নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ফিল্মের যুগে বেশিরভাগ ক্যামেরাই ছিল এস এল আর। ডিজিটাল যুগে হলো ডি এস এল আর; ‘ডি’ দিয়ে কি বোঝায় বলেন তো?
নিখুঁত ছবি তোলার চাবিকাঠি হচ্ছে প্রচুর ছবি তোলা। আর এর জন্যই ছবি তুলতে কার্পন্য না করাই ভাল।
আপনার ডিএসএলআর ক্যামেরার ব্যাটারীর চার্জিং ক্ষমতা বৃদ্ধি যেভাবে করবেন- আপনি আপনার ক্যামেরা দিয়ে ছবি উঠানোর সময় লাইভ ভিউ এবং বিল্ট ইন ফ্লাস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। লাইভ ভিউ ব্যবহারের সেন্সরের উপর প্রভাব পরে অন্যদিকে অতিরিক্ত ব্যাটারী খরচ হয়। অনেক সময় আমরা ক্যামেরা দিয়ে ছবি উঠানোর পর ছবিটাকে স্কিনে ক্ষণিক সময় দেখতে পাই । এই ইমেজ রিভিউ অপশন বন্ধ রেখে ব্যাটারী চার্জ দীর্ঘস্থায়ী করতে পারি।
দিয়ে ছবি উঠানোর পর অনেকে ক্যামেরা অফ করতে ভুলে যাই । আপনার ক্যামেরায় যদি অটো পাওয়ার অফ অপশনের টাইম সর্বনিম্ন থাকে তবে ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ হবে এবং পাওয়ার সেভিং মোড চালু থাকবে ।আপনি যদি আবার চালু করতে চান তাহলে সাটার রিলিজ বাটনে হার্ফ প্রেস করার সাথে সাথে ক্যামেরা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে। এভাবে প্রচুর পরিমান ব্যাটারী সঞ্চয় করা সম্ভর।
ক্যামেরার বাটন প্রেস করার সময় অথবা ক্যামেরার অপশন ব্যবহার করার সময় যে সাউন্ড (বিফ) শুনতে পাই সেটি বন্ধ রাখা। এই সাউন্ড আসলে কোন কাজে লাগে না । বিফ অফ রেখে ব্যাটারীর চার্জ রক্ষা করতে পারি।
মেগাপিক্সেলের সঙ্গে ছবির মানের সম্পর্ক খুব একটা নেই। ক্যামেরার মেগাপিক্সেল বেশি হওয়া মানে ওই ক্যামেরার ছবির সাইজ বেশি বড় আসবে। মাত্র পাঁচ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরায়ই ১২ বাই ১৮ ইঞ্চি মাপের ছবি ধারণ করা যায়। তাই পাঁচ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাকেই স্ট্যান্ডার্ড বলা যায়। ক্যামেরা কেনার সময় তাই মেগাপিক্সেলের দিকে চোখ না দিয়ে ক্যামেরায় অন্য কী সুবিধা আছে, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।
ক্যামেরা কেনার সময় মনে রাখবেন আপনার ভালো একটা ক্যামেরার ব্যাগ কিনে নেয়াটা খুবই জরুরি। অবশ্যই সূর্যের আলো কিংবা বৃষ্টির পানি যেন ভেতরে ঢুকে আপনার লেন্সের ক্ষতি না করতে পারে এমন ব্যাগ। অনেকেই সাংবাদিকতা করার জন্য ক্যামেরা কিনেন। মনে রাখবেন, যদি ফটোজার্নালিস্ট হতে চান তবে আপনাকে মেধাবী হতে হবে। মুহূর্তেই ফ্রেমিং বুঝে ছবি তুলে আনতে হবে। হয়তো আপনার হাতে সময় আছে ১ মিনিট এ সময়ের মধ্যেই কাঙ্ক্ষিত ছবিটি তুলে আনতে হবে। এজন্য প্রচুর প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। তাই ফটোজার্নালিস্ট হতে চাইলে শুরুতেই দামি ক্যামেরা না নিয়ে সাধারণ ক্যামেরা দিয়ে চর্চা শুরু করে দিন।
অনেকেই জানতে চান, ভালো নতুন ক্যামেরা কোথায় কিনতে পাওয়া যায়, তাদের জন্য বলছি- আমাদের দেশে শুধু ক্যামেরার জন্য আলাদা কোনো বাজার গড়ে ওঠেনি। তবে কম্পিউটার মার্কেটগুলোতে সাধারণত ক্যামেরা পাওয়া যায়। বাংলাদেশে 'নাইকন' ক্যামেরার পরিবেশক ফ্লোরা লিমিটেড। 'ক্যানন' ক্যামেরার পরিবেশক জেএএন অ্যাসোসিয়েটস। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে তাদের শোরুম রয়েছে। ক্যানন ক্যামেরার খোঁজখবর এখান থেকেই পাওয়া যাবে। প্যানাসনিকের পরিবেশক এসিআই লিমিটেড। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে তাদের একটি শোরুম আছে। সনি ক্যামেরার পরিবেশক র্যাংগস ইলেকট্রনিকস। ক্যামেরার খোঁজ পেতে সনির শোরুমে যেতে হবে। এ ছাড়া আইডিবি ভবনের বিসিএস কম্পিউটার সিটির অনেক দোকানে প্রচলিত প্রায় সব ব্র্যান্ডের ক্যামেরাই পাওয়া যাবে। ক্যামেরার জন্য সুনাম আছে এমন কয়েকটি দোকান বসুন্ধরা সিটিতেও রয়েছে। এই মার্কেটের লেভেল ৬-এ রয়েছে সনি ব্রাভিয়া স্টোর। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররম, এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার ও স্টেডিয়াম মার্কেটে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্যামেরা পাওয়া যায়।
