নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ কথা-২২

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৬

রোজার আগে সরকার বলেছে- বাজারে জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।সত্যি কথা বলতে কোনো জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রনে নেই। আমাদের দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশী- কেউ তাদের খোঁজ রাখে না। আমি নিজে ঢাকা শহরের বেশ কয়েকটা বাজার ঘুরে ঘুরে দেখেছি। একদল মানুষ পাগলের মতন শুধু কিনে যাচ্ছে। কোনো জিনিস দামা-দামী করছে না। আর একদল মানুষ দশটা টাকা কমানোর জন্য খুব দামা-দামী করছে। আর যারা একদম গরীব তারা বাজার ঘুরে ঘুরে সারাদিন সংগ্রহ করে পড়ে থাকা- একটা আলু, পেঁয়াজ এবং ফেলে দেওয়া শবজি ।গুলো বাসায় নিয়ে রান্না করে খায়। দুঃখের কথা হচ্ছে- এই পবিত্র মাসে দরিদ্র মানুষ গুলোর কষ্ট খুব বেশী কষ্ট হয়।



কয়েকজন ব্লগারদের ধরে নিয়ে জেলখানায় আটকে রাখল।আর কু রুচির বুড়া, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী- মেয়েদের নিয়ে চূড়ান্ত রকমের অশালীন কথা বলেছে- তাকে কেন জেলখানায় পাঠানো হলো না? আমি যদি পারতাম বাংলাদেশের সমস্ত মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতাম। মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা গ্রহন করে কোনো লাভ নেই। আলেম দিয়ে দেশের কোন উপকার টা হয় ? বরং জঙ্গি তৈরি হয়। ওয়াজ করা, মিলাদ পড়ানো, কেউ মরে গেলে কোরান খতম করা। আজাইরা কাজ কাম।অসংখ্য বিত্তবান মানুষ নিয়মিত মসজিদ মাদ্রাসায় টাকা দেয়। তারা টাকা দেয় কারন তারা এই টাকা গুলো অসৎ ভাবে ইনকাম করেছে। তাদের মনের মধ্যে তীব্র অপরাধ বোধ- সেই বোধ থেকে বাঁচার জন্য তারা মসজিদ মাদ্রাসা এতিম খানায় টাকা দেয়।



যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন, কেন করেছেন ? যুদ্ধে শেষে স্বাধীনতা পাবার পর সরকারের কাছ থেকে সুবিধা পাওয়ার জন্য?কোটার মাধ্যমে যারা চাকুরীতে ঢুকতেছে এমনিতেই তারা কম যোগ্য। এতে করে রাষ্ট্র ও তার নাগরিকরা উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।বাংলাদেশের মেধাবী তরুণ সমাজ কোটা বাতিল এর জন্য আন্দোলন করছে।কোটা তাদের জন্যই প্রযোজ্য যাদের সমাজে চলার মত শক্তি নেই। আমি অনেক সরকারি অফিসে মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেছি- তারা কোনো নিয়ম মানতে চান না। তারা কখনও লাইনে দাড়াবেন না। তাদের জামার পকেটে মুক্তিযোদ্ধা লেখা ব্যাচ থাকে। কেউ কেউ সনদপত্র নিয়ে আসেন- আমি মুক্তিযোদ্ধা আমার ছেলেকে চাকরী দিতে হবে। আমি মুক্তিযোদ্ধা আমি লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবি থেকে তেল চিনি আটা নিতে পারব না। আমাকে আগে দাও।



মাঝে মাঝে আমাদের দেশের মন্ত্রী গুলো খুবই নির্বোধের মত কথা বলেন ।নির্বোধ দিয়ে কি দেশের উন্নতি সম্ভব? আমি ভুলতে পারি না- ফেলানির কথা, সাগর-রুনির কথা, বিশ্বজিতের কথা, ইলিয়াস আলীর কথা।আমি হাজার চেষ্টা করেও ভুলতে পারি না।মানুষের ছোট খাটো মানবিক আচরণগুলো আমাকে খুব স্পর্শ করে।আজ পৃথিবীটা কোথায় পৌছেছে? পৃথিবীতে আজ কেন এত বৈষম্য?দারিদ্রতা দূরীকরণে সরকার আজ নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করছে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট ভদ্র মহোদয় ও মহোদয়াগণ বিভিন্ন সভা সেমিনারে হাজার ও বক্তব্য প্রদান করছেন !আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি- হাসিনা খালেদার দল দেশের জন্য ভালো কিছু করার ক্ষমতা রাখেন না। দুই দলের সবাই সবচেয়ে ভালো পারেন- দুর্নীতি করতে।



