নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারিদিকে আজ মীরজাফরদের জয়ধ্বনি!!

হা হা হা পায় যে হাসি!!!

রাইসুল জুহালা

আমি কে, আমি যেমন নিজে জানি না, বাকিরাও নিশ্চিতভাবে কিছু জানেন না। বেশিরভাগ ঐতিহাসিকের মতে আমি নিতান্তই এক কাল্পনিক চরিত্র, ইতিহাসে আমার অস্তিত্ব নাই! তাদের মতে ঔপন্যাসিক, গল্পকারেরা বিবেক চরিত্র চিত্রায়নে আমাকে সৃষ্টি করেছেন। এমনকি আমার নাম নিয়েও বিভ্রাট আছে। কেউ কেউ আমার নাম গোলাম হোসেন বলেও অভিহিত করেছেন!

রাইসুল জুহালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

[হুমায়ুন ফরিদী স্মরনে] ধারাবাহিক নাটক সংশপ্তকের (১৯৮৮-৮৯) রিভিউ

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৯

সংশপ্তক নাটক প্রচারের অনেক আগে থেকেই হুমায়ুন ফরিদী মঞ্চ এবং টিভি নাটকের শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা ছিলেন। এই নাটকটিকে তার শ্রেষ্ঠ কাজও বলা যায় না। তবুও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র হিসেবে বেশিরভাগ মানুষই বোধহয় 'কান কাটা রমজান'কেই পছন্দ করবেন।







ভয়ংকর কুটিল এবং ধুরন্ধর এবং একই সাথে কিছুটা কমেডি ধাঁচের রমজান চরিত্রটি ফরিদী যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, তার কোন তুলনা হতে পারে না। ব্ল্যাক কমেডির সার্থক চিত্ররুপ বলা যেতে পারে নাটকে তার অংশটুকুকে। নাটকের অন্যসব জাঁদরেল অভিনেতা/অভিনেত্রীদের প্রতি পূর্ন সম্মান রেখেই বলছি, ফরিদীর সামনে নিষ্প্রভ মনে হত সবাইকেই।



আমাদের সবার প্রিয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে বসন্তের প্রথম প্রহরে সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। প্রকৃতি আজ নতুন ফুল আর পাতা দিয়ে নিজেকে অপরুপা সাজিয়ে বিদায় জানাবে এই মহান অভিনেতাকে। নিয়ে যাবার জন্য বড় চমৎকার একটা দিন বিধাতা বেছে দিয়েছেন তার জন্য। আফসোস শুধু এখানে যে এই দিনটা আরও অনেক বছর পরে আসতে পারত।



তার আত্মার অপার শান্তিকামনা করে এবং বর্নাঢ্য অভিনয়জীবনকে অসীম শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন কাজ সংশপ্তকের স্মৃতিচারণ করতে চাই।



প্রাইভেট প্রডাকশন অর্থাৎ প্যাকেজ নাটক আসার (১৯৯৪) আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ধারাবাহিক নাটকগুলিকে মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায় - হুমায়ুন আহমেদ যুগ (১৯৮৫-৯৪) আর হুমায়ুন আহমেদপূর্ব যুগ (১৯৬৪-৮৫)। ১৯৮৫ সালে এইসব দিনরাত্রি ধারাবাহিক দিয়ে হুমায়ুন আহমেদ টিভি নাটকের ইতিহাস নতুন করে লেখার আগে অনেক ধারাবাহিকই প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যেমন সকাল সন্ধ্যা, ভাঙনের শব্দ শুনি, আমি তুমি সে ইত্যাদি। কিন্তু এইসব দিনরাত্রির পর এক যুগেরও বেশি সময় হুমায়ুন একাই টিভি নাটকের জনপ্রিয়তার সিংহাসন দখল করে ছিলেন। হুমায়ুন আহমেদের এই একচেটিয়া রাজত্বে একটি নাটকই কিছুটা ভাগ বসাতে পেরেছিল - শহীদুল্লাহ কায়সারের সংশপ্তক।



বাংলা সাহিত্যে শহীদুল্লাহ কায়সার অমর থাকবেন তার দুটো কালজয়ী উপন্যাস সারেং বৌ এবং সংশপ্তকের জন্য। তার অমরত্বকে আরো পাকাপোক্ত করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৯৭৮ সালে সারেং বৌ ছবিটি নির্মান করে। এর দশ বছর আব্দুল্লাহ আল মামুনই আবার শহীদুল্লাহ কায়সারের আরেকটি উপন্যাস সংশপ্তককে টিভিতে নিয়ে আসা্র উদ্যোগ নেন।



বাংলাদেশ টেলিভিশনে সংশপ্তকের ইতিহাস কিছুটা অভিশপ্ত। ১৯৭১ সালে প্রথমবার ধারাবাহিক হিসেবে এটি নির্মান শুরু হয়েছিল। মাত্র চার পর্ব প্রচারের পর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবার পর যেকোন কারনেই হোক এটি আবার শুরু হয়নি। বহু বছর পর আবার যখন ১৯৮৮ তে শুরু হয়, এক বা দুই পর্বের পর এবারও ভয়াবহ বন্যার কারনে এর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এসময় প্রায় দুই মাস কোন ধরনের বিনোদনমুলক অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়নি। সারা সন্ধ্যা টিভিতে মহান কবি (?!) এরশাদের 'তোমাদের কাছে এসে বিপদের সাথী হতে আজকের চেষ্টা আমার' গানের ভিডিও প্রচার করা হত।



এবার অবশ্য বন্যা শেষ হবার পর নাটকটা আবার শুরু হল। উপন্যাস থেকে নাট্যরুপ দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন ইমদাদুল হক মিলন। প্রথম কয়েক পর্বের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং আল মনসুর যৌথভাবে থাকলে কোন এক অজ্ঞাত কারনে শেষের দিকের পর্বগুলি নির্মান করেন মোহাম্মদ আবু তাহের। আবহ সঙ্গীতে আনিসুর রহমান তনু। তবে অতিথি শিল্পী হিসেবে আলম খান এর একটা দুর্দান্ত সুচনা সঙ্গীত রচনা করে দেন।



[যে চরিত্রগুলির নাম মনে আছে, সেগুলি ব্র্যাকেটের মধ্যে দেয়া হল]



তিরিশ দশকের আশেপাশে বাংলার এক কোনে এক ছোট্ট গ্রাম বাকুলিয়া। গ্রামের এক প্রান্তে মিয়া বাড়ি, আরেক প্রান্তে সৈয়দ বাড়ি। মিয়া বাড়ির প্রধান এ অঞ্চলের জমিদার খলিলুল্লাহ খান (মিয়ার ব্যাটা) আর সৈয়দ বাড়ির প্রধান দিলারা জামান আপন ভাইবোন। দিলারার মেজো ছেলে তারিক আনাম আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, প্রগতিশীল ও আধুনিক শিক্ষিত যুবক। এই বাড়িতে আরও থাকে দিলারার পীরের মেয়ে সুবর্না মুস্তফা (রাবেয়া ওরফে রাবু)। খলিলুল্লাহ খানের নায়েব অত্যন্ত ধুরন্ধর হুমায়ুন ফরিদী (রমজান)। খলিল ট্র্যাডিশনাল বংশগরিমায় অহংকারী বদমেজাজী জমিদার। প্রজাদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে তার খুব একটা চিন্তাভাবনাও নাই।



এদের পাশাপাশি গ্রামে আরও আছে খেটে খাওয়া রাইসুল ইসলাম আসাদ (লেকু), তথাকথিত নষ্টা ও সমাজচ্যুত ফেরদৌসী মজুমদার (হুরমতি), আদর্শবাদী স্কুল শিক্ষক মামুনুর রশিদ আর নিম্নবিত্ত পরিবারের সদ্য কিশোর অঞ্জন (মালু)।



নাটকের কাহিনী সুস্পষ্টভাবে দুইভাগে বিভক্ত। প্রথম বার পর্ব বাকুলিয়া গ্রামের মানুষের জীবনকাহিনী, জমিদারের শোষন, নায়েবের কূটচাল ইত্যাদি। ত্রয়োদশ পর্বে কাহিনী দশ বছর এগিয়ে নেয়া হয়। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ সময়। এই সময়ের নাটকে ফোকাস বাকুলিয়া গ্রাম থেকে সরে যায় মালুর দিকে। মালু বাড়ি থেকে পালিয়ে গানের দলে যোগ দেয়। দলের ওস্তাদ ফকির আলমগীর। আস্তে আস্তে নিজ যোগ্যতাগুনে শীর্ষপর্যায়ে পৌঁছায় মালু। কাজ শুরু করে কলকাতা বেতারে। এদিকে বাকুলিয়াতে হুমায়ুন ফরিদী নানা কূটবুদ্ধিতে খলিলকে সরিয়ে নিজেই জমিদার বনে যায় এবং ছেচল্লিশের ভয়াবহ দাঙ্গার সুযোগ নিয়ে হিন্দুদের ঘরবাড়ি দখল করে নেয়।







বাংলাদেশ টেলিভিশনের বাজেট স্বল্পতায় পুরোনো সময়কে সাফল্যের সাথে চিত্রায়ন খুবই দুঃসাধ্য হলেও প্রতিভাবান প্রযোজকদ্বয় আবদুল্লাহ আল মামুন এবং আল মনসুর যথেষ্ট জাঁকজমক নিয়ে এবং প্রচুর হোম ওয়ার্ক করে ধারাবাহিকটি শুরু করেছিলেন। ফলে প্রথম পর্ব থেকেই অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ধারাবাহিকের মাঝামাঝি পর্যায়ে প্রযোজক পরিবর্তনের পর এটি কিছুটা দিকভ্রষ্ট হয়ে যায়। মোহাম্মদ আবু তাহের পূর্বসুরীদের সুনাম ধরে রাখতে পারেননি।



