নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্তায় পাওয়া ডায়েরী থেকে- ২৩

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

পাঁচ মাস ধরে "রাস্তায় পাওয়া ডায়েরী থেকে" লিখছি না । না লেখার পেছনে কারণটাও খুঁজে পাচ্ছি না । এমন না যে কাজে খুব ব্যস্ত ছিলাম । কিছু কিছু লেখা নিয়মিত লিখতে না পারলে ভালো লাগে না । আমার সমস্ত লেখা তুচ্ছ এবং ফালতু তা আমি খুব ভালো করেই জানি । অবশ্য এজন্য আমি মোটেও বিচলিত নই । মজার ব্যাপার হলো- তুচ্ছ এবং ফালতু লেখা লিখতে লিখতে প্রায় সাত 'শ লেখা লিখে ফেলেছি । হারাতে হারাতে কিছু পেয়ে যাই- সেটুকুই মোর শান্ত্বনা । যে কোনো বিষয় লিখতেই আমার তেমন ভাবতে হয় না । সময়ও বেশী ভালোলাগে না । একটা সাদা পৃষ্ঠা পেলেই হলো। একটার পর একটা লাইন আসতেই থাকে । তবে তথ্য ভিত্তিক লেখা লিখতে অনেক সময় লাগে । যেমন "রবীন্দ্রনাথের কোনো বিকল্প নাই" দু'বছর ধরে লিখছি ।



আমার আর একটা ধারাবাহিক লেখা আছে "টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা" । এটা লিখেও অনেক আনন্দ পাই । "বনলতা সেন এবং বিষন্ন এক কবির কথামালা" জীবনানন্দ নিয়ে ধারাবাহিকটি এখনও শেষ করতে পারিনি । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ধারাবাহিক লিখেছি- "জয় বাংলা" নামে। অনেক গুলো কবিতাও লিখেছি । কবিতার মতন করে কিছু লিখেছি- আসলে এগুলো কবিতার কিছুই হয়নি । তারপরও খুব চেষ্টা করি নিজের মনের এলোমেলো কিছু কথা কবিতার মতন করে লিখতে । অনেকে আমার সস্তা লেখা গুলো খুব মন দিয়ে পড়েন এবং তারা আমাকে জানান লেখা গুলো তাদের ভালো লেগেছে, শুনে খুব আনন্দিত হই । আমার কাজ দু'টা । প্রথম কাজ হলো ছবি তোলা । ছবি তুলেই চা সিগারেটের জোগাড় হয় । আর লিখে আত্মাত শান্তি পাই । অনেক কথা আছে- মুখে বলতে পারি না- কিন্তু অনায়াসেই লিখে ফেলতে পারি ।



"শেষ কথা" নামে ধারাবাহিক লেখাতে আমি আমার জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো লিখেছি । লিখতে গিয়ে অনেক আনন্দ পেয়েছি- পুরনো স্মৃ্তি গুলো বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠে । আমার ইচ্ছা আছে এই ধারাবাহিকটি ১০০ পর্ব পর্যন্ত লিখব । আমি কিছু লিখতে গেলে মিথ্যা লিখতে পারি না । অনেকে মিথ্যা এত সুন্দর করে লিখতে পারেন যে ঈর্ষা হয়। আমি মিথ্যা কথা বলতেও পারি না । হাত পা কাঁপে, কথা জড়িয়ে যায় । আমার পরিচিত এক ফটোগ্রাফার দারুন মিথ্যা বলে । আমি তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি । তার হাত কাঁপে না পা ও কাঁপে না । এবং তার ধারনা সে একজন মহৎ মানুষ-নীতিবান । আমার ধারনা এই ধরনের মানুষ সমাজের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর ।



