নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
যারা ভিআইপি মানে দেশের সকল ভালো খারাপের ঠিকাদারি নিয়ে বসে আছেন- তাদের রাস্তায় চলাচলের জন্য, সাধারণ জনগন কত রকম সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তাতে তাদের কোনো বিকার নেই। বাস থেকে নেমে মানুষ হেটে রওনা হচ্ছেন গন্তব্যে, লোকজনের চোখে-মুখে চরম বিরক্তি। কেউ কেউ বিরক্তি চেপে না রাখতে পেরে কুৎসিত খালি দিচ্ছে ভিআইপিদের। বাস ড্রাইভার জানালা দিয়ে মাথা বের করে অন্য বাস ড্রাইভারকে বলছে- ' জিনিষ পত্রের যেমন দাম, রাস্তা ঘাটে ও শান্তি নাই।'
প্রতিদিন যদি ঢাকার রাস্তায় ৫০ জন ভিআইপি বের হন তাহলে বিশ বার এমন ভয়াবহ জ্যামের সৃষ্টি হয়। যদিও বাংলাদেশে ভিআইপির কোন অভাব নেই। একজন চাকুরীজীবি বাসের মধ্যে রেগে গিয়ে চিৎকার করে বলছে- 'এসব ভিআইপিদের ধরে আচ্ছা মতো জুতানো দরকার। রাস্তা কি ওর বাপের সম্পদ?' যদি আগে থেকে জানা যেত কোন ভিআইপি কোন রাস্তা দিয়ে যাবে- তাহলে অফিসগামী লোকদের অনেক সুবিধা হতো। একজন চাকরী মা বলেন- ‘আমার বাসায় ছোট্ট একটা বাচ্চা আছে। মহাখালী যাব বলে বিকেল চারটায় পল্টন থেকে বাসে উঠেছি। অথচ বাস এগোচ্ছে শামুকের গতিতে।’
রাস্তায় জ্যাম, ড্রেনের নোংরা পানি জমে আছে, রাস্তা ভাঙ্গা, ওয়াসার কাজ চলছে এবং আরও কত কি...কিন্তু অফিসে যেতে ঠিক ৯ টায়। অন্যথায় বসের কুৎসিত ভাবে চাহনি এবং বেতন কেটে নেওয়া- সহ্য করে নিতে হবে। ভিআইপি রোডের প্রত্যেক শাখা-প্রশাখা থাকে যানজটে পরিপূর্ণ, রোকেয়া সরণি, মিরপুর রোড, ফার্মগেট, মিন্টো রোড, এলিফ্যান্ট রোড, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া ইত্যাদি রাস্তার অবস্থাভয়াবহ রুপ নেয় যখন কোনো ভিআইপি রাস্তায় বের হোন। এমন কি, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, রামপুরা, খিলগাঁও, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, মহাখালীতে ভিআইপিদের জন্য একই অবস্থা।
সময় মতো অফিসে বা গন্তব্যে যাওয়া, প্রচন্ড গরম সহ্য করা, বাসে ঠাসাঠাসি করে অন্যজনের ঘামের গন্ধ সহ্য করা, পকেটমার এবং মলম পার্টির উপদ্রব, হকার এবং ভিক্ষুকদের চেচামেচি ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যার মূল কারন একমাত্র যানযট। এই যানজট বহুগুন বাড়িয়ে দেয়- ভিআইপিরা। আমরা রাস্তায় সারাদিন আটকে থাকলেও ভিআইপিরা কখনোই রাস্তায় যানজটে পড়েন না। তারা যে পথ দিয়ে যান সেই পথ ফাঁকা হয়ে যায়। এটা যেন দারুণ একটা ম্যাজিক।’ বারডেম হাসপাতালের একজন রোগি বলেন- ‘ভিআইপি এলে অবশ্যই তাঁর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা উচিত। ভিআইপির নিরাপত্তার অজুহাতে এভাবে রাস্তা বন্ধ করা ঠিক নয়।’
‘ভিআইপি’র সংখ্যা যতো বাড়ছে আমরা সাধারণ মানুষ ততো সংকোচিত হয়ে যাচ্ছি। ভিআইপিরা অভিজাত পাড়া থেকে ফুটপাত সব দখলে নিয়েছেন। আমরা ধীরে ধীরে বাস্তুহারা হয়ে যাচ্ছি। অথচ এখনো পৃথিবীর বেশীর ভাগ মানুষ ভিআইপি হতে পারেনি। তবে সাধারণ মানুষ নিজেদের অধিকার আদায় করতে পারে না বলেই অল্প কিছু মানুষ সব কিছু ভোগ করে চলেছে। ‘আমরা সাধারণ মানুষ পথ ছেড়ে দিই বলেই পথের দখল নিয়ে নেয় ভিআইপিরা। আমরা যদি অধিকার সচেতন হয় তবে ভিআইপিরা বাধ্য হবে সাধারণের কাতারে নেমে আসতে। যে দেশের সাধরণ মানুষ যেমন সেই দেশের ভিআইপিরাও তেমন আচরনই করেন।’
স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে চাকরিজীবী প্রতিটি মানুষকে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এর ওপর আর্থিক ক্ষতি তো আছেই। যানজট থেকে হাসপাতালের রোগী পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। যানজটের দুর্ভোগ মানুষের নিত্যদিনের দুর্ভোগ। এ দুর্ভোগের অবসান না হলে একদিকে যেমন মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে অন্যদিকে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হবে, যা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
'এসব ভিআইপিদের ধরে আচ্ছা মতো জুতানো দরকার। রাস্তা কি ওর বাপের সম্পদ?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
লেখোয়াড় বলেছেন:
এটা অনেক পুরানো ব্যাপার।
আবারো মনে করানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।