবহার দেখে পুরোপুরি চুপসে গেলাম। স্টুপিডগুলির আচরন দেখে ইচ্ছা হচ্ছিল পিটাই। ভাবখানা এমন যে আমরা মধ্যবিত্ত সমাজ সেখানে ভিক্ষা করতে গেছি। দেমাগে মাটিতে পা পড়ে না তাদের। কয়েক বছরের মধ্যে তারা নিজেরাই ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে রাস্তায় নেমে গেল। ৮৮ সালে বোধহয় শুরু হয়েছিল, ৯১-৯২ এর মধ্যে মার্কেটে শ্মশানঘাটের নিরবতা। একটা জিনিস দেখে মজা লাগত - অনেকেই ওখানে আসত শুধু চলন্ত সিঁড়িতে চড়ার জন্য। কিন্তু একেবারেই অভ্যস্ত না থাকায় উঠতে খুব ভয় পেত। প্রায়ই দেখতাম যে সিঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু পা কখন রাখবে সেটা ঠিক করতে পারছে না। :D

সিদ্ধেশ্বরী কলেজের ছাত্রদের সাথে মারামারি খবর আমি জানতাম না।

মারুফ মার্কেট নামটা পরিচিত লাগছে, আবার ঠিক মনেও পড়ছে না।

খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্যটা। অনেক ধন্যবাদ আর একটু বাসি ঈদ মুবারাক। :)

৫৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:২০

আরিয়ানা বলেছেন: হয়ত ব্লগ লেখার মতন কোন ব্যপার নয় তবে প্রান ছুয়ে গেল আপনার অনুভুতিটা.....রেশ রয়ে গেল মনের ভেতর! খালি খালি লাগলো মনটা...।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: তুচ্ছ জিনিসের মধ্যেও আনন্দ খুঁজে নেয়াটাও একটা গুন, আপনার সেই গুন আছে বলে মনে হচ্ছে। :(

অনেক ধন্যবাদ।

৫৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৯

রাজসোহান বলেছেন: স্মৃতিচারন লেখা :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: কেমন লাগল? :)

৫৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩০

ব্লগীয়ষণা বলেছেন: রাজসোহান আবালটার কান্ড দেখেন






হায়রে হিট খোর। পোষ্ট না পড়েই কিভাবে কমেন্ট করে বেড়ায় দেখেন এই আবলটা

০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধ্যুৎ!

৫৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩

রাজসোহান বলেছেন: :-<

উপ্রের ছাগলটারে ব্লক কৈরা থুইসি বৈলা এতো লাগসে।

বাই দ্যা ওয়ে, প্রায় ১৩/১৪ টা পোস্টের ট্যাব খোলা ছিলো, সবগুলা পোস্ট পড়া শেষে, এক নাগারে কমেন্ট কর্সি |-)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমিও ব্লক করে দিলাম এখন। এই বেহায়াটার এত নিক যে দুই দিন পর পর নতুন নিকে আসে আর প্রতিবার নতুন করে ব্লক করতে হয়। X((

৫৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৮

আহমেদ চঞ্চল বলেছেন: Click This Link

১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আচ্ছা দেখব। :)

৫৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৩

ত্রিশোনকু বলেছেন: যে গান প্রাণ ঢেলে গাওয়া হয়না সে গানে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়না।

প্রাণহীন কোন কিছুই কি প্রাণবন্ত অন্যকিছুর কাছে ম্রিয়মান নয়?

ঠিকই বলেছে আপনার ফেইসবুক বন্ধু তার স্ট্যাটাসে।

ক'দিন আগেই একজন অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত (সম্ভবতঃ সবচে' প্রতিষ্ঠিত) রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীর গান শুনে বলছিলাম আজকাল এর গান কেন যে আর একদম ভাল্লাগেনা!

পাশ থেকে একজন বলে উঠলো মেকানিক্যালি গায় যে!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: দারুন বলেছেন।

ক'দিন আগে গর্ব নামে একটা রিয়েলিটি শো এর একটা এপিসোড দেখলাম। গার্মেন্টস কর্মীদের নিয়ে গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান। আমি গানের তাল, লয়, মাত্রা বুঝি না। তাই ব্যকরণগতভাবে তাদের গান কতটা ঠিক ছিল, কোন ধারনা নাই। কিন্তু তাদের গায়কির মধ্যে একটা মাটির গন্ধ ছিল, নিখাঁদ একটা আবেগ ছিল, যেগুলি পেশাদার গায়কের মধ্যে পাওয়া যায় না। পেশাদারদের মধ্যে একমাত্র মরহুম আবদুল আলীমের মধ্যেই বোধহয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই মাটির ছোঁয়াটা ছিল।