ছোট ছোট বেশ কিছু গল্প আমি লিখেছি । আমার সব গল্পের নায়িকা হলো 'হিমি'। আর নায়ক হলো গুল্লু । হিমি হাসি খুশি একটি মেয়ে । তার মাথা ভরতি চুল। সে সব সময় চোখে কাজল দেয় । এবং তার কাঁচের চুড়ি খুব পছন্দ । সে গুল্লুকে অনেক ভালোবাসে । গুল্লুকে মধ্যরাত্রে চা বানিয়ে দিতেও তার কোনো অনিহা নেই । হিমির একটাই সমস্যা গুল্লু নামের ছেলেটাকে কি পরিমাণ ভালোবাসে তা সে গুল্লুকে বুঝাতে পারে না । হয়তো বুঝাতে চায়ও না । হিমির আর একটা বড় ব্যাপার হলো- সে খুব ভালো রান্না করতে পারে । গুল্লু হলো একটা ছন্নছাড়া টাইপ ছেলে । সে শুধু রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় আর রাস্তার পাশের দোকান থেকে চা খায় । তাকে দেখলে মনে হয় সে খুব অলস কিন্তু না গুল্লু একবার কাজ শুরু করলে চারজন মানুষের কাজ সে একাই করে । গুল্লুর যখন খুব রাগ হয়- তখন সে একা একা মাঝ রাস্তা দিয়ে এলোমেলো খুব হাঁটে । হিমি এই ব্যাপারটা একেবারেই পছন্দ করে না ।



গতকাল রাতে স্বপ্নে দেখি- আমি আমার সব প্রিয় মানুষ ছেড়ে জঙ্গলে চলে গেছি । একা একা থাকি । ক্ষুধা পেলে বন থেকে ফল-টল সংগ্রহ করে খাই । রাতে চিন্তাহীন ঘুম দেই । বনের পশুদের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছে- তারা আমার কোনো ক্ষতি করবে না । ছেড়ে আসা কোনো প্রিয় মানুষের কথা ইচ্ছা করেই মনে আনি না । অনেক রাত পর্যন্ত নদীর ধারে টীলার উপর বসে থাকি । আকাশের তারা দেখি । ব্যাপক আনন্দ ! হঠাৎ কোথা থেকে একটি মেয়ে এসে হাজির । মেয়েটকে একটা বাঘ তাড়া করেছে- মেয়েটি আমার সামনে এসে, আমাকে বলল- বাঘ ! বাঘ ! আমাকে বাঁচান ।

আমি বললাম কোনো ভয় নেই- আমি আছি । আমি মেয়েটির হাত ধরলাম, মেয়েটি ভয়ে কাঁপছিল । বাঘটি এসে আমাকে দেখে চলে গেল । এমন ভাব যেন- ওস্তাদ স্যরি...ভুল হয়ে গেছে । ক্ষমা করবেন । তারপর সারারাত মেয়েটির সাথে অনেক গল্প করলাম। মেয়েটির অনুমতি নিয়ে মেয়েটিকে অনেক আদর করলাম ।



তারপর বনে আমাদের সংসার জীবন শুরু হলো । দুই বছরের মধ্যে তিনটা বাচ্চা হলো । প্রথম বছর দু'টা জমজ বাচ্চা পরের বছর একটা । খুব আন্দময় জীবন। জঙ্গলে জ্যাম নেই, লোডশেডিং এর চিন্তা নেই । চুরী, ছিনতাই এর ভয় নেই । দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই । বৌ এর শপিং এর ঝামেলা নেই । মোবাইল নেই । হরতাল নেই । কেউ কুপিয়ে মেরে ফেলবে এই ভয় নেই । বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরি বৌ আগুনে পুড়ে দেয়- ফরমালিন মুক্ত মাছ, আহ ! ফরমালিন মুক্ত ফল । বাচ্চা গুলোও খুব নাদুস-নুদুস হয়েছে । রাতের বেলা বৌ গান গেয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়- "ঐ পাথুরে শহর ছেড়ে সবুজ তেপান্তরে/স্বপ্ন কিছু সাজিয়ে নিতে সুখের বন্যা ধারায়/শেষ হবেনা কোন দিন যুগল পথচলা। "

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.