ক্যামেরা কেনার আগে ইন্টারনেট থেকে রিভিউ দেখে নিন। একসঙ্গে দু-তিনটি ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্ট ক্যামেরার রিভিউ দেখলে ক্যামেরার কোয়ালিটি সম্পর্কে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে। এখানে পেয়ে যাবেন ব্যবহারকারীদের মন্তব্যও। http://www.dpreview.com, http://www.reviews.cnet.com/digital-cameras, http://www.trustedreviews.com, http://www.cameralabs.com, http://www.pcmag.com/reviews/digital-cameras I http://www.digitalcamerainfo.com সাইটগুলো ক্যামেরা রিভিউয়ের নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট।
আপনার ক্যামেরাটি পরিষ্কার ও ঝকঝকে রাখার জন্য সবসময় ক্যামেরা ব্যাগে যে জিনিষগুলো থাকা প্রয়োজন তা হল-
· মাইক্রোফাইবার কাপড়- আঙ্গুলের ছাপ ও নোংরা দাগ মোছার জন্য।
· ডাস্ট ব্লোয়ার- ময়লা ও ধুলার স্তর দূর করার জন্য।
· ক্লিনিং পেন এবং ব্রাশ কম্বো- যথাযথ ভাবে ফিঙ্গার প্রিন্ট পরিষ্কারের জন্য।
ক্যামেরা ক্রয় করার পরে আপনাকে মেমরি কার্ড, লেন্সের ফ্লিটার, স্কিন প্রটেকটর, বহনের জন্য ব্যাগ কিনতে হবে। মূল ক্যামেরার বাজেটের বাইরে আপনাকে আর হাজার তিনেক টাকা যুক্ত রাখতে হবে এই জন্য।
ঘন কুয়াশার মধ্যে ক্যামেরা ব্যবহার না করা ভালো। এতে কুয়াশার জলকণা ঢুকে ক্যামেরা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ক্যামেরায় সমস্যা দেখা দিলে নিজে ঠিক করার চেষ্টা না করে ভালো সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়া উচিত। লেন্সে ধুলো পড়লে হাত দিয়ে, ঘষে বা ফুঁ দিয়ে সরানোর চেষ্টা না করে ব্লোয়ার ব্যবহার করুন। ব্লোয়ার না থাকলে নরম কাপড় (যেমন ফ্লানেল) ব্যবহার করুন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর থেকে বের হওয়ার ১৫-২০ মিনিট আগে ক্যামেরাটি ব্যাগে ভরে রাখুন। ক্যামেরা খোলা অবস্থায় বের করা হলে লেন্সে বিন্দু বিন্দু পানি জমা হয়। ফলে প্রথমে কিছুটা ঝাপসা মনে হবে এবং পরে লেন্সে স্থায়ী দাগ পড়তে পারে।
মনে রাখবেন, ডিএসএলআর মোটেও কোনো খেলনা না। যত্ন করতে হবে মন থেকে। সবসময় ক্যামেরার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিদিন খেয়াল করবেন ক্যামেরার সবকিছু ঠিক আছে কিনা। লেন্সগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে, সেন্সরে কোনোভাবেই ধুলোবালি ঢুকতে দেয়া যাবে না। মোট কথা ধুলোবালি থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৩
রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেক কিছু জানতে পারলাম...
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৪
মহা সমন্বয় বলেছেন: আপনাকে অনেেক সুন্দর লাগছে।
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: +
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫১
অবনি মণি বলেছেন: ভাই এতো টাকা নাই ক্যমেরা কিনার তবে হ্যাঁ স্যামস্যং এর একটা মোটামুটি মোবাইল আছে ওটা দিয়েই ভালো ছবি আসে আর আমারও ভীষণ ভালো লাগে তুলতে । তবে ধন্যবাদ এই পোষ্ট এর জন্যে ।