হুমায়ুন ফরিদীর কাজ নিয়ে তো আগেই বলা হয়েছে। নেগেটিভ চরিত্রে তার এই দুর্দান্ত অভিনয় দেখে নাটক শেষ হবার পরপরই চিত্র পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন তাকে সন্ত্রাস (১৯৯১ সালের রোজার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত) ছবিতে খল চরিত্রে অভিনয়ের আমন্ত্রন জানান। ফরিদী টেলিভিশনকে লম্বা সময়ের জন্য বিদায় জানিয়ে চলচ্চিত্রে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাংলা ছবির পরিচালকেরা তার প্রতিভার কোন ব্যবহারই করতে পারেননি। হাতে গোনা দু'তিনটি ছবি ছাড়া প্রায় সব ছবিতেই তিনি মূলত এই রমজান চরিত্রটিরই পুনরাবৃত্তি করেছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রসঙ্গে টিভির এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'বানিজ্যিক ছবির অভিনেতার কাজ হচ্ছে ছবিটাকে বিক্রয়যোগ্য পণ্য করে তোলা। তাই সেখানে কারেক্ট অভিনয়ের দরকার নেই।'



মালু চরিত্রে অঞ্জনের অভিনয় খুব জনপ্রিয়তা পায়। এই নাটকের পরও সে দু'একটা কাজ এদিক-সেদিক করেছিল। তারপর অন্য অনেক জনপ্রিয় শিশুশিল্পীর মত একদিন চুপচাপ হারিয়ে গেল। মালুর ছোটবেলার খেলার সাথী হিসেবে তারিন দু'একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিল।



ত্রয়োদশ পর্ব থেকে মালু চরিত্রটি করেন মুজিবুর রহমান দিলু। দিলু সুঅভিনেতা হলেও এই চরিত্রটিতে প্রচন্ড ব্যর্থ হন। তার ব্যর্থতার পেছনে ছোট মালু চরিত্রের অঞ্জনের ইমেজ বেশ দায়ী ছিল। এছাড়া এসময় আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং আল মনসুর প্রযোজনার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর নাটকটি নিষ্প্রভ হয়ে যায়। নাটকের গুরত্বপূর্ন বাকুলিয়ার চরিত্রগুলিকে বাদ দিয়ে গল্প এসময় মালুর কলকাতা জীবনকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। এইসব কিছু মিলিয়ে এই সময় এসে নাটকটি তার আকর্ষন হারায়।



মঞ্চকর্মী লিয়াকত আলী লাকি (বাংলাদেশের মঞ্চ ইতিহাসে সর্বাধিক প্রদর্শিত নাটকে কঞ্জুসের নির্দেশক) এই ছবিতে খলিলের পেয়াদা কালু চরিত্রে অভিনয় করেন। খুবই ছোট এবং অগুরুত্বপূর্ন চরিত্র, তবে এটাই লাকির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য টিভি পারফর্মেন্স। নাটকে তার গাওয়া একটি গান ব্যাপক জনপ্রিয় হয় - "পরানের হুক্কারে, তোর নাম কে রাইখাছিল ডাব্বা"।



লেকু চরিত্রে রাইসুল আসাদ অপ্রতিদ্বন্দী। খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত চরিত্রে তার সমকক্ষ কেউ নেই। মামুনুর রশিদ, তারিক আনাম এবং সুবর্না মুস্তফা চমৎকার।



হুরমতি চরিত্রে ফেরদৌসি মজুমদার অসাধারন অভিনয় করেছেন, কোন সন্দেহ নাই। অভিনয়ে তাকে ছাড়ানো অসম্ভব। কিন্তু চরিত্রের তুলনায় তার আসল বয়স কিছুটা বেশি ছিল। এছাড়া চরিত্রটার চাহিদা ছিল একজন গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী যাকে দেখলেও লাখো পুরুষের মনে দোলা জাগে। ফেরদৌসি মজুমদারকে কোনভাবেই গ্ল্যামারাস বলা যায় না। এসব কিছুই তিনি তার দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে পুষিয়ে দিয়েছেন। তবে চম্পা বোধহয় এই চরিত্রের জন্য পারফেক্ট হতেন।



এই নাটকের শুরুর ক্রেডিট অংশটা (যেখানে কলাকুশলীদের নাম দেখানো হয়) আলাদাভাবে উল্লেখের দাবি রাখে। বিদেশি সিরিয়ালগুলি ধারন করা হয় সিজন বাই সিজন অর্থাৎ পুরো সিজন ধারন শেষ করার প্রচার শুরু হয়। সেকারনে বিদেশি সিরিয়ালগুলিতে পুরো সিজনের উল্লেখযোগ্য অংশবিশেষ নিয়ে এক-দেড় মিনিটের ক্রেডিট অংশ তৈরী করে এই অংশের জন্য আলাদা থিম মিউজিক বানানো হয়। বিটিভির ধারাবাহিকগুলি সেসময় পর্ব বাই পর্ব ধারন করা হত্। প্রতি মঙ্গলবার ধারাবাহিক প্রচারিত হলেও যেহেতু একই সাথে দুটো ধারাবাহিক চলত, তাই একেক পর্বের জন্য তারা ১৪ দিন সময় পেতেন। সেকারনে আকর্ষনীয় ক্রেডিট অংশ তৈরী করা তাদের পক্ষে সম্ভব হত না। সাদামাটাভাবে স্থিরচিত্রের উপর নামগুলি দেখিয়েই তারা দায় সারতেন। সংশপ্তক এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এখানে পুরো নাটকের কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ (হুমায়ুন ফরিদী বলছেন "এসডিও সাহেবকে আমি সামলাব, আমার নাম হচ্ছে কাজী মোহাম্মদ রমজান", মামুনুর রশিদ বলছেন "এটা কি মগের মুল্লুক নাকি" ইত্যাদি) আলাদাভাবে ধারন করা হয়েছিল এবং এই অংশের জন্যই আলম খান তার বিখ্যাত সুচনা সঙ্গীতটি রচনা করেছিলেন। পরে অবশ্য আসল দৃশ্যগুলি প্রচারিত হলে দেখা যায় যে এদের সাথে সুচনা দৃশ্যের শটগুলির মিল নেই।



কিছু খুচরা তথ্যঃ



১) সংশপ্তক শব্দের অর্থ হয় জয় অথবা মৃত্যু।



২) ফেরদৌসী মজুমদার হুমায়ুন ফরিদীর সাথে তার সংশপ্তক শুটিংয়ের স্মৃতিচারন করেছেন এখানে



৩) মুস্তফা মনোয়ারের উপলব্ধি - "সিরিজ নাটক বা ধারাবাহিক নাটকের প্রবক্তাও ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। তখন এই ধরনের নাটক অর্থাৎ সিরিজ নাটক মানেই বলা হত সোপ অপেরা। মানে সাবান কোম্পানীর নাটক। গৃহিনী দর্শকদের উপলক্ষ্য করে যে সেন্টিমেন্টাল নাটক হয় তাকে বলা হয় সোপ অপেরা। আবদুল্লাহ আল মামুন সেই ধরনের সোপ অপেরায় না গিয়ে সুস্থ এবং নান্দনিকবোধে পূর্ণ নাটক চয়ন করলেন। নাম ‘সংশপ্তক’। শহিদুল্লাহ কায়সার রচিত এই নাটকটি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সে সময়ে। এই নাটকের সকল অভিনয় শিল্পীর বাচনভঙ্গী এবং প্রযোজনায় নানা বৈশিষ্ট ছিল। সংশপ্তক আজও শ্রেষ্ঠ সিরিয়াল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।"

মন্তব্য ১৬০ টি রেটিং +৪৩/-০

মন্তব্য (১৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: শ্রদ্ধা প্রদর্শন শেষ হয়েছে। এখন আমার শোকের সময়। আমি এখন মন খারাপ করে কিছুক্ষন চুপ করে বসে থাকব।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুম।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩১

সারথী মন বলেছেন: এরকম বহুমুখী অভিনয় দক্ষতা আরো কারো মাঝে দেখিনাই ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমিও দেখি নাই। আমার অসম্ভব পছন্দের একজন অভিনেতা।

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: প্রিয় শুনী এ শিল্পীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমরা সবাই তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: হুমায়ূন ফরিদী জাহাঙ্গীর নগর ভার্সিটির ছাত্র ছিলেন, একবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে দেখি উনি সালাম বরকত হলের সামনে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছেন। তখন কিছু কথা হলো, তিনি থাকতেন আল-বেরুনী হলে। সালাম বরকত হলের সেই দোকানের মামা নাকি তার কাছে ৫০ টাকা পেতনে,যখন তিনি ছাত্র ছিলেন। হুমায়ুন ফরিদী সেই দোকানীকে অনেক হেল্প করেছেন, কিন্তু বলতেন "তোর সেই ৫০ টাকা আমি কিন্তু দেবো না কখনো......এই বলে হা হা করে হাসতেন"!

আজ সকালে খবরটা দেখে ভয়ানক মন খারাপ হলো। এই বছরটা কি শুধুই আমাদের হারানোর বছর!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: চমৎকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ রেজোওয়ানা।

আমারও মনটা খুব খারাপ হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলেন, আরও কত কিছু দেয়ার ছিল আমাদের!

