নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রীক পুরান অনুযায়ী নারীরা যেভাবে সৃষ্টি হল

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

তখন মানব জাতি সৃষ্টির সুবর্ণ সময়।দেবতারা প্রথমে এই ভার অর্পন করেছিলেন এপিমিথিউস উপরে। যিনি ছিলেন অপরিনামদর্শী।নিয়ত অনুসরন করতেন প্রথম প্রনোদনা এবং তারপরে পালটে ফেলতেন তার মন। এই ক্ষেত্রেও তিনি তাই করলেন। মানব সৃষ্টির পুর্বেই তিনি সকল সুষমা দান করলেন জন্তু জানোয়ারদের, শক্তি ক্ষিপ্রতা, সাহস এবং ধুর্ততা, পশম এবং পালক, ডানা এবং এরকম সবকিছু।এবং যথারীতি তিনি এজন্য দুখিত হলেন, এবং এই ভার পেশ করলেন তার ভাই প্রমিথিউস এর উপর। প্রমিথিউস ছিলেন মহাজ্ঞানী, এমনকি দেবতাদের চেয়েও জ্ঞানী। তিনি চলে গেলেন সুর্যের কাছে, যেখানে তিনি প্রজ্জলিত করলেন একটি অগ্নিশিখা এবং নিয়ে এলেন অগ্নি। যা অন্য কিছু থেকে মানুষ কে দিল আলাদা বিশেষ কিছু।



প্রমিথিউস সর্বদা চেয়েছিলেন মানব জাতির জন্য কিছু করতে। বলাই বাহুল্য তখনও নারী জাতির আবির্ভাব কিন্তু হয়নি। প্রমিথিউস মানব জাতির জন্য শুধু আগুন ই চুরে করলেন না, তিনি এমন ব্যাবস্থা করলেন যেন দেবতার উদ্দেশ্য দেয়া পশুর অংশ থেকে মানুষ সর্বোত্তম অংশটুকু তার নিজের করে নিতে পারে। তিনি একটি বিশাল ষাড় জবাই করলেন এবং এর মাঝে ভালো অংশটুকু তিনি আচ্ছাদনে লুকিয়ে রাখলেন, এগুলোর উপর নাড়িভুড়ি স্তুপিকৃত করে আরো আড়াল করে ফেললেন। এই স্তুপের পাশে তিনি স্থাপন করলেন অস্থিসমুহ এর আরো একটি স্তুপ, এবং আচ্ছাদিত হলো উজ্জ্বল চর্বি দিয়ে। জিউসকে এই দুই থেকে তার জন্য নির্বাচন করে নিতে বলা হলে, তিনি যথারীতি ভুল নির্বাচন করলেন। কিন্তু যেহেতু তিনি পছন্দ করে ফেলেছিলেন, তাই তাকে তা মেনে চলতেই হল।



কিন্তু মানুষের পিতা, দেবতাদের পিতা এই অপমান সহ্য করবার পাত্র ছিলেন না।তিনি অঙ্গিকার করলেন মানব জাতি ও তার বন্ধুটির উপর প্রতিশোধ নিবার। তিনি মানুষের জন্য সৃষ্টি করলেন এক অতি অশুভ, এক স্নিগ্ধ এবং মনোহর সৃস্টি, এক সলাজ কুমারীর আদলে, এবং সকল দেবতা তাকে দিল উপহার সামগ্রী, রুপালী পোশাক পরিচ্ছদ এবং কারুকার্যময় অবগুন্ঠন, যা দেখতে ছিল বিস্ময় এবং প্রস্ফুটমান ফুলের উজ্জ্বল মালা এবং একটি সোনার মুকুট, যা থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছিল অপরুপ সৌন্দর্য। তারা তাকে যে সব উপহার দিল, সেজন্য তার নাম দিল প্যান্ডোরা, যার অর্থ হলো সকল উপহারের সম্মেলন।যখন এই সুন্দর সর্বনাশটি জিউস বাইরে নিয়ে এলেন এবং বিস্ময়ে ভরে গেল দেবতা এবং পুরুষদের দৃস্টি।আর বাকি গুলো নাই বলি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :P

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২২

গ্রীনলাভার বলেছেন: আহেম.... ছবিএকখান দিছেন বটে। মডু দেখছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.