নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন লিবিয়া দেশটি সম্পর্কে জানি

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১



উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া। লিবিয়া আফ্রিকার বৃহত্তম রাষ্ট্রগুলির একটি। আকারে বিশাল হলেও লিবিয়াতে জনবসতি খুবই লঘু। দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে সাহারা মরুভূমি। লিবিয়ার তিনটি প্রধান অঞ্চল হল ত্রিপোলিতানিয়া, ফেজ, ও সিরেনাইকা। ইসলাম এখানকার রাষ্ট্রধর্ম এবং আরবি ভাষা সরকারি ভাষা। পেট্রোলিয়ামের বিরাট মজুদ আবিষ্কারের পর থেকে লিবিয়া আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি।

লিবিয়ায় বিদ্যমান ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কীর্তিগুলো খ্রিস্টপূর্ব ত্রয়োদশ শতকের প্রাচীন। লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় গাদামিস নামক প্রাচীন শহরটি-যা মরুরত্ন নামে বিখ্যাত-আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলীয় ঐতিহ্যবাহী নগরীর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। একইভাবে শুহাত নামক প্রাচীন এলাকাটিও প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ হিসেবে ইতিহাসে বেশ পরিচিত। এই অঞ্চলটি ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। খ্রিস্টপূর্ব একাদশ শতাব্দিতে এ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক বহু ঘটনা ঘটেছে। সে সময়কার ঐতিহাসিক বহু স্থাপনা এখনো অবশিষ্ট রয়েছে।

রাজধানী ত্রিপলী এয়ারপোর্ট লিবিয়ার সবচেয়ে বড় এয়ারপোর্ট। ত্রিপলী থেকে ৩৪ কিলোমিটার দক্ষিনে বেন ঘাসির নামক জায়গায় এটি অবস্থিত। বেনগাজী লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে!

বাংলাদেশি শ্রমিকেরা লিবিয়ায় কাজ করতে আসেন। কিন্তু এরপর তাঁরা অবৈধভাবে নৌযানে চড়ে ইউরোপে পাড়ি জমান। একসময় বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার ছিল লিবিয়া। বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে সেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। এর মধ্যে একটা বড় অংশই আছেন রাজধানী ত্রিপোলি ও বেনগাজিতে।

লিবিয়ার ইতিহাস যদি পর্যবেক্ষন করি তাহলে আমরা দেখতে পাবো, তা ছিল বরাবরই ইসলামের বিরুদ্ধে। হাজারো মানুষকে জেলের ভিতর নির্যাতন করে হত্যা করা হয়, ব্যাপক গণহত্যা চালানো হয় শুধুমাত্রই ইসলামের প্রতি ঝোঁকের কারণে কিংবা গাদ্দাফীর বিরুদ্ধচারণ করার কারণে। যার মধ্যে একটি বহুল আলোচিত হল ১৯৯৫ এর আবু সালিম কারাগারের গণহত্যা।

গাদ্দাফি প্রশাসনের পতনের পর লিবিয়ায় একটি হ-য-ব-র-ল অবস্থা তৈরি হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো তাদের দূতাবাস গুছিয়ে নিয়েছে। দেশের দক্ষিণ অঞ্চল পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে। আর উত্তরাঞ্চল হয়েছে মানবপাচারের সিল্করুট। গাদ্দাফির শাসনামলে তার নাগরিকরা শুধু বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবাই পাননি, পেয়েছেন বিনামূল্যে শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও বিনা সুদে ঋণ।

ন্যাটোর চোখে গাদ্দাফির হয়তো বড় অপরাধ ছিল- তিনি বিদেশি বিনিয়োগের চেয়ে দেশীয় স্বার্থটা বেশি দেখতেন এবং একটি সত্যিকারের শক্তিশালী ইউনাইটেড আফ্রিকার স্বপ্ন দেখতেন। আর সেজন্যেই হয়তো ২০১১ সালে লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩০ বিলিয়ন ডলার অর্থ জব্দ করেছিলেন বারাক ওবামা।

ক্ষমতা মানুষকে দুর্বিনীত, দুর্নীতিগ্রস্ত, শেষ পর্যন্ত ক্ষমতান্ধ করে দেয়। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষ তার বিশ্বাসকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে কুরবাণী করতে পারে গাদ্দাফী হয়তবা তার একটা বড় উদাহরণ হ’তে পারেন। পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এভাবে ‘বিপ্লবী’ গাদ্দাফীর নৈতিক মৃত্যু ঘটে।

