নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুট ওভার ব্রীজ ব্যাবহার করুন

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২



রাজধানীতে ডিসিসিরি ( ঢাকা সিটি কর্পোরেশন) অধীনে রয়েছে ৪১টি ফুট ওভার ব্রীজ। এরমধ্যে ৩৫টি স্টিলের। ৬টি কংক্রিটের। আর আন্ডারপান রয়েছে ৩টি। এছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের রয়েছে ৩টি ওভার ব্রিজ। রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে রাজধানীতে ফুট ওভারব্রিজের সংখ্যা অন্তত তিনগুণ বাড়ানো দরকার।

ঢাকা শহরে অধিকাংশ ব্যস্ত সড়কে ফুট ওভার ব্রিজ থাকলেও অনেকেই তা ব্যবহার করেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকই দ্রুতগামী গাড়ির সামনে থেকে রাস্তা পার হয়ে থাকেন। যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ যত্রতত্র রাস্তা পারাপার। পুরান ঢাকার কোর্ট এলাকায় ফুট ওভারব্রিজটি উন্মুক্ত শৌচাগার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এর নিচ দিয়ে যাতায়াতকালে দেখা যায় সব সময়ই নোংরা পানি পড়ছে।

রাজধানীর জনবহুল ও ব্যস্ততম এলাকার মধ্যে সদরঘাট অন্যতম। সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ও যানজট নিরসনে তৈরি করা হয় সদরঘাট বাংলা বাজার বই পাড়া সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজ। কিন্তু এই ওভারব্রিজটিতে ক্রামগত পথচারীর যাতায়াত হ্রাস পাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে ময়লা আবর্জনা, সন্ত্রাসীদের আনাগোনা, মাদকবিক্রি ও অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার কারণে অনেকেই ওভারব্রিজটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন। এ সুযোগে ওভারব্রিজের উপর প্রাকৃতিক ক্রিয়া সম্পন্ন করে ভবঘুরে পথ চারীরা। ফলে নোংরা আবর্জনায় ভরপুর থাকে ব্রিজটি। আর এ কারণে কোনো পথচারী একবার ব্রিজটি ব্যবহার করলে দ্বিতীয়বার ব্যবহার করেন না।
রাতে মাদকসেবীদের আনগোনা, ও অসামাজিক কার্যকালাপের জন্য কেউ জেনেশুনে ওভারব্রিজটি ব্যবহার করে না।

দেড় কোটি মানুষের মহানগরী ঢাকায় ফুট ওভারব্রিজের সংখ্যা একেবারে সীমিত। ফুট ওভারব্রিজগুলো হকার, মাদকসেবী ও ভবঘুরেদের আখড়া হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় তা পথচারীদের পথ পারাপারে ততটা কাজে আসছে না। রাজধানীর সবচেয়ে ব্যস্ত হিসেবে পরিচিত ফার্মগেটের ওভারব্রিজটির বেশিরভাগ জায়গাই হকারদের দখলে। রাজধানীর ফুট ওভারব্রিজের মাত্র ২০ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে পথচারী পারাপারে।

নিউমার্কেট থেকে গাউছিয়া মার্কেটের সংযোগ সৃষ্টিকারী ফুট ওভারব্রিজটিতে দেখা যায়, হকার ও ভাসমান দোকানে ছেয়ে গেছে। জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা নেই বললেই চলে। ৪টি সিঁড়ির সবকটিরই প্রবেশ মুখে দেখা যায় ভাসমান দোকান। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের কাপড়, জুতার দোকান, খাবারের দোকান।

ধানমন্ডির ১৫ নম্বারের ফুট ওভারব্রিজটি এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাদক সেবনের নিরাপদ জায়গায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে গাঁজাসেবীদের কারণে দিনেও ওই ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকেই। রাতে রাজধানীর বেশিরভাগ ফুট ওভারব্রিজই আশ্রয়হীনদের ঘুমানোর অলিখিত একটি সম্পত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার ফুট ওভারব্রিজগুলো নির্মাণের পর সেগুলো তদারকির দিকে নজর দিচ্ছে না কোনো সংস্থাই। ফলে ব্রিজগুলোর বেশির ভাগই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে আছে।

