নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
'হিলেল্লা মিলেবো জুমত যায় দে, জুমত যায় দে, যাদে যাদে পধত্তুন পিছ্যা ফিরি রিনি চায়, শস্য ফুলুন দেঘিনে বুক্কো তার জুড়ায়...' এটি চাকমা সম্প্রদায়ের জনপ্রিয় একটি গান। এ গানের বাংলা অর্থ হল, 'পাহাড়ি মেয়েটি জুমে যায় রে, জুমে যায় রে, যেতে যেতে পথে পিছন ফিরে চায়, পাকা শস্য দেখে তার বুকটা জুড়ায়।' জুম ক্ষেতেভরা সবুজ পাহাড় দেখে জুম ঘরের মাচায় বসে গানের সুর সুরে মেতে ওঠে তরুণ-তরুণীরা।
দীর্ঘদিন ধরে- বেকার, চাকরী-বাকরী নাই। এদিকে, সুরভি'র বাবা তার মেয়েকে বেকার ছেলের সাথে বিয়ে দিবে না। নো, নেভার। সুরভি'র সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল, তিন মাস। মন মেজাজ চরম বিক্ষিপ্ত অবস্থায় সিদ্দান্ত নিলাম। ঢাকা শহরে আর থাকব না। ঢাকা শহরের প্রতিটা মানুষ বদমাইশ। আমি পাহাড়ে চলে যাব, জুমচাষ করব। জুম চাষ নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনা শুরু করে দিলাম। ২০ অথবা ৩০ বছরের জন্য সরকারের কাছ থেকে সুন্দর দেখে একটা পাহাড় লিজ নিব। তারপর মনের আনন্দে চাষাবাদ শুরু করব। আমি বান্দারবান গিয়ে খুব সুন্দর বড় একটা পাহাড় বেছে নিলাম।
পাহাড়ে উপর একটা সুন্দর কাঠের দোতলা বাড়ি বানাবো। বউ বাচ্চা নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকব। ব্যস। আমার পক্ষ থেকে সব ঠিকঠাক। কিন্তু সরকার আমাকে পাহাড় দেয়নি বরং সন্দেহ করলো। নানান রকম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলো। আমি দৌড়ে পালালাম।
জুম চাষ আমাদের দেশে পাহাড়ি আদিবাসীদের এক সুপ্রাচীন ঐতিহ্য । যারা জুম চাষ করেন তাদের বলা হয়- জুমিয়া । পাহাড়ের কোনো মালিকানা নেই কিন্তু প্রত্যেক জুমচাষিকে কারবারির মাধ্যমে খাজনা দিতে হয় । জুম চাষে কোনো সেচের প্রয়োজন হয় না । জুমে ধান, সবজি, ফল, আদা, হলুদ ইত্যাদি চাষ করা যায় । ১০ সের বীজ বুনতে এক একর জমি লাগে । ১৮৭০ সালের আগে পার্বত্য চট্রগ্রামে প্রায় ৭ হাজার বর্গমাইল জমিতে জুম করা হতো । জুমিয়ারা অনেক পরিশ্রমী । জুমিয়ারা ভোরে জুমে কাজ করতে চলে যায় । পাহাড়ি আদিবাসীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো- তারা কুসংস্কার, ভূতপ্রেত ও জাদুটোনা খুব বিশ্বাস করে । আগে জুমে কোনো সার দিতে হতো না । এখন মাটির শক্তি বেশ কমে গেছে ।
জুম চাষে মারাত্নক সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা হচ্ছে ভূমি সমস্যা। প্রথাভিত্তিক ভূমি মালিকানার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না থাকায় শত শত বছর জুম চাষ করলেও জুমভূমির মালিকানা স্বত্ব আদিবাসীরা পাচ্ছে না। ক্রমহ্রাসমান কৃষিজমির দেশে কোন অবস্থাতেই জুম চাষ বন্ধ করা সমীচীন নয়। দেশের স্বার্থে জুম চাষ রক্ষা ও এর আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এজন্য দরকার সরকারি প্রণোদনা।
জুম চাষ অবশ্যই একটি সম্ভাবনাময় কৃষি খাত। এ পর্যন্ত জুম চাষ অবহেলিতই থেকে গেল। সরকারি সহায়তা পাওয়া গেলে শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের জুমে উৎপাদিত মশলাপণ্য বিশেষ করে আদা, হলুদ, মরিচ সারাদেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব। কিন্তু এ সম্ভাবনাকে কাজে না লাগিয়ে বিদেশ থেকেই এসব পণ্য আমদানি করা হচ্ছে কার স্বার্থে?
ছবিঃ সংগ্রহ। আমার তোলা অনেক জুম চাষের ছবি আছে। কিন্তু সেসব ছবি অন্য একটা কম্পিউটারে। সেই কম্পিউটার আজ ছয় মাস ধরে নষ্ট হয়ে পরে আছে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: জমিজমা তো কিছুই নেই।
২| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
-মরার আগে ১০০টা ছবি, মরার আগে ১০০টা বই, মরার আগে ১০০টা মেয়েক বিবাহ সিরিজ কই?
১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: অপেক্ষা করুন। কাজ চলছে.. পাবেন।
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:২৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এইখানে চাষ করে বিদেশী বইলা চালাইয়া দিলে কাজ হইতে পারে। অবহেলাটা আসলে ব্যবসায়ীদের লাভের জন্যই করে মনে হয়।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:২১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমি করমুনে
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: আমাকেও সাথে নিবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাধারণ চাষী হওয়ার চেস্টা করেন।