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪১

শিক কাবাব বলেছেন: টাকা আমার চাই, নইলে জমি।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এই সংলাপটা অবশ্য মিয়ার ব্যাটা অর্থাৎ খলিলুল্লাহ খানের।

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪১

ডেভিড বলেছেন: সংশপ্তকের রিভিউটি আবার নব্বই দশকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল। এরকম বহুমুখী অভিনয় দক্ষতা আরো কারো মাঝে দেখিনাই। বাংলা ছবিতে ভিলেনের রোলেও কিন্তু হুমাযুন ফরীদি ভিন্ন মাত্রার সূচনা করেছিলনে। হুমায়ুন ফরীদি কোন কোন ছবিতে নায়ক/নায়িকার সমপরিমান টাকা নিতেন। একদিন হঠাত এর সেই খাটো পাঞ্জাবী পড়া মামার সাথে বন্দী ফরীদির প্রকৃতির ডাক প্রতিরোধ করার সেই শ্বাসরুদ্ধকর দম ফাটানো হাস্যকর দৃশ্য ভূলি কি করে। সংশপ্তকে রমজান চোরার সেই বিখ্যাত হাসি অনেকদিন প্যাকটিস করে শিখেছিলাম। ফরীদির শুন্য স্থান কখনোই পূরণ হওয়ার নয়

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ফরীদির শুন্য স্থান কখনোই পূরণ হওয়ার নয়।

একদিন হঠাৎ নাটকের ডাউনলোড লিঙ্কসহ আমি রিভিউ লিখেছিলাম এখানে

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪২

আমি বীরবল বলেছেন: এরকম বহুমুখী অভিনয় দক্ষতা আরো কারো মাঝে দেখি নাই ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুমায়ুন ফরিদীর তুলনা তিনি নিজেই।

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৫

শাহনেওয়াজ লতিফ বলেছেন: মানুষ মরবে । মরতে হয় । অমরত্ব লাভের আশা টাও তাই গুড়ে বালি । কিন্তু কেও কেও তো মৃত্যু কে জয় করেছেন অন্য ভাবে । স্বাধীন বাংলার সেরকমই একজন অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আফসোস এখানে যে খুব শিঘ্রিই তিনি স্মৃতির আড়ালে চলে যাবেন। কেন জানেন? কারন তার শ্রেষ্ঠ কাজগুলো বাংলাদেশ টেলিভিশনে আশির দশকে। এই কাজগুলোর কোন কপি এখন হয় এমনকি বিটিভির কাছে নাই। ফলে নতুন প্রজন্ম জানবেই না যে হুমায়ুন ফরিদী নামে একজন দুর্ধর্ষ অভিনেতা এই বাংলায় জন্মেছিলেন।

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫২

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সংশপ্তক নাটকের কান কাটা রমজানের অভিনয় আর কারো দিয়ে এত ভালো হত কি না আমি সন্দেহ পোষণ করি। এই রকম প্রতিভা আসলে সবার থাকে না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: সংশপ্তকের প্রথম ভার্সনে রমজান কে করছিলেন, জানেন? এটিএম শামসুজ্জামান। আমি সেই ভার্সন দেখি নাই, ৭১ সালে এটিএম সাহেব হয়ত তেমন পরিপক্ক অভিনেতাও ছিলেন না। তারপরও মনে করি, এরকম একজন জাঁদরেল অভিনেতা এ ধরনের একটা চরিত্রে ফরিদীর চেয়ে হয়ত খারাপ করতেন না।

ফরিদীর মত প্রতিভা আসলেই বিরল।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৫

গুপ্তঘাতক007 বলেছেন: তখন অনেক ছোট ছিলাম,কাহিনী কিছুই মনে নাই তবে চারটা চরিত্র আর তিনটা দৃশ্য এখনো মনে আছে। চরিত্রগুলা হইলো কানকাটা রমজান,হুল্মতি,লেকু এবং মিয়ার বেটা আর দৃশ্যগুলা হইতাসে (বর্ণনায় কিছুটা ভুল হইতেও পারে কারণ ওই একবারই দেখা এবং অনেক পিচ্চি ছিলাম তাও নাটকটা অসম্ভব আগ্রহ নিয়া দেখতাম এতটুকু মনে আছে) যখন হুল্মতিরে কপালে সেক দেয়া হয়(এইটা দেইখা মনে আছে ভয়ে চিত্কার দিয়া উঠছিলাম),লেকুরে যখন কোপায়া ফালায় রাইখা যায়(তারপরে সম্ভবত চটে মোড়ায়া ঠেলাগারীতে কইরা নিয়া যায়) এবং হুল্মতি যখন আন্ধার ঘরে রমজানের কান কাইটা দেয়। পোস্ট পড়ার পর মালুর কথা মনে পরসে,বড় মালুর নামটা মনে না থাকলেও যতদুর মনে পড়তাসে তার রাগিড ফেইস ছিল। এখনো কানে রমজানের বিশেষ ভাবে ডাকা হুল্মতি ডাকটা যেন শুনতে পাইতাসি। আসাদ ও ফরীদির(এই দুই জনরে নুর থিকাও আগায়া রাখুম) মত অভিনেতা সম্ভবত আর কখনই আসব না! আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ভাল লাগল সংশপ্তক নাটক নিয়ে আপনার স্মৃতিচারন। অনেক কথা মনে করিয়ে দিলেন।

ফেরদৌসী মজুমদারের চরিত্রটার নাম আসলে হুরমতি।

ফরিদীর আত্নার মাগফিরাত কামনা করি।

১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৬

নষ্ট কবি বলেছেন: :(

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: :(

১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০২

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন:

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ। পোস্টার ভাল হয়েছে, বাংলায় হলে আরও ভাল লাগত।

১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৮

কবি ও কাব্য বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাইসুল ভাইকে এই চমৎকার রিভিউ র জন্য। সংশপ্তক নাটকের সেই দৃশ্যটা কিশোর বেলা থেকে আজও চোখে ভাসে যেখানে হুরমতিকে বিচার এর জন্য ডাকা হয়েছে। হুমায়ূন ফরিদী পিতলের টুকরা আগুনে গরম করে এনে ফেরদৌসি মজুমদার এর কপালে লাগাবে , সেই সময় হুমায়ূন ফরিদির কথা বার্তা , হাটা এবং ধীরে ধীরে ফেরদৌসি মজুমদার এর দিকে এগিয়ে আসা পুরো দৃশ্যটাই যে কোন অভিনেতার জন্য একটি শিক্ষণীয় ও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
চলচ্চিত্রে তিনি খোকন এর হাত ধরে খলনায়ক এর চরিত্রে প্রবেশ করলেও এই খোকন তাঁকে বেশ কয়েকটি স্মরণীয় চরিত্রে অভিনয় করিয়েছিলেন যেমন 'ঘাতক' ছবিতে রাজাকার, কমান্ডার ছবিতে সিঁধেল চোর, ভণ্ড ছবিতে ধাপ্পাবাজ প্রিন্স, বিশ্বপ্রেমিক ছবিতে কলেজের কমন বড় ভাই, এছাড়া এ জে মিন্টুর বাংলার বধূ ছবিতে আবুল মামার চরিত্রটিও আজও মনে পড়ছে বারবার। ভণ্ড ছাড়া সবগুলি চরিত্র ছিল নেগেটিভ ও ব্ল্যাক কমেডি ধাঁচের। আসলেই আমরা এক অদ্ভুত ভয়ঙ্কর সুন্দর একজন অভিনেতাকে হারালাম। যার শূন্যস্থান পূরণ করার শক্তি আজ বাংলার নেই।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ফরিদীর শূন্যস্থান কখনো পূরন হবে না।

চমৎকার স্মৃতিচারনের জন্য অনেক ধন্যবাদ কবি।

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩৭

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো খবরটা শুনে...........মানুষ মারা যাবেই.কিন্তু কিছু কিছু মানুষের মৃত্যু আমাদের কাদিয়ে যায়।

হুমায়ূন ফরিদী বাংলাদেশের অভিনয় জগতের এমন একজন লিজেন্ড যার অভাব আমরা কোনদিনও পূরণ করতে পারবো না.....অসাধারণ একজন লিজেন্ডকে আমরা হারালাম আজ....

গভীরভাবে শোকাহত আজ সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ.....শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলাম আমাদের এই লিজেন্ডকে.....যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন আপনি হুমায়ূন ফরিদী...........

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: কথা সত্য। তিনি একজন কিংবদন্তি। হাজার বছরের সাধনায় এমন একজন পাওয়া যায়।

১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪১

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: a true, genuine actor of ours! Truly a legend.! A generation tar kichui dekhte parlo na!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: সেটাই। খুব শিঘ্রিই তিনি স্মৃতির আড়ালে চলে যাবেন। কারন তার শ্রেষ্ঠ কাজগুলো বাংলাদেশ টেলিভিশনে আশির দশকে। এই কাজগুলোর কোন কপি এখন হয় এমনকি বিটিভির কাছে নাই। ফলে নতুন প্রজন্ম জানবেই না যে হুমায়ুন ফরিদী নামে একজন দুর্ধর্ষ অভিনেতা এই বাংলায় জন্মেছিলেন।

১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪৩

শিশিরের শব্দ বলেছেন: :( :(

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: :( :(

১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪৩

তৌফিকতুহিন বলেছেন: আমার প্রিয় অভিনেতাকে হারালে আমি সাধারনত স্তব্ধ হয়ে যাই,আমি আর তার অভিনয় দেখবো না,এটাই তো ভাবতে কস্ট হয়।এর আগে আমি যখন শোনলাম ২০০৪ এ নাজমা আনোয়ার আর নেই,সেটাও আমাকে দারুন আঘাত দেয়।ফরিদী আপনাকে কখনো ভোলার নয়।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ফরিদীকে কখনো ভুলব না। কখনো না।

১৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০০

জেরী বলেছেন: উনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা .....