বেদুইন পরিবারের সন্তান গাদ্দাফী ৪২ বছর কঠোর হাতে লিবিয়া শাসন করেছেন। তিনি নিজেকে আব্রাহাম লিংকনের সাথেও তুলনা করতেন। গাদ্দাফী আফ্রিকার ওপর একটা কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিলেন। তিনি আফ্রিকানদের পশ্চিমা বিরোধী করে তুলতে বিশেষ প্রচেষ্টাও চালিয়ে গেছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তিনি লিবিয়াকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে গিয়ে অত্যাচার ও অন্যায়ের আশ্রয় নিয়েছিলেন।

গাদ্দাফী তার প্রতিরক্ষা বা নিরাপত্তার জন্য লিবিয়ার লোক না নিয়ে আফ্রিকার আন্যান্য দেশ থেকে ভাড়া করে মহিলা সৈনিক নিয়ে এসেছিল। এই ‘আমাজন’ এর বাহিনী তার ত্রিপলির প্রাসাদ রক্ষা করতো। সে রাশিয়া বা ইউক্রেন হতে এক মাঝ বয়সী সুন্দরী নার্স জোগাড় করেছিল তার নিজের জন্য। আর বেদুইনদের মত একাধিক বিয়ে করেছিল। তার পাশে যে বউকে দেখা যেত সেটি ছিল তার ছোট বউ।

তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, দীর্ঘ ৪২ বছরের শাসনামলে গাদ্দাফি কী লিবিয়ার জন্য কিছুই করেননি? লিবিয়ার সম্পদ তেলকে ব্যবহার করে তিনি লিবিয়াকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন; কিন্তু মানুষের মাঝে অসন্তোষ, অসমতা দূর করতে পারেননি তিনি।

গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়ায় যে এখন কঠিন সময় যাচ্ছে কিংবা সামনে আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করছে তা বোধ হয় বলা নিষ্প্রয়োজন। তারপরও দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের পর দেশটিতে শান্তির পতাকা উড়ুক, এটাই সকলের কাম্য।লিবিয়া আফ্রিকার বৃহত্তম রাষ্ট্রগুলির একটি। আকারে বিশাল হলেও লিবিয়াতে জনবসতি খুবই লঘু। দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে সাহারা মরুভূমি। লিবিয়ার তিনটি প্রধান অঞ্চল হল ত্রিপোলিতানিয়া, ফেজ, ও সিরেনাইকা। ইসলাম এখানকার রাষ্ট্রধর্ম এবং আরবি ভাষা সরকারি ভাষা। পেট্রোলিয়ামের বিরাট মজুদ আবিষ্কারের পর থেকে লিবিয়া আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি।


মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: মানুষের মাঝে অসন্তোষ, অসমতা দূর করতে পারেননি তিনি।

কোন স্বৈরাচারের পক্ষে তা সম্ভব নয়।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


"কিন্তু মানুষের মাঝে অসন্তোষ, অসমতা দূর করতে পারেননি তিনি।"

-গাদাফি মানুষের জন্য করেছিল তেলের টাকায়; কিন্তু মানুষকে সঠিকভাবে শিক্ষিত করে তুলেনি

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজীব নুর, আমি তো মনে করেছিলাম আপনি লিবিয়ায় বসে লিখছেন! ঢাকা থেকে কতদুর বুঝা যায়?

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খোদ লিবিয়ানরাও মনে হয় পরিণতি এমন বাজে হবে বুঝতে পারেনি!

যেমনইরাকের সাদ্দাম বিরোধীরা ধারনা করতে পারেনি- শেষ কি হবে?

আর পশ্চিমাদের লাভ তো ষোলআনাই! দেশ জাহান্নামে যাক- তাদের অর্থনৈতিক এবং সামরিক নয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এবং তার বেনিফিসিয়ারী তারাই!

যেমন আমাদের সোনার বাংলা নিয়ে এখন চিল শকুনের লড়াই হচ্ছে!!!

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

গ্রিন জোন বলেছেন: এরপরও এখনকার তুলনায় গাদ্দাফি শতগুণে ভাল ছিলো লিবিয়াবাসীর জন্য। এখন যা হচ্ছে তা স্রেফ দখলের লড়াই। কে কতো খেতে পারে, কে কত জুলুম করতে পারে তার লড়াই। গাদ্দাফির লিবিয়া চিরদিনই মানুষের কাছে হয়ে থাকবে এক স্বপ্নের দুনিয়া। যা অন্য কোনো শাসনামল তা করে দেখাতে পারবে না।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: বেশ তথ্যবহুল পোষ্ট অনেক কিছু জানা হলো লিবিয়া সর্ম্পকে।।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: ভাইয়া, বলতে পারেন আমি একজন অজ্ঞ পাঠক হিসেবে আপনার কথা কেন চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করব? সাক্ষ্য-প্রমাণ-সূত্র কোথায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.