নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন মরিশাস দেশটি সম্পর্কে জানি

০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০২

বিখ্যাত আরব নাবিক দিনা ১৫০৭ সালে আরাবি ভারত মহাসাগর দিয়ে পর্তুগাল যাওয়ার পথে ছোট একটি দ্বীপ দেখতে পান। দ্বীপটি দেখে তিনি সরাসরি দ্বীপের কাছেই নিজের জাহাজ ভেড়ান। দিনা আরাবি দ্বীপটির চতুর্দিক পরিদর্শন করেন। তিনি দ্বীপটির পারিপাশ্বর্িক অবস্থা, অনুকূল পরিবেশ, সারি সারি নারিকেল জাতীয় গাছ দেখে মুগ্ধ হন। পরিপাটি ও নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে পুলকিত হয়ে তিনি দ্বীপটির নাম রাখেন মরিশাস। সেই থেকে মরিশাস দ্বীপটি সবার কাছে সৌন্দর্যের প্রতীক। ১৫৫০ সালের পর থেকে মরিশাসে লোক বসতি আরম্ভ হয়।



অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত দ্বীপরাষ্ট্র মরিশাস। মরিশাস পূর্ব আফ্রিকার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম পোর্ট লুইস। ১৫০৭ সালে আদিবাসীবিহীন দ্বীপটি আবিষ্কার হয়। নেপলিয়নীয় যুদ্ধ চলাকালে ১৮১০ সালে ব্রিটিশরা মরিশাসের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে । পর্যটন তাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এছাড়াও টেক্সটাইল, চিনি, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছে। মরিশাসের অধিকাংশ মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। মরিশাসের অধিকাংশ লোকই হিন্দি ভাষায় কথা বলে। স্বল্প কিছুসংখ্যক লোক ফরাসি ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলে। পুরো নাম : রিপাবলিক অব মরিশাস।



বিভিন্ন উপনিবেশ থাকার পর মরিশাস ১৯৬৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ১৯৯২ সালের ১২ মার্চ প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। দেশটি বর্তমানে জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংঘের সদস্য। মরিশাসে ৯টি জেলা রয়েছে। যা বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম নিয়ে গঠিত। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুবই উন্নত। সরকারি পর্যায় থেকে জনগণকে বিভিন্ন মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়ে থাকে। দেশটিতে বিভিন্ন ধর্মের লোক বাস করে। প্রতিটি উপনিবেশ শাসকই দেশটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দেশটির উন্নতি সাধনে অবদান রেখেছে। সাম্প্রতিক বিশ্বে যতগুলো সুন্দর পর্যটনবান্ধব দেশ আছে তার মধ্যে মরিশাস নিঃসন্দেহে অন্যতম।



ভ্রমণবিলাসীদের বেড়ানোর জন্য মনোমুগ্ধকর। সীমানা: ২০৪০ বর্গ কিমিঃ, জনসংখ্যা: ১৪ লক্ষ, হিন্দু ৫০%, খ্রীষ্টান ৩০%, এবং মুসলিম ১৫%। সাক্ষরতার হারঃ ৮৫%। কৃষি সম্পদ: আখ, আলু, কলা, সবজি, ফল, চা, মাছ, গবাদি পশু। স্বাধীনতা দিবস: ১২ মার্চ, ১৯৬৮ (যুক্তরাজ্য থেকে)। পাহাড়, সমুদ্র, গাছপালা, মানুষ মিলে অসাধারণ সুন্দর একটি দেশ। মরিশাসে প্রায় ৪৫ হাজার বাঙ্গালী কর্মরত আছে। প্রতি বছর পর্যটন শিল্প থেকে এ দেশের আয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। মরিশাস যখন ফ্রান্সের অধীনে ছিল তখন এ দেশটির শিক্ষা-দীক্ষা, পর্যটন, স্থাপত্য, পরিবেশ, বনসহ যাবতীয় ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়।



এটি ভারতীয় সমুদ্রের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। আফ্রিকার স্থলভূমি থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২২০০ কিলোমিটার। আগ্নেয়গিরির দ্বীপদেশ হিসেবে মরিশাসের চারপাশে প্রবাল দেখা যায়। দ্বীপের সৈকত এলাকায় পাতলা সমতল ভূমি এবং মধ্যাঞ্চলে মালভূমি ও পাহাড়াঞ্চল। মরিশাসে মাত্র দুটি ঋতু আছে: বর্ষাকাল ও গ্রীষ্মকাল। সারা বছর দেশের গড় তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এখানে গ্রীষ্মকাল। প্রচণ্ড আনন্দের উৎস মরিশাসের ডলফিন রাইড। ডলফিনের সঙ্গে মেতে উঠতে মন চাইবে। আপনার চেনা-জানার বাইরের নানা পদের খাবারের সম্ভার এবং উপহার সামগ্রীতে মরিশাস পূর্ণ যা পৃথিবীর অন্য কোথাও আপনি পাবেন না।