ভাল লাগল আপনার মন্তব্যটা। অনেক ধন্যাবাদ।

৫৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:২৮

আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: পুষ্ট ভালা পাইলাম, ঢাকায় থাকতে একজন হকার মাস শেষেই বাসায় আসত পুরনো প্রত্রিকা নেওয়ার জন্য উনি অসম্ভব ভাল গান করতে পারত দরদ দিয়ে প্রতিবারই গান শুনার জন্য বায়না ধরতাম,

অ.ট আপনিকি ব্লগে কম থাকেন নাকি তেমন দেখি না আগের মত আচ্ছা আপনার প্রোফাইলটা প্রিয় ব্লগারের লিষ্টে নিয়া রাখি তাইলে মাঝে মাঝে ডু মারতে সহজ হবে :)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। :)

ইদানিং ব্লগে একটু কমই আছি। আসলে আমার পেশাগতজীবন এরকম যে কোন সময় ভয়াবহ ব্যস্ত থাকি, আবার কোন সময় আক্ষরিক অর্থেই কোন কাজ থাকে না। এই মুহুর্তে একটু ব্যস্ত সময়ই পার করছি। আপনি আমাকে ফেসবুকে অ্যাড করে নিতে পারেন, অবশ্য সেখানেও যে নিয়মিত থাকি না।

আমার ফেসবুক আইডি

৬০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৬

আরজু পনি বলেছেন: বর্ষপুর্তির শুভেচ্ছা লন :) :) :)
একটু দেরী হইয়া গেল :(

১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরজুপনি। :)

৬১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২২

কান্টি টুটুল বলেছেন: ফুটপাথ দিয়ে চলার সময় ভ্যান চালক আর রিক্সা আলার গান হঠাং হঠাং শুনতে পাই,

তবে আমার একটা বদঅভ্যাস আছে.....
পাশদিয়ে যাবার সময় বলি "কিরে ভাই কার কথা মনে পরল"

২০ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। মজা লাগল আপনার কথা শুনে। :)

৬২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৯

শায়মা বলেছেন: চিকেন ফ্রাইড রাইস
পোলাও চাল ২৫০ গ্রাম, চিকেন ছোট টুকরো দেড় কাপ, ডিম ২টা, সয়াবিন তেল ৬ টেবিল চামচ, বাটন মাশরুম ৮টা, চিংড়ি ২৫০ গ্রাম, ফিশসস ১ চা চামচ, সয়াসস ৪ টেবিল চামচ, পেয়াজ ২টা, চিনি ১ চা চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া, লবণ।

চাল ধুয়ে ফুটন্ত ডুবো লবণ পানিতে চাল দিয়ে নাড়তে হবে। কড়া জ্বালে ১০ মিনিট। ঝাঁঝরিতে ভাত ঢেলে ট্যাপের নিচে ঝাঁঝরি রেখে ঠান্ডা পানিতে ভাত ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে।

চিকেন, কোয়ার্টার চা চামচ ফিশ সস ও ১ চা চামচ সয়াসস মিশিয়ে ১০ মিনিট মেরিনেট করে, ডিম ফেটে গোলমরিচ ও ১ চা চামচ সয়াসস মেশাতে হবে। কড়াইয়ে ১ টেবিল চামচ তেল গরম দিয়ে সাথে ডিম দিয়ে কড়াই ঘুরিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে।

উপরের দিকটা শুকালে ওমলেট রোল করে তুলে নিয়ে পাতলা স্লাইস করতে হবে। কড়াইয়ে মাশরুম দিয়ে ১ মিনিট নেড়ে ভেজে,

কড়াইয়ে বাকি তেল দিয়ে ও মাংস, চিংড়ি দিয়ে ৫ মিনিট ফ্রাই করতে হবে। ভাত, চিনি, লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে আবার ৫ মিনিট ভেজে নিতে হবে। ফিশসস ও সয়াসস দিয়ে,
ডিম, বাদাম ও মাশরুম দিয়ে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম মুখ পুড়িয়ে খেয়ে ফেলো চিকেন ফ্রাইড রাইস ভাইয়া।

তোমার পোস্টেই দিয়ে গেলাম রেসিপিটা।:)

২০ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: সালাম সালাম হাজার সালাম :D