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমার পক্ষ থেকেও বিনম্র শ্রদ্ধা।

১৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৭

মুরুববী বলেছেন: ভালো পোষ্ট।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এটা ভাল পোস্ট না, এটা মন খারাপের পোস্ট।

২০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৫

নাআমি বলেছেন: সংশপ্তক দেখেছি অনেক আগে, সংশপ্তকের এই স্মৃতিচারণ পড়ে আবার দৃশ্য গুলি ভেসে উঠলো চোখের সামনে, কিন্তু যখনই মনে হচ্ছে হুমায়ুন ফরিদী আর নেই ঝাপসা হয়ে উঠছে দুচোখ, জানি মৃত্যু অনিবার্য, তবুও কিছু কিছু মৃত্যু মেনে নেয়া বড় কঠিন !

ওনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: সংশপ্তক আমিও দেখেছি অনেক আগে। আহা, এই নাটকের যদি পুরোনো ভিএইচএস পেতাম! আরেকবার দেখতে পারতাম রমজান চরিত্রটাকে!

আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

২১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:২৯

নািম সাকিব বলেছেন: "যারা আমারে আজ চিনেনাই, তারা কাল চিনবো, কাল না চিনলে পরশু চিনবো।"
এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় উক্তি তার ।

শৈশব থেকেই প্রচণ্ড ভাললাগার মানুষ তিনি, কি যে কষ্ট লাগছে !

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: যদ্দুর মনে পড়ে, এটা শত্রু ভয়ংকর ছবির সংলাপ। প্রিয় একটা ছবির প্রিয় চরিত্র।

২২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে রিভিউ।

বিটিভির সাদা-কালো যুগে হুমায়ুন ফরিদীর অভিনিত " বাবার কলম কোথায়", ভাঙ্গনের শব্দ শুনি", শংসপ্তক ও আরো উল্লেখযোগ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকের মনে শক্ত আসন করে নিয়েছিলেন। নায়োকোচিত চেহারা না হলেও তার জনপ্রিয়তা ছিলো ইর্ষনীয়।

মনটা ভিষন খারাপ হয়ে গেলো।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: "নায়োকোচিত চেহারা না হলেও তার জনপ্রিয়তা ছিলো ইর্ষনীয়।"

কথা সত্য।

২৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৪৯

ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: বড্ডো অকালে চলে গেলেন তিনি

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: সত্যিই তাই। আরও অনেক কিছু দেবার ছিল আমাদের।

২৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০৮

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: আজকে সকালে তার মৃত্যুর খবর শুনে মনটাই খুব খারাপ হয়ে গেছে ।
অনেক আগে এই নাটকটা দেখেছিলাম , ঝাপসা হয়ে যাওয়া স্মৃতিগুলো আবার মনে করিয়া দিলেন ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমারও মনটা খুব খারাপ হয়েছিল। এই রিভিউ যখন লিখছিলাম, সংশপ্তকের দৃশ্যগুলো চোখে ভেসে উঠছিল আর মনে হচ্ছিল চিৎকার করি কাঁদি।

২৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:২০

আরিয়ানা বলেছেন: এখন আমার শোকের সময়।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমারও তাই।

২৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ একটা ট্রিবিউট পোস্ট। হুমায়ুন ফরিদীরা একবারই জন্মায়। তার জন্যে ভালোবাসা।

সামু কী পারে না উনার সম্মানে একটি ব্যানার বানাতে?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমি সামহোয়্যার কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই এই ক্ষনজন্মা অভিনেতার সম্মানে একটা ব্যানার তৈরি করা হোক। এই সম্মান ফরিদীর পাওনা আছে।

২৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:১৭

জাহিদুল হাসান বলেছেন: মনটা চরম খারাপ।
হুমায়ুন ফরিদীরা একবারই জন্মায়। তার জন্যে ভালোবাসা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হাজার বছরের সাধনায় একটা হুমায়ুন ফরিদী পাওয়া যায়।

২৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯

গানচিল বলেছেন: যতদুর মনে পড়ে, সেলিম আল দীন রচিত "ওহ দেবদুত" নাটকের ছোট্ট একটা রোল দিয়েই টিভিতে ফরিদীর পদার্পন। উক্ত নাটকের সামান্য উপস্হিতিতে তার বিখ্যাত "হো হো" করে দেয়া স্বতঃস্ফুর্ত হাসি দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন তার জাত। দর্শকরাও নড়েচড়ে বসলেন।তথাকথিত ললিপপ বা লালটুমার্কা চেহারা নয়, শুধুমাত্র অভিনয় দিয়েও যে দর্শকদের মন জয় করা যায়, সেটা প্রমান করতেই যেন একের পর এক নাটকে অভিনয় করে টেলিভিশনের জন্য রচনা করলেন ইতিহাস। তখনকার দিনে যারা টিভির নিয়মিত দর্শক ছিলেন তাদের অবশ্যই মনে আছে সেলিম আল দীনেরই লেখা " চাঁদ বেনে, মুনতাসীর ফ্যান্টাসী, আয়না কিংবা মমতাজ উদ্দীনের "স্নেহ,আতিকুল হক চৌধূরীর বকুলপূর কতদুর, দুরবীন দিয়ে দেখুন,মহুয়ার মন-- কাজী মাহমুদুর রহমানের " সাত আসমানের সিড়ি, একদিন সন্ধ্যায়,শামসুর রহমান রচিত "অক্টোপাস" আখতার ফেরদৌস রানার " শীতের পাখীরা" হুমায়ুন আহমেদের 'অচিন বৃক্ষ, একদিন হঠাৎ, যার যা পছন্দ, বিবাহ,এসো নিপোবনে,অযাত্রা,নিতু তোমাকে ভালবাসি প্রভৃতি নাটকে ফরিদীর দুর্দান্ত পারফরমেন্স। টেলিভিশনে এপর্য্যন্ত অনেক অভিনেতার অভিনয় দেখেছি।বলতে দ্বিধা নেই, ফরিদীর মত এমন ভার্সেটাইল অভিনেতা টেলিভিশনে এখনো পয়দা হয়নি। http://www.youtube.com/watch?v=
( এমন অভিনয় শুধু ফরিদীর পক্ষেই সম্ভব)
আজ হঠাৎ করে এই লোকটার মৃত্যুসংবাদ শুনে যেন থ' মেরে গেলাম।কি বলব বুঝতে পারছিনা।শুধু এটুকুই বলব, ফরিদী মৃত্যুর আগ পর্য্যন্ত আমাদের যে অভিনয় দেখিয়ে গিয়েছেন, তা তুলনাহীন।যুগযুগ ধরে তা মনে থাকবে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: যুগযুগ ধরে তা মনে থাকবে না। হ্যাঁ, আপনি/আমি মনে রাখব। কখনোই ভুলব না। কিন্তু নতুন প্রজন্ম জানবেই না যে হুমায়ুন ফরিদী নামে একজন দুর্ধর্ষ অভিনেতা এই বাংলায় জন্মেছিলেন। কারন তার শ্রেষ্ঠ কাজগুলো বাংলাদেশ টেলিভিশনে আশির দশকে। এই কাজগুলোর কোন কপি এখন বোধ হয় এমনকি বিটিভির কাছে নাই। ফলে খুব শিঘ্রিই স্মৃতির আড়ালে চলে যাবেন তিনি।

চমৎকার মন্তব্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। একটু সময় করে নিজেও একটা পোস্ট লিখে ফেলুন ফরিদীকে নিয়ে। একটা অনুরোধ রাখলাম।

২৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪৮

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

মন খারাপ আমার ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমারও আজ মনটা খুব খারাপ। ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। শেষবারের মত ফেসবুকে একটু চোখ বুলাতে গিয়েছিলাম। দেখলাম নুরুজ্জামান মানিক তার নতুন স্ট্যাটাসে আমাকে ট্যাগ করেছেন। ক্লিক করতেই এই দুঃসংবাদ। সারা রাত ঠিকমত ঘুম হল না।

৩০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৭

কবি ও কাব্য বলেছেন: আজও চোখে বারবার ভাসে হুমায়ূন আহমেদ এর 'একদিন হঠাৎ' নাটকের সেই গৃহশিক্ষক এর ছবিটি। যিনি কঙ্কাল নিয়ে তাঁর রুমে রেখেছেন,ছাত্রকে একা বাড়ী ফিরতে হয় কেমন করে তা শিখানোর জন্য চিড়িয়াখানায় একা ফেলে এসেছেন। তারপর আলী যাকের ও হুমায়ূন ফরিদীর একইরুমে বন্দিদশার সেই মজার দৃশ্যটি। যা বারবার মনে পড়লে হাসি আসতো আজ আসছে কান্না। সত্যিই মেনে নিতে কষ্ট হয় এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবেন !

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আজ অফিস থেকে ফিরে একদিন হঠাৎ আর টপ রংবাজ দেখব। আর কাঁদতে থাকব।

৩১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৪৮

মাইশাআক্তার বলেছেন: আমার শরীরটা ভাল না, এখন মনটাও খারাপ হয়ে গেলো।উনার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।

নাটকটি আবার দেখতে ইচ্ছা করতেছে। আপনার কাছে লিংক থাকলে জানাবেন প্লিজ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমার কাছে লিঙ্ক নাই। পেলে অবশ্যই দিব।

শরীর ভাল না কেন? কোন বড় সমস্যা না তো! এবার নাকি ইউরোপে ভয়ংকর শীত?

