![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের জন্য লিখি আমি,নিজের জন্য বাঁচি,নিজের জন্য ভূবন আমার,হৃদয় দুয়ার মাঝি।হতাশার কাছে মাথা নত করে জীবনের শুরুশেষে, হতাশাকে ফেলে বাস্তবতাকে মানিয়া নিয়েছি মনে।আমার পথ চলা অভ্রনীল কোন পথিকের পথে,আমার পথ চলা কোন বিষাদময় গতির পথে,আমার পথ চলা অর্ন্তহীন পথে,পথে পথে ঘুরি শুধু পথের সন্ধানে।বসে আছি শুধু তোমার পথ চেয়ে কবে আসবে তুমি ধরবে এই হাত,কুয়াশাতে ভিজবো দুজন মনেতে রবে না কোন ক্ষাত।নীলখামে মোড়া পত্র তোমায় দিবো প্রতিমাসে,বুঝ বে তখন হৃদয়ে আমার কত ভালবাসা লুকিয়ে আছে।:-D:-D:-Dহয়ত জীবনের অর্থ একদিন বুঝতে পারবো কিন্তু সেদিন জীবনে উপলব্ধি বলতে কিছু থাকবে না।চোখে থাকবে হয়ত মোটা ফ্রেমের চশমা,ঠিকভাবে দাড়িয়ে থাকার জন্য হয়ত হাতে থাকবে লাঠি
(পরিচিত একটি পরিবারের কাহিনী একটু লিখার চেষ্টা করেছি )
গাঁদা ফুলের গাছটা খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গেল আর কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো ফুল ও ফুটবে । অরুনা রোজ বিকেলের এই সময়টাতে জানালার পাশে বসে থাকে । পরিবারের কেউ এই সময়টাতে তাকে বিরক্ত করে না । অরুনার এক মাত্র ছেলে অয়ন এইবার ক্লাস টু তে উঠলো । দেখতে দেখেতে ছেলেটি কেমন বড় হয়ে যাচ্ছে ঠিক যেন এই গাঁদা ফুলের গাছটির মত । সময় ব্যাপারটা যেন কেমন কেউ অনেক অনেক সময় অতিবাহিত করে কেউ বা খুবই অল্প ।
ছেলেটিকে নিয়েই অরুনার সব কিছু ওর বাবা তো সারাদিন অফিস করতেই ব্যস্ত । সেই সকালে যায় ফিরতে ফিরতে রাত ১০ টা । সারাদিন ছেলেকে নিয়েই কেটে যায় অরুনার ।
এইতো সেদিন অয়নের স্কুলের বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতাতে অয়নের বাবা ও গিয়েছিল, অরুনা যে কি খুশি হয়েছিল । অয়ন বিস্কুট খেলায় ২য় হয়েছিল সেই জন্য একটি পুরস্কার পেয়েছিল । আর এই অয়নের বাবাও পারে অয়ন ভাল কিছু করলেই আমার ছেলে বলে অস্থির আর কিছু খারাপ করলেই তোমার ছেলে বলে দোষ দিয়ে শেষ ।
আর কতদিন ?? হইত কয়েকটি দিন । অরুনার সব কিছু এই অয়ন কে ঘিরে । মা ছাড়া ও একদম কিছুই বুঝে না । অরুনার ই ভুল হয়েছে এত আদর দিয়ে দিয়ে ওকে মাথায় তুলে রেখেছে ।
রিপোর্টটি পাওয়ার পর থেকে অরুনার নিজেকে অনেক স্বার্থপর বলে মনে হচ্ছে । সবাইকে ছেড়ে সে চলে যাবে । কিন্তু কেন যেন অরুনার যেতে ইচ্ছা করে না । কিন্তু জেতেই হবে । ডাক্তার বলে দিয়েছে অনেক সময় আছে এখনো ।
কিন্তু অরুনা জানে ব্রেইনের পানি এক-তৃতীয়াংশ পরে গেছে । জগতের আজব সব রোগ , ব্রেইনের একটি সেলে ফুটো দেখা দিয়েছে আর পানিগুলো নাকদিয়ে বের হয়ে আসে । যার কোন চিকিৎসা আজ পর্যন্ত বের করতে পারি নি । আর তো মাত্র কয়েকটা দিন ।
প্রতিদিন অয়নকে হাতে তুলে খাওয়াতে হয় ছেলেটা মাছের কাঁটা বেঁছে খেতে পারে না । পারবে কিভাবে সবে তো ক্লাস টু তে পরে ।
অয়নের বাবার চোখের নিচে দিন দিন কালি জমছে । আরে কেউ কি চিরদিন বেঁচে থাকে । অরুনা কিছুই বলতে পারে না ।
আত্মীয়-স্বজনরা দেখা করতে আসে তবে কেন যেন সব কিছু ফ্যাকাসে লাগে ।
তারপর হুম তারপর ...............
গাঁদাফুলের গাছটি বড় হতে থাকে এক সময় ফুল ফোটে কিন্তু সেই মধ্য বয়সের মেয়েটিকে আর জানালার পাশে দেখা যায় না । অয়নকে কেউ মাছের কাঁটা বেঁচে দেয় না । অয়নের বাবা তোমার ছেলে বলে দোষ দেয়ার সেই মানুষটিকে খুঁজে পায় না । সে অনেক স্বার্থপর অনেক বেশি স্বার্থপর ।
©somewhere in net ltd.