অনেক ধন্যবাদ শায়মা।

৬৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: কিছু মানুষ আছে যাদের আমি অনেক পছন্দ করি তবে তা কখনই বলা হয় না।অবশ্য যাদের আমি পছন্দ করি তাদের কাউকেই ওভাবে তা বুঝায় না।
আপনাকে আমি কিছু কারনে সম্মান করি খুব। বলা হয় নি কখনও....
যদি দেশে আসেন কখনও ফেসবুকে জানাবেন। আপনার সাথে দেখা করার ইচ্ছা আছে আমার।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: একই সাথে বিষ্মিত এবং অভিভূত হলাম। এই মন্তব্যের যোগ্য আমি একেবারেই না। ভুল করে অন্য কারো পোস্টের মন্তব্য আমার পোস্টে করলেন কিনা সেই সন্দেহও হচ্ছে। :) তবুও, ভুল হোক বা সঠিক, যোগ্য হই বা না হই, আপনার মন্তব্যটা ছুঁয়ে গেল।

দেশে এলে অবশ্যই জানাব। আপনার সাথে দেখা করতে এখন আমারও খুব ইচ্ছা হচ্ছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্রো।

৬৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:০৩

শুকনা মরিচ বলেছেন: এবার দেশে গেলে - অবশ্যই আমি রেজিস্টার্ড বিল্ডিং এর সেই মামাটার কাছে যাবো - যে কিনা অনেক বছর পর আমাকে দেখে আমার গাড়ী থামিয়ে সেই আগের মতোই মুড়ি ছাড়া , অনেক কাঁচামরিচ দিয়ে এক প্যাকেট চানাচুর মাখায় দিলো । এতো সাধাসাধির পরও টাকা নিলোনা - কি সুন্দর একটা হাসি দিলো !

আসলেই জীবনের একটা সময়ে এসে এই মানুষগুলোকে অনেক আপন মনে হয় ।
আপনার এই লেখাটা পড়ে আমারও অনেক পুরানো কিছু মানুষের কথা মনে পড়ে গেলো ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আসলেই জীবনের একটা সময়ে এসে এই মানুষগুলোকে অনেক আপন মনে হয় ।

একদম ঠিক বলেছেন। চমৎকার লাগল আপনার মন্তব্যটা। অনেক ধন্যবাদ।

৬৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৫

সবুজ ভীমরুল বলেছেন: সেঞ্চুরি আর্কেডের টিভিতে অ্যাড দেখানো হয়েছি। সেখানে দেখানো হয়েছিল, এক মহিলা গাড়ি থেকে নেমে এস্কেলেটরে পা রাখতেই তরতর করে ওপরে উঠে গেলেন, তাকে সিঁড়ি বাইতে হয়নি। সেই অ্যাড দেখে আমার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আম্মুর কাছে প্রায়ই আবদার করতাম সেখানে নিয়ে যেতে, আম্মুর সাথে সেসময় মৌচাক মার্কেট যেতাম।


খুব ইচ্ছা হয়েছিল, সেই সিড়িতে চড়তে। কিন্তু আম্মু জানি কার কাছ থেকে খবর পেলেন সেখানে গলাকাটা দাম রাখে। আর যাওয়া হয়নি!! এখন সেইখানের নীচ তলায় শুধু চশমার দোকান, আর তারা আমসি মুখে বসে মাছি মারে।

সেই সময় মৌচাক মার্কেটের ভেতর দুটো বইয়ের দোকান ছিল। আম্মু মাঝে মাঝে কমিক্স কিনে দিতেন, সেই লোভেই সেখানে যেতাম।

আচ্ছা আপনি কি মৌচাক মার্কেটের নীচতলার কলিজির সিঙ্গারা খেয়েছিলেন??

আপনার স্মৃতিচারণ ভালো লাগল।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। সেঞ্চুরীর এস্কেলেটররা আসলেই ভাল নাম কামিয়েছিল। গলাকাটা দাম আর স্টুপিড কর্মচারীগুলোর জন্য এই মার্কেটটা দাঁড়াতেই পারল না। এখন ভিক্ষা করে। মরো বেকুবের দল।

মনে আছে বইয়ের দোকান দুটোর কথা। ঢুকতে দ্বিতীয় দোকানের বৃদ্ধ দাড়ি-টুপি ভদ্রলোকের সাথে আমার ভাল সম্পর্ক ছিল। আমি একেবারেই খাদ্যবিলাসী না, তাই কলিজা সিঙ্গারার কথা মনে করতে পারছি না।

ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক কথা মনে করিয়ে দিলেন।

৬৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:২১

সুস্ময় পাল বলেছেন: ভালো পোষ্ট।

মাঝেমধ্যে নষ্টালজিক হয়ে লেখা এই পোষ্টগুলো পড়তে ভালো লাগে।

যাই হোক, একটা প্রশ্ন আছে। আপনি কোথায় আছেন এখন? মানে আপনি থাকেন কোথায়? একটু বিস্তারিত বললে ভাল হয়। :) :)

ভালো থাকবেন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমি বর্তমান ইউএস থাকি।

আপনিও অনেক ভাল থাকবেন। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.