নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মানুষ তার ঘর থেকে তেলাপোকা, মশা-মাছি, ধূলোবালি তাড়ায় আর আমি নিজের কাছ থেকে আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব তাড়াই। কারণ কিছু লোকের বোকামি গোঁড়ামি ন্যাকামি একেবারেই সহ্য করতে পারি না । তাদের সান্নিধ্যে অস্বস্থিবোধ করি ।ইচ্ছা করে তাদের গালে ঠাস ঠাস করে পাঁচ টা থাপ্পড় দেই। তিনটা না পাঁচটা । তিনটা থাপ্পড়ে হলে কি পাঁচ টার কথা বলতাম ? যদি তিন দিনের ঔষধে কাজ হতো তাহলে ডাক্তার সাত দিনের ঔষধ দিত না ।আর যাদের সঙ্গ আমার ভালো লাগে তাদের সন্তুষ্ট করতে পারি না । যাদের সাথে মনের মিল নেই, বুদ্ধির সমতা নেই, চিন্তার মিল নেই- তাদের সাথে আমি একে বারেই মিশতে পারি না । আমি চাই স্বাধীনতা, শান্তি- আনন্দ । এযুগের বেশীর ভাগ মানুষই দেশ প্রেমিক কিন্তু বিশ্বাসঘাতকও কম নেই ।
এক সময় আমি নানান রকম বই টই কিনতাম। মানুষের সঙ্গ পরিত্যাগ করে বইকেই বেছে নিয়ে ছিলাম । তখন আমার কোনো শত্রু ছিল না । বেশ ছিলাম । দিন রাত শুধু বই পড়তাম । বাইরেও বের হতাম না । মা শুধু বলতো- আমার পন্ডিত, আমার পন্ডিত !আগে আমি অনেক লিখতাম । অনেকে আমার লেখা পছন্দ করতো । অনেক কঠিন সমালোচনা করতো । সমালোচনা মানেই তো, "আমার কেমন লাগল সেইটা স্পষ্ট করে বলা"। কিন্তু অনেকের স্বভাবই হচ্ছে- খোঁচা দিয়ে কথা বলা। সমালোচনা এবং খোঁচা এক জিনিস নয় । কেউ আমায় বকলে ফ্যাল ফ্যাল করে বোকার মতন তাকিয়ে থাকি । মাথা গুলিয়ে যায় । আবার রামায়ন পড়তে গেলেও মাথা গুলিয়ে যায় ।
সময়ের সাথে সাথে সব কিছু বদলে যায় । যাকে সুখ শান্তি এবং আদর্শ ভাবি, দুইদিন পর সেই-ই অসুখ এবং অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় । রবীন্দ্রনাথ একজন মহান সাহিত্যিক। এখন, তাকে যদি আমি ঝালমুড়িওয়ালা ভাবি, তাহলে ব্যাপারটা কেমন হয় ? আমি অনেক ভেবে দেখলাম শতকরা নব্বই জনের সাথে নব্বই জনের মিলে না । শুধু মিলের অভিনয় করে যায় । ইদানিং নিজেকে কুমির বলে মনে হচ্ছে । কিন্তু সব সময় আমি আদরে তুলতুলে খরগোশ হয়েই থাকতে চেয়েছিলাম ।যে কোনো অবস্থাতে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারি না । মাঝে মাঝে ভাবি আমাদের দেশে যদি কার্ল মার্কস, লেনিন, আইনস্টাইন, বুদ্ধ, বার্টেন্ড রাসেল অথবা ফ্রয়েড জন্মাতেন !
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্ষ্যাপা পরশ পাথর খুঁজে বেড়াত । আমি খুঁজে বেড়াই এক আকাশ আনন্দ- যা এদেশে পাওয়া সম্ভব নয় । আমাদের দেশের নিয়ম হচ্ছে-সকলের মন রক্ষা করে চলা, মানে তেল দেওয়া । সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চাকরীজীবি, ব্যবসায়ী, দালাল সবাইকে তেল দেওয়া । কিন্তু আমি এদের গন্ডির মধ্যে থাকতে চাই না । আমি যদি মাছ হতাম তাহলে তাদের টোপ গিলে ফেলতাম । আমি মাছ নই তাই একটু হেসে এড়িয়ে যাই । মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক কি দিয়ে হয়? কেন হয় ? আজকাল তো কারো মধ্যে মনুষ্যত্ব দেখি না । এযুগে প্রান ভরে প্রেম করা যায় না । ভালোবাসা যায় না । এমনকি প্রান ভরে কাউকে ঘৃ্নাও করা যায় ।
অনেকদিন আগে আমি একটা ভিক্ষুককে রোজ ভিক্ষা দিতাম । সে একদিন আমার মাথায় হাত রেখে বলল - বাবু, আমাকে মা বলে ডাকো । তারপর পায়ে হাত দিয়ে সালাম করো আমি তোমাকে দোয়া করে দেই ।"মানুষের মত মানুষ হও, আমি দোয়া করছি তুমি হবে ।" সেদিন অনেক বড় একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম । সেই ভিক্ষুক সেদিন আমাকে রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতা শুনিয়ে ছিল। "সব ঠাঁই মোর ঘর আছে, আমি সেই ঘর মরি খুঁজিয়া"। অদ্ভুত মানুষের সৃস্তি সংগ্রহ করে রাখার বাতিক আছে আমার ।
You Are My Pumpkin, Pumpkin,
Hello Honey Bunny...
I Am Your Dumpling, Dumpling,
Hello Honey Bunny...
Feeling Something Something,
Hello Honey Bunny...
Honey Bunny, Toko Toko...
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৭
শিপন মোল্লা বলেছেন: "সব ঠাঁই মোর ঘর আছে, আমি সেই ঘর মরি খুঁজিয়া"। আসলেই অদ্ভুদ।