প্রতি বছর জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি খুবই কম হয় দেশটিতে। তখন দেশটির পর্যটন মৌসুম। মরিশাস এক সময় একটি নির্জন দ্বীপ ছিল। চিনি উত্পাদনকারী হিসেবে দেশটি পরিচিত। অষ্টাদশ শতাব্দী থেকেই আখ মরিশাসের প্রধান অর্থকরী ফসল। দেশের ৯০ শতাংশেরও বেশি কৃষিক্ষেতে আখ চাষ করা হয়। মরিশাসের নানা জায়গায় সবুজ রঙয়ের আখ ক্ষেত দেখা যায়। মরিশাস গেলে দেখবেন তা হলো : মারিয়ানা বিচ, লা মনরো বিচ, ক্যাসেলা বার্ড পার্ক, মরিশাস একোরিয়াম, গ্রান্ড বেসিন, মেরিন পার্ক, সেন্ট্রাল মার্কেট, ব্ল– পেনি মিউজিয়াম, লিওন মাউন্টেইন, গ্রান্ড পোর্ট।



মরিশাসকে বলা হয় ‘করের স্বর্গরাজ্য’ (ট্যাক্স হেভেন)। এখানে কোনও কোম্পানি পত্তন করে মুনাফা করলে মুলধনী আয়ের ওপর কর (ক্যাপিটাল গেন ট্যাক্স) দিতে হয় না। নির্মল আবহাওয়া, স্বচ্ছ পানি ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ-পরিস্থিতির জন্যই এ দেশের লোকদের গড় আয়ু বেশি। আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে মরিশাসই একমাত্র দ্বীপ রাষ্ট্র, যে দেশের পর্যটনশিল্প যথেষ্ট উন্নত। পৃথিবীতে ৩টি দেশ আছে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ তার মধ্যে একটি হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশের “মরিশাস”। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী ২ জনই হিন্দু। মরিশাসে অসংখ্য সুন্দর হিন্দু মন্দির, মূর্তি ও স্থাপনা বিদ্যমান।



ঢাকা মরিশাস দুটি উপায়ে যাওয়া যায়। এক জেট এয়ারে দিল্লি হয়ে মরিশাস। আরেকটি এয়ার এশিয়াতে কুয়ালালামপুর হয়ে। দু’ভাবেই যেতে সময় লাগবে কম বেশি ১০ ঘণ্টা (ট্রানজিট সময় সহ) ভিসা : মরিশাসের ভিসা দু’ভাবে নেয়া যায়। দিল্লি থেকে বা কুয়ালালামপুর থেকে। তবে কুয়ালামপুর থেকে নিলে ভালো হয়। সেক্ষেত্রে ক’দিন মালয়েশিয়াও ঘুরতে পারবেন। যাতায়াত : পাবলিক বাস যাত্রা আরামদায়ক এবং সস্তা। ট্যাক্সি খুব এক্সপেনসিভ। মোটরবাইক এবং কার ভাড়া পাওয়া যায় যেগুলো মোটামুটি সস্তা।



মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:২৪

স্টকহোম বলেছেন: ধন্যবাদ, খুবই ভালো লাগলো।
এখানে মারিশাস থেকে কি কেউ আছেন?

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দশ ঘন্টা একটা কার ভাড়া কত হবে, নিজেই ড্রাইভ করব।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ইন্টারেস্টিং।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

টেকনিসিয়ান বলেছেন: আরো জানতে চাইলে নিচে ক্লিকান-

Click This Link


৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

ফয়েজ উদ্দিন বলেছেন: tnx for giving informetion about morishash. its one of the nice place in the world. i have so mony friend who lives in out of morishash. i used to aske them about their country. they explained

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জনানোর জন্য ধন্যবাদ।

আহা আমাদের দেশ নিয়ে কবে এমন সুন্দর করে লেখা যাবে!!!!!!

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৯

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট, ধন্যবাদ।

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। আপনার বর্ণনা শুনে যেতে মন চাইছে

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: একেবারে থেকে যাওয়া যায় না?

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: ভাল লাগলো ।

১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

এম সিয়াম বলেছেন: আসলেই অসাধারন একটা দেশ। ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। খুব ইচ্ছা হচ্ছে যাওয়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.