৩২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৭

তানভীর আহমেদ সজীব বলেছেন: গেলো।উনার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ আমাদের শোক মিছিলে সামিল হবার জন্য।

৩৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১২

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: তখন খুব ছোট ছিলাম। নাটক মানে বুঝতাম না। এত কিছু জানতাম ও না। কিন্তু পাড়ার ফ্রেন্ড দের থেকে "কান কাটা রমজান" নামটা অনেক শুনেছি। এটাই কি এই সংশপ্তকের রমজান?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: জ্বি, সংশপ্তক নাটকের মাঝামাঝির দিকে হুরমতিরুপী ফেরদোসী মজুমদার রমজানের কান কেটে দিয়েছিল। সেখান থেকে নামকরন হয় 'কান কাটা রমজান'।

৩৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৩

বেঈমান আমি বলেছেন: প্রথম কথা অনেক অনেক খারাপ লাগছে খবরটা শুনে।

আপনার সংশপ্তক রিভিউ সেরকম হইছে।কেমনে আপনার সব কিচু মনে থাকে।সংশপ্তক আমি দেখেছিলাম ৯২/৯৩ এর দিকে যখন বিটিভি তে শুক্রবার সকালে প্রচার করতো।মুজিবুর রহমান দিলু র চেয়ে ছোটো মালু কেই বেশি ভালো লাগতো।
সংশপ্তক শব্দের অর্থ মনে হয় হার জেনেও যুদ্ধ করে যাওয়া।ভুল ও হতে পারে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: সংশপ্তক শব্দের অর্থ আমি জানতাম না। এই অর্থটা উইকি থেকে পেয়েছি। আমি নিজেও জানি না কোনটা সঠিক!

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

লক্ষ্যভেদী বলেছেন: উনার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ আমাদের শোক মিছিলে সামিল হবার জন্য।

৩৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৪

মুক্তির মিছিল বলেছেন: হুমায়ুন ফরিদীর অভাব কোনো দিন পুরণ হবেনা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: সত্যিই তাই।

৩৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৫

ধূসরধ্রুব বলেছেন: অনেক ছোটবেলায় দেখেছিলাম বলে অনেক কিছুই মনে নেই । আজ পড়ে স্মৃতি মনে পড়ে গেল । হুমায়ুণ ফরিদির প্রতি শ্রদ্ধা

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুমায়ুন ফরিদীর প্রতি অসীম শ্রদ্ধা আমাদের সকলের।

৩৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৫

এ হেলাল খান বলেছেন: অতি আপনজন মারা গেলে যেমন কষ্ট লাগে আজ তেমনটিই লাগছে। ভাল থাকুন প্রিয় অভিনেতা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: কষ্টের মিছিলে স্বাগতম।

৩৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৭

দূর্যোধন বলেছেন: মনটা অসম্ভব খারাপ হয়েছে শুনে।এমন অভিনেতা বাংলার ইতিহাসে আর পাবো কিনা জানিনা।আমার কাছে উনিই বাংলার সেরা অভিনেতা,যেকোনো রোলে।আমি খবরটা শুনে কিছুক্ষন হতভম্ব হয়ে বসে ছিলাম,হুমায়ুন ফরীদি আর নেই !!!! খুব খুব কষ্টের এক অনুভূতি :(

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হাজার বছরের সাধনায় একজন হুমায়ুন ফরিদী মিলে। খুব সহজে তার শূন্যস্থান পূরন হবার না।

৪০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৪

শাহাদাত রুয়েট বলেছেন: নাটকটির লিংক চাই ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমার কাছে লিঙ্ক নাই। যদি ভবিষ্যতে কোনদিন পাই, এই লেখাটা রিপোস্ট করব লিঙ্ক সহ।

৪১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৮

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: খুব খারাপ লাগছে শোনার পর থেকেই। মেনেই নিতে পারছি না। তারপরও আমাদের সবাইকে চলে যেতে হবে একদিন :(

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: শোকের মিছিলে স্বাগতম চয়ন।

৪২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৭

মাস্টার বলেছেন: রিভিউ টা ভালো লাগলো। আর সবাইকেই চলে যেতে হয়, এ ব্যাপারে মন খারাপ করা ছাড়া কিছু বলার নেই আসলে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৩৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: চলে তো যেতে হয়ই, কিন্তু এত তাড়াতাড়ি যাবেন সেটা ভাবি নাই। আজকের দিন ৬০ বছর তো কোন বয়সই না।

৪৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৪

আমি তানভীর বলেছেন: সংশপ্তক নাটকটা খুব সম্ভবত বিটিভি পুনঃপ্রচার করেছিল ২০০৫-০৬ এর দিকে । আমার ঠিক মনে নাই । বাংলাদেশের অভিনেতাদের মধ্যে আফজল খান আর হুমায়ন ফরীদি আমার সবচেয়ে প্রিয় । আজকে সকাল থেকে মনটা খারাপ হয়ে আছে খবরটা শোনার পর । মেধাবী মুখগুলো হারিয়ে যাচ্ছে এক এক করে

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:০২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ২০০৫-০৬ সালের বিটিভি পুনঃপ্রচার করেছিল! বলেন কি! তাহলে গরু খোঁজা খুঁজেও এই নাটকের কোন ডিভিডি পাচ্ছি না কেন? এত শত শত নাটকের ওয়েবসাইট, কেউ এই নাটকটা আপলোড করে না কেন? ধ্যুৎ।

৪৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৬

সবাক বলেছেন: লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৩৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ শোক মিছিলে শামিল হবার জন্য।

৪৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সারাদিন ধরেই মন টা অনেক খারাপ। কাল শহীদ মিনার যাচ্ছি শেষবার দেখার জন্য ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৩৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমার পক্ষ থেকেও দোয়া করে আসবেন হুমায়ুন ফরিদীর জন্য।

৪৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৫৮

ব্রিলিয়ান্ট বেকুব বলেছেন: বাংলা সিনেমা দেখি না অনেকদিন............. তারপরও কখনও কোন সিনেমার সংলাপ শুনলেই সালমান শাহ, হুমায়ন ফরিদী, রাজিব, দিলদার, এটিএম শামসুজ্জামান - এদের কথা মনে পড়ে যায়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৪০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনি বাংলা ছবির সেই সময়টার ভাল ভক্ত ছিলেন সেটা বোঝা যাচ্ছে।

৪৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:১৭

বড় বিলাই বলেছেন: সেই পুরনো দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন।

শ্রদ্ধা রইল এই শক্তিশালী মেধাবী অভিনেতার জন্য।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৪০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: অসীম শ্রদ্ধা এই জাত অভিনেতার জন্য।

৪৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:২৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আহ, সব পরিচিত মানুষ চলে যাচ্ছে। মধ্যবয়সে যে পৌছে গেছি তারই প্রমান এসব! গত দশকেও আমাদের মাথার উপরে ছিল ৩টি প্রজন্ম, তারই প্রথমটি প্রায় চলে গেছে।

হুমায়ুন ফরিদি আমার প্রিয় খুবই প্রিয় ছিল। ওনার খবরটা জেনে কাছের মানুষের মৃত্যুর খবর জানা'র অনুভুতি হলো।

এখন আর মৃত্যু দেখে আগের মত আঘাত পাই না। প্রিয়দের মৃত্যুতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি বোধহয়।

খুব ব্যস্ততায় আছেন ইদানিং। সব কিছু ভাল চলছে আশা করি! ভাল থাকবেন রাইসুল ভাই।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৩৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুমায়ুন ফরিদি আমা খুবই প্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমি শোকাহত।

আমি বেশ ব্যস্ত ইদানিং। সবকিছু ভালই চলছে, কিন্তু আরও ভাল হতে পারত। কিছু বিষয় বিরক্ত করছে। আপনিও ভাল থাকবেন প্রজন্ম।

৪৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৩৮

অন্তরন্তর বলেছেন: অসম্ভব শক্তিমান একজন অভিনেতা চলে গেল আমাদের ছেড়ে। ট্রিবিউট পোস্টটা অসাধারণ হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সংশপ্তক নাটকের সেই চরিত্রগুলো এখন চোখে ভাসছে। সেই সাদা কাল বিটিভি। খুব খারাপ লাগছে এখন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৩৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: খুব খারাপ লাগছে এখন।

৫০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:১০

সেলুকাস বলেছেন: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফেইসবুক চেক করার সময় উনার মৃত্যুর খবর চোখে পরে. মনটাই খারাপ হয়ে যায়. সেই কবে সংশপ্তক দেখেছিলাম. আপনার পোস্ট আমাকে আবার নিয়ে গেল সেই ছেলেবেলায়. আচ্ছা, হুমায়ুন ফরিদী'র একটা নাটকের নাম কিছুতেই মনে আসছেনা. আসাদুজ্জামান নুরও হুমায়ুন ফরীদির সাথে ছিলেন. নাটকের কাহিনী সম্ভবত শেক্সপিয়ারের " কমেডি অফ এররস" থেকে নেয়া. আপনার জানা আছে কি?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: নাটকটা মনে আছে, ঈদের নাটক ছিল। কিন্তু অনেক সময় ধরে চেষ্টা করেও নামটা মনে করতে পারলাম না। দুঃখিত।

আমিও ঠিক ঘুমাতে যাওয়ার আগে শেষবারের মত ফেসবুক চেক করতে গিয়েই মৃত্যুসংবাদটা পাই। কিসের আর ঘুম! বিছানা থেকে উঠে এসে তখনই এই পোস্টটা লিখেছিলাম। সারারাত আর চোখের পাতা এক করতে পারলাম না।

৫১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৫

~মাইনাচ~ বলেছেন: নাট্য জগতে আমার দেখা সেরা শক্তিমান একজন অভিনেতা "হুমায়ুন ফরীদি"



উনার আত্মার শান্তি প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই নেই আমাদের করার। উনি বাংলাদের প্রতিটি নাটকপ্রিয় মানুষের মনে সুন্দর হয়ে উচ্চ আসনটিতে বসে থাকবেন।


অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমি একমত। বাংলাদেশের অভিনয় জগতে তার সমকক্ষ কেউ নাই। সর্বকালের সেরা।

৫২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: এককালে প্রচুর, প্রচুর সিনেমা দেখতাম আর দেখতাম মঞ্চ নাটক। মঞ্চ নাটক দেখার শেষ হয় ঢাকায় অসহনীয় জ্যামের সূচনায়। আর অন্তর্জাল দিনের, জীবনের আর জীবিকার সিঙ্ঘভাগ দখল করার পর আর তেমন সিনেমা দেখা হয়ে ওঠেনা।

আমার টিভি নাটক দেখার শেষ হুমায়ুন ফরিদীর বাংলা সিনেমায় গমনের সময় থেকে। নব্বুয়ের প্রথম দিকে কৌতুকচ্ছলে একজন নামকরা শৌখিন হস্ত রেখা বিশারদ তার হাত দেখতে দেখতে একবার চিৎকার করে উঠেছিলেন "MY GOD! WHO HAS CAGED THE LION".