কোন দলের আমলেই দেশের আশানুরুপ উন্নয়ন হয় নি।যা হয়েছে তা হল- দূর্ণীতি, প্রশাসনে দলীয়করণ, বিচার বিভাগে নগ্ন হস্তক্ষেপ, জাতীয় প্রচার মাধ্যমকে দলীয় প্রচার মাধ্যমে পরিণতকরণ, বিভিন্ন স্থাপনার নাম ও ফলক পরিবর্তন, টেন্ডারবাজি, ভর্তি বাণিজ্য, আইন-শৃংখলার অবনতি, এমপি-মিনিষ্টারদের সীমাহীন বিলাসিতা, ইভটিজিং, সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মবিরোধী আইন পাস, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ( প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, বন্দর ইত্যাদি) বিদেশী কোম্পানীদের কাছে লিজ দিয়ে দেশের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট করা ইত্যাদি ইত্যাদি.....লিখে বোধ করি শেষ করা যাবে না। দুর্নীতি বাজদের ধরা কোনো ব্যাপার না। তাদের সবাই চিনে জানে। তাদের গ্রেফতার করে তাদের বিষয়-সম্পত্তি সব নিয়ে নেওয়া হোক।



ইদানিং রাস্তায় মোড়ে মোড়ে অনেক পুলিশ চেকপোষ্ট দেখা যায়। এরা সাধারন মানুষদের হয়রানি করে। হা করে জিভ দেখে। ম্যানি ব্যাগ দেখে- নানান প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে। আজাইরা এই কাজ গুলো করে। অবশেষে দুই চার জনকে নানান ভয় ভীতি দেখিয়ে-কিছু টাকা নিয়ে নেয়। সতিকার অর্থে পুলিশ'রা খুব ভালো করেই জানে- এসমাজে কারা খারাপ কাজ করে। কোথায় করে। ইচ্ছা করলে দুই ঘন্টার মধ্যে পুলিশ সমস্ত ঢাকা শহরের অসৎ লোকদের ধরে ফেলতে পারে। কিন্তু উপরের নির্দেশে তারা এই কাজ করবে না। আমি নিজে সারা ঢাকা শহর ঘুরে পুলিশ চেকপোষ্ট গুলোর কর্ম কান্ড দেখেছি।পুলিশ চেকপোষ্ট নিয়ে বড় করে একটা লেখা লিখব।যে ইয়াবা খায়- তাকে পুলিশ ধরবে আর যে ইয়াবা বিক্রি করে তাকে ধরবে না। আজিব !



"শেষ কথা" এটা আমার একটা ধারাবাহিক লেখা। শেষ কথাতে আমি সব সময় নিজের জীবনের কথা লিখি। কিন্তু এবার নিজের কথা কিছুই লিখলাম না। এখন রাত একটা। কম্পিউটার বন্ধ করে ব্যালকনিতে গিয়ে একটা সিগারেট খাবো। সিগারেটের আগে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খাবো। আজ গোছল করা হয়নি। সকালে দাঁত ব্রাশ করতে ভুলে গিয়েছিলাম- বিকালে ব্রাশ করেছি। সারা দিনে রাস্তার পাশের দোকান থেকে বেশ কয়েক কাপ চা খেয়েছি- কিন্তু এক কাপ চা-ও আরাম করে খেতে পারিনি। একগাধা চিনি দিয়ে রাখে। বললে শুনে না। ওরা মনে করে চিনি বেশী দিলেই চা ভালো হয়। অনেকদিন ধরে গান শোনা হয় না। রবীন্দ্রনাথের দু'টা গান খুব শুনতে ইচ্ছা করছে- "পাগলা হাওয়ার বাদ্দল দিনে" আর ‘আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে' ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: সত্যিকারের ব্লগ হয়েছে।

১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আলোকচিত্র দেখে মুগ্ধ হলাম। উনার নিজ হাতে তোলা আলোকচিত্র এই প্রথম দেখলাম। এতো ভালো লেগেছে বলার মতো না।
পোস্টের অনেককথার সাথে একমত প্রকাশ করছি।
সকাল দাঁত ব্রাশ না করে চা পান করলেতো ভালো না লাগারই কথা।

১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.