নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
রাত তিনটা। ঘুম আসছিল না। শুধু এপাশ আর ওপাশ করছিলাম। বুঝে গেলাম আর ঘুম আসবে না। ভাবলাম রান্না ঘরে গিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে খাই। রান্না ঘরে গিয়ে আমি অবাক, দেখি- 'রবীন্দ্রনাথ'!!! আমি বললাম গুরুদেব কি করছেন? গুরুদেব বললেন, ওই, কতবার বলেছি আমাকে গুরুদেব বলে ডাকবি না। রবিবাবু বলে ডাকবি। তোর ঘুম আসছিল না, ভাবলাম তোর জন্য চা বানাই। আমার নিজেরও খেতে ইচ্ছা করছিল। আমি বললাম, গুড। আপনি চা বানিয়ে বেলকনিতে আসেন, আমি গিয়ে বসি। কিছুক্ষন পর কবি দুই মগ চা নিয়ে বেলকনিতে আসলেন। এক মগ আমার হাতে দিয়ে বললেন, আজ আমার মন ভালো নেই রে, তুই আমাকে একটা হাসির গল্প শুনিয়ে মন ভালো করে দে। আমি চায়ে চুমুক দিয়ে বললাম আচ্ছা। তার আগে বলি চা ভালো বানিয়েছেন। যদি ভালো চায়ের জন্য নোবেল দেওয়ার নিয়ম থাকত তাহলে আপনি আরেকটা নোবেল পেতেন। রবীন্দ্রনাথ বিরক্ত হয়ে বললেন, ওই বক বক বন্ধ কর, চায়ে তো চিনিই দেইনি। চিনির ডিব্বা খুঁজে পাইনি। গল্প বল। আমি রবি বাবুর মুখোমুখি বসে গল্প শুরু করলাম-
এক ছিল কাঠুরিয়া। তার ছিল একটা মাত্র বউ। বউটির মেজাজ ছিল খুব কড়া আর মারমুখী। এক কথায় সাংঘাতিক দজ্জাল আর কী! কাঠুরিয়ার পরিবার ছিল নিঃসন্তান। চার পাঁচ বছরের সংসার। তা হলে কী হবে, তাদের ঘর আলো করে কেউ আসে নি। না আসলেও কী হবে। কাঠুরিয়া বনে সারাদিন ঘাম ঝরিয়ে রক্ত পানি করে কাঠ কাটে। তারপর বাজারে বিক্রি করে- চাল, ডাল, তরকারি নিয়ে বাড়িতে আসে। বউ কোথায় আদর যত্ন করবে, তা না করে এত দেরি কেন? এগুলো কোনো বাজার হলো? এসব তো গরু-ছাগলের খাদ্য। বাপ দাদা চৌদ্দগোষ্ঠির মন্ডুপাত করতে থাকে। বেচারা কাঠুরিয়া শক্ত গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সে যেমন নির্মমভাবে গাছ কাটে ঠিক তেমনি তার বউ কথা দিয়ে গালিগালাজ দিয়ে তাকে কাটতে থাকে, ছিলতে থাকে। ডেইলি মানে প্রতিদিন এমন ভিটামিনবিহীন উত্তেজক একতরফা গালিগালাজ আর কতদিন সহ্য করা যায়। জবাব দিলে আগুন আরও দ্বিগুন হয়ে যায়। কাঠুরিয়া ছিল সহজ সরল নিরীহ গোবেচারা টাইপের। তো আর কাহাতাক সহ্য করা যায়। তার কামাই খাবে আর তার বাপ-দাদাকে, মা-দাদি, নানা-নানিকে গালিগালাজ করবে? আর কতদিন?
গল্পের এই পর্যায়ে চা শেষ। আমার সিগারেটের জন্য হাস-ফাস লাগছিল। রবীন্দ্রনাথ ব্যাপারটা বুঝে বললেন- নো নেভার। গল্প শেষ কর। আমি একটু হাসি দিয়ে আবার গল্প শুরু করলাম- কাঠুরিয়া একদিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। এসপার কী ওসপার। হয় আমি থাকব না হয় মুখরা দজ্জাল বউ থাকবে। তো কাঠুরিয়া কী করলো? বড় দেখে একটা মজবুত ছালা আর মোটা তাজা দড়ি সংগ্রহ করল। তারপর? কথা নেই বার্তা নেই তার হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে বস্তার মুখটা ভালো করে টাইট বান্ধা বেন্ধে ঘাড়ে তুলে সোজা গহিন বনের মধ্যে চলে গেল। তারপর একটা বড় গর্তের খোঁজ পেয়ে সেই গর্তে ফেলে দিয়ে পিছনে না তাকিয়ে সোজা বাড়ি এসে ঘরে খিল দিয়ে বিশাল এক ঘুমের রাজ্যে বিশ্রাম নিতে থাকে। তিনদিন খুব আরামে ঘুম দিল। চারদিনের দিন কাঠুরিয়ার মনে হলো বাড়িতে কী যেন নেই। বাড়িটা খালি খালি লাগে। সুনসান ফাঁকা বাড়ি। কেউ কোনো কথা বলে না। পাঁচ দিনের দিন কাঠুরিয়া চিন্তা করল, আর যেমনি থাক আমার একটা বউ ছিল, গালাগালি দিত। আচ্ছা আমার বউটা কি মরে গেল না বেঁচে আছে একটু দেখা দরকার তো নাকি! সাত পাঁচ চিন্তা করে একদিন সকালবেলা আস্তে আস্তে কাঠুরিয়া সেই গর্তের কাছে গিয়ে হাজির। যেই না কাছে গিয়ে দাঁড়িয়েছে অমনি অবাক কান্ড ....
রবীন্দ্রনাথ কখন আমার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছেন খেয়াল করিনি। গল্পের বাকি অংশ পরে বলা যাবে। আকাশ ফরসা হতে শুরু করেছে। আমি রবীন্দ্রনাথের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।
২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে--
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪২
আনন্দ ধারা বলেছেন: ভালো লিখেছেন, বাকি গল্পটা শোনার জন্য আপেক্ষায় রইলাম
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: হঠাৎ গল্প থামানোটা ঠিক হলোনা। পরে ভুলে যাব পড়ার উৎসাহ হারাব।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
জটিল ভাই বলেছেন: ওয়াও!!! গাঁজার রেইট ভাই কতোতে নেমেছে????