নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
তুরষ্কের একটি শহর ইস্তাম্বুল। শুধু শহরই নয়, বরং বলা চলে একটি কিংবদন্তী। একসময় এই ইস্তাম্বুল শহরই ছিল তুরষ্কের রাজধানী। এশিয়া মহাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় শহর হচ্ছে ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুলের প্রধান আকর্ষণ বসফোরাস। কেননা, বসফোরাস প্রণালিতে কলকল বয়ে চলা পানির ধারাটি সংযুক্ত করেছে এশিয়া ও ইউরোপকে। অত্যন্ত সুচারু ও পরিকল্পিত শহর ইস্তাম্বুল। সমুদ্র-তীরে পাহাড়-নদী ও প্রকৃতির বর্ণাঢ্য বৈচিত্র্যে যুগ যুগ ধরে গড়ে উঠেছে ইস্তাম্বুল শহর।
ইস্তাম্বুল শহরের পূর্ব নাম ছিলো- বায়জেনটিয়াম। খিস্ট্রের জন্মের ৬৬০ বছর আগে এই শহর প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, ইস্তাম্বুল ছিলো অনেক বড় বড় সাম্রাজ্যের রাজধানী। বায়জেন্টাইন এবং অটোমেন সাম্রাজ্যের আমলে তার্কিতে অনেক মসজিদ, প্রাসাদ তৈরি হয়, যার অনেক কিছুই এখনো অবশিষ্ট আছে।
স্থাপত্য শৈলীর ইতিহাসে প্রথম সারির স্থান দখল করে থাকে ইস্তাম্বুলের পুরাকীর্তী হাজিয়া সোফিয়া। নিত্যদিনের সূর্যের আলোয় ঝিকমিক করে শহরটি। দেখে যেন মনে হয় স্বপ্নের জগৎ। শহরটির দুধারে সাজানো-গুছানো পরিকল্পিত বাড়িঘর-দালান-কোঠা, মাঝে মাঝে বৃক্ষরাজির অপরূপ শোভা, মাঝখানে বসফোরাস প্রণালি। এ যেন শিল্পীর তুলিতে অঙ্কিত কোনো চিত্রশিল্প। ইসলামের ইতিহাসের অনেক কিছু আছে দেখার মতো, এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পায়ের ছাপ। অন্য পাশে রয়েছে অটোম্যান সম্রাটদের চোখধাঁধানো জিনিসপত্র। হাগিয়া সোফিয়া—একসঙ্গে গির্জা, মসজিদ এবং এখন জাদুঘর।
সুন্দর শহর, প্রশস্ত রাস্তা, মাঝে মাঝে ওভারব্রিজ। ছোট ছোট দোকানগুলো পণ্যদ্রব্যে ভরপুর। কী নেই এখানে? সোনা-দানা, মনি-মুক্তা থেকে শুরু করে জামা-কাপড়-কার্পেট, লেদারগুড্স, হাতের চুড়ি, খোঁপার কাঁটা ইত্যাদি সবকিছুই এখানে মওজুত। দোকানীদের ব্যবহার অত্যন্ত ভদ্র ও বিনয়ী। প্রত্যেক দোকানের সামনেই দু-একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে, তারা সবিনয়ে সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছে আর দোকানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ মার্কেটে ঘোরাফেরা করছে। প্রতিদিন এখানে প্রায় ৫ লাখ লোক কেনাকাটা করতে আসে।
৬৪ খ্রীষ্টাব্দের কথা। পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করছে বিশাল বিস্তৃত সীমানার রোম সাম্রাজ্য যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তার দাপটশালী সম্রাট নিরো। নীরোর শাসনামল খ্রীষ্টান প্রজাদের কাছে যেন নরকসম। বলা হয়ে থাকে নিরো নাকি রাজকার্যে উদাসীন ছিলেন। কথিত আছে রোমে যখন আগুন লেগে কয়েকদিন ব্যপী জ্বলছিলো, তখন তিনি নির্লিপ্ত মনে বাশী বাজাচ্ছিলেন। এতটা সরলীকরন ঠিক নয়। কারন নিরো আগুনের এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন খ্রীষ্টানদের এবং ফলাফল হিসেবে তাদের উপর চলে আসা নিগ্রহ আরো বাড়তে থাকে।
টপক্যাপি, ব্লুমস্ক, হাজিয়া সোফিয়া, গ্রান্ডবাজার, স্পাইসবাজার, বসফরাস ট্যুরসহ বেশীরভাগ ঐতিহাসিক নিদর্শন সুলতানআহেমট এলাকায়। বেশীরভাগ হোটেল থেকে হাটাপথের দুরত্বে এসব জায়গা। সুলতানআহেমট পুরোটাই আসলে পর্যটকদের এলাকায় রূপ নিয়েছে। ছোটবড় অসংখ্য আবাসিক হোটেল আর রেস্টুরেন্ট দিয়ে ভর্তি হয়ে গেছে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
ইমরান আশফাক বলেছেন: এটি ঠিক ভ্রমন বিষয়ক পোস্ট নয় বরং বলা চলে দেশ বা স্হান পরিচিতি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪
কাজলভোমোরা বলেছেন: ভালো। আরো লিখুন।