তখন কথাটার অর্থ বুঝিনি। তারপরও না। কারন ততদিনে ফরিদীর অভিনয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে।

গতকাল ওর মৃত্যুর পর সারাদিন খন্ড চিত্রগুলো আমার স্মৃতিকে যখন নাড়িয়ে দিল তখনই বুঝলাম, কি ছিল তার অর্থ-কুড়ি বছর পর।

মার্লোন ব্রান্ডো আমার অত্যন্ত প্রিয় অভিনেতা। তার অভিনিত শেষ ছবিটি আমি দেখি "Last tango in Paris'. যদিও গড ফাদারের সমসাময়িক কালের বানানো সেন্সর জটিলতায় আমার দেখা হয়ে ওঠে অনেক পরে। আমার কেন যেন মনে হয় ব্রানডোর অভিনয় পূর্নতা পেয়েছে এ ছবিটিতে (আমাকে মারতে এসেন না কেউ, প্লিজ)।

তেমনি ভাবে আমার কাছে ফরিদীর অভিনয় সংশপ্তকে।

আপনি খুব নিপুন ভাবে রিভিউটি করেছেন,

সাধুবাদ।

আপনার রিভিউয়ের উল্লেখযোগ্য ব্যাপারটি হ'ল হুরমতি বুয়ার চিত্রায়নে ফেরদৌসীর গ্ল্যামার আর বয়সের আনুকুল্য না পাওয়া।

সংশপ্তক দেখার আগে পড়েছিলাম। আমার কল্পনার হুরমতির সাথে নাটকের হুরমতি না মেলাতে পারাতে এ নাটকের নাট্যরস আমি পরিপুর্ণভাবে উপভোগ করতে পারিনি।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এরকম একটা মন্তব্য পাওয়ার জন্যই ব্লগে পোস্ট করতে ইচ্ছা করে। হৃদয়ের সবটুকু আবেগ দিয়ে করা একটা মন্তব্য। আপনার আবেগে আমি নিজেও আপ্লুত হলাম।

ধারাবাহিকটার প্রচারকাল অর্থাৎ ৮৮-৮৯ এর দিকে আমি নিজেও মিডিয়াতে যাওয়ার ব্যাপারে খুব সিরিয়াসলি চিন্তাভাবনা করছিলাম। তাই যেকোন নাটক বা চলচ্চিত্র দেখতাম খুব মনোযোগ দিয়ে, সমালোচকের দৃষ্টিতে। প্রথম দিনই ফেরদৌসী মজুমদারকে দেখে মনে হয়েছে, তিনি এই চরিত্রে মিসকাস্ট। কিন্তু পরে এমনই দুর্দান্ত অভিনয় করলেন যে এই গ্ল্যামার আর বয়সের ব্যাপারটা বেশিরভাগ দর্শক ধরতেই পারেননি, উনি ধরার সুযোগ দেননি। ফেরদৌসীর অত্যন্ত বর্নাঢ্য টেলিভিশন ক্যারিয়ারেও সংশপ্তকই আমার মতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ।

৫৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১৬

স্বর্ণমৃগ বলেছেন: খুব ই প্রিয় একজন অভিনেতা।
ভাল থাকুন হুমায়ুন ফরিদী।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমারও খুব প্রিয়। আমি নিশ্চিত, আমাদের সবার দোয়ায় তিনি অনেক ভাল থাকবেন যেখানেই থাকুন।

৫৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৭

কাউসার রুশো বলেছেন: রাজু ভাই অনেক অনেক মন খারাপ
জানিনা আমি কখওনও সিনেমা বানাতে পারবো কিনা
যদি পারি মনে মনে কিছু জিনিস ঠিক করে রেখেছিলাম।

হুমায়ুন ফরিদীকে আমি অবশ্যই আমার সিনেমায় অভিনয় করাতাম। যেকোন মূল্যে
কিন্তু.................................................. :(
অনেক মন খারাপ অনেক

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: রুশো, আমার নিজেরও মনটা খুব খারাপ। এবং জানো, একটা সময় আমারও বড় স্বপ্ন ছিল যে নাটক বা সিনেমা বানাবো এবং সেখানে হুমায়ুন ফরিদীই প্রধান চরিত্র করবে!

৫৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৮

আরজু পনি বলেছেন:

:( :|

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: কিছু বলবেন না? নির্বাক? :(

৫৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৩৬

মিরাজ is বলেছেন: একজন অসাধারণ অভিনেতা। উনার তুলনা শুধুই উনি।


উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সামুর উচিত ছিলো বা করা উচিত উনার সম্মানে একটা ব্যানার।


ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোষ্টটির জন্য।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমিও মনে করি ব্লগ কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছিল একটা ব্যানার টানানো। এমনকি কচ্ছপগতির বাংলাদেশ সরকারও তাকে রাস্ট্রীয় মর্যাদা দিয়েছে, অথচ ব্লগে কোন সম্মান জানানো হল না।

ক্ষোভ প্রকাশ করলাম।

৫৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ফরিদীকে মিস করবো।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমিও মিস করব।

৫৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৫

শিপু ভাই বলেছেন: শৈশবে এই নাটকটি দেখার সুজোগ হয়েছিল। আমার প্রিয় ক্যারেক্টার ছিল "মালু"। তার একটা গান ছিল- "কে বা পিতা- কে বা মাতা??"


রিভিউ ভাল লাগলো।+++++++++++

প্রয়াত অভিনয় শিল্পি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন ফরিদীর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: প্রয়াত অভিনয় শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন ফরিদীর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

৫৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪

আলিম আল রাজি বলেছেন: অনেক প্রিয় একজন অভিনেতা আমার।

পোস্ট প্রিয়তে নিলাম।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমারও অনেক প্রিয় ছিলেন।

৬০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২১

কর্ন বলেছেন: ঐখানে একটা ডায়লগ ছিলো না " ঝিক ঝিক মালুম হ্যা " ???

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: কিছুটা বিভ্রান্ত আছি। এই সংলাপটা কি সংশপ্তকের নাকি উঠোন নাটকের?

৬১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৫

জুন বলেছেন: আমার সবচেয়ে প্রিয় অভিনেতা ফরিদীর মৃত্যুতে অনেক খারাপ লাগছে রাইসুল। এত শক্তিমান এবং ভার্সাটাইল অভিনেতা খুব কমই দেখা যায়।
+

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: উনি আমারও সবচেয়ে প্রিয়, বাই ফার।

৬২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে হুমায়ুন ফরীদির চেয়ে ভাল কোন অভিনয় শিল্পী আসবে কিনা জানিনা।
তবে এ পয়র্ন্ত যত অভিনয় শিল্পী বাংলদেশে তৈরী হয়েছেন হুমায়ুন ফরীদির ধারে কাছে কেউ নেই।
উপযুক্ত স্থান পেলে বিশ্বমঞ্চেও তিনি অনেকের উপরে থাকতেন।

অবশ্য দ্বিতীয় স্থানে লেখোয়াড়কে রাখতে পারেন!! :P :P :P :P !!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে লেখার জন্য।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: এ পয়র্ন্ত যত অভিনয় শিল্পী বাংলদেশে তৈরী হয়েছেন হুমায়ুন ফরীদির ধারে কাছে কেউ নেই।

সব শিল্পীর প্রতি সম্মান রেখেই আমি এই কথার সাথে একমত প্রকাশ করছি।

৬৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১৯

ছোটমির্জা বলেছেন:
হুমায়ুন ফরিদীর সহজাত গুনগলিকে উনি আরো ধারল করতে পারলে আমরা আরও চমৎকার একজনকে পেতাম।
যা পেয়েছিলাম -তাই আর পাব কি? পাব না মনে হয়?

তার জন্য খুব মন খারাপ লাগায় আক্রান্ত ছিলাম কয়েকদিন।
ভাল লিখেছেন রাজু ভাই।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আরেকজন হুমায়ুন ফরিদীকে খুব সহজে পাব না আমরা।

৬৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১২

শায়মা বলেছেন: সবাই হারিয়ে যাচ্ছে একে একে......

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুম। একে একে নিভিছে দেউটি। :(

৬৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২১

বিডি আইডল বলেছেন: অসাধারণ বললেও কম বলা হবে...."হুরমতি জলদি আইসো, ট্রেন ছুইট্যা যাবে"...কিংবা শেষ পর্বের "পাখী কিন্তু পলাইবো"....বাংলাদেশের ইতিহাসে এইরকম কোন ধারাবাহিক নাটক আর হয়েছে বলে মনে পড়ে না...আমি বইটা পড়ি সিরিজ দেখার পর...

অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটার জন্য

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের অসম্ভব জনপ্রিয় চারটা ধারাবাহিক (এইসব দিনরাত্রি, বহুব্রীহি, অয়োময়, কোথাও কেউ নেই) মাথায় রেখেও সংশপ্তককে বাংলাদেশ টেলিভিশনের এখন পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ প্রোডাকশন হিসেবে ধরা যায়।

৬৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৮

মোঃমোজাম হক বলেছেন: দু একটা নাটকের লিঙ্ক দিলে আরো ভাল হতো,বিশেষ করে সংসপ্তক।

সঠিক সময়ে শ্রদ্বা জানানোর জন্য ধন্যবাদ

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: লিঙ্কের কথা মনে হলেই বিটিভিকে গালি দিতে ইচ্ছা করে! তারা এইসব নাটক নিয়ে কবরে যাবে বা হয়ত ইতিমধ্যে নাটকগুলোকে কবর দিয়ে ফেলেছে।

আপনাকেও ধন্যবাদ শোক মিছিলে আসবার জন্য।

৬৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩

বুড়া মকবুল বলেছেন: রাইসুল জুহালা কে চিনি তার মন্তব্য এর কারনে।কিছু বিষয়ে তার অবস্থান ভুল ভাবে আমার কাছে উপস্থিত হয়।
অসম্ভব শক্তিমান এই লেখকের লেখা এটাই আমার প্রথম।শুধু ফারিদী স্যার এর নাম ছিল বলেই নিজেক আটকিয়ে রাখতে পারিনি। আর না হলে জুহালা নামের পোষ্ট গুলো এরিয়ে চলতাম।
বিশ্বাস করুন সব রাগ জল হয়ে গেল।ভুল ধারনা গুলো ভুল ই থাক।
জাতি হিসাবে আমরাই বড় অদ্ভুত , প্রচণ্ড ঘ্রিনা বা ভালবাসা কোনটি করতেই এক মুহূর্ত সময় নেই না,।স্থান কাল পাত্র বিবেচনা না করে অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।
এই অসম্ভব আবেগি জাতির অংশ হতে পড়ে গর্বিত।
লেখক কে পরম মমতায় অনুসরন করলাম।
আমরা আবেগি বলেই হয়ত ফারিদীরা সৃষ্টিশীল।
লেখক ও পোষ্ট সরাসরি প্রিয়তে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ওরে বাপরে! আপনার মন্তব্য পড়ে খুব বেশি বিষ্মিত হলাম। আপনি আসলেই খুব আবেগী মানুষ। আপনি আমার কোন মন্তব্য পড়ে বীতশ্রদ্ধ হয়েছিলেন? আপনার সাথে কখনো কোন বিষয়ে তর্ক হয়েছিল বলে মনে পড়ছে না। অবশ্য আমার স্মরনশক্তি বেশি সুবিধার না। আমার সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন অনেক ওভাররেটেড, কিন্তু আমি মানুষটাও লোভী। যোগ্যতা ছাড়াও যদি কিছু পাই, সেটা কখনো ফিরিয়ে দেই না বরং মাথায় তুলে রাখি। অনেক ধন্যবাদ।

আমরা আবেগি বলেই হয়ত ফারিদীরা সৃষ্টিশীল।

এটা একটা দারুন কথা বলেছেন। শতভাগ সহমত।

৬৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৪৪

আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন:
বরাবরের মতো জোশ লেখা। ধন্যবাদ।
সংশপ্তকের কথা আবছা আবছা মনে আছে।

হুমায়ুন ফরিদী কি একটা নাটকে জাদুকরের অভিনয় করেছিলেন- মনে আছে কি? সুবর্ণা মোস্তফাও ছিলেন সেই ধারাবাহিক নাটকে। সাথে অনেকগুলো বাচ্চা পোলাপান ছিলো।
আপনার লেখা পড়তে পড়তে সেটার কথা মনে পড়ল।

নাটকটা মনে হয় শুক্রবার সকালে দিতো।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ওয়াহিদ।

হুম। নাটকটার কাহিনী এবং প্রচার সময় দেখে মনে হচ্ছে এটা শিশু-কিশোরদের নাটক ছিল। বিটিভিতে সেসময় প্রচুর এ ধরনের নাটক হত যেমন লুৎফর রহমান রিটনের ঝন্টু-পন্টু, বেগম মমতাজ হোসেনের আপনপর ইত্যাদি। আমি যেহেতু তখন আর ঠিক শিশু বা কিশোর পর্যায়ে নাই, এই নাটকগুলোর খুব নিয়মিত দর্শক ছিলাম না। সেকারনে মনে করতে পারছি না! বড়দের কোন ধারাবাহিকে হুমায়ুন ফরিদী জাদুকর ছিলেন, আবার সুবর্নাও ছিলেন, সেরকম নাটকও মনে পড়ছে না। :(

৬৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: অফটপিক:

@রিফাত হোসেন, আপনার বোধহয় ধারনা যে শহীদ মিনারে ভাষা সৈনিকদের কবর আছে! আন্দাজে এই ধরনের আজগুবি ধারনা না করলে ভাল হয়। শহীদ মিনার বা সাভার স্মৃতিসৌধে কারও কবর নাই। এখানে ফুল কোন মৃতব্যক্তির জন্য দেয়া হয় না। দেয়া হয় নিজেদের চেতনাকে সমুন্নত রাখার জন্য। এত বছর ব্লগিং করছেন, আরেকটু ম্যাচিউরড মন্তব্য আশা করেছিলাম।








আমি কোথায় বললাম মিনারের নীচে কবর আছে ?????????????

আপনি কি বোকা নাকি =???????

বোকার মত কথা বলেন কেন ?

আমি তো মিনারে আজাইরে ফুলের সুবাস দিতে আপত্তি প্রকাশ করলাম ! তাই নয়কি =?

আর তুলনায় বললাম মিনারে ফুল দিলে কবর থেকে শহীদের কিছুই হবে না । এখন এইটার মানে তো এই তো নয় কবর মিনারের নীচেই থাকব ।

আর বাস্তবতা হল এই মিনার পুন: নির্মিত । যাউগ্গা ।

বোঝার আগে না বুইঝা পাল্টা মন্তব্য করবেন না ।

-----------


অনটপিক: +++

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে যাদের অ্যালার্জি তাদের সাথে আসলে আলোচনায় যেতে আমার আগ্রহ নাই। বিদায় হোন দয়া করে।

৭০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১০

গানচিল বলেছেন: ৫০ নং এর উত্তরে........ফরিদী/নূর অভিনীত ঐ নাটকটির নাম " আমরা দুই ভাই"। অধমের কাছে আছে নাটকটা। যদিও ভিএইচএস এ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার কাছে তো প্রচুর নাটক আছে মনে হয়। এগুলো আপলোড করে দিন আমাদের জন্য। আমরা সবাই মিলে দেখি। আমি নিশ্চিত আপনার কাছে সংশপ্তকও আছে, তাই না? ভিএইচএস এ বেশিদিন রাখলে ফাঙ্গাস পড়ে নষ্ট হয়ে যাবে।

অগ্রীম ধন্যবাদ।

৭১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এতবছর পরও অসাধারন রিভিউ। এই নাটকটির কিছুই ভুলিনি। শেষদিকটা কেন এমন খাপছাড়া ছিলো এতবছর পর বুঝলাম।

অনেক অনেক স্মৃতি ...........।

আপনারে পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য মাইনাস......

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৪৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ভালবাসার মাইনাস সাদরে গৃহীত। :)

৭২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ঢাবি’র ছাত্র থাকাকালীন সূবর্ণা মুস্তাফার সাথে আমার পরিচয় ক্যামেলিয়া( পবর্তী সময় তিনি নামের শেষে মুস্তাফা ইউজ করতেননা/করেননা)র মাধ্যমে। তখন ক্যামেলিয়া ঢাবিতে তথা সাংস্কৃতিক অংগনে নামী প্রেজেন্টার-সেই সূত্রে ক্যামেলিয়া আমার সিনিয়র এক বন্ধুর ঘনিষ্ট জন ছিলেন। আমি সূবর্ণার ভক্ত হয়েছিলাম তার অভিনীত “ "সূভা"” নাটক দেখে, সূবর্ণা সুভা চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন। আমি লোক প্রশাসনের ছাত্র হলেও একই বর্ষের ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্রী সুবর্ণার সাথে আমিই যেচে পরিচিত হয়েছিলাম নিজ উদ্যোগেই। সেই পরিচয় সূত্রে সেন্ট্রাল রোডে তাঁদের বাড়িতেও কয়েকবার যাওয়া আসা এবং শ্রদ্ধেয় গোলাম মুস্তাফার সাথেই বেশী সুন্দর সম্পর্ক হয়ে যায়। গোলাম মুস্তাফাকে প্রথমে চাচা সম্বোধন করতাম। ব্যাবসায়ীক জীবনে চাচা সম্বোধন বাতিল হয়ে মুস্তাফা ভাই হয়ে যান! মুস্তাফা ভাইয়ের সাথেই আমার গভীর সম্পর্ক হয়। একই সূত্রে পরবর্তীতে হুমায়ুন ফরিদীর সাথে পরিচিতি ছিল। তিনি যখন ধান্মন্ডিতে ফ্ল্যাট ক্রয় সূত্রে স্বপরিবারের বাসকরতেন-তখন হাই হ্যালোর যোগাযোগটা আরো বেশী হয়। হুমায়ুন ফরিদী তেমন কথা বলতেননা। অপছন্দের মানুষ হলেতো একেবারেই বলতেননা-বরং বিরক্ত হতেন। আমিও সম্ভবত ওনার অপছন্দের তালিকায় ছিলাম।