ব্রিজের ওপর থেকে হকার, ভিক্ষুক, ছিনতাইকারী ও নেশাখোরদের উচ্ছেদ করতে হবে। তা না হলে কোটি টাকার ফুট ওভারব্রিজ অব্যবহার্য থেকে নষ্ট হয়ে যাবে। ঢাকার ৩০টি সড়ক অধিক দুর্ঘটনাপ্রবণ। এর প্রায় প্রতিটিতেই রয়েছে ফুট ওভারব্রিজ এবং ব্রিজ ও ক্রসিং এলাকাগুলোতে দুর্ঘটনার হার সর্বাধিক। ঢাকা শহরে প্রতি বছর ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অন্তত ৫৯৭ জন। এর মধ্যে গত বছর দুর্ঘটনায় হতাহত ছাত্রছাত্রী ছিল ৩৬ জন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের আওতায় বনানী ১১ নম্বর রোডের সামনে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি এসকেলেটরসমৃদ্ধ ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করে। পথচারীরা যেন ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে উৎসাহী হন তাই ওভারব্রিজের উপরে ফুলের গাছ লাগানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছেন মেয়র আনিসুল হক। ব্রিজগুলি দ‍ূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ঝুলন্ত ফুলের বাগান!

ঢাকা মেট্রোপলিটন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ অনুযায়ী কোনো পথচারী এ আইন অমান্য করলে তাকে আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে ও দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট এ অপরাধে পথচারীদের গ্রেফতারের এখতিয়ারও সংরক্ষণ করেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: নিয়ম বানিয়ে নিয়ম মানার জন্য সুব্যবস্থা থাকে না । আর আমার কাছে ওভার ব্রিজ দিয়ে পারাপারের সিস্টেমটা মোটেও পছন্দ হয়নি , কারন একজন অসুস্থ অর্থাৎ হার্টের রোগীর রাস্তা পার হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে , তার হয়তো শিরি বেঁয়ে উপড়ে ওঠা নিশেথ থাকতে পারে । এই সকল দিক গুলো কি বিবেচনা করা হয় ? নাকি উল্টা পাল্টা নিয়ম কানুন বানানো হয় নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য যাতে প্রশাসনের পকেট অনৈতিক ভাবে আরও ভারি থেকে ভারিতর করতে পারে ।

আমার মতে নিচেই , রাস্তার উপড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল দিয়ে মানুষ পারাপারের ব্যবস্থা রাখতে পারে ।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: ইউরোপ আমেরিকাতে ফুটওভারব্রীজ দেখেছি বলে মনে পড়েনা। পৃথিবীর প্রায় সব দেশ মায় কোলকাতাতেও সব জায়গাতে জেব্রা ক্রসিং দিয়েই মানুষ পার হয়। আমাদের মত অসভ্য দেশেই চল্লিশ পন্চাশ ফুট ওঠে আর চল্লিশ পন্চাশ ফুট নেমে রাস্তা পারাপার করতে হবে আর না পারলে ধরে জরিমানা? আমরা কি সভ্য? অনেকে জানেননা যে বহু ফুটওভারব্রীজ শ্রেফ সরকারী সমর্থকদের টাকা বানানোর জন্য টেন্ডার দিয়ে অকারণে খামোখা বানানো হয়েছে। এক বছরে ২০০ জন ওঠেনি এমন অনেক ফু.ব্রী. আছে!

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: ফুট ওভার ব্রিজের দুই পার্শ্বে যেভাবে সাইন বোর্ড টানানো থাকে তাতে পথচারীর চেয়ে ছিনতাইকারীর সুবিধা বেশি।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: এসব ওভার ব্রীজ পার হওয়া জোয়ানদের জন্য সহজ হলেও বৃদ্ধ কিংবা অসুস্থদের জন্য কষ্টকর ।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শিরোনামে আর ছবিতে বাস্তবতার দারুন কোলাজ!!!

শতকথা ফুটে ওঠে এক ছবিতে!

বিষয়টি হাইলাইটস করায় ধন্যবাদ । গুলশান কিবরিয়া আর ঢাকাবাসীর মতামতও যথেষ্ট শক্তিশালী। আমাদের চাই মর্ধবর্তী সুন্দর গ্রহযোগ্য গণমানুষের উপকারী সমাধান।

পোষ্টে +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.