আমি,আমার স্ত্রী নিয়মিত মঞ্চ নাটক দেখতাম। আমার প্রিয় শিল্পী হুমায়ুন ফরিদীর মঞ্চ নাটক হলে বাদ দিতামনা।মঞ্চ টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র-তিন মাধ্যমেই এই কিংবদন্তি অভিনেতা সফল ছিলেন।প্রিয় অভিনেতা অসময়ে এভাবে চলে গেলেন ভাবতে খুবই কষ্ট হয়।

বছর দুই আগে একবার আমি লন্ডন থেকে দেশে ফিরছিলাম। একই ফ্লাইটে ফিরিছিলেন হুমায়ুন ফরিদী। তিনি নরওয়ে কিম্বা সুইডেন থেকে ফিরছিলেন। আমি জাহাজে ওঠার সময় ওনাকে দেখি। আমাদের দুজনের সীট বেশ দূরে। আমি ওনার পাশের সীটে বসা যাত্রীকে অনূরোধ করে ওনার পাশে বসতে চাইলে-তিনি বললেন “আমার কাছে বইস্যাতো মজা পাইবানা, যেখেনে আছো-সেখানেই বসো”। হ্যা, আমি ওনার পাশেই বসেছিলাম। সেই জার্ণীটা খুবই বোরিং হয়েছিল। কারন তিনি পুরোটা পথই বইয়ের মধ্যে মুখ গুজে ছিলেন।আমি যেচে কথা বলার চেষ্টা করার একটু হেসে শুধু মুখ তুলতেন-আবার বইয়ের দিকে ফিরে যেতেন। চোখের ভাষায় বলে দিতেন-“ডিস্টার্ব করোনা”। এমনকি খাবারের সময়ও উনি কথা বলেননি-হয়ত এটাই একজন মহান শিল্পীর একধরনের খেয়াল! আমি এতীমেরমত ওনার পাশে বসে বারবার হাই তুলছিলাম!

উনি নিজ বলয়ের মানুষদের বাইরের কারো সাথে খুব কম কথা বললেও ওনার কাছাকাছি/পরিচিত থাকার মধ্যেও একধরনের তৃপ্তি ছিল। আমি তাকে খুব কাছ থেকে যতটুকু দেখেছি,তিনি খুব বিনয়ী,সুশিক্ষিত এবং ব্যক্তিত্ব সমপন্ন ভালো মানুষ ছিলেন। তার মতো একজন শক্তিমান অভিনেতাকে কারও সঙ্গে তুলনা করা চলে না। তার তুলনা তিনি নিজেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে এত বড় মাপের একজন শিল্পীর সান্নিধ্য লাভ করে ধন্য ও গর্বিত। উদার হৃদয়ের অধিকারী এই শিল্পীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই আমার। কিন্তু তাঁর অভিনয় দর্শক ভক্ত হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হুমায়ুন ফরীদি সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে একজন মহান শিল্পী হিসেবেই বেঁচে থাকবেন চিরকাল।

এমন সুন্দর একটি পোস্টে ৩৬তম ভাল লাগা এবং আপনার জন্য নিরন্তর শুভ কামনা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০১

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুমায়ুন ফরীদি এবং তার পরিবারকে নিয়ে চমৎকার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৮

মুনতাশীর বলেছেন: অনেক দেরীতে মন্তব্য করার জন্য স্যরি। আমি মূলত সপ্তাহের একদিন বৃহসষ্পতিবারই ব্লগে বসার সুযোগ পাই।

প্রিয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদীর অভিনয় জীবন নিয়ে নিয়ে এমন সুন্দর বিশ্লেষণী পোস্ট আর পড়িনি।

ভাল লাগল।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: না, না। সরি কেন! দেরি কোন বিষয় না। আপনি আপনার ব্যস্ত ব্যক্তিগত জীবন থেকে কিছুটা সময় বের করে শোক মিছিলে অংশ নিতে এসেছেন, সকল ফরীদি ভক্তদের পক্ষ থেকে আমি এতেই খুশি।

ধন্যবাদ আপনার প্রশংসাবাক্যের জন্য।

ভাল থাকবেন, অনেক ভাল।

৭৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪৬

বুড়া মকবুল বলেছেন: রাইসুল জুহালা বলেছেন: মুসলমান কখনও আক্রমন করে না, সে আত্মরক্ষার্থে তরবারী ধরে বলেই শুনে এসেছি। এই ফান লাইনটা মনে হয় লোকে মিস করে গেছে! আজকাল দেখি মানুষ আপনার পুরো পোস্ট পড়াই বন্ধ করে দিয়েছে। এটা রিভার্স পোস্ট।

রিভার্স টা সবার মতো আমারো মাথায় ঢুকলোনা :(
আমি আজ থেকেই গামলা ভর্তি করে করে আয়োডিন যুক্ত মোল্লা সুপার সল্ট খাবো :(( :(

আপনার নির্লজ্জ কৌ প্রিতি আমার কাছে বিরক্ত লেগেছিল। এছাড়া পূর্বের আর কিছু মন্তব্য একপেশে মনে হয়েছিল।
ধন্যবাদ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: পরে জবাব দিব।

৭৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৮

আউলা বলেছেন: মনে নাই এই নাটকের ঘটনা খালি মনে আছে আম্মুরা দেখতো খুবই আগ্রহ করে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার আম্মুকে আমার সালাম। এই রিভিউটা ওনাকে দেখান, উনি কি বলেন সেটা জানাবেন কিন্তু।

৭৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫১

টুকিঝা বলেছেন: আমার জন্মেরও আগের নাটক! তবু অনেকবার শুনেছি নাম, গল্প!
সুন্দর পোস্ট, সুন্দর রিভিউ। ভাল লাগা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৯

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৭৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১২ রাত ১:১১

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: বাংলাদেশের অভিনয় জগতে হুমায়ুন ফরীদি এক বিস্ময়কর প্রতিভা।

০৩ রা মার্চ, ২০১২ রাত ২:৫৫

রাইসুল জুহালা বলেছেন: সহমত।

৭৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ ভোর ৪:৩২

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: এই অভিনেতা এই দেশে না জন্মে আমেরিকায় জন্মালে আজ সারা বিশ্ব জুড়ে উনার খ্যাতি থাকত, আমি বিশ্বাস করি। উনাকে খল চরিত্রেই বেশী চিত্রায়ন করা হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় নায়ক চরিত্রেই উনি বেশী যোগ্য। আমাদের আবার ননীর পুতুলের মত চেহারা না হলে কাউকে নায়ক বলে মনে হয় না।

সংশপ্তক মহাভারতের একদল চরিত্রের নাম। ঠিক স্পষ্ট মনে নাই, যতটুকু মনে পড়ে, এরা ছিল একদল সৈন্য যারা আগুনের সামনে শপথ নিত যে অর্জুনকে হত্যা না করা পর্যন্ত এরা যুদ্ধ থামাবে না, যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুবরণ করবে। প্রথমদল শপথ নিয়ে যুদ্ধ করে সব মারা গেল আবার দ্বিতীয় আরেকদল এরকম শপথ নিত। এইভাবে যারা যুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমৃত্যু যুদ্ধ করার অগ্নিশপথ নেয় তাদেরকেই সংশপ্তক বলে। সম্ভবত দলের সদস্য সংখ্যাও নির্দিষ্ট থাকে, ঠিক মনে নাই, অনেক আগে পড়া মহাভারত, সব ভুলে গেছি।

০৫ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:৩৬

রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুমায়ুন ফরীদি আসলেই একজন বিশ্বমানের অভিনেতা। আমাদের পরিচালকেরা তাকে ব্যবহার করতে পারলেন না। বরং শেষ ৭-৮ বছর টিভি নাটকে দেখে মনে হয়েছিল, সিনেমার অতি অভিনয় তার অভিনয় প্রতিভাকে কিছুটা নষ্ট করে দিয়েছে।

সংশপ্তকের ব্যাখ্যা দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এটা আমার জানা ছিল না।

৭৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:৫৬

সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: এই নাটকটি যখন চলে তখন আমি একদমই শিশু বলা যায়। স্কুলে যাই বা যাই না। তবে দৃশ্য গুলো বেশ চোখে ভাসে। রমজান লেকুকে দাউ দিয়ে কুপাইছিলো। শুরুতে খলিলের ডায়লগ ছিলো "টাকা আমার চাই নইলে জমি", সুবর্ণার শুরু তে একটা ডায়লগ ছিলো, "তুমি আমার এমন সর্বনাশ করতে পারলে মেজ ভাই" তারিক আনাম বলে, "তুই কী চাস?" সুবর্ণা বলে "তুমই আমার বাবাকে ফিরিয়ে আনো , আমার স্বামীকে ফিরিয়ে আনো।" । মামুনুর রশীদের নাম ছিল সেকান্দার মাস্টার। তার ছোট ভাই চরিত্রে মাস্টার শাকিল অভিনয় করেছিলেন(ওর চরিত্রের নামটা ভুলে গেছি)। তারিনের চরিত্রের নাম ছিলো রাসু। আরিফা নামে সৈয়দ সাহেবের মেয়ে ছিলো। মালুর গান ছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পিছনে রেখে "কিবা পিতা কিবা মাতা কিবা আপনজন ...."। নাটকে রমজান চরিত্রটি দারুণ ছিলো।
প্রয়াত হুমায়ুন ফরিদী আমার অসম্ভব প্রিয় অভিনেতা। অনেক দেরিতে পোস্ট পড়লাম। তবুও শ্রদ্ধা রেখে গেলাম।

৮০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৫১

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাল লাগল।

আমার মতে বাংলাদেশে হুমায়ূণ ফরিদীর মত এক্সপ্রেসিভ অভিনেতা আগেও ছিলেন না আগামীতেও আসবে না।

আপনার খবর কি ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.